সম্পাদকীয়
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সিংহভাগ মানুষই ছিল অবরুদ্ধ। উদ্বাস্তু হিসেবে প্রায় এক কোটি মানুষ গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে। যুবকেরা গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। শিল্পীরা গিয়েছিলেন সাংস্কৃতিকভাবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে, খেলোয়াড়েরা গিয়েছিলেন দেশের হয়ে ফুটবল খেলতে। কিন্তু সাড়ে ছয় কোটি মানুষ শত্রুর নৃশংসতার মধ্যেই কাটিয়েছে ৯ মাস।
এই সাড়ে ছয় কোটি মানুষের একজন ছিলেন শামসুর রাহমান। কবি মানুষ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন গ্রামে। সঙ্গে ছিল ডায়েরি, খাতা। মন যখন স্বাধীনতা আর কবিতায় মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত, তখন তিনি কবিতা লিখতেন। অবরুদ্ধ দেশে কবির কলমকে তো আর রুদ্ধ করা যায় না।
মার্চের উত্তাল দিনগুলোয় বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজের একজন প্রতিনিধি ছিলেন শামসুর রাহমান। অন্য সব মুক্তিকামী মানুষের মতো স্বাধিকার আন্দোলনই ছিল তাঁর চালিকাশক্তি। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু হলে তিনি চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলি গ্রামে। সেটাই তাঁর পৈতৃক বাড়ি। ‘স্বাধীনতা তুমি’ আর ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটির জন্মভূমি এই পাড়াতলি গ্রাম। ‘গেরিলা’, ‘কাক’সহ আরও যে কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, তাতে আছে অবরুদ্ধ দেশে বিচ্ছিন্ন ও একাকিত্বে থাকা মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
আমরা জানি, জারের রাশিয়ায় ডিসেম্বরিস্টদের হাতে হাতে ঘুরত আলেকজান্দর পুশকিনের কবিতা। জার বহু চেষ্টা করেও পুশকিনের বিদ্রোহী কবিতাগুলোর গলায় ফাঁস লাগাতে পারেনি। শামসুর রাহমানের কবিতাগুলোও কপি হয়ে হাতে হাতে পৌঁছে যেত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে। জুন মাসে তিনি ঢাকায় ফিরে এসে যোগ দেন পত্রিকার চাকরিতে। কিন্তু তাতে কবিতা লেখা থামেনি।
১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ভারতের কলকাতার সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় মজলুম আদিব (বিপন্ন কবি) ছদ্মনামে যাঁর কবিতাগুলো ছাপা হয়, তিনি আর কেউ নন, শামসুর রাহমান। আবু সয়ীদ আইয়ুব তাঁর ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন পরম মমতায়। মজলুম আদিব ছদ্মনামটিও তাঁরই দেওয়া।
সূত্র: বাংলাকবিতাডটকম
মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের সিংহভাগ মানুষই ছিল অবরুদ্ধ। উদ্বাস্তু হিসেবে প্রায় এক কোটি মানুষ গিয়েছিল সীমান্তের ওপারে। যুবকেরা গিয়েছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়ে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে। শিল্পীরা গিয়েছিলেন সাংস্কৃতিকভাবে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে, খেলোয়াড়েরা গিয়েছিলেন দেশের হয়ে ফুটবল খেলতে। কিন্তু সাড়ে ছয় কোটি মানুষ শত্রুর নৃশংসতার মধ্যেই কাটিয়েছে ৯ মাস।
এই সাড়ে ছয় কোটি মানুষের একজন ছিলেন শামসুর রাহমান। কবি মানুষ। যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর চলে গিয়েছিলেন গ্রামে। সঙ্গে ছিল ডায়েরি, খাতা। মন যখন স্বাধীনতা আর কবিতায় মিলেমিশে একাকার হয়ে যেত, তখন তিনি কবিতা লিখতেন। অবরুদ্ধ দেশে কবির কলমকে তো আর রুদ্ধ করা যায় না।
মার্চের উত্তাল দিনগুলোয় বিক্ষুব্ধ শিল্পীসমাজের একজন প্রতিনিধি ছিলেন শামসুর রাহমান। অন্য সব মুক্তিকামী মানুষের মতো স্বাধিকার আন্দোলনই ছিল তাঁর চালিকাশক্তি। ২৫ মার্চ অপারেশন সার্চলাইট শুরু হলে তিনি চলে যান নরসিংদীর পাড়াতলি গ্রামে। সেটাই তাঁর পৈতৃক বাড়ি। ‘স্বাধীনতা তুমি’ আর ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা’ কবিতা দুটির জন্মভূমি এই পাড়াতলি গ্রাম। ‘গেরিলা’, ‘কাক’সহ আরও যে কবিতাগুলো তিনি লিখেছেন, তাতে আছে অবরুদ্ধ দেশে বিচ্ছিন্ন ও একাকিত্বে থাকা মানুষের দীর্ঘশ্বাস।
আমরা জানি, জারের রাশিয়ায় ডিসেম্বরিস্টদের হাতে হাতে ঘুরত আলেকজান্দর পুশকিনের কবিতা। জার বহু চেষ্টা করেও পুশকিনের বিদ্রোহী কবিতাগুলোর গলায় ফাঁস লাগাতে পারেনি। শামসুর রাহমানের কবিতাগুলোও কপি হয়ে হাতে হাতে পৌঁছে যেত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে। জুন মাসে তিনি ঢাকায় ফিরে এসে যোগ দেন পত্রিকার চাকরিতে। কিন্তু তাতে কবিতা লেখা থামেনি।
১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর ভারতের কলকাতার সাপ্তাহিক দেশ পত্রিকায় মজলুম আদিব (বিপন্ন কবি) ছদ্মনামে যাঁর কবিতাগুলো ছাপা হয়, তিনি আর কেউ নন, শামসুর রাহমান। আবু সয়ীদ আইয়ুব তাঁর ভূমিকা লিখে দিয়েছিলেন পরম মমতায়। মজলুম আদিব ছদ্মনামটিও তাঁরই দেওয়া।
সূত্র: বাংলাকবিতাডটকম
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
১ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৫ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১২ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২২ দিন আগে