সম্পাদকীয়
কবি গিওম অ্যাপলিনের ছিলেন পাবলো পিকাসোর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯০৫ সালে। পিকাসো বন্ধুর বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছেন। দুজন মিলে একটি চিঠি পড়ছেন, এ রকম একটি ছবিও এঁকেছেন পিকাসো। এ ছবিটি তিনি এঁকেছিলেন অ্যাপলিনের মৃত্যু্র পর ১৯২১ সালে। অ্যাপলিনেরের মৃত্যু হয় ১৯১৮ সালে।
প্যারিসে এক হোটেলে উঠেছিলেন পিকাসো। সস্ত্রীক। পরদিন যখন আয়নার সামনে বসে দাড়ি-মোচ কামাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর কাছে সংবাদ এল, অ্যাপলিনের আর নেই। এ রকম একটি দুঃসংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না পিকাসো। তাঁর মনটা ভেঙে দুমড়েমুচড়ে গেল। নিজের কিউবিক ছবিতে যেরকমভাবে মানুষেরা প্রতিবিম্বিত হয়, সে রকম হয়ে গেল তাঁর মুখ।
তিনি আয়নায় নিজের মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। এটা কি সত্যিই তাঁর মুখ? নাকি আয়নায় অন্য আর কারও মুখ দেখছেন? দাড়ি কাটা চুলোয় উঠল। তক্ষুনি রেজার রেখে হাতে তুলে নিলেন কাগজ-পেনসিল। কিছুক্ষণ আগে যে অচেনা মুখটিকে তিনি দেখেছিলেন আয়নায়, সে মুখটি তিনি আঁকতে লাগলেন।
বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে, অথচ নির্বিকারভাবে তিনি ছবি আঁকছেন, সেটা যদি মনে হয়ে থাকে কারও, তাহলে কি দোষ দেওয়া যাবে? কিংবা যদি বলা হয় এটা হচ্ছে পিকাসোর নার্সিসিজমের একটা দৃষ্টান্ত, তাহলেও কি খুব একটা ভুল বলা হবে?
আবার এভাবেও তো দেখা যায় বিষয়টি। আয়নায় প্রতিফলিত ছিল যে অজানা মুখচ্ছবি, সেটি জানান দিচ্ছে অ্যাপলিনেরের মৃত্যুর পর পিকাসো নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন, তার বর্ণনা। এই মৃত্যুর পর জীবনটা আর আগের মতো নেই। সেই যে ছবিটি ভেসে উঠেছিল আয়নায়, সেটি আসলে বন্ধুকে হারিয়ে পিকাসোর যৌবন হারানোর দুঃসংবাদ। বন্ধু যেখানে নেই, সেখানে যৌবন নিয়েছে বিদায়। সেই ছবিটাই আঁকলেন তিনি।
সূত্র: পূর্ণেন্দু পত্রী, কবিতার ঘর ও বাহির, পৃষ্ঠা ৭৯
কবি গিওম অ্যাপলিনের ছিলেন পাবলো পিকাসোর খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তাঁদের প্রথম দেখা হয়েছিল ১৯০৫ সালে। পিকাসো বন্ধুর বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছেন। দুজন মিলে একটি চিঠি পড়ছেন, এ রকম একটি ছবিও এঁকেছেন পিকাসো। এ ছবিটি তিনি এঁকেছিলেন অ্যাপলিনের মৃত্যু্র পর ১৯২১ সালে। অ্যাপলিনেরের মৃত্যু হয় ১৯১৮ সালে।
প্যারিসে এক হোটেলে উঠেছিলেন পিকাসো। সস্ত্রীক। পরদিন যখন আয়নার সামনে বসে দাড়ি-মোচ কামাচ্ছিলেন, তখনই তাঁর কাছে সংবাদ এল, অ্যাপলিনের আর নেই। এ রকম একটি দুঃসংবাদের জন্য প্রস্তুত ছিলেন না পিকাসো। তাঁর মনটা ভেঙে দুমড়েমুচড়ে গেল। নিজের কিউবিক ছবিতে যেরকমভাবে মানুষেরা প্রতিবিম্বিত হয়, সে রকম হয়ে গেল তাঁর মুখ।
তিনি আয়নায় নিজের মুখের দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন। এটা কি সত্যিই তাঁর মুখ? নাকি আয়নায় অন্য আর কারও মুখ দেখছেন? দাড়ি কাটা চুলোয় উঠল। তক্ষুনি রেজার রেখে হাতে তুলে নিলেন কাগজ-পেনসিল। কিছুক্ষণ আগে যে অচেনা মুখটিকে তিনি দেখেছিলেন আয়নায়, সে মুখটি তিনি আঁকতে লাগলেন।
বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে, অথচ নির্বিকারভাবে তিনি ছবি আঁকছেন, সেটা যদি মনে হয়ে থাকে কারও, তাহলে কি দোষ দেওয়া যাবে? কিংবা যদি বলা হয় এটা হচ্ছে পিকাসোর নার্সিসিজমের একটা দৃষ্টান্ত, তাহলেও কি খুব একটা ভুল বলা হবে?
আবার এভাবেও তো দেখা যায় বিষয়টি। আয়নায় প্রতিফলিত ছিল যে অজানা মুখচ্ছবি, সেটি জানান দিচ্ছে অ্যাপলিনেরের মৃত্যুর পর পিকাসো নিজেকে নিয়ে কী ভাবছেন, তার বর্ণনা। এই মৃত্যুর পর জীবনটা আর আগের মতো নেই। সেই যে ছবিটি ভেসে উঠেছিল আয়নায়, সেটি আসলে বন্ধুকে হারিয়ে পিকাসোর যৌবন হারানোর দুঃসংবাদ। বন্ধু যেখানে নেই, সেখানে যৌবন নিয়েছে বিদায়। সেই ছবিটাই আঁকলেন তিনি।
সূত্র: পূর্ণেন্দু পত্রী, কবিতার ঘর ও বাহির, পৃষ্ঠা ৭৯
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
২১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগে