সম্পাদকীয়
শেখ রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর তার জন্ম। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দোতলা তখনো শেষ হয়নি। শেখ হাসিনা আর শেখ কামাল থাকেন নিচতলার উত্তর-পূর্ব দিকের ঘরটায়। সেই ঘরেই জন্ম হয়েছিল রাসেলের। বঙ্গবন্ধু তখন মিস ফাতেমা জিন্নাহর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ঢাকার বাইরে।
রাসেল বড় হতে থাকে সবার ভালোবাসায়। শেখ হাসিনাকে ও ডাকত হাসুপা বলে। শেখ রেহানাকে আপু। শেখ কামাল আর শেখ জামালকে সব সময় ডাকত ‘ভাই’ বলে। কখনোই ‘কামাল ভাই’ বা ‘জামাল ভাই’ বলে ডাকত না। একবার শুধু তাদের নাম বলতে বললে বলেছিল, ‘কাম্মাল, জাম্মাল।’ ব্যস। এরপর সব সময়ই ভাই
বলেই ডাকত।
রাসেল অকারণে ভয় পেত না। কালো কালো যে বড় বিষধর পিঁপড়া আছে, সেগুলো দেখলেও সে ধরতে চাইত। একবার একটা বড় কালো পিঁপড়া ধরে ফেললে সেটা আঙুলে দিল কামড়। রক্ত ঝরা শুরু করল। আঙুল ফুলে কলাগাছ। ভালোই শিক্ষা হলো। এরপর থেকে সে আর কালো বড় পিঁপড়া ধরতে যেত না। তবে কামড় খাওয়ার
পর থেকেই সেই পিঁপড়ার একটা নাম দিল রাসেল।
তখন রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বিষধর ছিল জুলফিকার আলী ভুট্টো। ছোট্ট রাসেল এই কালো পিঁপড়ার নাম দিয়েছিল ‘ভুট্টো’।
কবুতর খুব ভালোবাসত রাসেল। মায়ের সঙ্গে রাসেল কবুতরগুলোর দানাপানি দিতে যেত। হাঁটতে শেখার পর রাসেল কবুতরের পিছু পিছু ছুটত, তাতে ওর মন আনন্দে ভরে উঠত। অনেকেরই প্রিয় ছিল কবুতরের মাংস। কিন্তু রাসেল কখনোই কবুতরের মাংস খেত না। অনেকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কবুতরের মাংস মুখের কাছে নিয়ে গেলেও রাসেল খেত না। সেই ছোট্ট রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল ১৫ আগস্টে। রাসেল মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। বিনিময়ে পেয়েছিল মৃত্যু।
সূত্র: শেখ হাসিনা, আমাদের ছোট রাসেল সোনা
শেখ রাসেল ছিল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ছোট ছেলে। ১৯৬৪ সালের ১৮ অক্টোবর তার জন্ম। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর বাড়ির দোতলা তখনো শেষ হয়নি। শেখ হাসিনা আর শেখ কামাল থাকেন নিচতলার উত্তর-পূর্ব দিকের ঘরটায়। সেই ঘরেই জন্ম হয়েছিল রাসেলের। বঙ্গবন্ধু তখন মিস ফাতেমা জিন্নাহর হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ঢাকার বাইরে।
রাসেল বড় হতে থাকে সবার ভালোবাসায়। শেখ হাসিনাকে ও ডাকত হাসুপা বলে। শেখ রেহানাকে আপু। শেখ কামাল আর শেখ জামালকে সব সময় ডাকত ‘ভাই’ বলে। কখনোই ‘কামাল ভাই’ বা ‘জামাল ভাই’ বলে ডাকত না। একবার শুধু তাদের নাম বলতে বললে বলেছিল, ‘কাম্মাল, জাম্মাল।’ ব্যস। এরপর সব সময়ই ভাই
বলেই ডাকত।
রাসেল অকারণে ভয় পেত না। কালো কালো যে বড় বিষধর পিঁপড়া আছে, সেগুলো দেখলেও সে ধরতে চাইত। একবার একটা বড় কালো পিঁপড়া ধরে ফেললে সেটা আঙুলে দিল কামড়। রক্ত ঝরা শুরু করল। আঙুল ফুলে কলাগাছ। ভালোই শিক্ষা হলো। এরপর থেকে সে আর কালো বড় পিঁপড়া ধরতে যেত না। তবে কামড় খাওয়ার
পর থেকেই সেই পিঁপড়ার একটা নাম দিল রাসেল।
তখন রাজনীতির মাঠে সবচেয়ে বিষধর ছিল জুলফিকার আলী ভুট্টো। ছোট্ট রাসেল এই কালো পিঁপড়ার নাম দিয়েছিল ‘ভুট্টো’।
কবুতর খুব ভালোবাসত রাসেল। মায়ের সঙ্গে রাসেল কবুতরগুলোর দানাপানি দিতে যেত। হাঁটতে শেখার পর রাসেল কবুতরের পিছু পিছু ছুটত, তাতে ওর মন আনন্দে ভরে উঠত। অনেকেরই প্রিয় ছিল কবুতরের মাংস। কিন্তু রাসেল কখনোই কবুতরের মাংস খেত না। অনেকভাবে চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু কবুতরের মাংস মুখের কাছে নিয়ে গেলেও রাসেল খেত না। সেই ছোট্ট রাসেলকে হত্যা করা হয়েছিল ১৫ আগস্টে। রাসেল মায়ের কাছে যেতে চেয়েছিল। বিনিময়ে পেয়েছিল মৃত্যু।
সূত্র: শেখ হাসিনা, আমাদের ছোট রাসেল সোনা
ধানমন্ডি লেকে এক যুগ আগেও যারা আড্ডা দিতে যেতেন, নিশ্চয়ই তাঁদের নজর এড়ায়নি লালরঙা জাহাজ বাড়িটি। ১৯৯৩-৯৪ সালে ব্যবসায়ী এ কে এম আনোয়ারুল হক চৌধুরী ধানমন্ডির ৫/এ এলাকায় একটি বাড়ি নির্মাণ করেন। বাড়িটির নাম তিনি দিয়েছিলেন ‘চিশতিয়া প্যালেস’। ১৯৯৬ সালে সাধারণের চলাচলের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন রাস্তা...
১ ঘণ্টা আগেআর্মেনীয় জমিদার আরাতুন ১৮২৫ সালের দিকে ঢাকার ফরাশগঞ্জের শ্যামপুরে একটি দ্বিতল বাড়ি নির্মাণ করে নাম দিয়েছিলেন ‘আরাতুন হাউস’। এর ১০ বছর পর ১৮৩৫ সালের দিকে তিনি বাড়িটি বিক্রি করে দেন ঢাকার বিখ্যাত ব্যবসায়ী রূপলাল দাসের কাছে। নতুন মালিক বাড়িটির নতুন নাম দেন ‘রূপলাল হাউস’।
৬ দিন আগেবোঝাই যাচ্ছে ছবিটি একটি নাপিতের দোকানের। এ-ও বুঝতে অসুবিধা হয় না যে এটি ব্রিটিশ আমলে তোলা একটি ছবি। কেননা, দোকানের নামটি স্পষ্ট করে ইংরেজিতে লেখা—‘হানিফ বারবার নম্বর ফিফটি নাইন, হেয়ারকাটার অল হেয়ারি থিংস হিয়ার গট’। আর দোকানটির তালাবদ্ধ প্রবেশদ্বারের পাশের দেয়ালে ঝুলছে কতক পরচুলা, যেগুলোর কোনোটির...
৭ দিন আগেআজকের পত্রিকার পাঠক ফোরাম পাঠকবন্ধুর প্রথম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুক্রবার (২ মে) বনশ্রীতে পত্রিকাটির প্রধান কার্যালয়ে উদ্যাপিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন শাখার বন্ধুরা অংশ নেন।
৭ দিন আগে