কাশফিয়া আলম ঝিলিক, ঢাকা
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতের কাছে পাওয়া ঠান্ডা পানি কিংবা সুস্বাদু তৈরি খাবার; বাড়ি গিয়ে কী খাব—কাজে গিয়ে এমন ভাবনার মুখোমুখি না হওয়া; অথবা সারা দিনের ক্লান্তির পর শান্তিতে ঘুমানোর জন্য পাওয়া গোছানো ঘর! এই যে তৈরি খাবার, গোছানো ঘর কিংবা এক গ্লাস পানি—সবকিছুর পেছনে থাকে একজন মানুষের শ্রম। কিন্তু জমা-খরচের হিসাবের খাতায় তার মান শূন্য। বছরের পর বছর এই হিসাব শূন্যই থেকে গেছে। কত কিছুর হিসাব যে যোগ হয় জিডিপিতে, কিন্তু দৃশ্যমান মানুষের অদৃশ্য এসব শ্রমের কথা কোথাও প্রতিফলিত হয় না।
অবশ্য সময়টা এখন বদলেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর এই নীরব ও অদৃশ্য অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নারীরা কৃষি, শিল্প, সেবা, গৃহস্থালি ও উদ্যোক্তা খাতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২৫’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী লৈঙ্গিক সমতা অর্জন করতে আনুমানিক ১৩১ বছর লাগবে। এটি চলবে ২১৫৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, এ এক অনন্ত যুগের পরিকল্পনা। লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ে নারীর কাজের স্বীকৃতি এবং এর অর্থনৈতিক মূল্যায়ন ওতপ্রোত।
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কাজ দিয়ে কি এই মূল্যায়ন সম্ভব? যেহেতু আর্থিক মূল্য ছাড়া কোনো কাজই বাজার অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না, তাই বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিবিদেরা সাধারণত স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে। ভারত, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা ও নেপালের মতো দেশগুলো নারীর অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছে। এই অন্তর্ভুক্তি আসলে কতটা সুখ বয়ে আনবে একজন নারীর জন্য? কিংবা বিষয়টি কোন দিকে নারীর গুরুত্ব প্রতিফলিত করবে, এটা ভাবার বিষয় বইকি!
রান্না, সন্তান লালন-পালন, ঘর গোছানো—পরিবারের যত্নে ঘরের মধ্যে করা নারীর এসব কাজের কোনো অর্থনৈতিক মূল্যায়ন নেই। নারীর অর্থনৈতিক অবদান মাপতে লৈঙ্গিকভিত্তিক শ্রমবাজারের উপাত্ত সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মঘণ্টা, আয়, সম্পদের মালিকানা, জমির অধিকার—সবকিছুতে লৈঙ্গিকভিত্তিক বিশ্লেষণ দরকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের প্রথম ‘হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টস’ (এইচপিএসএ) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্দেশ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ১৮ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। এই তথ্য নারীর অর্থনৈতিক অবদানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা এত দিন অবমূল্যায়িত ছিল। দীর্ঘদিন থেকে উপেক্ষিত হলেও জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার মূল ভিত্তি হিসেবে থাকা নারীর এই অদৃশ্য শ্রমের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিকে ভীষণ ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। এতে নারীর অবদান প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এইচপিএসএ রিপোর্ট, ২০২৫, বিবিএস
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এই প্রতিবেদন প্রকাশকে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এই বিষয়কে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সহিংসতা, বাল্যবিবাহ—সবকিছুর মূলেই আছে পরিবারের একটা অবস্থান। পারিবারিকভাবেই নারীদের কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবারে নারীর মর্যাদা বাড়লেই সহিংসতা অনেক কমে যাবে। পরিবার যখন নারীর কাজকে মূল্যায়ন করতে শিখবে, তখন নারীর অবস্থান আরও শক্ত হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য, ভালোবাসা আর সম্মানের জায়গা অনেক কম। একে অন্যকে সম্মান করলে যে আরও বেশি ভালো পর্যায়ে যাওয়া যায়, এই জায়গাটায় আমাদের সমস্যা। অস্থিরতা থেকেই সহিংসতা বাড়ছে।’ সহিংসতার নিবারণ পরিবার থেকে আসতে হবে।
নারীদের কাজকে মূল্যায়ন করে তার একটি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করা হলে নারীর গুরুত্ব সমাজে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন জিডিপিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তখন নারীর কাজের মূল্যায়ন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। জিডিপির বিষয়টি নারীর পরিবারের কাছে তুলে ধরা গেলে পারিবারিকভাবে নারীদের মূল্যায়ন বাড়বে বলে মনে করেন শাহিন আনাম।
সে ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতাও কমে আসবে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পরিবারে নারীর অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে। এমনকি সমাজে নারীদের সমান চোখে দেখা হবে। শুধু নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নারীর অবস্থানকে দৃঢ় করা সম্ভব নয়।’
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেন শাহিন আনাম। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে নারীর কাজের ভার কমে, তাদের কাজের দক্ষতা আরও বাড়ে। বাড়ির কাজ কিংবা বাইরের—যেখানে তাদের ইচ্ছা, সেখানেই যেন তারা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে, এমন কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তবে গৃহস্থালির কাজকে মূল্যায়ন করে এর একটি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় আনা হলেও, নারীর ব্যক্তিগত আয় থেকে তাদের আর্থিক সচ্ছলতার ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশা। আর্থিক সচ্ছলতা নারীর অবস্থানকে শক্ত করবে বলা হলেও দেখা যায়, অনেক নারী আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েও পরিবারে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের ক্ষমতার বাইরেই থেকে যায়।
নারীর অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে জাতীয় অর্থনীতির একটি বিরাট অংশ অদৃশ্য থেকে যায়। তাই স্বীকৃতি শুধু নীতিগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি অর্থনৈতিক প্রয়োজন। নারীর গৃহস্থালি এবং সেবামূলক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবার ও সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।
বাইরে থেকে ঘরে ফিরে হাতের কাছে পাওয়া ঠান্ডা পানি কিংবা সুস্বাদু তৈরি খাবার; বাড়ি গিয়ে কী খাব—কাজে গিয়ে এমন ভাবনার মুখোমুখি না হওয়া; অথবা সারা দিনের ক্লান্তির পর শান্তিতে ঘুমানোর জন্য পাওয়া গোছানো ঘর! এই যে তৈরি খাবার, গোছানো ঘর কিংবা এক গ্লাস পানি—সবকিছুর পেছনে থাকে একজন মানুষের শ্রম। কিন্তু জমা-খরচের হিসাবের খাতায় তার মান শূন্য। বছরের পর বছর এই হিসাব শূন্যই থেকে গেছে। কত কিছুর হিসাব যে যোগ হয় জিডিপিতে, কিন্তু দৃশ্যমান মানুষের অদৃশ্য এসব শ্রমের কথা কোথাও প্রতিফলিত হয় না।
অবশ্য সময়টা এখন বদলেছে। জাতীয় অর্থনীতিতে নারীর এই নীরব ও অদৃশ্য অবদানকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি এখন বিশ্বব্যাপী গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। নারীরা কৃষি, শিল্প, সেবা, গৃহস্থালি ও উদ্যোক্তা খাতে ব্যাপক অবদান রাখছে।
বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট-২০২৫’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী লৈঙ্গিক সমতা অর্জন করতে আনুমানিক ১৩১ বছর লাগবে। এটি চলবে ২১৫৪ সাল পর্যন্ত। অর্থাৎ বোঝা যাচ্ছে, এ এক অনন্ত যুগের পরিকল্পনা। লৈঙ্গিক সমতা বিষয়ে নারীর কাজের স্বীকৃতি এবং এর অর্থনৈতিক মূল্যায়ন ওতপ্রোত।
শুধু প্রাতিষ্ঠানিক কাজ দিয়ে কি এই মূল্যায়ন সম্ভব? যেহেতু আর্থিক মূল্য ছাড়া কোনো কাজই বাজার অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্ত হয় না, তাই বিশ্বের অনেক দেশের অর্থনীতিবিদেরা সাধারণত স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্ট সিস্টেমের ওপর নির্ভর করে। ভারত, মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা ও নেপালের মতো দেশগুলো নারীর অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে শুরু করেছে। এই অন্তর্ভুক্তি আসলে কতটা সুখ বয়ে আনবে একজন নারীর জন্য? কিংবা বিষয়টি কোন দিকে নারীর গুরুত্ব প্রতিফলিত করবে, এটা ভাবার বিষয় বইকি!
রান্না, সন্তান লালন-পালন, ঘর গোছানো—পরিবারের যত্নে ঘরের মধ্যে করা নারীর এসব কাজের কোনো অর্থনৈতিক মূল্যায়ন নেই। নারীর অর্থনৈতিক অবদান মাপতে লৈঙ্গিকভিত্তিক শ্রমবাজারের উপাত্ত সংগ্রহ করা অত্যন্ত জরুরি। কর্মঘণ্টা, আয়, সম্পদের মালিকানা, জমির অধিকার—সবকিছুতে লৈঙ্গিকভিত্তিক বিশ্লেষণ দরকার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) তাদের প্রথম ‘হাউসহোল্ড প্রোডাকশন স্যাটেলাইট অ্যাকাউন্টস’ (এইচপিএসএ) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক মূল্য নির্দেশ করা হয়েছে ৬ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা, যা দেশের মোট জিডিপির ১৮ দশমিক ৯ শতাংশের সমান। এই তথ্য নারীর অর্থনৈতিক অবদানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে, যা এত দিন অবমূল্যায়িত ছিল। দীর্ঘদিন থেকে উপেক্ষিত হলেও জাতীয় অর্থনীতিকে টিকিয়ে রাখার মূল ভিত্তি হিসেবে থাকা নারীর এই অদৃশ্য শ্রমের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিকে ভীষণ ইতিবাচক হিসেবে বিবেচনা করেছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ)।
অবৈতনিক গৃহস্থালি কাজের আর্থিক মূল্য প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকা। এতে নারীর অবদান প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার কোটি টাকা। এইচপিএসএ রিপোর্ট, ২০২৫, বিবিএস
প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম এই প্রতিবেদন প্রকাশকে বাংলাদেশে জেন্ডার সমতার জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি এই বিষয়কে নারী ও কন্যাশিশুদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ‘সহিংসতা, বাল্যবিবাহ—সবকিছুর মূলেই আছে পরিবারের একটা অবস্থান। পারিবারিকভাবেই নারীদের কম গুরুত্ব দেওয়া হয়। পরিবারে নারীর মর্যাদা বাড়লেই সহিংসতা অনেক কমে যাবে। পরিবার যখন নারীর কাজকে মূল্যায়ন করতে শিখবে, তখন নারীর অবস্থান আরও শক্ত হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক বলেন, ‘আমাদের ধৈর্য, ভালোবাসা আর সম্মানের জায়গা অনেক কম। একে অন্যকে সম্মান করলে যে আরও বেশি ভালো পর্যায়ে যাওয়া যায়, এই জায়গাটায় আমাদের সমস্যা। অস্থিরতা থেকেই সহিংসতা বাড়ছে।’ সহিংসতার নিবারণ পরিবার থেকে আসতে হবে।
নারীদের কাজকে মূল্যায়ন করে তার একটি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করা হলে নারীর গুরুত্ব সমাজে প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। গৃহস্থালি কাজের অর্থনৈতিক অবস্থা যখন জিডিপিতে মূল্যায়ন করা হচ্ছে, তখন নারীর কাজের মূল্যায়ন আরও এক ধাপ এগিয়ে যাবে বলে মনে করছেন অনেকে। জিডিপির বিষয়টি নারীর পরিবারের কাছে তুলে ধরা গেলে পারিবারিকভাবে নারীদের মূল্যায়ন বাড়বে বলে মনে করেন শাহিন আনাম।
সে ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সহিংসতাও কমে আসবে। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি পরিবারে নারীর অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দেবে। এমনকি সমাজে নারীদের সমান চোখে দেখা হবে। শুধু নৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বদলে নারীর অবস্থানকে দৃঢ় করা সম্ভব নয়।’
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে উল্লেখ করেন শাহিন আনাম। তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রকে এমন কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে নারীর কাজের ভার কমে, তাদের কাজের দক্ষতা আরও বাড়ে। বাড়ির কাজ কিংবা বাইরের—যেখানে তাদের ইচ্ছা, সেখানেই যেন তারা স্বচ্ছন্দে কাজ করতে পারে, এমন কাজের পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে।
তবে গৃহস্থালির কাজকে মূল্যায়ন করে এর একটি অর্থনৈতিক দিক বিবেচনায় আনা হলেও, নারীর ব্যক্তিগত আয় থেকে তাদের আর্থিক সচ্ছলতার ব্যাপারটি এখনো ধোঁয়াশা। আর্থিক সচ্ছলতা নারীর অবস্থানকে শক্ত করবে বলা হলেও দেখা যায়, অনেক নারী আর্থিকভাবে সচ্ছল হয়েও পরিবারে সিদ্ধান্ত নেওয়া তাদের ক্ষমতার বাইরেই থেকে যায়।
নারীর অবদানকে স্বীকৃতি না দিলে জাতীয় অর্থনীতির একটি বিরাট অংশ অদৃশ্য থেকে যায়। তাই স্বীকৃতি শুধু নীতিগত দায়িত্ব নয়, এটি একটি অর্থনৈতিক প্রয়োজন। নারীর গৃহস্থালি এবং সেবামূলক কাজকে জিডিপিতে অন্তর্ভুক্ত করতে পারলে অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জেন্ডার সমতা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। বিষয়টি বিবেচনা করে পরিবার ও সমাজে নারীর অবস্থানকে আরও দৃঢ় করা সম্ভব। সে ক্ষেত্রে নারীর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা ও গুরুত্ব আরও বেড়ে যাবে।
করোনার সময় চারদিক অচল হয়ে পড়ে। সেই সময় বগুড়ার মাসুমা ইসলাম নামের ছাব্বিশ বছরের এই গৃহিণী ঘরে বসে শুরু করলেন এক নতুন উদ্যোগ। এর মধ্যে চাকরি হারালেন তাঁর স্বামী, থমকে গেল সংসার। কিন্তু হাল ছাড়লেন না মাসুমা। মাত্র ৩০০ টাকা মূলধন দিয়ে শুরু করে এখন তিনি হয়ে উঠেছেন সফল উদ্যোক্তা।
১০ ঘণ্টা আগেআমার ছবি ও নাম ব্যবহার করে ফেসবুকে কেউ একজন ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলেছে। আমার পরিচিত সবাইকে ফ্রেন্ডস রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছে। সবাই আমাকে ভেবে অ্যাকসেপ্ট করছে। সবার কাছে আমার নামে খারাপ খারাপ কথা বলছে এবং টাকা ধার চাচ্ছে। আমার কয়েক বন্ধু অ্যাকাউন্টে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাদেরও অনেক বাজে কথা বলছে। আমার কাছের
১১ ঘণ্টা আগে১২ সেপ্টেম্বর নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন সুশীলা কারকি। হিসাব বলছে, নেপালে বিচার বিভাগ প্রতিষ্ঠার ৬৫ বছরের বেশি সময়ের ইতিহাসে প্রথম নারী প্রধান বিচারপতি তিনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর ক্ষেত্রে সে সময়কালটা আরও বেশি। দেশটির ৭৫ বছরের গণতন্ত্রের ইতিহাসে আনুষ্ঠানিক নিয়োগের মাধ্যমে প্রথম নারী
১২ ঘণ্টা আগেসমান মূল্যের কাজের জন্য সমান বেতন পাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতিবছরের ১৮ সেপ্টেম্বর পালিত হয় আন্তর্জাতিক সমান বেতন দিবস। কাজে সমান বেতন পাওয়া নিয়ে নারীদের আন্দোলনের ইতিহাসটা অনেক পুরোনো। সেই আন্দোলনে নারী অর্থনীতিবিদ থেকে শুরু করে অভিনেত্রী— সবাই অবদান রেখেছেন নিজ নিজ জায়গায়।
১২ ঘণ্টা আগে