অনলাইন ডেস্ক
চীনের জায়গা দখল করে বিশ্বজুড়ে পণ্য তৈরির কেন্দ্র হয়ে ওঠার বড় একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ভারত। সেই স্বপ্ন আরও বাস্তব মনে হচ্ছিল, যখন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ঘোষণা দেয়—তারা আমেরিকায় বিক্রির জন্য আইফোনগুলো এখন থেকে ভারতেই তৈরি করবে।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এক নতুন বাণিজ্য চুক্তি ভারতের সেই আশায় ধাক্কা দিতে পারে। এই চুক্তির ফলে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে যেসব বিদেশি কোম্পানি চীন ছেড়ে ভারতে আসতে চাইছিল, তারা হয়তো আবার চীনেই ফিরে যাবে বা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, তিনি অ্যাপলের সিইও টিম কুককে বলেছেন, ভারতে কারখানা না গড়তে—কারণ এটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি।’
ভারতীয় বিশ্লেষক অজয় শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘ভারতের কারখানায় শুধু যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর কাজ হয়। কিন্তু দামি যন্ত্রাংশ বানানো বা গবেষণার কাজ যদি এখানে না হয়, তাহলে তেমন লাভ নেই।’
ভারত সরকার বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রণোদনা স্কিমের মতো নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। অনেক কোম্পানি যেমন—অ্যাপল, স্যামসাং ইতিমধ্যেই ভারতে কিছু উৎপাদন করছে। ফলে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই কাজগুলো খুব বেশি দক্ষতা বা আয় দেয় না। আবার অনেক যন্ত্রাংশ এখনো চীন থেকে আনতে হয়—যার মানে, পুরো লাভটা ভারত পাচ্ছে না। এর মানে হলো—দেশটির বড় স্বপ্ন থাকলেও, বাস্তবতা এখনো অনেক দূরে।
এ ছাড়া ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোও দারুণ দ্রুত গতিতে রপ্তানি বাড়াচ্ছে। কারণ সেখানে শ্রম সস্তা, নিয়মকানুন সহজ এবং ব্যবসা করার পরিবেশ ভালো।
ভারতের জন্য আরও এক চিন্তার বিষয় হলো—চীনা কোম্পানিগুলো ভারতের ভেতরেই কারখানা বসিয়ে আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে পারে। এটি ভারতের নিজের শিল্প গড়ার পথে বাধা হতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, অ্যাপলের মতো বড় কোম্পানির ঘোষণা নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। কিন্তু শুধু এটি দিয়ে ভারতের বৈশ্বিক কারখানা হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে খরচ কমানো, সহজ নিয়ম তৈরি করা এবং দেশেই যন্ত্রাংশ তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে দেশটিকে।
অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমরা যদি আসল পরিবর্তন না আনি, তাহলে শুধু শিরোনামে থাকব—বাস্তবে নয়।’
চীনের জায়গা দখল করে বিশ্বজুড়ে পণ্য তৈরির কেন্দ্র হয়ে ওঠার বড় একটা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিল ভারত। সেই স্বপ্ন আরও বাস্তব মনে হচ্ছিল, যখন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল ঘোষণা দেয়—তারা আমেরিকায় বিক্রির জন্য আইফোনগুলো এখন থেকে ভারতেই তৈরি করবে।
সোমবার সিএনএন জানিয়েছে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে এক নতুন বাণিজ্য চুক্তি ভারতের সেই আশায় ধাক্কা দিতে পারে। এই চুক্তির ফলে চীনের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অনেকটাই কমে গেছে। এর ফলে যেসব বিদেশি কোম্পানি চীন ছেড়ে ভারতে আসতে চাইছিল, তারা হয়তো আবার চীনেই ফিরে যাবে বা সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, তিনি অ্যাপলের সিইও টিম কুককে বলেছেন, ভারতে কারখানা না গড়তে—কারণ এটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপকারী দেশগুলোর একটি।’
ভারতীয় বিশ্লেষক অজয় শ্রীবাস্তব বলছেন, ‘ভারতের কারখানায় শুধু যন্ত্রাংশ জোড়া লাগানোর কাজ হয়। কিন্তু দামি যন্ত্রাংশ বানানো বা গবেষণার কাজ যদি এখানে না হয়, তাহলে তেমন লাভ নেই।’
ভারত সরকার বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে প্রণোদনা স্কিমের মতো নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। অনেক কোম্পানি যেমন—অ্যাপল, স্যামসাং ইতিমধ্যেই ভারতে কিছু উৎপাদন করছে। ফলে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি হচ্ছে। কিন্তু বিশ্লেষকেরা বলছেন, এই কাজগুলো খুব বেশি দক্ষতা বা আয় দেয় না। আবার অনেক যন্ত্রাংশ এখনো চীন থেকে আনতে হয়—যার মানে, পুরো লাভটা ভারত পাচ্ছে না। এর মানে হলো—দেশটির বড় স্বপ্ন থাকলেও, বাস্তবতা এখনো অনেক দূরে।
এ ছাড়া ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়ার মতো দেশগুলোও দারুণ দ্রুত গতিতে রপ্তানি বাড়াচ্ছে। কারণ সেখানে শ্রম সস্তা, নিয়মকানুন সহজ এবং ব্যবসা করার পরিবেশ ভালো।
ভারতের জন্য আরও এক চিন্তার বিষয় হলো—চীনা কোম্পানিগুলো ভারতের ভেতরেই কারখানা বসিয়ে আমেরিকায় পণ্য পাঠাতে পারে। এটি ভারতের নিজের শিল্প গড়ার পথে বাধা হতে পারে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, অ্যাপলের মতো বড় কোম্পানির ঘোষণা নিঃসন্দেহে আশাজাগানিয়া। কিন্তু শুধু এটি দিয়ে ভারতের বৈশ্বিক কারখানা হয়ে ওঠা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে খরচ কমানো, সহজ নিয়ম তৈরি করা এবং দেশেই যন্ত্রাংশ তৈরির দিকে মনোযোগ দিতে হবে দেশটিকে।
অজয় শ্রীবাস্তব বলেন, ‘আমরা যদি আসল পরিবর্তন না আনি, তাহলে শুধু শিরোনামে থাকব—বাস্তবে নয়।’
ভারতের স্থলবন্দর ব্যবহারে বিধিনিষেধ আসায় রপ্তানিকারকদের অনেকটা পথ ঘুরে ভারতের বিভিন্ন গন্তব্যে পণ্য পাঠাতে হবে। এতে সময় লেগে যাবে ৮ থেকে ১০ দিন। কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যপণ্যের রপ্তানি ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি পণ্য নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। সংশ্লিষ্টদের আশঙ্কা, এতে অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য বেড়ে যাবে...
১৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরব, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর সম্পন্ন করেছেন। সফরকালে তিনি ওই দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ঘনিষ্ঠ বন্ধু’ বলে আখ্যায়িত করেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন কূটনীতির এক নাটকীয় রূপান্তরের ইঙ্গিত দেন।
১ দিন আগেভারতের প্রস্তাবিত চার লেনের শিলং-শিলচর মহাসড়কটি এনএইচ-৬ (মেঘালয়, আসাম ও মিজোরামকে সংযোগকারী মহাসড়ক) ধরে মওলিনখুং (মেঘালয়) থেকে পঞ্চগ্রাম (আসাম) পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। এটিই এই অঞ্চলের প্রথম উচ্চ-গতির করিডর প্রকল্প। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের প্রতিবেদন অনুসারে, শিলং-শিলচর মহাসড়কটি মিয়ানমারের কালাদান...
১ দিন আগেভারত-পাকিস্তান সংকটকে দীর্ঘদিন ধরে কেবল দ্বিপক্ষীয় ইস্যু হিসেবেই দেখা হয়েছে। ঐতিহাসিক ক্ষোভ আর পারমাণবিক প্রতিরোধের (ডিটারেন্ট) মধ্যে এটিকে সীমাবদ্ধ বলে বিবেচনা করা হয়েছে। তবে, প্রতিটি সংকটই—হোক তা ২০১৯ সালের পুলওয়ামা বা কাশ্মীর নিয়ে বর্তমান উত্তেজনা—কিছু না কিছু ধারাবাহিক প্রভাব তৈরি করে...
১ দিন আগে