জাহীদ রেজা নূর
কুবান কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে যখন কুবান কৃষি ইনস্টিটিউটে গেলাম, তখন হোস্টেলে আমার রুমমেট হিসেবে পেলাম রুশ আলেগকে। আলেগের বয়স তখনই ত্রিশ পেরিয়ে। স্কুলশিক্ষক। সুযোগ পেয়ে মাস্টার্স করতে এসেছেন। আমি তাঁকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতাম। তিন সিটের সেই রুমে আরেকজন ছিল ইয়েমেনের করিম। করিমও আমার সঙ্গে কৃষি ইনস্টিটিউটে প্রিপারেটরি শেষ করেছিল।
আলেগ যখন মাস্টার্স করে ফিরে গেল গেলেনঝিকে, তখন হোস্টেলে আমার ঘরে এল নতুন অতিথি। ওর নাম কোলিয়া। নিকোলাই থেকে কোলিয়া। আমাদের হোস্টেলগুলোর রুম দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা নিয়ম চালু ছিল। টু–সিটেড রুমে একজন রুশ, একজন বিদেশি, আর থ্রি–সিটেড রুমে দুজন বিদেশি আর একজন রুশ থাকত। তাতে বিদেশিদের পক্ষে রুশ ভাষা দ্রুত আয়ত্ত করার সুযোগ হতো।
কোলিয়ার বয়সও বেশি। তবে আলেগের মতো নয়। ওর মাথা থেকে একরাশ সোনালি চুল নেমে এসেছে ঘাড় বেয়ে। খুব লম্বা নয়। আমাদের মতোই। পড়বে আমাদের সঙ্গেই। আমি আর ইয়েমেনের ছেলেটা যে ভাষাতত্ত্ব বিভাগে পড়তাম, কোলিয়াও সেই বিভাগের ছাত্র। আমাদের ক্লাসেই ভর্তি হয়েছে।
কোলিয়া আর্মিতে বাধ্যতামূলক সেবাদানের পর কিছু সময় কাজ করেছে। এর পর ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই ওর বয়সও ত্রিশের কাছাকাছি। তবে সেটা ওকে দেখে বোঝা যায় না। আলেগকে দেখতে বুড়ো বলে মনে হতো। কোলিয়া সে রকম নয়।
কোলিয়া খুব ধীরে ধীরে কথা বলত। কয়েক দিনের মধ্যে কোলিয়া সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় বুঝে ফেললাম। এক. বিধিবদ্ধ পড়াশোনার চেয়ে সাহিত্যের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ওর। নিজে কবিতা লেখে। বন্ধুদের নিয়ে যে আড্ডা দেয়, তাতে সিগারেটের আগুনের সঙ্গে পুড়তে থাকে পুশকিন, লেরমন্তভ, দস্তয়েভ্স্কিরা। নতুন সময় আসছে, গরবাচেভের নতুন ভাবনা নিয়ে হুলুস্থুল চলছে গোটা সোভিয়েত ইউনিয়নে। তারও প্রভাব পড়ছে কোলিয়াদের আড্ডায়। দুই. কোলিয়া প্রচণ্ডভাবে সোভিয়েত–বিরোধী। গণতন্ত্রের প্রতি ওর টান প্রচণ্ড। তিন. কোলিয়া খুব গরিব। শুধু কালো রুটি আর চা খেয়েই কাটিয়ে দিতে পারে দিনের পর দিন। আমি যখন বাঙালি রান্না করতাম, তখন কোলিয়াকে খেতে আমন্ত্রণ জানাতাম, কিন্তু খুব কম সময় ও আমার সঙ্গে খেত। ব্যক্তিত্ব ছিল টনটনে।
পরীক্ষার সময় ও আমাকে খুব সাহায্য করত। একেবারে শিশুকে যেভাবে পড়া বোঝায় কোনো ভালো শিক্ষক, কোলিয়াও আমাকে সেভাবেই পড়া বোঝাত।
ও খেত সবচেয়ে সস্তা বেলামোর কানাল সিগারেট। আমি তখন খেতাম বুলগেরিয়ার রদোপি। ওর সিগারেট ফুরিয়ে গেলে মাঝে মাঝে আমার কাছ থেকে সিগারেট চেয়ে খেত।
একদিন আমাদের ক্লাসের রুশ ছেলেরা বসে আমাদের ঘরে আড্ডা মারছে। মাক্সিম, কোশেলিয়েভ, ভিতালি ছিল সে আড্ডায়, মনে পড়ে। ওদের আড্ডার সময় আমি কোনো কথা বললাম না। এর কারণ, আমার তখনো রুশ ভাষায় রুশ দেশের রাজনীতি বা সাহিত্য নিয়ে কথা বলার মতো মুরোদ হয়নি। একা একা সিগারেট খেতাম, মাঝে মাঝে ওদের চা বানিয়ে দিতাম। ওরা কালো রুটি, সসেজ, পেয়াজ পাতা খেত। আমাকেও চা বানিয়ে দিত।
একদিন কোলিয়ে এসে বলল, ‘আমি মনে হয় পড়ালেখা ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘কেন তুমি পড়ালেখা ছেড়ে দেবে?’
‘আর বোলো না। কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস ক্লাসে আজ টিচারের সঙ্গে ঝগড়া করেছি।’
‘কেন?’
‘আমি বলেছি, ভাষাতত্ত্ব পড়তে এসেছি, আমি তো কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস জানতে আসিনি। এ কথা শুনে খুব খেপে গেছেন প্রফেসর জানিন। আমাকে হয়তো ভার্সিটি (রুশ ভাষায় ‘য়ুনিভার’) থেকে বের করে দেবে।’
কোলিয়ার শঙ্কা ভিত্তি পেয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই ওকে বিভিন্ন ফোরামে ডাকা হলো। ওর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলো, কেন কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসের প্রতি ওর এত অনীহা। হোস্টেলে ফিরে সে গল্প করত কোলিয়া। প্রথম দিকে বেশ বীরত্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টির লোকদের মোকাবিলা করছিল কোলিয়া। কিন্তু যতই সময় যেতে থাকল, বোঝা গেল কোলিয়ার ভাগ্য আসলে তারের ওপর ঝুলছে।
তারপর একদিন, আমি যখন রান্নাঘরে গরুর মাংস রান্না করছি, কোলিয়া একটা সিগারেট মুখে দাঁড়াল। দরজায় হেলাল দিয়ে বলল, ‘রেজা, আজ তোমার সঙ্গে খাব।’
‘অবশ্যই খাবে।’ বললাম আমি।
‘আজ তোমার সঙ্গে শেষবারের মতো খাব।’
‘মানে কী?’
‘আমাকে ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে। আমার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হলো না।’
আমি ভেবেছিলাম, কোলিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দেবে। কিন্তু ১৯৮৮ সালেও কমিউনিস্ট পার্টির যে ক্ষমতা ছিল, সেটা ছিল ভয়াবহ। কোলিয়া তার আগুন থেকে রেহাই পায়নি।
আমার খুব খারাপ লাগল। কোলিয়াকে খুব আপন ভাবতে শুরু করেছিলাম। এর কারণ ছিল। ওর কাছে রুশ ইতিহাস জানতে চাইলে ও খুব সহজ করে তা বোঝাত। যেমন, ও বলত এ রকম, ‘বইয়ে যা লেখা আছে, সেটাই তোমাকে বোঝাচ্ছি। এ দেশে জার ছিল। জাররা ছিল খারাপ। এর পর তাদের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষেপে উঠল। সাধারণ মানুষ ছিল গরিব। ওরা যখন রাগ করল. তখন ওদের সংগঠিত করল একদল মানুষ। এরা ছিল ভালো। ভালোরা খারাপদের বিরুদ্ধে একাট্টা হলো। বুঝতে পারছ?’
এভাবেই বলত কোলিয়া।
শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকা কোলিয়াকে জিজ্ঞেস করোম, ‘এখন কী করবে?’
‘সেটা জানি না। কোনো একটা কাজ তো খুঁজে নিতে হবে। চলে যাব গ্রামে। তারপর কাজ খুঁজব।’
‘তোমার তো ডিগ্রি নেই। কী কাজ করবে?’
‘আইসক্রিম বিক্রি করব, চিবুরেকি (মাংসের পিঠা) বিক্রি করব। যৌথ খামারে গরু পালব, যখন যা পাব, তাই করব।’
‘আর কবিতা?’
এবার হাসল কোলিয়া। ‘কবিতা তো সাথে সাথে থাকে। ওটা চলবে।’
নিজের জিনিসপত্র নিয়ে কোলিয়া চলে গেল। এর পর আর কোনো দিন ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। কোনো চিঠিও লেখেনি ও। প্রথম প্রথম ওর জন্য মন খারাপ হতো। ভাবতাম, কোথায় কী করছে কোলিয়া? এক সময় পড়াশোনার চাপে মন থেকে হারিয়ে গেল কোলিয়া।
কুবান কৃষি ইনস্টিটিউট থেকে প্রস্তুতিপর্ব শেষ করে যখন কুবান কৃষি ইনস্টিটিউটে গেলাম, তখন হোস্টেলে আমার রুমমেট হিসেবে পেলাম রুশ আলেগকে। আলেগের বয়স তখনই ত্রিশ পেরিয়ে। স্কুলশিক্ষক। সুযোগ পেয়ে মাস্টার্স করতে এসেছেন। আমি তাঁকে ‘আপনি’ বলে সম্বোধন করতাম। তিন সিটের সেই রুমে আরেকজন ছিল ইয়েমেনের করিম। করিমও আমার সঙ্গে কৃষি ইনস্টিটিউটে প্রিপারেটরি শেষ করেছিল।
আলেগ যখন মাস্টার্স করে ফিরে গেল গেলেনঝিকে, তখন হোস্টেলে আমার ঘরে এল নতুন অতিথি। ওর নাম কোলিয়া। নিকোলাই থেকে কোলিয়া। আমাদের হোস্টেলগুলোর রুম দেওয়ার ক্ষেত্রে একটা নিয়ম চালু ছিল। টু–সিটেড রুমে একজন রুশ, একজন বিদেশি, আর থ্রি–সিটেড রুমে দুজন বিদেশি আর একজন রুশ থাকত। তাতে বিদেশিদের পক্ষে রুশ ভাষা দ্রুত আয়ত্ত করার সুযোগ হতো।
কোলিয়ার বয়সও বেশি। তবে আলেগের মতো নয়। ওর মাথা থেকে একরাশ সোনালি চুল নেমে এসেছে ঘাড় বেয়ে। খুব লম্বা নয়। আমাদের মতোই। পড়বে আমাদের সঙ্গেই। আমি আর ইয়েমেনের ছেলেটা যে ভাষাতত্ত্ব বিভাগে পড়তাম, কোলিয়াও সেই বিভাগের ছাত্র। আমাদের ক্লাসেই ভর্তি হয়েছে।
কোলিয়া আর্মিতে বাধ্যতামূলক সেবাদানের পর কিছু সময় কাজ করেছে। এর পর ফিরেছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। তাই ওর বয়সও ত্রিশের কাছাকাছি। তবে সেটা ওকে দেখে বোঝা যায় না। আলেগকে দেখতে বুড়ো বলে মনে হতো। কোলিয়া সে রকম নয়।
কোলিয়া খুব ধীরে ধীরে কথা বলত। কয়েক দিনের মধ্যে কোলিয়া সম্পর্কে কয়েকটি বিষয় বুঝে ফেললাম। এক. বিধিবদ্ধ পড়াশোনার চেয়ে সাহিত্যের প্রতি প্রবল আকর্ষণ ওর। নিজে কবিতা লেখে। বন্ধুদের নিয়ে যে আড্ডা দেয়, তাতে সিগারেটের আগুনের সঙ্গে পুড়তে থাকে পুশকিন, লেরমন্তভ, দস্তয়েভ্স্কিরা। নতুন সময় আসছে, গরবাচেভের নতুন ভাবনা নিয়ে হুলুস্থুল চলছে গোটা সোভিয়েত ইউনিয়নে। তারও প্রভাব পড়ছে কোলিয়াদের আড্ডায়। দুই. কোলিয়া প্রচণ্ডভাবে সোভিয়েত–বিরোধী। গণতন্ত্রের প্রতি ওর টান প্রচণ্ড। তিন. কোলিয়া খুব গরিব। শুধু কালো রুটি আর চা খেয়েই কাটিয়ে দিতে পারে দিনের পর দিন। আমি যখন বাঙালি রান্না করতাম, তখন কোলিয়াকে খেতে আমন্ত্রণ জানাতাম, কিন্তু খুব কম সময় ও আমার সঙ্গে খেত। ব্যক্তিত্ব ছিল টনটনে।
পরীক্ষার সময় ও আমাকে খুব সাহায্য করত। একেবারে শিশুকে যেভাবে পড়া বোঝায় কোনো ভালো শিক্ষক, কোলিয়াও আমাকে সেভাবেই পড়া বোঝাত।
ও খেত সবচেয়ে সস্তা বেলামোর কানাল সিগারেট। আমি তখন খেতাম বুলগেরিয়ার রদোপি। ওর সিগারেট ফুরিয়ে গেলে মাঝে মাঝে আমার কাছ থেকে সিগারেট চেয়ে খেত।
একদিন আমাদের ক্লাসের রুশ ছেলেরা বসে আমাদের ঘরে আড্ডা মারছে। মাক্সিম, কোশেলিয়েভ, ভিতালি ছিল সে আড্ডায়, মনে পড়ে। ওদের আড্ডার সময় আমি কোনো কথা বললাম না। এর কারণ, আমার তখনো রুশ ভাষায় রুশ দেশের রাজনীতি বা সাহিত্য নিয়ে কথা বলার মতো মুরোদ হয়নি। একা একা সিগারেট খেতাম, মাঝে মাঝে ওদের চা বানিয়ে দিতাম। ওরা কালো রুটি, সসেজ, পেয়াজ পাতা খেত। আমাকেও চা বানিয়ে দিত।
একদিন কোলিয়ে এসে বলল, ‘আমি মনে হয় পড়ালেখা ছেড়ে দিচ্ছি।’
‘কেন তুমি পড়ালেখা ছেড়ে দেবে?’
‘আর বোলো না। কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস ক্লাসে আজ টিচারের সঙ্গে ঝগড়া করেছি।’
‘কেন?’
‘আমি বলেছি, ভাষাতত্ত্ব পড়তে এসেছি, আমি তো কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাস জানতে আসিনি। এ কথা শুনে খুব খেপে গেছেন প্রফেসর জানিন। আমাকে হয়তো ভার্সিটি (রুশ ভাষায় ‘য়ুনিভার’) থেকে বের করে দেবে।’
কোলিয়ার শঙ্কা ভিত্তি পেয়েছিল। কয়েক দিনের মধ্যেই ওকে বিভিন্ন ফোরামে ডাকা হলো। ওর কাছ থেকে জানতে চাওয়া হলো, কেন কমিউনিস্ট পার্টির ইতিহাসের প্রতি ওর এত অনীহা। হোস্টেলে ফিরে সে গল্প করত কোলিয়া। প্রথম দিকে বেশ বীরত্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্টির লোকদের মোকাবিলা করছিল কোলিয়া। কিন্তু যতই সময় যেতে থাকল, বোঝা গেল কোলিয়ার ভাগ্য আসলে তারের ওপর ঝুলছে।
তারপর একদিন, আমি যখন রান্নাঘরে গরুর মাংস রান্না করছি, কোলিয়া একটা সিগারেট মুখে দাঁড়াল। দরজায় হেলাল দিয়ে বলল, ‘রেজা, আজ তোমার সঙ্গে খাব।’
‘অবশ্যই খাবে।’ বললাম আমি।
‘আজ তোমার সঙ্গে শেষবারের মতো খাব।’
‘মানে কী?’
‘আমাকে ভার্সিটি থেকে বহিষ্কার করে দিয়েছে। আমার আর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া হলো না।’
আমি ভেবেছিলাম, কোলিয়াকে সতর্ক করে দিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে দেবে। কিন্তু ১৯৮৮ সালেও কমিউনিস্ট পার্টির যে ক্ষমতা ছিল, সেটা ছিল ভয়াবহ। কোলিয়া তার আগুন থেকে রেহাই পায়নি।
আমার খুব খারাপ লাগল। কোলিয়াকে খুব আপন ভাবতে শুরু করেছিলাম। এর কারণ ছিল। ওর কাছে রুশ ইতিহাস জানতে চাইলে ও খুব সহজ করে তা বোঝাত। যেমন, ও বলত এ রকম, ‘বইয়ে যা লেখা আছে, সেটাই তোমাকে বোঝাচ্ছি। এ দেশে জার ছিল। জাররা ছিল খারাপ। এর পর তাদের বিরুদ্ধে মানুষ ক্ষেপে উঠল। সাধারণ মানুষ ছিল গরিব। ওরা যখন রাগ করল. তখন ওদের সংগঠিত করল একদল মানুষ। এরা ছিল ভালো। ভালোরা খারাপদের বিরুদ্ধে একাট্টা হলো। বুঝতে পারছ?’
এভাবেই বলত কোলিয়া।
শূন্য চোখে তাকিয়ে থাকা কোলিয়াকে জিজ্ঞেস করোম, ‘এখন কী করবে?’
‘সেটা জানি না। কোনো একটা কাজ তো খুঁজে নিতে হবে। চলে যাব গ্রামে। তারপর কাজ খুঁজব।’
‘তোমার তো ডিগ্রি নেই। কী কাজ করবে?’
‘আইসক্রিম বিক্রি করব, চিবুরেকি (মাংসের পিঠা) বিক্রি করব। যৌথ খামারে গরু পালব, যখন যা পাব, তাই করব।’
‘আর কবিতা?’
এবার হাসল কোলিয়া। ‘কবিতা তো সাথে সাথে থাকে। ওটা চলবে।’
নিজের জিনিসপত্র নিয়ে কোলিয়া চলে গেল। এর পর আর কোনো দিন ওর সঙ্গে দেখা হয়নি। কোনো চিঠিও লেখেনি ও। প্রথম প্রথম ওর জন্য মন খারাপ হতো। ভাবতাম, কোথায় কী করছে কোলিয়া? এক সময় পড়াশোনার চাপে মন থেকে হারিয়ে গেল কোলিয়া।
বিশ্বখ্যাত ইংরেজি ভাষার অভিধান কেমব্রিজ ডিকশনারিতে এ বছর যুক্ত হয়েছে ৬ হাজারের বেশি নতুন শব্দ। যার বেশির ভাগই জেন-জি’দের। এসব শব্দের মধ্যে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যবহৃত স্ল্যাং বা অমার্জিত শব্দ যেমন ‘স্কিবিডি’, ‘ট্র্যাডওয়াইফ’, ‘ব্রোলিগার্কি’ এবং ‘ডেলুলু’ রয়েছে।
১৯ ঘণ্টা আগেগত বছরের ৫ আগস্টের পর দেশের রাজনীতির ময়দান বেশ টানটান। সংস্কার আর নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। নেই দম ফেলার দুদণ্ড ফুরসত। কোনো কোনো উপদেষ্টাকে ভোররাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও।
৪ দিন আগেযতীন স্যারকে নিয়ে কথা বলতে বসলে মনে হয়, কথাগুলো শুধু লেখা নয়—এ যেন হৃদয়ের ভেতরের কিছু টুকরো তুলে ধরা। দুপুরে হঠাৎ এক সুহৃদ ফোন করে বলল, ‘শুনেছ? যতীন স্যার নেই!’—মুহূর্তেই আমার বুক কেঁপে উঠল। মনে হলো, জীবনের এক অমূল্য আশ্রয় হঠাৎ হারিয়ে ফেলেছি।
৫ দিন আগেএকটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
৮ দিন আগে