জাহীদ রেজা নূর
কিছু নির্দোষ রুশ রাজনৈতিক চুটকি থাকল আজ। রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে নির্মম সব মজা করতে পারে রুশ দেশের নাগরিকেরা। নিজেদের অসহায়ত্ব আর বোকামিকেও ছাড় দেয় না তারা। সে রকমই কয়েকটি কৌতুকের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন আপনারা।
১.
আমলারা যখন চুরি করে আর ঘুষ খায়, সেটাকে মূল সমস্যা বলে মনে করা ঠিক হবে না। সমস্যার শুরু হয় তখন, যখন আমলারা চুরি করা আর ঘুষ খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজই করতে পারে না।
২.
বড় এক আমলার বাড়িতে মা উপদেশ দিচ্ছেন তাঁর সন্তানকে:
‘হাত সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত। এ কারণেই কিছু খাওয়ার আগে, আর ঘুষ খাওয়ার পরে হাত পরিষ্কার রাখতে হয়।
৩.
সরকারি গোয়েন্দা সংস্থায় গোপন টেলিফোন চালু হয়েছে। যিনি ফোন করবেন, তাঁর নাম–পরিচয় কেউ জানতে পারবে না, গোপন থাকবে।
গোপন কোনো দুর্নীতির খবর দেওয়ার জন্য ফোন করেছেন একজন। ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমি কি নাম–পরিচয় গোপন রেখে গোয়েন্দা সংস্থার এই ফোনে কথা বলতে পারি?’
‘নিশ্চয়ই পারেন, জনসেবা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মিখাইল মিখাইলোভিচ!’
৪.
গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন পড়ছেন কেজিবির পরিচালক। একপর্যায়ে তিনি পুতিনকে বলছেন:
‘ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন, অজ্ঞাতনামা কিছু মানুষ বিরোধী দলীয় নেতা জুগানভকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু তাঁকে হত্যা করতে পারেনি। এর পর তারা লুকিয়ে পড়েছে। আমরা এখন এ বিষয়ে কী করতে পারি?’
পুতিনের উত্তর, ‘ওই অজ্ঞাতনামা মানুষগুলোকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বের করে দাও। ওদের আর চাকরি নেই। আর জুগানভের ওপর অপারেশনের পুনরাবৃত্তি করো!’
৫.
ছেলেবেলার প্রবাদবাক্য ছিল এ রকম—‘যতক্ষণ খাব, ততক্ষণ কথা বলব না, কিছু শুনব না।’ এখন এটা রাষ্ট্রীয় খাওয়া–খাওয়ির মূলমন্ত্র।
৬.
দয়ালু পুতিনকে ভালোবাসতে পারছেন না? তাহলে আপনার সামনে খোলা আছে আর মাত্র একটাই পথ—রাগি পুতিনকে ভালোবাসুন।
৭.
‘ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন, রাজনীতিতে আপনার এই দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকার রহস্য কী?’
‘রহস্য আর কিছু নয়, ভেড়া!’
‘বলেন কী! ভেড়া! নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ঠিক রাখার জন্য ভেড়া কীভাবে আপনাকে সাহায্য করে?’
‘আমি যা–ই করি না কেন, ভেড়ার পাল আমাকেই ভোট দেবে।’
৮.
আপনি যদি জানতে চান—সংকটের সমাধান হয়েছে, তাহলে টেলিভিশনে সে খবর শুনে নিলেই হবে। আর যদি সত্যিই বুঝতে চান সংকটের স্বরূপ, তাহলে দয়া করে টেলিভিশন বন্ধ রাখুন। এমনিতেই তা বুঝতে পারবেন।
৯.
যদি সত্যিই বিশ্বাস করতে হয় যে, পৃথিবীতে জ্ঞানী মানুষের চেয়ে বোকা মানুষই বেশি, তাহলে গণতন্ত্র এবং সরাসরি ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনাকে আজব ঘটনা বলেই মনে হবে।
১০.
পুতিন যখন দেশের অর্থনীতিকে ওপরে তুলে আনলেন, তখন তা তিনি কোথায় নিয়ে রাখলেন?
১১.
‘পুতিনকে যদি স্কুলের হেডমাস্টার বানানো হয়, তাহলে কী হবে?’
‘তাহলে ঘণ্টা–টণ্টা পড়বে না, টিফিন পিরিয়ড থাকবে না। একটাই ক্লাস চলবে দিনের পর দিন…।’
আরও পড়ুন
কিছু নির্দোষ রুশ রাজনৈতিক চুটকি থাকল আজ। রাজনীতি এবং রাজনীতিবিদদের নিয়ে নির্মম সব মজা করতে পারে রুশ দেশের নাগরিকেরা। নিজেদের অসহায়ত্ব আর বোকামিকেও ছাড় দেয় না তারা। সে রকমই কয়েকটি কৌতুকের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন আপনারা।
১.
আমলারা যখন চুরি করে আর ঘুষ খায়, সেটাকে মূল সমস্যা বলে মনে করা ঠিক হবে না। সমস্যার শুরু হয় তখন, যখন আমলারা চুরি করা আর ঘুষ খাওয়া ছাড়া আর কোনো কাজই করতে পারে না।
২.
বড় এক আমলার বাড়িতে মা উপদেশ দিচ্ছেন তাঁর সন্তানকে:
‘হাত সবসময় পরিস্কার রাখা উচিত। এ কারণেই কিছু খাওয়ার আগে, আর ঘুষ খাওয়ার পরে হাত পরিষ্কার রাখতে হয়।
৩.
সরকারি গোয়েন্দা সংস্থায় গোপন টেলিফোন চালু হয়েছে। যিনি ফোন করবেন, তাঁর নাম–পরিচয় কেউ জানতে পারবে না, গোপন থাকবে।
গোপন কোনো দুর্নীতির খবর দেওয়ার জন্য ফোন করেছেন একজন। ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করছেন, ‘আমি কি নাম–পরিচয় গোপন রেখে গোয়েন্দা সংস্থার এই ফোনে কথা বলতে পারি?’
‘নিশ্চয়ই পারেন, জনসেবা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব জনাব মিখাইল মিখাইলোভিচ!’
৪.
গোয়েন্দা সংস্থার বার্ষিক প্রতিবেদন পড়ছেন কেজিবির পরিচালক। একপর্যায়ে তিনি পুতিনকে বলছেন:
‘ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন, অজ্ঞাতনামা কিছু মানুষ বিরোধী দলীয় নেতা জুগানভকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। কিন্তু তাঁকে হত্যা করতে পারেনি। এর পর তারা লুকিয়ে পড়েছে। আমরা এখন এ বিষয়ে কী করতে পারি?’
পুতিনের উত্তর, ‘ওই অজ্ঞাতনামা মানুষগুলোকে গোয়েন্দা সংস্থা থেকে বের করে দাও। ওদের আর চাকরি নেই। আর জুগানভের ওপর অপারেশনের পুনরাবৃত্তি করো!’
৫.
ছেলেবেলার প্রবাদবাক্য ছিল এ রকম—‘যতক্ষণ খাব, ততক্ষণ কথা বলব না, কিছু শুনব না।’ এখন এটা রাষ্ট্রীয় খাওয়া–খাওয়ির মূলমন্ত্র।
৬.
দয়ালু পুতিনকে ভালোবাসতে পারছেন না? তাহলে আপনার সামনে খোলা আছে আর মাত্র একটাই পথ—রাগি পুতিনকে ভালোবাসুন।
৭.
‘ভ্লাদিমির ভ্লাদিমিরোভিচ পুতিন, রাজনীতিতে আপনার এই দীর্ঘসময় সক্রিয় থাকার রহস্য কী?’
‘রহস্য আর কিছু নয়, ভেড়া!’
‘বলেন কী! ভেড়া! নিজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ঠিক রাখার জন্য ভেড়া কীভাবে আপনাকে সাহায্য করে?’
‘আমি যা–ই করি না কেন, ভেড়ার পাল আমাকেই ভোট দেবে।’
৮.
আপনি যদি জানতে চান—সংকটের সমাধান হয়েছে, তাহলে টেলিভিশনে সে খবর শুনে নিলেই হবে। আর যদি সত্যিই বুঝতে চান সংকটের স্বরূপ, তাহলে দয়া করে টেলিভিশন বন্ধ রাখুন। এমনিতেই তা বুঝতে পারবেন।
৯.
যদি সত্যিই বিশ্বাস করতে হয় যে, পৃথিবীতে জ্ঞানী মানুষের চেয়ে বোকা মানুষই বেশি, তাহলে গণতন্ত্র এবং সরাসরি ভোটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘটনাকে আজব ঘটনা বলেই মনে হবে।
১০.
পুতিন যখন দেশের অর্থনীতিকে ওপরে তুলে আনলেন, তখন তা তিনি কোথায় নিয়ে রাখলেন?
১১.
‘পুতিনকে যদি স্কুলের হেডমাস্টার বানানো হয়, তাহলে কী হবে?’
‘তাহলে ঘণ্টা–টণ্টা পড়বে না, টিফিন পিরিয়ড থাকবে না। একটাই ক্লাস চলবে দিনের পর দিন…।’
আরও পড়ুন
চুরি গেছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে গাড়ি কোথায় আছে সে তথ্য বের করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এতটাই ‘ব্যস্ত’ যে, কোথায় আছে গাড়িটি সে তথ্য থাকার পর এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সময় বা সুযোগ তাদের নেই। এ অবস্থা দেখে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই
১১ দিন আগেসাইপ্রাসের লিমাসলের বাসিন্দা লিউবভ সিরিকের (২০) একটি অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চা পান করতে ভালোবাসেন, কিন্তু মার্কেটিং ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা লিউবভ পছন্দ করেন চা-পাতা ও টি-ব্যাগ। তাঁর মতে, এটি ‘সুস্বাদু’ এবং তিনি দিনে দুবার...
১৬ মে ২০২৫সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫আজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
২০ এপ্রিল ২০২৫