অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে ছুটির আগে হাউস রিপাবলিকানদের পাস করা একটি বিতর্কিত ট্যাক্স বিল ঘিরে এবার ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি রিপাবলিকান সিনেটররা বিলটি সংশোধনের জন্য ওয়াশিংটনে ফিরলেও একাধিক জরিপে দেখা গেছে, এই বিল নিয়ে জনগণের সমর্থন আদায় করতে তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছেন। বিলটি পাস হলে লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা ও খাদ্যসহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন—এমন আশঙ্কা থেকেই অসন্তোষ বাড়ছে।
সিবিএস নিউজের জন্য ইউগভ পরিচালিত নতুন একটি জরিপে দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, এই বিল মধ্যবিত্তদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আর ৫৪ শতাংশ বলছেন, এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, এই বিল তাঁদের পরিবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রিপাবলিকানরা অবশ্য দাবি করছেন, বিলটি স্বাস্থ্যবিমা ও বাজেট ঘাটতির ওপর প্রভাব ফেলবে না। তবে এই যুক্তি গ্রহণ করেননি অধিকাংশ আমেরিকান। জরিপে ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এই বিল পাস হলে স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ কমে যাবে, আর ৫৫ শতাংশ মনে করেন, এতে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। এই আর্থিক ঝুঁকিই ট্রাম্প ও তাঁর সাবেক মিত্র ইলন মাস্কের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেভিগেটর রিসার্চের এক জরিপ বলছে, হাউস ব্যাটলগ্রাউন্ড ডিস্ট্রিক্টের ৫২ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার রিপাবলিকানদের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ মানুষ বিলটির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে আপত্তি জানিয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, বিলটি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য ‘ক্ষতিকর বিষয়’ বহন করবে। ৪৯ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, এই বিলের কারণে তাঁদের গৃহস্থালি খরচ বেড়ে যাবে।
কেএফএফ-এর আরেকটি জরিপ অনুযায়ী, ৭২ শতাংশ আমেরিকান আশঙ্কা করছেন, বিলটি মেডিকেইডে কাটছাঁট করলে অনেকে স্বাস্থ্যসেবা হারাবেন। পাশাপাশি ৭১ শতাংশ বলছেন, এই কাটছাঁট স্থানীয় হাসপাতাল, নার্সিং হোম ও স্বাস্থ্যসেবা দাতাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এই সব জরিপের ফলাফল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য মারাত্মক সংকেত। বিশেষ করে, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে তাঁর প্রধান আইনগত অর্জন হিসেবে ধরা এই বিলের জনপ্রিয়তা এভাবে মুখ থুবড়ে পড়া মোটেও সুখকর নয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, রিপাবলিকানেরা জনগণকে বলছেন, একদিন তো সবাই মারা যাবেই, তাই মেডিকেইড হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের কটাক্ষমূলক ভাষা সাধারণ আমেরিকানদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
রিপাবলিকান সিনেটররা বিলটিতে কিছু সংশোধনের ইঙ্গিত দিলেও তাঁরা যদি মেডিকেইড ও পরিচ্ছন্ন শক্তি খাতে কাটছাঁট কমায়, তাহলে হাউসে সমর্থন হারাতে পারেন—যেখানে বিলটি আবারও অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। এর চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, যখন প্রায় সব হাউস রিপাবলিকান এই কঠোর বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তখন বিল পরিবর্তন করলেও জনসমর্থন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না।
ডেমোক্র্যাটরা এরই মধ্যে পরিকল্পনা করছে, ২০২৬ সালের নির্বাচন পর্যন্ত রিপাবলিকানদের এই ভোটের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের ‘বিউটিফুল বিল’ আমেরিকানদের কাছে এখন এক বেদনাদায়ক বাস্তবতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে মেমোরিয়াল ডে ছুটির আগে হাউস রিপাবলিকানদের পাস করা একটি বিতর্কিত ট্যাক্স বিল ঘিরে এবার ব্যাপক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি রিপাবলিকান সিনেটররা বিলটি সংশোধনের জন্য ওয়াশিংটনে ফিরলেও একাধিক জরিপে দেখা গেছে, এই বিল নিয়ে জনগণের সমর্থন আদায় করতে তাঁরা ব্যর্থ হচ্ছেন। বিলটি পাস হলে লাখ লাখ মানুষ চিকিৎসা ও খাদ্যসহায়তা থেকে বঞ্চিত হবেন—এমন আশঙ্কা থেকেই অসন্তোষ বাড়ছে।
সিবিএস নিউজের জন্য ইউগভ পরিচালিত নতুন একটি জরিপে দেখা গেছে, ৪৭ শতাংশ আমেরিকান মনে করেন, এই বিল মধ্যবিত্তদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আর ৫৪ শতাংশ বলছেন, এটি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এ ছাড়া ৪৩ শতাংশ উত্তরদাতা বিশ্বাস করেন, এই বিল তাঁদের পরিবারকেও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
রিপাবলিকানরা অবশ্য দাবি করছেন, বিলটি স্বাস্থ্যবিমা ও বাজেট ঘাটতির ওপর প্রভাব ফেলবে না। তবে এই যুক্তি গ্রহণ করেননি অধিকাংশ আমেরিকান। জরিপে ৫০ শতাংশ উত্তরদাতা বলেছেন, এই বিল পাস হলে স্বাস্থ্যবিমা কভারেজ কমে যাবে, আর ৫৫ শতাংশ মনে করেন, এতে বাজেট ঘাটতি আরও বাড়বে। এই আর্থিক ঝুঁকিই ট্রাম্প ও তাঁর সাবেক মিত্র ইলন মাস্কের মধ্যে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার অন্যতম কারণ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নেভিগেটর রিসার্চের এক জরিপ বলছে, হাউস ব্যাটলগ্রাউন্ড ডিস্ট্রিক্টের ৫২ শতাংশ সম্ভাব্য ভোটার রিপাবলিকানদের ‘ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল’-এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ মানুষ বিলটির বিরুদ্ধে জোরালোভাবে আপত্তি জানিয়েছেন।
জরিপে আরও দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ভোটার মনে করেন, বিলটি তাঁদের ও তাঁদের পরিবারের জন্য ‘ক্ষতিকর বিষয়’ বহন করবে। ৪৯ শতাংশ আশঙ্কা করছেন, এই বিলের কারণে তাঁদের গৃহস্থালি খরচ বেড়ে যাবে।
কেএফএফ-এর আরেকটি জরিপ অনুযায়ী, ৭২ শতাংশ আমেরিকান আশঙ্কা করছেন, বিলটি মেডিকেইডে কাটছাঁট করলে অনেকে স্বাস্থ্যসেবা হারাবেন। পাশাপাশি ৭১ শতাংশ বলছেন, এই কাটছাঁট স্থানীয় হাসপাতাল, নার্সিং হোম ও স্বাস্থ্যসেবা দাতাদের ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এই সব জরিপের ফলাফল প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্য মারাত্মক সংকেত। বিশেষ করে, ২০২৬ সালের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে তাঁর প্রধান আইনগত অর্জন হিসেবে ধরা এই বিলের জনপ্রিয়তা এভাবে মুখ থুবড়ে পড়া মোটেও সুখকর নয়।
বিরোধীদের অভিযোগ, রিপাবলিকানেরা জনগণকে বলছেন, একদিন তো সবাই মারা যাবেই, তাই মেডিকেইড হারানো নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। এ ধরনের কটাক্ষমূলক ভাষা সাধারণ আমেরিকানদের ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
রিপাবলিকান সিনেটররা বিলটিতে কিছু সংশোধনের ইঙ্গিত দিলেও তাঁরা যদি মেডিকেইড ও পরিচ্ছন্ন শক্তি খাতে কাটছাঁট কমায়, তাহলে হাউসে সমর্থন হারাতে পারেন—যেখানে বিলটি আবারও অনুমোদনের জন্য পাঠাতে হবে। এর চেয়েও বড় প্রশ্ন হলো, যখন প্রায় সব হাউস রিপাবলিকান এই কঠোর বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন, তখন বিল পরিবর্তন করলেও জনসমর্থন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে কি না।
ডেমোক্র্যাটরা এরই মধ্যে পরিকল্পনা করছে, ২০২৬ সালের নির্বাচন পর্যন্ত রিপাবলিকানদের এই ভোটের জন্য জবাবদিহি করতে বাধ্য করা হবে।
এই প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে, ট্রাম্পের ‘বিউটিফুল বিল’ আমেরিকানদের কাছে এখন এক বেদনাদায়ক বাস্তবতা হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছে।
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত গতকাল শনিবার নবম দিনে গড়িয়েছে। এই ৯ দিনে দুপক্ষই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে, যদিও ইরানের ক্ষয়ক্ষতি ইসরায়েলের তুলনায় অনেক বেশি। অনেক পর্যবেক্ষক বলছেন, এই যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হতে চলেছে। অবশ্য যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ালে ভিন্ন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে..
৩ ঘণ্টা আগেইরানের উত্তরাঞ্চলে গতকাল শুক্রবার মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। ইসরায়েলের সঙ্গে সংঘাতের এই সময়ে ভূকম্পন ইরানের গোপন পারমাণবিক পরীক্ষা কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগেকয়েক মাস ধরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের করণীয় কী হওয়া উচিত—তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক চলছে। এই তর্ক-বিতর্কের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র আগের কঠোর নিষেধাজ্ঞাকে আরও জোরালো করেছে। আর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) গত জানুয়ারিতে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আগামী ১ জুলাই থেকে ইরানি তেলে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর...
৯ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দ্রুত বাড়তে থাকা উত্তেজনাকে চীন ও রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্র-নির্ভর বিশ্বব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার একটি মোক্ষম সুযোগ হিসেবে দেখছে বলে মনে করছেন অনেকে। ফোনালাপে পুতিন এবং সি ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাকে জাতিসংঘ সনদ এবং আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে আখ্যায়িত
১০ ঘণ্টা আগে