সম্পাদকীয়
বুদ্ধদেব বসুকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একজন দিকপাল বলা যায়। গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে আধুনিক কবিতার প্রচার, প্রসারে তাঁর রয়েছে বিশাল অবদান। রবীন্দ্রনাথের পর নজরুল এবং ত্রিশের কবিরা নিজেদের ভাষা খুঁজে পেয়েছিলেন। এই তালিকায় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, জীবনানন্দ দাশ, অমীয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমর সেন প্রমুখ ছিলেন। আর ছিলেন বুদ্ধদেব বসু।
সে সময় বুদ্ধদেব বসুরা ছিলেন নোয়াখালীতে। একে একে বাড়ি পরিবর্তন করে চতুর্থ যে বাড়িতে ঠাঁই হলো, তার নাম ছিল ‘ডেলনি হাউস’। আদি যুগে সম্ভবত কোনো পর্তুগিজের কুঠি ছিল এটি। অনেক কাঁচা বাড়ির ভিড়ে এটি ছিল পাকা বাড়ি। দুটো প্রকাণ্ড হলঘর। কমোড বসানো বাথরুম ছিল সে বাড়িতে।
সেই বাড়ির জানালা দিয়ে নদী দেখা যেত। প্রথম বর্ষা কেটে যাওয়ার পর দেখা গেল নদীটা এগিয়ে এসেছে বাড়ির আরও কাছে। দ্বিতীয় বর্ষার আগে আগে বাড়ির বড়রা বলছিল, এ বাড়িটায় আর থাকা যাবে না। ভাঙন এসে গিলে খাবে বাড়িটিকে। এ রকম একসময় দক্ষিণের ছোট ঘরে বসে একটা কবিতা লিখে ফেললেন বুদ্ধদেব।
সেটা ইংরেজিতে:
অ্যাড্যু, অ্যাড্যু, ডেলনি হাউস ডেয়ার
ইউ লিভ ইউ বিকজ দ্য সি ইজ নেয়ার
অ্যান্ড দ্য সি উইল সোয়ালো ইউ, উই ফেয়ার
অ্যাড্যু, অ্যাড্যু।
কেন তিনি ইংরেজিতে কবিতাটি লিখেছিলেন, সেটা নিজেও বুঝতে পারেননি। সে সময় বুদ্ধদেব বসুর বয়স নয়ের মতো। হেমচন্দ্র, নবীন, মধুসূদনদের কথা জানা ছিল তাঁর। তাঁরা যে মহাকবি, এ রকম কথাও তিনি শুনেছেন। তবে সে সময় ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান জেমস অব ইংলিশ পোয়েট্রি’ নামের একটা বই তাঁর খুব প্রিয় ছিল। সেখানেই পড়েছিলেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কুপার, টমাস গ্রের এলিজি। রবীন্দ্রনাথ তখনো পড়েননি বলে পাননি ভালো বাংলা কবিতার স্বাদ। এ কারণেই হয়তো ইংরেজিতে ডেলনি হাউসকে বিদায় জানিয়েছিলেন কবিতায়।
সূত্র: সমীর সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব বসুর জীবন, পৃষ্ঠা ৯
বুদ্ধদেব বসুকে বাংলা সাহিত্যের অন্যতম একজন দিকপাল বলা যায়। গত শতাব্দীর ত্রিশের দশকে আধুনিক কবিতার প্রচার, প্রসারে তাঁর রয়েছে বিশাল অবদান। রবীন্দ্রনাথের পর নজরুল এবং ত্রিশের কবিরা নিজেদের ভাষা খুঁজে পেয়েছিলেন। এই তালিকায় সুধীন্দ্রনাথ দত্ত, জীবনানন্দ দাশ, অমীয় চক্রবর্তী, বিষ্ণু দে, প্রেমেন্দ্র মিত্র, সমর সেন প্রমুখ ছিলেন। আর ছিলেন বুদ্ধদেব বসু।
সে সময় বুদ্ধদেব বসুরা ছিলেন নোয়াখালীতে। একে একে বাড়ি পরিবর্তন করে চতুর্থ যে বাড়িতে ঠাঁই হলো, তার নাম ছিল ‘ডেলনি হাউস’। আদি যুগে সম্ভবত কোনো পর্তুগিজের কুঠি ছিল এটি। অনেক কাঁচা বাড়ির ভিড়ে এটি ছিল পাকা বাড়ি। দুটো প্রকাণ্ড হলঘর। কমোড বসানো বাথরুম ছিল সে বাড়িতে।
সেই বাড়ির জানালা দিয়ে নদী দেখা যেত। প্রথম বর্ষা কেটে যাওয়ার পর দেখা গেল নদীটা এগিয়ে এসেছে বাড়ির আরও কাছে। দ্বিতীয় বর্ষার আগে আগে বাড়ির বড়রা বলছিল, এ বাড়িটায় আর থাকা যাবে না। ভাঙন এসে গিলে খাবে বাড়িটিকে। এ রকম একসময় দক্ষিণের ছোট ঘরে বসে একটা কবিতা লিখে ফেললেন বুদ্ধদেব।
সেটা ইংরেজিতে:
অ্যাড্যু, অ্যাড্যু, ডেলনি হাউস ডেয়ার
ইউ লিভ ইউ বিকজ দ্য সি ইজ নেয়ার
অ্যান্ড দ্য সি উইল সোয়ালো ইউ, উই ফেয়ার
অ্যাড্যু, অ্যাড্যু।
কেন তিনি ইংরেজিতে কবিতাটি লিখেছিলেন, সেটা নিজেও বুঝতে পারেননি। সে সময় বুদ্ধদেব বসুর বয়স নয়ের মতো। হেমচন্দ্র, নবীন, মধুসূদনদের কথা জানা ছিল তাঁর। তাঁরা যে মহাকবি, এ রকম কথাও তিনি শুনেছেন। তবে সে সময় ‘ওয়ান থাউজেন্ড অ্যান্ড ওয়ান জেমস অব ইংলিশ পোয়েট্রি’ নামের একটা বই তাঁর খুব প্রিয় ছিল। সেখানেই পড়েছিলেন ওয়ার্ডসওয়ার্থ, কুপার, টমাস গ্রের এলিজি। রবীন্দ্রনাথ তখনো পড়েননি বলে পাননি ভালো বাংলা কবিতার স্বাদ। এ কারণেই হয়তো ইংরেজিতে ডেলনি হাউসকে বিদায় জানিয়েছিলেন কবিতায়।
সূত্র: সমীর সেনগুপ্ত, বুদ্ধদেব বসুর জীবন, পৃষ্ঠা ৯
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
১ ঘণ্টা আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
৬ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
৭ দিন আগে