আড্ডা

তোলিয়ার চেহারাটা আজও ভুলিনি। ও ছিল কসাই। কসাই না বলে মাংসবিক্রেতা বললেই বুঝি ভালো হয়। আমাদের কুবান বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যে রাস্তাটা চলে গেছে, তারই এক কোনে ‘আগ্রোপ্রোম’ নামে একটি মাছ-মাংস-সবজির দোকান ছিল। এই দোকানের আলুর স্বাদ আমি কোনো দিন ভুলব না...

বই পড়া আমাদের জীবনে কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন আমরা বই পড়বে তা নিশ্চয় অনেকের জানতে ইচ্ছে করে। তবে বই পড়া মানেই একাডেমিক গতানুগতিক সিলেবাসভিত্তিক বই মুখস্থ করে পরীক্ষা দিতে বসা নয়। বই পড়া একটি মুক্ত জগৎ, যেখানে লেখক প্রকাশ করেছেন...

জমিলা বেগম প্রায় পঞ্চান্ন বছর আগে পুরান ঢাকার কায়েৎটুলিতে জন্মগ্রহণ করেন। এই গৃহিনী নারী লিখেছেন তাঁর ছোটবেলার কথা...

বাংলায় প্রতি পাঁচজনের একজন ছিল ক্রীতদাস। অর্থাৎ সেই সময় এই ভূখণ্ডের ২০ শতাংশ মানুষই পরাধীন জীবনযাপন করতেন। রিপোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় উপমহাদেশের মধ্যে বাংলায়ই সবচেয়ে বেশি ক্রীতদাস ছিল। 

মানুষের মনের ভেতরে কিছু কিছু অনুভূতি রয়েছে যেটা সবসময় প্রকাশ করা যায় না। এমন  অনুভূতি থাকে যেটা কারও কাছে বলাও যায় না। যেমন: দুঃখ, কষ্ট, বিরহ, ভাবনা এগুলো অনুভব করা গেলেও প্রকাশ করা যায় না। মানুষের না বলা এসব অনুভূতিগুলোকে ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলেন সুদীপ্তা স্বর্ণকার।

আলেগ যখন মাস্টার্স করে ফিরে গেল গেলেনঝিকে, তখন হোস্টেলে আমার ঘরে এল নতুন অতিথি। ওর নাম কোলিয়া। নিকোলাই থেকে কোলিয়া। আমাদের হোস্টেলগুলোর রুম দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা নিয়ম চালু ছিল। টু–সিটেড রুমে একজন রুশ, একজন বিদেশি, আর থ্রি–সিটেড রুমে দুজন বিদেশি আর একজন রুশ থাকত। তাতে বিদেশিদের পক্ষে রুশ ভাষা দ্রুত আয়

সেই থেকে ২৩ এপ্রিল পৃথিবীব্যাপী বিশ্ব বই দিবস ও মেধাস্বত্ব দিবস পালিত হয়ে আসছে। প্রতিবছর একটি প্রতিপাদ্য ঠিক করে দেয় ইউনেসকো। এ বছর বিশ্ব বই দিবসের প্রতিপাদ্য—‘পড়ুন...পড়লে কখনোই একা বোধ করবেন না।’

গতকাল অভয় দিয়ে বলেছিলেন, জন্মদিনের সকালে তাঁর বাড়িতে যাওয়া যাবে। দরজার বাইরে থেকে তাঁকে দেখে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানানো যাবে। আজ, ৪ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৮টার আগেই পৌঁছে গেলাম তাঁর বাড়িতে। আজ তাঁর ৯০তম জন্মদিন। ৮৯তম জন্মবার্ষিকী।

মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সিংহভাগ মানুষই ছিল অবরুদ্ধ। উদ্বাস্তু হিসেবে প্রায় এক কোটি মানুষ গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে। যুবকেরা গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। শিল্পীরা গিয়েছিলেন

মায়ের অনুমতি নিয়ে ওয়াল্টারের সঙ্গে বিশ্ব ভ্রমণে বের হন অ্যালোহা। দ্রুতই সবার আগ্রহের কেন্দ্রে চলে আসেন। রাতারাতি তারকা বনে যান তিনি। 

পাঁচ মাসের গর্ভবতী এক নারী বস্তাবন্দী অবস্থায় পড়ে ছিলেন কুমার নদে। শরীরে তাঁর নির্যাতনের চিহ্ন। তারপর স্থানীয় জেলেদের মাধ্যমে উদ্ধার ও বেঁচে ফেরা। একেবারে মৃত্যুর কাছ থেকে ফিরে আসা সেই নারী জীবনের নানা ধাপে লড়াই করতে করতে পরিণত হন এক আইকনে। তিনি কাঙ্গালিনী সুফিয়া।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির ভেতরটায় খুব স্নিগ্ধ, ছোট্ট একটা সবুজ মাঠ আছে। তার এক ধারে একটা গ্রিক সমাধি-মন্দির চারপাশের আর সব স্থাপনার চেয়ে আলাদা এক চেহারা ও পরিচয় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় ১১০ বছর। এই স্থাপনায় মোট ১১ জনের সমাধি আছে। তাই যদি হয়, তাহলে ‘এটি একটি পারিবারিক সমাধি’—এই চালু ধারণা সর্বাংশে স

ঢাকার আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গিয়ে যদি আপনি দেখেন, একটি আস্ত নোনা ইলিশ ডালিম মুখে নিয়ে উল্টো হয়ে ঝুলে আছে সুদৃশ্য ফ্রেমে বাঁধাই হয়ে, ধাক্কা তো লাগারই

কলকাতার জোড়াসাঁকো, যে স্থান বিখ্যাত হয়ে আছে ঠাকুর পরিবারের জন্য, যেখানে জন্মেছিলেন বিখ্যাত সিংহ পরিবারের কালীপ্রসন্ন সিংহ, যিনি বাংলা ভাষায় প্রথম সমগ্র ‘মহাভারত’-এর অনুবাদ সম্পন্ন করেছিলেন; সেই জোড়াসাঁকো এলাকাতেই ১৮১৩ সালে জন্ম রাধানাথ শিকদারের। তবে সেখানকার অন্য বিখ্যাত পরিবারের মতো অবস্থা ছিল না ত

গাসসানের কবিতায় মাহমুদ দারবিশের ভাষাশৈলীর স্পষ্ট ছাপ আমরা দেখতে পাই। কবিতার ভিত, বাক্যশৈলী, ছন্দ ও অলংকার—সব দিক থেকেই। ফিলিস্তিনি মানসের উর্বরতা, মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, আত্মোৎসর্গের প্রেরণা এবং বীরত্বের সংজ্ঞায় টইটম্বুর সেই পদ্যগুলো। দারবিশের মতো গীত-নাটকীয়তার সঙ্গে দুঃখগাথার অপূর্ব মিথস্ক্রিয়ায় নির্মি

নানাভাবে মৃত্যু হচ্ছে অনেক ভাষার। এরই মধ্যে কালের গর্ভে ভেসে গেছে কত ভাষা, তার খবর কি আমরা জানি?

সেদিন সকালে ভেজা প্রকৃতির রূপ দেখতে দেখতে উপস্থিত হয়েছিলাম কাজী রোজীর ধানমন্ডির বাসায়। দেখে চিনতে পারলেন না। না চেনারই কথা। আগে কোনো দিন পরিচয় হয়নি তো! পরিচয় দিতেই খুশি হয়ে বললেন, ‘জানো, তোমাদের বয়সী ছেলেমেয়েদের সঙ্গে গল্প করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। মনে হয় আমিও সেই তরুণ বয়সে আছি।’