সম্পাদকীয়
মাকে খুব ভালো বাসতেন অন্নদাশঙ্কর রায়। মা খুব চাইতেন, কলেজে পড়ুক তাঁর ছেলে। আদর করে বলতেন, ‘ছেলে আমার পাস করে জলপানি পাবে, কলেজে পড়বে, আমি ওকে নিয়ে কটকে থাকব, ওর বিয়ে দেব।’
ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে অন্নদাশঙ্কর যখন কটক থেকে ঢেঙ্কানলে ফিরছেন, তখন পথেই পেলেন বাবার চিঠি—মা আর নেই। সামান্য কয়েক দিনের অসুখে তিনি মারা গেছেন। মা নেই, পড়াশোনা করে হবে কী? তবে গুরুজনদের কথায় পরীক্ষা দিলেন।
সে সময় থেকেই অন্নদাশঙ্কর রায় ঠিক করে রেখেছিলেন, বাবার বোঝা বাড়াবেন না। নিজের রোজগারে চলবেন। হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক। সাংবাদিক হতে হলে পড়াশোনা করতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই। হাতের সামনে অন্তত দুটো উদাহরণ ছিল—গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ। এরা দুজনই পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন। একজন কলেজে গেছেন, অন্যজন ও-মুখো হননি। কিন্তু কলকাতায় কাগজের অফিসে ঘোরাঘুরি করে বুঝলেন, হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। জীবন অতটা সহজ নয়।
ছোট কাকার অনুরোধে বাড়ি ফিরে কটক কলেজে ভর্তি হন। স্কলারশিপও জুটে যায়। সাত টাকা স্কলারশিপের পাঁচ টাকা যায় কলেজের বেতন দিতে, বাকি দুই টাকা দিয়ে ‘প্রবাসী’, ‘মডার্ন রিভিউ’ কেনেন।
কটকে, পাটনায় আর বিলেতে ছয় বছর কলেজে পড়ার সময় সত্যিই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হন তিনি।
গোপালচন্দ্র গাঙ্গুলী পড়াতেন ইংরেজি। তিনি ছিলেন খুবই বড় মনের শিক্ষক। তাঁর স্নেহধন্য হন অন্নদাশঙ্কর। একবার কথাচ্ছলে একটি কথা বলেছিলেন গোপালচন্দ্র গাঙ্গুলী, যা বদলে দিয়েছিল অন্নদাশঙ্করের জীবনদর্শন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভগবান আছেন কি না জানি নে। তাঁকে তো আমি দেখিনি। আমার প্রত্যক্ষ দেবতা আমার পিতা, মাতা ও পত্নী।’ পিতা-মাতার পাশাপাশি পত্নীর কথা আর কারও মুখে শোনেননি অন্নদাশঙ্কর। জীবনের একটা বড় শিক্ষা হিসেবেই এই কথাটি গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
সূত্র: অন্নদাশঙ্কর রায়, কলেজ জীবনের স্মৃতি, পৃষ্ঠা: ৪৮৮-৪৮৯
মাকে খুব ভালো বাসতেন অন্নদাশঙ্কর রায়। মা খুব চাইতেন, কলেজে পড়ুক তাঁর ছেলে। আদর করে বলতেন, ‘ছেলে আমার পাস করে জলপানি পাবে, কলেজে পড়বে, আমি ওকে নিয়ে কটকে থাকব, ওর বিয়ে দেব।’
ম্যাট্রিক পরীক্ষা দিয়ে অন্নদাশঙ্কর যখন কটক থেকে ঢেঙ্কানলে ফিরছেন, তখন পথেই পেলেন বাবার চিঠি—মা আর নেই। সামান্য কয়েক দিনের অসুখে তিনি মারা গেছেন। মা নেই, পড়াশোনা করে হবে কী? তবে গুরুজনদের কথায় পরীক্ষা দিলেন।
সে সময় থেকেই অন্নদাশঙ্কর রায় ঠিক করে রেখেছিলেন, বাবার বোঝা বাড়াবেন না। নিজের রোজগারে চলবেন। হতে চেয়েছিলেন সাংবাদিক। সাংবাদিক হতে হলে পড়াশোনা করতেই হবে—এমন কোনো কথা নেই। হাতের সামনে অন্তত দুটো উদাহরণ ছিল—গান্ধী ও রবীন্দ্রনাথ। এরা দুজনই পত্রিকার সম্পাদক হয়েছেন। একজন কলেজে গেছেন, অন্যজন ও-মুখো হননি। কিন্তু কলকাতায় কাগজের অফিসে ঘোরাঘুরি করে বুঝলেন, হতাশ হওয়া ছাড়া উপায় নেই। জীবন অতটা সহজ নয়।
ছোট কাকার অনুরোধে বাড়ি ফিরে কটক কলেজে ভর্তি হন। স্কলারশিপও জুটে যায়। সাত টাকা স্কলারশিপের পাঁচ টাকা যায় কলেজের বেতন দিতে, বাকি দুই টাকা দিয়ে ‘প্রবাসী’, ‘মডার্ন রিভিউ’ কেনেন।
কটকে, পাটনায় আর বিলেতে ছয় বছর কলেজে পড়ার সময় সত্যিই আত্মবিশ্বাসে বলীয়ান হন তিনি।
গোপালচন্দ্র গাঙ্গুলী পড়াতেন ইংরেজি। তিনি ছিলেন খুবই বড় মনের শিক্ষক। তাঁর স্নেহধন্য হন অন্নদাশঙ্কর। একবার কথাচ্ছলে একটি কথা বলেছিলেন গোপালচন্দ্র গাঙ্গুলী, যা বদলে দিয়েছিল অন্নদাশঙ্করের জীবনদর্শন। তিনি বলেছিলেন, ‘ভগবান আছেন কি না জানি নে। তাঁকে তো আমি দেখিনি। আমার প্রত্যক্ষ দেবতা আমার পিতা, মাতা ও পত্নী।’ পিতা-মাতার পাশাপাশি পত্নীর কথা আর কারও মুখে শোনেননি অন্নদাশঙ্কর। জীবনের একটা বড় শিক্ষা হিসেবেই এই কথাটি গ্রহণ করেছিলেন তিনি।
সূত্র: অন্নদাশঙ্কর রায়, কলেজ জীবনের স্মৃতি, পৃষ্ঠা: ৪৮৮-৪৮৯
১৬৫৫ সালে গৌড়ীয় রীতিতে রাজবাড়ির বালিয়াকান্দী উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের নলিয়া গ্রামে জোড় বাংলা মন্দির ও বিগ্রহ নির্মাণ করেন রাজা সীতারাম রায়। দুটো মন্দির পাশাপাশি নির্মাণ করা হয় বলে এর এমন নাম। স্থানীয়দের মতে, রাজা সীতারাম বেলগাছিতে সোনায় গড়া মূর্তি দিয়ে দুর্গাপূজা করতে...
২ দিন আগে১৫৪০ খ্রিষ্টাব্দে ইগ্নেসিয়াস লয়োলা নামে এক স্প্যানিশ ব্যক্তি জেসুইটা বা যিশুর সম্প্রদায় গঠন করেন। এই সম্প্রদায়ের খ্রিষ্টানরা খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের উদ্দেশ্যে পৃথিবীর নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়েন। পিয়েরে ডু জারিক নামের এক ফরাসি ঐতিহাসিকের মতে, ১৫৯৯ খ্রিষ্টাব্দের নভেম্বরে ফনসেকা নামের একজন খ্রিষ্টান...
৬ দিন আগেদুর্ঘটনা ও জ্যাম এড়াতে শহরের রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক বাতি স্থাপন করা হয়। লাল বাতি জ্বলার সময় গাড়িগুলো থামে। হলুদ বাতি দেখলে অপেক্ষা করে। আর সবুজ বাতি জ্বললেই গাড়ি অবাধে এগিয়ে চলে। এই সিগন্যাল সারা বিশ্বেই স্বীকৃত।
১৩ দিন আগেপঞ্চদশ শতকে মধ্যপ্রাচ্য থেকে ইসলাম ধর্ম প্রচারের জন্য বাংলাদেশে এসেছিলেন সুফিসাধক হজরত বদরউদ্দিন শাহ্ মাদার। তিনি ফরিদপুর থেকে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে বরিশাল যাওয়ার পথে জল-জঙ্গলপূর্ণ একটি স্থানে এসে উপস্থিত হন। এরপর পদ্মার শাখা আড়িয়াল খাঁ নদের দক্ষিণ তীরে নিজের আস্তানা গড়ে তোলেন।
২৩ দিন আগে