অনলাইন ডেস্ক
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল পার্টিতে, তখন ক্লাইভ ক্যাম্পবেল বা ‘ডিজে কুল হার্ক’ তাঁদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক নতুন সুর, এক নতুন ছন্দ, যা পরবর্তীকালে হিপ হপ নামে পরিচিতি পায়।
জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ডিজে কুল হার্ক ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বড় হন। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে ব্রঙ্কসে কিশোর বয়সে তিনি তাঁর বাবার ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন পার্টিতে রেকর্ড বাজানো শুরু করেন। তিনি প্রায়ই জ্যামাইকার ‘সিলেক্টর’দের (ডিজে) অনুকরণে ‘টোস্টিং’ (অর্থাৎ, গান বাজানোর সময় কথা বলা) করতেন, তবে তাঁর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু র্যাপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হিপ হপে তাঁর অবদান ছিল আরও মৌলিক।
ডিজে কুল হার্কের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটি আসে যখন তিনি খেয়াল করেন যে দর্শকেরা নাচের জন্য গানের নির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যে মানুষ গানের নির্দিষ্ট অংশের জন্য অপেক্ষা করত, হয়তো তাদের বিশেষ কোনো নাচের কৌশল দেখানোর জন্য।’ এই অংশগুলো সাধারণত ড্রাম ব্রেকের সময় আসত। অর্থাৎ, যখন গানের কণ্ঠ এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত এবং শুধু রিদম বাজত। ডিজে কুল হার্ক তখন দুটি টার্নটেবল ব্যবহার করে একটি রেকর্ড থেকে অন্য রেকর্ডে যাওয়ার বদলে, একই রেকর্ডের দুটি কপি বারবার বাজিয়ে ড্রাম ব্রেকের মুহূর্তটিকে দীর্ঘ করে তোলেন, যা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত। তিনি তার এই কৌশলটির নাম দেন ‘মেরি-গো-রাউন্ড’। বর্তমানে এটি ‘ব্রেক বিট’ নামে পরিচিত।
১৯৭৩ সালে এক বছর ধরে বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে কুল হার্ক তার এই ‘ব্রেক-বিট’ কৌশলটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট তাঁর বোনের পার্টিতে তিনি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের সামনে এটি পারফর্ম করেন। সেই পার্টির অভূতপূর্ব সাফল্য থেকেই এই সংগীত বিপ্লবের সূচনা হয়, যা ‘হিপ হপ’ নামটি জনপ্রিয় হওয়ার প্রায় ছয় বছর আগেই একটি নতুন সাংস্কৃতিক ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল পার্টিতে, তখন ক্লাইভ ক্যাম্পবেল বা ‘ডিজে কুল হার্ক’ তাঁদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক নতুন সুর, এক নতুন ছন্দ, যা পরবর্তীকালে হিপ হপ নামে পরিচিতি পায়।
জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ডিজে কুল হার্ক ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বড় হন। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে ব্রঙ্কসে কিশোর বয়সে তিনি তাঁর বাবার ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন পার্টিতে রেকর্ড বাজানো শুরু করেন। তিনি প্রায়ই জ্যামাইকার ‘সিলেক্টর’দের (ডিজে) অনুকরণে ‘টোস্টিং’ (অর্থাৎ, গান বাজানোর সময় কথা বলা) করতেন, তবে তাঁর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু র্যাপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হিপ হপে তাঁর অবদান ছিল আরও মৌলিক।
ডিজে কুল হার্কের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটি আসে যখন তিনি খেয়াল করেন যে দর্শকেরা নাচের জন্য গানের নির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যে মানুষ গানের নির্দিষ্ট অংশের জন্য অপেক্ষা করত, হয়তো তাদের বিশেষ কোনো নাচের কৌশল দেখানোর জন্য।’ এই অংশগুলো সাধারণত ড্রাম ব্রেকের সময় আসত। অর্থাৎ, যখন গানের কণ্ঠ এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত এবং শুধু রিদম বাজত। ডিজে কুল হার্ক তখন দুটি টার্নটেবল ব্যবহার করে একটি রেকর্ড থেকে অন্য রেকর্ডে যাওয়ার বদলে, একই রেকর্ডের দুটি কপি বারবার বাজিয়ে ড্রাম ব্রেকের মুহূর্তটিকে দীর্ঘ করে তোলেন, যা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত। তিনি তার এই কৌশলটির নাম দেন ‘মেরি-গো-রাউন্ড’। বর্তমানে এটি ‘ব্রেক বিট’ নামে পরিচিত।
১৯৭৩ সালে এক বছর ধরে বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে কুল হার্ক তার এই ‘ব্রেক-বিট’ কৌশলটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট তাঁর বোনের পার্টিতে তিনি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের সামনে এটি পারফর্ম করেন। সেই পার্টির অভূতপূর্ব সাফল্য থেকেই এই সংগীত বিপ্লবের সূচনা হয়, যা ‘হিপ হপ’ নামটি জনপ্রিয় হওয়ার প্রায় ছয় বছর আগেই একটি নতুন সাংস্কৃতিক ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানে অবস্থিত মেট্রোপলিটন মিউজিয়াম অব আর্টকে বলা হয় দেশটির বৃহত্তম শিল্প জাদুঘর। আর বিশ্বে তৃতীয় বৃহত্তম। সংক্ষেপে জাদুঘরটি ‘দ্য মেট’ নামেও পরিচিত। ১৫৫ বছর পুরোনো এই জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৭০ সালে।
৫ দিন আগেবাংলা বর্ষার দ্বিতীয় মাস শ্রাবণ। বাতাসে আর্দ্রতা, আকাশে ঘনঘোর মেঘ, আর রিমঝিম শব্দে প্রকৃতির নীরব সংগীত। এই শ্রাবণেই, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দের ২২ তারিখ, আমাদের ছেড়ে গিয়েছিলেন বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবি, বিশ্বকবি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। সেই থেকে ২২ শ্রাবণ বাঙালির জন্য শুধু এক প্রাকৃতিক ঋতুর উপলব্ধি নয়—এ এক স্মরণ,
৬ দিন আগেযুক্তরাজ্যের লন্ডনে অবস্থিত ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়ামটি বিশ্বের অন্যতম প্রাকৃতিক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৮৮১ সালে। ১৭৫৩ সালের দিকে বিজ্ঞানী স্যার হ্যান্স স্লোয়েনের সংগ্রহ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় ব্রিটিশ মিউজিয়ামের। ন্যাচারাল হিস্ট্রি মিউজিয়াম ছিল ব্রিটিশ মিউজিয়ামেরই অংশ।
৬ দিন আগেইতিহাসের অন্যতম দীর্ঘ ও নির্মম সংঘাত ছিল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। এই যুদ্ধের প্রতিটি দিন ভয়, মৃত্যু এবং সাহসিকতার এক করুণ প্রতিচ্ছবি। ঠিক এই কঠিন বাস্তবতার মাঝে ভিয়তনামের যুদ্ধের ছবি তুলতে লাগল কিশোর ফটোসাংবাদিক লু মান হং ওরফে জিমি।
৮ দিন আগে