আজকের পত্রিকা ডেস্ক

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল পার্টিতে, তখন ক্লাইভ ক্যাম্পবেল বা ‘ডিজে কুল হার্ক’ তাঁদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক নতুন সুর, এক নতুন ছন্দ, যা পরবর্তীকালে হিপ হপ নামে পরিচিতি পায়।
জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ডিজে কুল হার্ক ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বড় হন। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে ব্রঙ্কসে কিশোর বয়সে তিনি তাঁর বাবার ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন পার্টিতে রেকর্ড বাজানো শুরু করেন। তিনি প্রায়ই জ্যামাইকার ‘সিলেক্টর’দের (ডিজে) অনুকরণে ‘টোস্টিং’ (অর্থাৎ, গান বাজানোর সময় কথা বলা) করতেন, তবে তাঁর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু র্যাপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হিপ হপে তাঁর অবদান ছিল আরও মৌলিক।
ডিজে কুল হার্কের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটি আসে যখন তিনি খেয়াল করেন যে দর্শকেরা নাচের জন্য গানের নির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যে মানুষ গানের নির্দিষ্ট অংশের জন্য অপেক্ষা করত, হয়তো তাদের বিশেষ কোনো নাচের কৌশল দেখানোর জন্য।’ এই অংশগুলো সাধারণত ড্রাম ব্রেকের সময় আসত। অর্থাৎ, যখন গানের কণ্ঠ এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত এবং শুধু রিদম বাজত। ডিজে কুল হার্ক তখন দুটি টার্নটেবল ব্যবহার করে একটি রেকর্ড থেকে অন্য রেকর্ডে যাওয়ার বদলে, একই রেকর্ডের দুটি কপি বারবার বাজিয়ে ড্রাম ব্রেকের মুহূর্তটিকে দীর্ঘ করে তোলেন, যা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত। তিনি তার এই কৌশলটির নাম দেন ‘মেরি-গো-রাউন্ড’। বর্তমানে এটি ‘ব্রেক বিট’ নামে পরিচিত।
১৯৭৩ সালে এক বছর ধরে বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে কুল হার্ক তার এই ‘ব্রেক-বিট’ কৌশলটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট তাঁর বোনের পার্টিতে তিনি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের সামনে এটি পারফর্ম করেন। সেই পার্টির অভূতপূর্ব সাফল্য থেকেই এই সংগীত বিপ্লবের সূচনা হয়, যা ‘হিপ হপ’ নামটি জনপ্রিয় হওয়ার প্রায় ছয় বছর আগেই একটি নতুন সাংস্কৃতিক ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল পার্টিতে, তখন ক্লাইভ ক্যাম্পবেল বা ‘ডিজে কুল হার্ক’ তাঁদের সামনে উপস্থাপন করলেন এক নতুন সুর, এক নতুন ছন্দ, যা পরবর্তীকালে হিপ হপ নামে পরিচিতি পায়।
জামাইকার কিংস্টনে জন্মগ্রহণকারী ডিজে কুল হার্ক ১০ বছর বয়স পর্যন্ত সেখানেই বড় হন। ১৯৭০-এর দশকের শুরুতে ব্রঙ্কসে কিশোর বয়সে তিনি তাঁর বাবার ব্যান্ডের পরিবেশনার ফাঁকে ফাঁকে বিভিন্ন পার্টিতে রেকর্ড বাজানো শুরু করেন। তিনি প্রায়ই জ্যামাইকার ‘সিলেক্টর’দের (ডিজে) অনুকরণে ‘টোস্টিং’ (অর্থাৎ, গান বাজানোর সময় কথা বলা) করতেন, তবে তাঁর ঐতিহাসিক গুরুত্ব শুধু র্যাপিংয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। হিপ হপে তাঁর অবদান ছিল আরও মৌলিক।
ডিজে কুল হার্কের সবচেয়ে বড় উদ্ভাবনটি আসে যখন তিনি খেয়াল করেন যে দর্শকেরা নাচের জন্য গানের নির্দিষ্ট কিছু অংশের জন্য অপেক্ষা করে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখছিলাম যে মানুষ গানের নির্দিষ্ট অংশের জন্য অপেক্ষা করত, হয়তো তাদের বিশেষ কোনো নাচের কৌশল দেখানোর জন্য।’ এই অংশগুলো সাধারণত ড্রাম ব্রেকের সময় আসত। অর্থাৎ, যখন গানের কণ্ঠ এবং অন্যান্য বাদ্যযন্ত্র কয়েক মুহূর্তের জন্য থেমে যেত এবং শুধু রিদম বাজত। ডিজে কুল হার্ক তখন দুটি টার্নটেবল ব্যবহার করে একটি রেকর্ড থেকে অন্য রেকর্ডে যাওয়ার বদলে, একই রেকর্ডের দুটি কপি বারবার বাজিয়ে ড্রাম ব্রেকের মুহূর্তটিকে দীর্ঘ করে তোলেন, যা শ্রোতারা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করত। তিনি তার এই কৌশলটির নাম দেন ‘মেরি-গো-রাউন্ড’। বর্তমানে এটি ‘ব্রেক বিট’ নামে পরিচিত।
১৯৭৩ সালে এক বছর ধরে বিভিন্ন পার্টিতে ডিজে কুল হার্ক তার এই ‘ব্রেক-বিট’ কৌশলটি ব্যবহার করে আসছিলেন। কিন্তু ১১ আগস্ট তাঁর বোনের পার্টিতে তিনি সবচেয়ে বেশিসংখ্যক মানুষের সামনে এটি পারফর্ম করেন। সেই পার্টির অভূতপূর্ব সাফল্য থেকেই এই সংগীত বিপ্লবের সূচনা হয়, যা ‘হিপ হপ’ নামটি জনপ্রিয় হওয়ার প্রায় ছয় বছর আগেই একটি নতুন সাংস্কৃতিক ধারা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল।

৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
১ দিন আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
৩ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে। কিন্তু অল্প কদিনেই হাঁপিয়ে উঠে আবারও কাজে ফিরতে চাইছেন তিনি। কোটিপতি হয়েও অবসর তাঁকে সুখ দিতে পারছিল না বলে জানান গ্রোগান।
ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় চিকেন উইংস বিক্রেতা ব্র্যান্ড উইংসটপ ইউকের মালিক টম গ্রোগান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। যার মূল্য ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ পাউন্ড মজুরিতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রোগান। এরপর একসময় নিজের ব্যবসা শুরুর চিন্তা করেন তিনি। টেক্সাসে একটি ‘কোল্ড ই-মেইল’ পাঠানোর মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন টম গ্রোগান। এরপর টানা ৫০ টির বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৫৭টি রেস্টুরেন্ট চালু করতে সক্ষম হন এই উদ্যোক্তা। এই সফল যাত্রার পর একসময় তাঁর মনে হলো, নিজেকে সময় দেওয়া যাক।
ব্যবসা বিক্রির পর জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখে তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। অবসরজীবনের ফাঁকা সময় এখন তার কাছে এক নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টম গ্রোগান বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার পুরো মন-মস্তিষ্ক শুধু একটা জিনিসেই ব্যস্ত ছিল। এই ব্যবসাকে সফল করা। প্রতিদিন সেই ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকত। তারপর যখন লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেল, এ যেন অবিশ্বাস্য। মনে হচ্ছিল, আচ্ছা এখন কাজ শেষ। কিন্তু এবার কী? আর টাকাও সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না।’
এখন আবার কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন গ্রোগান। তবে কী নিয়ে কাজ করবেন এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। শুধু বলেন, ‘সম্ভবত এটা খাবার বা পানীয় শিল্পে হবে না।’
গ্রোগান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ভাবনাটা পুরো বদলাতে হবে। আমরা এখন আর ব্যবসা গড়ে তুলছি না। এখন আমরা অর্থ পরিচালনা করছি। আর এই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দক্ষতা। তাই আমাদের শিখতে হচ্ছে বিনিয়োগের জগৎ। আর্থিক উপকরণ, শেয়ার, বন্ড এসব নতুন আমাদের কাছে। তবে আমরা কৌশলগতভাবে সতর্ক থেকে এগোচ্ছি।’
অগাধ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিলাসিতায় মেতে উঠছেন না টম গ্রোগান। এখনো ভাড়া বাসাতেই থাকছেন। সহপ্রতিষ্ঠাতা হারম্যান সাহোতা ও সল লিউইনের সঙ্গে বসে ভাবছেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমি সারাজীবন সাগরপাড়ে বসে কাটাতে পারি না। আমাদের মনের ব্যস্ততা দরকার, নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার একটা উদ্দেশ্য দরকার, যেটা এখন আমাদের নেই।’
তবে গ্রোগানের মতো এমন শূন্যতা অনুভব এবং কাজের জন্য ক্ষুধার উদ্রেক অনেক সফল উদ্যোক্তার মধ্যেই দেখা গেছে। এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান চেস্কিও তেমন এক উদাহরণ। কোম্পানির আইপিওর পর বিলিয়নিয়ার বনে গেলেও তিনিও একই রকম হতাশা অনুভব করেছিলেন।
চেস্কি ভেবেছিলেন সাফল্য তাঁকে ভালোবাসা দেবে, জীবনের সব কিছু ঠিক করে দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি নিজের সেই মুহূর্তকে বর্ণনা করেছেন জীবনের ‘সবচেয়ে দুঃখের সময়গুলোর একটি’ হিসেবে।
চেস্কি বলেন, ‘পাহাড়ের নিচে থাকলে তোমার মনে আশা থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, যখন তুমি চূড়ায় পৌঁছাও তখন দেখো, তুমি একা। চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
এমন অভিজ্ঞতার কথা আগেও বলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ শঙ্কর। ৫০ কোটি ডলারে ব্যবসা বিক্রি করার পর মানসিক দিক থেকে কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, সেটি জানিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেন, কোম্পানি বিক্রির পর জীবনের পরিবর্তনটা ছিল কঠিন। ১৫ বছর টানা কাজের মধ্যে থাকার পর হঠাৎ নিয়মিত রুটিন হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরিবারের সবাই ভেবেছিল, এত টাকা পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও সুখের হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
তিনি মজা করে বলেন, ‘প্লে স্টেশন খেলা বা গলফ খেলারও একটা সীমা আছে।’ ভেতরে ভেতরে তিনি অনুভব করছিলেন এক গভীর শূন্যতা। উদ্যোক্তা জীবনের ছন্দ থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেই মানসিক শূন্যতা সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে।
বাইরের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সাফল্য পেলেও জীবনের উদ্দেশ্য ও মানে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে। কিন্তু অল্প কদিনেই হাঁপিয়ে উঠে আবারও কাজে ফিরতে চাইছেন তিনি। কোটিপতি হয়েও অবসর তাঁকে সুখ দিতে পারছিল না বলে জানান গ্রোগান।
ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় চিকেন উইংস বিক্রেতা ব্র্যান্ড উইংসটপ ইউকের মালিক টম গ্রোগান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। যার মূল্য ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ পাউন্ড মজুরিতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রোগান। এরপর একসময় নিজের ব্যবসা শুরুর চিন্তা করেন তিনি। টেক্সাসে একটি ‘কোল্ড ই-মেইল’ পাঠানোর মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন টম গ্রোগান। এরপর টানা ৫০ টির বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৫৭টি রেস্টুরেন্ট চালু করতে সক্ষম হন এই উদ্যোক্তা। এই সফল যাত্রার পর একসময় তাঁর মনে হলো, নিজেকে সময় দেওয়া যাক।
ব্যবসা বিক্রির পর জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখে তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। অবসরজীবনের ফাঁকা সময় এখন তার কাছে এক নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টম গ্রোগান বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার পুরো মন-মস্তিষ্ক শুধু একটা জিনিসেই ব্যস্ত ছিল। এই ব্যবসাকে সফল করা। প্রতিদিন সেই ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকত। তারপর যখন লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেল, এ যেন অবিশ্বাস্য। মনে হচ্ছিল, আচ্ছা এখন কাজ শেষ। কিন্তু এবার কী? আর টাকাও সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না।’
এখন আবার কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন গ্রোগান। তবে কী নিয়ে কাজ করবেন এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। শুধু বলেন, ‘সম্ভবত এটা খাবার বা পানীয় শিল্পে হবে না।’
গ্রোগান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ভাবনাটা পুরো বদলাতে হবে। আমরা এখন আর ব্যবসা গড়ে তুলছি না। এখন আমরা অর্থ পরিচালনা করছি। আর এই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দক্ষতা। তাই আমাদের শিখতে হচ্ছে বিনিয়োগের জগৎ। আর্থিক উপকরণ, শেয়ার, বন্ড এসব নতুন আমাদের কাছে। তবে আমরা কৌশলগতভাবে সতর্ক থেকে এগোচ্ছি।’
অগাধ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিলাসিতায় মেতে উঠছেন না টম গ্রোগান। এখনো ভাড়া বাসাতেই থাকছেন। সহপ্রতিষ্ঠাতা হারম্যান সাহোতা ও সল লিউইনের সঙ্গে বসে ভাবছেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমি সারাজীবন সাগরপাড়ে বসে কাটাতে পারি না। আমাদের মনের ব্যস্ততা দরকার, নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার একটা উদ্দেশ্য দরকার, যেটা এখন আমাদের নেই।’
তবে গ্রোগানের মতো এমন শূন্যতা অনুভব এবং কাজের জন্য ক্ষুধার উদ্রেক অনেক সফল উদ্যোক্তার মধ্যেই দেখা গেছে। এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান চেস্কিও তেমন এক উদাহরণ। কোম্পানির আইপিওর পর বিলিয়নিয়ার বনে গেলেও তিনিও একই রকম হতাশা অনুভব করেছিলেন।
চেস্কি ভেবেছিলেন সাফল্য তাঁকে ভালোবাসা দেবে, জীবনের সব কিছু ঠিক করে দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি নিজের সেই মুহূর্তকে বর্ণনা করেছেন জীবনের ‘সবচেয়ে দুঃখের সময়গুলোর একটি’ হিসেবে।
চেস্কি বলেন, ‘পাহাড়ের নিচে থাকলে তোমার মনে আশা থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, যখন তুমি চূড়ায় পৌঁছাও তখন দেখো, তুমি একা। চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
এমন অভিজ্ঞতার কথা আগেও বলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ শঙ্কর। ৫০ কোটি ডলারে ব্যবসা বিক্রি করার পর মানসিক দিক থেকে কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, সেটি জানিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেন, কোম্পানি বিক্রির পর জীবনের পরিবর্তনটা ছিল কঠিন। ১৫ বছর টানা কাজের মধ্যে থাকার পর হঠাৎ নিয়মিত রুটিন হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরিবারের সবাই ভেবেছিল, এত টাকা পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও সুখের হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
তিনি মজা করে বলেন, ‘প্লে স্টেশন খেলা বা গলফ খেলারও একটা সীমা আছে।’ ভেতরে ভেতরে তিনি অনুভব করছিলেন এক গভীর শূন্যতা। উদ্যোক্তা জীবনের ছন্দ থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেই মানসিক শূন্যতা সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে।
বাইরের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সাফল্য পেলেও জীবনের উদ্দেশ্য ও মানে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
১ দিন আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
৩ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
ঘড়িটির দাম উঠেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, যা প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। ২০১৬ সালে একই ঘড়ি বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ দামে, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
ঘড়িটি হলো পাটেক ফিলিপ পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮ মডেল। স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির একটি এটি। স্বর্ণের ঘড়ির তুলনায় এমন স্টিলের ঘড়ি বিরল হওয়ায় এটি সংগ্রাহকদের কাছে আরও মূল্যবান।
২০১৬ সালে রিস্টওয়াচ হিসেবে ঘড়িটি বিশ্বে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। তবে ২০১৭ সালে হলিউড তারকা পল নিউম্যানের মালিকানাধীন রোলেক্স ডেটোনা ঘড়ি ১ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় আরেকটি পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়ি, যা বিক্রি হয়েছিল ৩১ মিলিয়ন ডলারে।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস বলেছে, স্টেইনলেস স্টিলের ১৫১৮ মডেল আবারও প্রমাণ করল, এটি ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়িগুলোর একটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘড়িটি বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মিনিটের একটু বেশি। এতে পাঁচজন ক্রেতা দরপত্রে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত টেলিফোনে যুক্ত এক ক্রেতার কাছে ঘড়িটি বিক্রি হয়।
জেনেভার হোটেল প্রেসিডেন্টে অনুষ্ঠিত নিলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ঘড়িনির্মাতা।
ফিলিপস জানায়, ১৫১৮ এমন একটি ঘড়ি, যা সংগ্রহ করতে পারলে একজন সংগ্রাহক মনে করতে পারেন, তিনি ঘড়ি সংগ্রহের জগতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন।
১৯৪১ সালে বাজারে আসা এই মডেল ছিল বিশ্বের প্রথম ধারাবাহিকভাবে উৎপাদিত পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ।
পাটেক ফিলিপ প্রায় ২৮০টি ১৫১৮ মডেলের ঘড়ি উৎপাদন করেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ হলুদ স্বর্ণে এবং প্রায় এক পঞ্চম অংশ গোল্ডের রঙের (রোজ গোল্ড)।
স্টেইনলেস স্টিলে বানানো মাত্র চারটি ঘড়ির কথা জানা যায়। সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ঘড়িটি সেই চারটির মধ্যে প্রথম উৎপাদিত। কেন পাটেক ফিলিপ এই ঘড়িগুলো তৈরি করেছিল, তা আজও রহস্য।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস এটিকে আখ্যায়িত করেছে, ‘এটি প্রায় পৌরাণিক মর্যাদার একটি সময়যন্ত্র। এটি ইতিহাসের গুরুত্ব, নকশার শ্রেষ্ঠত্ব, যান্ত্রিক উদ্ভাবন এবং বিরলতার চূড়ান্ত সমন্বয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
দুই দিনের নিলামে মোট ২০৭টি লট বিক্রি হয়, যা ৬৬.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অতিক্রম করে। ফিলিপস জানায়, এটি কোনো ঘড়ি নিলামের জন্য সর্বোচ্চ মোট বিক্রির রেকর্ড।
৭২টি দেশে নিবন্ধিত ১ হাজার ৮৮৬ জন ক্রেতা নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।

১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
ঘড়িটির দাম উঠেছে ১ কোটি ৪১ লাখ ৯০ হাজার সুইস ফ্রাঁ, যা প্রায় ১ কোটি ৭৬ লাখ মার্কিন ডলারের সমান। ২০১৬ সালে একই ঘড়ি বিক্রি হয়েছিল ১ কোটি ১০ লাখ সুইস ফ্রাঁ দামে, অর্থাৎ প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ ডলারে।
ঘড়িটি হলো পাটেক ফিলিপ পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ রেফারেন্স ১৫১৮ মডেল। স্টেইনলেস স্টিলে তৈরি মাত্র চারটি ঘড়ির একটি এটি। স্বর্ণের ঘড়ির তুলনায় এমন স্টিলের ঘড়ি বিরল হওয়ায় এটি সংগ্রাহকদের কাছে আরও মূল্যবান।
২০১৬ সালে রিস্টওয়াচ হিসেবে ঘড়িটি বিশ্বে সর্বোচ্চ দামে বিক্রির রেকর্ড গড়েছিল। তবে ২০১৭ সালে হলিউড তারকা পল নিউম্যানের মালিকানাধীন রোলেক্স ডেটোনা ঘড়ি ১ কোটি ৭৮ লাখ ডলারে বিক্রি হয়ে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয়।
২০১৯ সালে সেই রেকর্ড ভেঙে দেয় আরেকটি পাটেক ফিলিপ গ্র্যান্ডমাস্টার চাইম ঘড়ি, যা বিক্রি হয়েছিল ৩১ মিলিয়ন ডলারে।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস বলেছে, স্টেইনলেস স্টিলের ১৫১৮ মডেল আবারও প্রমাণ করল, এটি ঐতিহাসিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতঘড়িগুলোর একটি।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ঘড়িটি বিক্রি হতে সময় লেগেছে মাত্র ৯ মিনিটের একটু বেশি। এতে পাঁচজন ক্রেতা দরপত্রে অংশ নেন। শেষ পর্যন্ত টেলিফোনে যুক্ত এক ক্রেতার কাছে ঘড়িটি বিক্রি হয়।
জেনেভার হোটেল প্রেসিডেন্টে অনুষ্ঠিত নিলাম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বেশ কয়েকজন খ্যাতনামা সংগ্রাহক, ব্যবসায়ী ও ঘড়িনির্মাতা।
ফিলিপস জানায়, ১৫১৮ এমন একটি ঘড়ি, যা সংগ্রহ করতে পারলে একজন সংগ্রাহক মনে করতে পারেন, তিনি ঘড়ি সংগ্রহের জগতে সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে গেছেন।
১৯৪১ সালে বাজারে আসা এই মডেল ছিল বিশ্বের প্রথম ধারাবাহিকভাবে উৎপাদিত পারপেচুয়াল ক্যালেন্ডার ক্রোনোগ্রাফ।
পাটেক ফিলিপ প্রায় ২৮০টি ১৫১৮ মডেলের ঘড়ি উৎপাদন করেছিল। এর মধ্যে বেশিরভাগ হলুদ স্বর্ণে এবং প্রায় এক পঞ্চম অংশ গোল্ডের রঙের (রোজ গোল্ড)।
স্টেইনলেস স্টিলে বানানো মাত্র চারটি ঘড়ির কথা জানা যায়। সম্প্রতি বিক্রি হওয়া ঘড়িটি সেই চারটির মধ্যে প্রথম উৎপাদিত। কেন পাটেক ফিলিপ এই ঘড়িগুলো তৈরি করেছিল, তা আজও রহস্য।
নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস এটিকে আখ্যায়িত করেছে, ‘এটি প্রায় পৌরাণিক মর্যাদার একটি সময়যন্ত্র। এটি ইতিহাসের গুরুত্ব, নকশার শ্রেষ্ঠত্ব, যান্ত্রিক উদ্ভাবন এবং বিরলতার চূড়ান্ত সমন্বয় হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
দুই দিনের নিলামে মোট ২০৭টি লট বিক্রি হয়, যা ৬৬.৮ মিলিয়ন সুইস ফ্রাঁ অতিক্রম করে। ফিলিপস জানায়, এটি কোনো ঘড়ি নিলামের জন্য সর্বোচ্চ মোট বিক্রির রেকর্ড।
৭২টি দেশে নিবন্ধিত ১ হাজার ৮৮৬ জন ক্রেতা নিলামে অংশ নিয়েছিলেন।

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৭ ঘণ্টা আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
৩ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইলন মাস্ক। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে যার নাম আসে খবরের পাতায়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনীদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেন এই মার্কিন উদ্যোক্তা। আর ধনীদের তালিকায় তো এসেছেন বহুকাল আগে। সম্প্রতি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন প্রথম ৫০০ বিলিয়ন ডলারের (অর্ধ ট্রিলিয়ন) মালিক হিসেবে।
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬১ লাখ টাকা)।
ইলন মাস্কের সাদামাটা জীবন নিয়ে তাঁর সাবেক সঙ্গীদের আলাপেও উঠে এসেছে।
ইলন মাস্কের তিন সন্তানের জননী সাবেক সঙ্গী কানাডিয়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রাইমস ২০২২ সালে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, অনেকে যেমনটা মনে করেন আসলে তা নয়। মাস্ক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। তিনি তেমন বেশি বিলাসিতার মধ্যে থাকেন না।

গ্রাইমস আরও বলেন, ‘তিনি মোটেও বিলিয়নিয়ারদের মতো থাকেন না। কখনো কখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। একবার তো এমনও হয়েছিল, বিছানায় তাঁর (গ্রাইমসের) পাশটায় ম্যাট্রেসে গর্ত হয়ে যাওয়ার পরও মাস্ক নতুন একটা কিনতে রাজি হননি।’
জীবনযাপন সাধারণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে মাস্কের খরচের খাতা বেশ ভারি।
মাস্কের গাড়ির প্রতি আকর্ষণ চোখে পড়ার মতো। তাঁর কাছে এমন গাড়িও আছে, যা সাবমেরিনে রূপ নিতে পারে। এছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জেটবিমানগুলোর মূল্যও কয়েক কোটি ডলার।
এরপর তো ২০২২ সালে পুরো প্রযুক্তি মাধ্যম কাঁপিয়ে দিয়ে সেই ‘ছোট্ট খরচা’ করলেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে ফেললেন টুইটার। তারপর এর নাম দিলেন ‘এক্স’। এই কেনাকাটা ‘মন চাইল, কিনলাম’ টাইপই ছিল তাঁর কাছে।
১০ কোটি ডলারে ৭ বছরে ৭টি বাড়ি
ইলন মাস্কের এক বিশাল রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত এলাকা বেল-এয়ারে সাতটি বাড়ি কিনেছিলেন মাস্ক।
এগুলোতে ছিল টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল, ওয়াইন সেলার, ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এমনকি বল রুমও ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ‘উইলি ওয়ঙ্কা’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের র্যাঞ্চ হাউস।

তবে ২০২০ সালে এসে এই বিলাসবহুল বাড়ি কেনার ঝোঁক পাল্টে যায় মাস্কের। তিনি এক টুইটে জানান, প্রায় সব ভৌত সম্পদ বিক্রি করে দেবেন তিনি। আর কোনো বাড়ির মালিক থাকবেন না।
তিনি লেখেন, ‘আমার টাকার দরকার নেই। আমি নিজেকে মঙ্গল গ্রহ ও পৃথিবীর কাজে উৎসর্গ করছি। সম্পত্তি মানুষকে ভারী করে ফেলে।’
তবে তিনি একটি শর্তও দেন, অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের বাড়িটি যেন ‘ধ্বংস না করা হয়’ এবং এর কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
ওয়াইল্ডারের ভাতিজা জর্ডান ওয়াকার-পার্লম্যানের কাছে তিন বেডরুমের ওই বাড়িটি বিক্রি করে দেন মাস্ক। বাড়িটি কেনার জন্য মাস্ক নিজেই ওয়াইল্ডারের ভাতিজাকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ঋণ দেন। কিন্তু ওয়াকার-পার্লম্যান সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বলে ২০২৫ সালের জুনে বাড়িটির মালিকানা ফেরত নেন তিনি।

২০২১ সালে মাস্ক টুইট করে জানান, এখন থেকে তাঁর ‘প্রধান বাসস্থান’ টেক্সাসের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এক সাধারণ প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি, যার দাম প্রায় ৫০ হাজার ডলার। তাঁর মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স ওখান থেকেই পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্টারবেস’ নামে পরিচিত।
মাস্ক বলেন, ‘এটা আসলেই দারুণ।’
এর পরের বছর মাস্ক আবার জানান, তাঁর নিজের নামে কোনো বাড়িই নেই। একে নিজের কম ভোগবাদী জীবনযাপনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। যদিও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিপুল।
তিনি মার্কিন-কানাডিয়ান অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা টেড-এর প্রধান ক্রিস অ্যান্ডারসনকে বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেই বেশি থাকি। যখন বে এরিয়ায় যাই, যেখানে টেসলার বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হয়, তখন বন্ধুদের বাড়ির ফাঁকা ঘরগুলোতে পালা করে থাকি।’

এই কথা আসলেই সত্যি। ২০১৫ সালে গুগলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ লেখক অ্যাশলি ভ্যান্সকে বলেছিলেন, মাস্ককে ‘একরকম গৃহহীন’-ই বলা যায়।
ল্যারি পেজ আরও বলেন, “সে ই-মেইল করে বলে, ‘আজ রাতে কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। তোমার বাড়িতে আসতে পারি?’ ”
বছরের পর বছর ধরে জল্পনা চলছে, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্পত্তি কিনছেন কিনা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সাসের ওই বাড়িটিই এখনো তাঁর একমাত্র বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
মাস্কের সংগ্রহ যেন ঐতিহাসিক গাড়ির মেলা
ইলন মাস্ক বাড়ির পেছনে খরচ না করলেও গাড়ির ক্ষেত্রে বেশ উদার। টেসলার মালিক হিসেবে তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমধর্মী গাড়ির সংগ্রহ থাকা আশ্চর্যের কিছু নয়! তবে তাঁর কিছু গাড়ি একেবারেই সবার থেকে আলাদা।
মাস্কের সংগ্রহে ছিল ২০শ শতাব্দীর প্রথম সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি হিসেবে পরিচিত ফোর্ড মডেল ‘টি’। গাড়ি শিল্পে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটায় এই গাড়ি।
আরও ছিল ১৯৬৭ সালের জাগুয়ার ই-টাইপ রোডস্টার। এই গাড়িটির প্রতি নাকি শৈশব থেকেই মাস্কের আকর্ষণ। ১৯৯৭ সালের ম্যাকলারেন এফ ১ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। একবার দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় গাড়িটি। বিপুল অর্থ ব্যয়ে মেরামত করেন তিনি। পরে অবশ্য বিক্রি করে দেন।

তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গাড়ি হলো টেসলার প্রথম বাজারজাত করা টেসলা রোডস্টার। ২০১৮ সালে মাস্ক এই গাড়িটি মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন।
১৯৭৭ সালের জেমস বন্ডের সিনেমা দ্য স্পাই হু লাভড মি-তে ব্যবহৃত ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা লোটাস এসপ্রিৎ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। সিনেমায় ‘ওয়েট নেলি’ নামের এই গাড়িটি সাবমেরিনে রূপ নিতে পারত। মাস্ক ২০১৩ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলারে নিলামে গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সাবমেরিনে রূপান্তরের ক্ষমতাটিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
আকাশ পথেও পিছিয়ে নন মাস্ক
উড়ালপথেও খরচ করতে ভালোবাসেন ইলন মাস্ক। তবে তাঁর দাবি, ‘এটি বিলাসিতা নয়—বরং কাজের প্রতি তাঁর নিবেদন।’
২০২২ সালে টেডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমি যদি উড়োজাহাজ ব্যবহার করি, যাতে আমার কাজের জন্য হাতে বেশি সময় পাই।’
মাস্কের সংগ্রহে আছে একাধিক গালফস্ট্রিম মডেলের ব্যক্তিগত জেট, যার প্রতিটির দাম কয়েক কোটি ডলার।
মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্পেসএক্স ও টেসলার অফিসগুলো পরিদর্শনে এবং আন্তর্জাতিক সফরে এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করেন।
দাতব্য কাজ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইলন মাস্ক
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথি অনুযায়ী, মাস্ক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকে বিলিয়ন ডলারের শেয়ার দান করেছেন। প্রায় সময়ই নানা উদ্যোগে বহু মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাঁর দানশীলতা নিয়ে সমালোচনাও আছে।
নিউইয়র্ক টাইমস গত বছর লিখেছিল, তাঁর দানের ধরন ‘অগোছালো এবং মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট’। এই দানের ধরন তাঁকে বিশাল কর-ছাড়ের সুযোগ দেয় এবং তাঁর ব্যবসাকেও সহায়তা করে।
তাঁর দাতব্য সংস্থা মাস্ক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানটি মানবজাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তিন বছর ধরে ফাউন্ডেশনটি আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থ দান করা প্রয়োজন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পত্রিকাটি যে কর সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করেছে, তাতে দেখা গেছে, সংস্থাটির বেশিরভাগ অনুদানই গেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোতেই।
এ বিষয়ে মাস্ক ও তাঁর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি নিউইয়র্ক টাইমস।
অতীতে দান ও সমাজসেবামূলক কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাস্ক প্রায়ই প্রচলিত দান পদ্ধতির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
২০২২ সালে টেডের ক্রিস অ্যান্ডারসনকে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভালো কাজের আসল প্রভাব নিয়ে ভাবেন, শুধু বাহ্যিক ভাবমূর্তি নয়, তাহলে দানশীলতা আসলে অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়।’
মাস্ক বলেন, টেসলা টেকসই জ্বালানির প্রসার ঘটাচ্ছে, স্পেসএক্স মানবজাতির দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে, আর নিউরালিংক মস্তিষ্কজনিত আঘাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে সৃষ্ট অস্তিত্বগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে।
তাঁর ব্যবসাগুলোই মানবকল্যাণের এক ধরনের দান বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘যদি দানশীলতার অর্থ হয় মানবতার প্রতি ভালোবাসা, তবে এগুলোই দানশীলতা।’

ইলন মাস্ক। প্রায় প্রতিদিনই কোনো না কোনো কারণে যার নাম আসে খবরের পাতায়। ২০২১ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বের ধনীদের তালিকায় শীর্ষ স্থান দখল করেন এই মার্কিন উদ্যোক্তা। আর ধনীদের তালিকায় তো এসেছেন বহুকাল আগে। সম্প্রতি ইতিহাসের পাতায় নাম লেখালেন প্রথম ৫০০ বিলিয়ন ডলারের (অর্ধ ট্রিলিয়ন) মালিক হিসেবে।
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৬১ লাখ টাকা)।
ইলন মাস্কের সাদামাটা জীবন নিয়ে তাঁর সাবেক সঙ্গীদের আলাপেও উঠে এসেছে।
ইলন মাস্কের তিন সন্তানের জননী সাবেক সঙ্গী কানাডিয়ান সঙ্গীতশিল্পী গ্রাইমস ২০২২ সালে ‘ভ্যানিটি ফেয়ার’ সংবাদপত্রকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, অনেকে যেমনটা মনে করেন আসলে তা নয়। মাস্ক বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন না। তিনি তেমন বেশি বিলাসিতার মধ্যে থাকেন না।

গ্রাইমস আরও বলেন, ‘তিনি মোটেও বিলিয়নিয়ারদের মতো থাকেন না। কখনো কখনো দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষের মতো জীবনযাপন করেন। একবার তো এমনও হয়েছিল, বিছানায় তাঁর (গ্রাইমসের) পাশটায় ম্যাট্রেসে গর্ত হয়ে যাওয়ার পরও মাস্ক নতুন একটা কিনতে রাজি হননি।’
জীবনযাপন সাধারণ হলেও কিছু ক্ষেত্রে মাস্কের খরচের খাতা বেশ ভারি।
মাস্কের গাড়ির প্রতি আকর্ষণ চোখে পড়ার মতো। তাঁর কাছে এমন গাড়িও আছে, যা সাবমেরিনে রূপ নিতে পারে। এছাড়া তাঁর ব্যক্তিগত জেটবিমানগুলোর মূল্যও কয়েক কোটি ডলার।
এরপর তো ২০২২ সালে পুরো প্রযুক্তি মাধ্যম কাঁপিয়ে দিয়ে সেই ‘ছোট্ট খরচা’ করলেন। ৪৪ বিলিয়ন ডলারে কিনে ফেললেন টুইটার। তারপর এর নাম দিলেন ‘এক্স’। এই কেনাকাটা ‘মন চাইল, কিনলাম’ টাইপই ছিল তাঁর কাছে।
১০ কোটি ডলারে ৭ বছরে ৭টি বাড়ি
ইলন মাস্কের এক বিশাল রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য ছিল। ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের ২০১৯ সালের এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সাত বছরে প্রায় ১০ কোটি ডলার দিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ার অভিজাত এলাকা বেল-এয়ারে সাতটি বাড়ি কিনেছিলেন মাস্ক।
এগুলোতে ছিল টেনিস কোর্ট, সুইমিং পুল, ওয়াইন সেলার, ব্যক্তিগত লাইব্রেরি। এমনকি বল রুমও ছিল। এর মধ্যে একটি ছিল ‘উইলি ওয়ঙ্কা’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত কিংবদন্তি অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের র্যাঞ্চ হাউস।

তবে ২০২০ সালে এসে এই বিলাসবহুল বাড়ি কেনার ঝোঁক পাল্টে যায় মাস্কের। তিনি এক টুইটে জানান, প্রায় সব ভৌত সম্পদ বিক্রি করে দেবেন তিনি। আর কোনো বাড়ির মালিক থাকবেন না।
তিনি লেখেন, ‘আমার টাকার দরকার নেই। আমি নিজেকে মঙ্গল গ্রহ ও পৃথিবীর কাজে উৎসর্গ করছি। সম্পত্তি মানুষকে ভারী করে ফেলে।’
তবে তিনি একটি শর্তও দেন, অভিনেতা জিন ওয়াইল্ডারের বাড়িটি যেন ‘ধ্বংস না করা হয়’ এবং এর কোনো পরিবর্তন আনা যাবে না।
ওয়াইল্ডারের ভাতিজা জর্ডান ওয়াকার-পার্লম্যানের কাছে তিন বেডরুমের ওই বাড়িটি বিক্রি করে দেন মাস্ক। বাড়িটি কেনার জন্য মাস্ক নিজেই ওয়াইল্ডারের ভাতিজাকে কয়েক মিলিয়ন ডলার ঋণ দেন। কিন্তু ওয়াকার-পার্লম্যান সময়মতো ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হচ্ছিলেন বলে ২০২৫ সালের জুনে বাড়িটির মালিকানা ফেরত নেন তিনি।

২০২১ সালে মাস্ক টুইট করে জানান, এখন থেকে তাঁর ‘প্রধান বাসস্থান’ টেক্সাসের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত এক সাধারণ প্রিফ্যাব্রিকেটেড বাড়ি, যার দাম প্রায় ৫০ হাজার ডলার। তাঁর মহাকাশ সংস্থা স্পেসএক্স ওখান থেকেই পরিচালিত হয়। এই অঞ্চলটি এখন আনুষ্ঠানিকভাবে ‘স্টারবেস’ নামে পরিচিত।
মাস্ক বলেন, ‘এটা আসলেই দারুণ।’
এর পরের বছর মাস্ক আবার জানান, তাঁর নিজের নামে কোনো বাড়িই নেই। একে নিজের কম ভোগবাদী জীবনযাপনের উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন তিনি। যদিও তাঁর সম্পদের পরিমাণ বিপুল।
তিনি মার্কিন-কানাডিয়ান অলাভজনক মিডিয়া সংস্থা টেড-এর প্রধান ক্রিস অ্যান্ডারসনকে বলেন, ‘আমি বন্ধুবান্ধবদের বাড়িতেই বেশি থাকি। যখন বে এরিয়ায় যাই, যেখানে টেসলার বেশিরভাগ ইঞ্জিনিয়ারিং কাজ হয়, তখন বন্ধুদের বাড়ির ফাঁকা ঘরগুলোতে পালা করে থাকি।’

এই কথা আসলেই সত্যি। ২০১৫ সালে গুগলের তৎকালীন প্রধান নির্বাহী ল্যারি পেজ লেখক অ্যাশলি ভ্যান্সকে বলেছিলেন, মাস্ককে ‘একরকম গৃহহীন’-ই বলা যায়।
ল্যারি পেজ আরও বলেন, “সে ই-মেইল করে বলে, ‘আজ রাতে কোথায় থাকব বুঝতে পারছি না। তোমার বাড়িতে আসতে পারি?’ ”
বছরের পর বছর ধরে জল্পনা চলছে, মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সম্পত্তি কিনছেন কিনা। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে টেক্সাসের ওই বাড়িটিই এখনো তাঁর একমাত্র বাড়ি হিসেবে পরিচিত।
মাস্কের সংগ্রহ যেন ঐতিহাসিক গাড়ির মেলা
ইলন মাস্ক বাড়ির পেছনে খরচ না করলেও গাড়ির ক্ষেত্রে বেশ উদার। টেসলার মালিক হিসেবে তাঁর বিরল ও ব্যতিক্রমধর্মী গাড়ির সংগ্রহ থাকা আশ্চর্যের কিছু নয়! তবে তাঁর কিছু গাড়ি একেবারেই সবার থেকে আলাদা।
মাস্কের সংগ্রহে ছিল ২০শ শতাব্দীর প্রথম সাশ্রয়ী মূল্যের গাড়ি হিসেবে পরিচিত ফোর্ড মডেল ‘টি’। গাড়ি শিল্পে এক ঐতিহাসিক বিপ্লব ঘটায় এই গাড়ি।
আরও ছিল ১৯৬৭ সালের জাগুয়ার ই-টাইপ রোডস্টার। এই গাড়িটির প্রতি নাকি শৈশব থেকেই মাস্কের আকর্ষণ। ১৯৯৭ সালের ম্যাকলারেন এফ ১ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। একবার দুর্ঘটনায় ভেঙে যায় গাড়িটি। বিপুল অর্থ ব্যয়ে মেরামত করেন তিনি। পরে অবশ্য বিক্রি করে দেন।

তাঁর আরেকটি বিখ্যাত গাড়ি হলো টেসলার প্রথম বাজারজাত করা টেসলা রোডস্টার। ২০১৮ সালে মাস্ক এই গাড়িটি মহাকাশে পাঠিয়েছিলেন।
১৯৭৭ সালের জেমস বন্ডের সিনেমা দ্য স্পাই হু লাভড মি-তে ব্যবহৃত ১৯৭৬ সালে বাজারে আসা লোটাস এসপ্রিৎ গাড়িটিও তাঁর সংগ্রহে ছিল। সিনেমায় ‘ওয়েট নেলি’ নামের এই গাড়িটি সাবমেরিনে রূপ নিতে পারত। মাস্ক ২০১৩ সালে প্রায় ১০ লাখ ডলারে নিলামে গাড়িটি কিনেছিলেন। সেই সাবমেরিনে রূপান্তরের ক্ষমতাটিকে বাস্তবে ফিরিয়ে আনার ইচ্ছে ছিল তাঁর।
আকাশ পথেও পিছিয়ে নন মাস্ক
উড়ালপথেও খরচ করতে ভালোবাসেন ইলন মাস্ক। তবে তাঁর দাবি, ‘এটি বিলাসিতা নয়—বরং কাজের প্রতি তাঁর নিবেদন।’
২০২২ সালে টেডকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেন, ‘আমি যদি উড়োজাহাজ ব্যবহার করি, যাতে আমার কাজের জন্য হাতে বেশি সময় পাই।’
মাস্কের সংগ্রহে আছে একাধিক গালফস্ট্রিম মডেলের ব্যক্তিগত জেট, যার প্রতিটির দাম কয়েক কোটি ডলার।
মাস্ক যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা স্পেসএক্স ও টেসলার অফিসগুলো পরিদর্শনে এবং আন্তর্জাতিক সফরে এই উড়োজাহাজগুলো ব্যবহার করেন।
দাতব্য কাজ নিয়ে আলোচিত-সমালোচিত ইলন মাস্ক
মার্কিন নিয়ন্ত্রক সংস্থার নথি অনুযায়ী, মাস্ক বিভিন্ন দাতব্য সংস্থাকে বিলিয়ন ডলারের শেয়ার দান করেছেন। প্রায় সময়ই নানা উদ্যোগে বহু মিলিয়ন ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে তাঁর দানশীলতা নিয়ে সমালোচনাও আছে।
নিউইয়র্ক টাইমস গত বছর লিখেছিল, তাঁর দানের ধরন ‘অগোছালো এবং মূলত ব্যক্তিগত স্বার্থসংশ্লিষ্ট’। এই দানের ধরন তাঁকে বিশাল কর-ছাড়ের সুযোগ দেয় এবং তাঁর ব্যবসাকেও সহায়তা করে।
তাঁর দাতব্য সংস্থা মাস্ক ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইটে বলা আছে, প্রতিষ্ঠানটি মানবজাতির অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে।
তবে নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, টানা তিন বছর ধরে ফাউন্ডেশনটি আইন অনুযায়ী যে পরিমাণ অর্থ দান করা প্রয়োজন, তা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। পত্রিকাটি যে কর সংক্রান্ত নথি পর্যালোচনা করেছে, তাতে দেখা গেছে, সংস্থাটির বেশিরভাগ অনুদানই গেছে মাস্কের প্রতিষ্ঠানগুলোতেই।
এ বিষয়ে মাস্ক ও তাঁর ফাউন্ডেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া পায়নি নিউইয়র্ক টাইমস।
অতীতে দান ও সমাজসেবামূলক কাজ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মাস্ক প্রায়ই প্রচলিত দান পদ্ধতির বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
২০২২ সালে টেডের ক্রিস অ্যান্ডারসনকে তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ভালো কাজের আসল প্রভাব নিয়ে ভাবেন, শুধু বাহ্যিক ভাবমূর্তি নয়, তাহলে দানশীলতা আসলে অত্যন্ত জটিল একটি বিষয়।’
মাস্ক বলেন, টেসলা টেকসই জ্বালানির প্রসার ঘটাচ্ছে, স্পেসএক্স মানবজাতির দীর্ঘমেয়াদে টিকে থাকা নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে, আর নিউরালিংক মস্তিষ্কজনিত আঘাত এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে সৃষ্ট অস্তিত্বগত ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করছে।
তাঁর ব্যবসাগুলোই মানবকল্যাণের এক ধরনের দান বলে মনে করেন ইলন মাস্ক। তিনি বলেন, ‘যদি দানশীলতার অর্থ হয় মানবতার প্রতি ভালোবাসা, তবে এগুলোই দানশীলতা।’

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
১ দিন আগে
‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

‘হাজী মাখন বিরানী’ বা ‘হাজী মাখন পোলাও’—যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তাদের দোকান ওই দুইটাই; পুরান ঢাকার রায়সাহেব বাজারের নাসিরুদ্দিন লেনে। না, মাখন দিয়ে তাদের পোলাও বা বিরিয়ানি রান্না করা হয় না। প্রতিষ্ঠাতা আবদুল কাদেরের ছেলের নাম হাজী মাখন। তাঁর নামেই ব্যবসার সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। সত্তর বছরের বেশি আবদুল কাদেরের এই ব্যবসার বয়স। পঞ্চাশের দশক থেকে তিন প্রজন্ম ধরে চলছে পারিবারিক এই ব্যবসা। একসময় ১ পয়সা কি ২ পয়সায় এক প্লেট মাখন বিরিয়ানি খাওয়া যেত। এখন খেতে হলে শ দেড়েক টাকা তো লাগবেই। পোলাওয়ের চালের সঙ্গে গরুর মাংসের মাখো মাখো এই বিরিয়ানি খেতে কিন্তু একেবারেই মাখন!
ছবি: হাসান রাজা

একটি ছোট পার্টি, একটি সাধারণ কমিউনিটি রুম এবং এক যুবক—১৫২০ সেডগউইক অ্যাভিনিউ, নিউইয়র্ক সিটির ব্রঙ্কস এলাকা তখন জানত না, যে এক রাতের অনুষ্ঠানই বিশ্বসংগীতের ইতিহাস বদলে দেবে। ১৯৭৩ সালের আজকের এই দিনে (১১ আগস্ট), যখন স্কুলফেরত কিছু কিশোর-তরুণীরা জমে উঠেছিল...
১১ আগস্ট ২০২৫
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৭ ঘণ্টা আগে
১৯৪৩ সালে তৈরি একটি হাতঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ল। এর আগে ২০১৬ সালে নিলামে বিক্রি হওয়া সবচেয়ে দামি ঘড়ি হিসেবে রেকর্ড গড়ে এই ঘড়িটি। এবার আরও বেশি দামে ঘড়িটি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছে নিলাম প্রতিষ্ঠান ফিলিপস।
১ দিন আগে
এত অর্থ-সম্পদ দিয়ে ইলন মাস্ক কী করেন, এ নিয়ে অনেক জল্পনা চলে বছরজুড়েই। তিনি নতুন করে আরও একটি ঘোষণা দেন এবং আবারও উঠে আসে এই আলোচনা। তবুও মাস্কের দাবি, তাঁর জীবনযাপন বেশ সাধারণ এবং অনাড়ম্বর। ২০২১ সালে একবার মাস্ক জানান, টেক্সাসে যে ছোট্ট বাড়িটিতে তিনি থাকেন, সেটির মূল্য মাত্র ৫০ হাজার ডলার।
৩ দিন আগে