সুইস আল্পসের ঢালে গ্রীষ্মে গরু চড়ে বেড়ানো অতি পরিচিত এক দৃশ্য। বছরের অন্য সময় আবার একই জায়গা ঢেকে যায় বরফে, সেখানে তখন স্কিইং করতে আসা মানুষের রাজত্ব। শীতের ঝড় শুরুর আগে এই গরুগুলো কীভাবে নেমে আসে?
এই গরুগুলো আল্পসের ঢাল ধরে নেমে আসে প্যারেড বা মহড়া দিয়ে। গলার ঘণ্টার টুংটাং শব্দ তুলে যখন নেমে আসে তখন তাদের মাথায় থাকে ফুলের মুকুট। সুইজারল্যান্ডের প্রতি বসন্তে ছোট-বড় অন্তত ৭ হাজার জায়গায় আড়াই লাখ গরু আজব এই প্যারেডে অংশ নেয়।
শুধু গরু নয়, ছাগলকেও ফুলের মুকুটে সজ্জিত হয়ে অংশ নিতে দেখা যায় মহড়ায়, সঙ্গে থাকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত কৃষক আর রাখালেরা।
বহু বছর ধরেই সুইস ও তাঁদের প্রতিবেশী অস্ট্রিয়ানরা আল্পসের এই পাহাড়ি ভূমির সুবিধা কাজে লাগিয়ে আসছেন। কীভাবে? গ্রীষ্মে পর্বতের ওপরে গবাদিপশুকে তাঁরা চড়াতে নিয়ে যান সবুজ ঘাস ও নানা উদ্ভিদ খাওয়ানোর জন্য। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও এসব জায়গায় উষ্ণ সময়টা এখানে খুবই স্বল্পস্থায়ী। কাজেই মে-জুনের দিকে কৃষক ও রাখালেরা যখন তাঁদের পশুগুলোকে পর্বতে পাঠান, তখন পরের কয়েক মাসের জন্য নিজেরাও এদের সঙ্গে যোগ দেন।
কখন গবাদিপশুসহ রাখাল–কৃষকেরা ফিরবেন তা নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। যদি গ্রীষ্মে বৃষ্টি ভালো হয় ও পর্বতের ঘাস শুকাতে শুরু করে তাঁরা আগস্টের শেষ দিকে নামতে শুরু করেন। আর মৌসুমটি যদি শুষ্ক হয় তবে তাঁরা একটু দেরি করে মধ্য অক্টোবরের দিকে নামতে শুরু করেন। আর এই সময়ই এটি আকর্ষণীয় একটি বিষয়ে পরিণত হয়।
গরুসমেত সাধারণভাবে নেমে না এসে একটা প্যারেড বা মহড়ার মতো করে পশুগুলোকে নামান তাঁরা। অনেক সময়ই পশুগুলোর মাথায়, গলায় শোভা পায় ফুলের মুকুট, মালা। কখনো কখনো দেখা যায় প্যারেডের সামনে থাকছে ছাগল ও ছাগলের রাখাল। তার পেছনে থাকে খামারের গরুগুলো। এদের মূল্য যে সুইসদের কাছে অনেক বেশি, এটা বোঝানোর জন্য এদের পরানো হয় ফুলের বিশেষ ধরনের মুকুট। অনেক সময়ই প্যারেডে অংশ নেওয়া পশুগুলোর মধ্যে কিং ও কুইন অর্থাৎ রাজা–রানি থাকে। বিশেষ মুকুটের পাশাপাশি এদের গায়ে থাকে লাল ফিতা, কলারে বিশাল ঘণ্টা। প্যারেডে অংশ নেওয়া কৃষক ও রাখালদের পরনে থাকে ঐতিহ্যবাহী সুইস পোশাক।
এখন ভাবতে পারেন খামারের গরুগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ শত শত বছর ধরে চলে আসা সুইস জীবনধারায় তারা আছে মোটামুটি কেন্দ্রবিন্দুতে। এটা ভুললে চলবে না, সেরা জাতের দুধ দেয় তারা, যা ব্যবহার করা হয় বিখ্যাত সুইস চকলেট ও পনির তৈরিতে। বলতে পারেন, কাউ প্যারেড হলো প্রাণীটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানানোর একটি উপায় সুইসদের।
সুইজারল্যান্ডে গরুদের এই প্যারেড বলুন কি শোভাযাত্রা কিংবা মহড়া, জায়গা ভেদে এর চরিত্র ও উদ্যাপনে পার্থক্য চোখে পড়ে। উদাহরণ হিসেবে সেন্ট গ্যালেন নামের জায়গাটিতে উৎসবের মূল আকর্ষণ রাখালদের পোশাকে। ফুলের কাজ করা পোশাক ও টুপি পরেন তাঁরা। এদিকে গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই ফুলে সজ্জিত থাকে। কখনো শোভাযাত্রায় থাকে কাঠের প্ল্যাকার্ড, যেখানে লেখা থাকে সেন্ট গ্যালেন সুইজারল্যান্ডের অন্য এলাকাগুলো থেকে আলাদা। প্যারেডের পর খোলা বাজারে ইচ্ছেমতো খাদ্য আর পানীয়র আয়োজন থাকে সেন্ট গ্যালেনবাসীর জন্য।
একইভাবে গ্রউবান্দেনে রাখালেরা নিজেদের পোশাকের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকেন। তাঁদের পরনে থাকে নীল শার্ট, হলুদ চামড়ার প্যান্ট, মাথায় ফুল সজ্জিত কালো ফেল্ট টুপি। গরুদের মাথার মুকুট বা ড্রেসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। যা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পাইনের ডাল, ফল, সূর্যমুখী ফুল ও আল্পসের বুনো ফুল। এ ছাড়া এখানেও খোলা মার্কেটে খাওয়া-দাওয়া করেন সবাই মিলে। পরিবারের সবাই খোলা জায়গায় জোরে গান গান ও গবাদিপশুর লোম ছাঁটেন।
এই প্যারেডগুলোর সঙ্গে আবার পার্থক্য আছে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের প্যারেডের। সেখানে বসন্তে পশু নেমে আসার সময়ের বদলে গ্রীষ্মে গবাদিপশু পর্বতের দিকে নিয়ে যাওয়াটা উদ্যাপন করা হয়। জুনের নির্দিষ্ট ছুটির দিনে এক সারিতে অন্তত ৫০০ গরু নিয়ে যাওয়া হয় কাছের পর্বতের দিকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকেরা কেব্ল কারে চেপে দেখতে পারেন এই দৃশ্য।
সূত্র: মেটাডর নেটওয়ার্ক ডট কম, হিন্দুস্তান টাইমস
সুইস আল্পসের ঢালে গ্রীষ্মে গরু চড়ে বেড়ানো অতি পরিচিত এক দৃশ্য। বছরের অন্য সময় আবার একই জায়গা ঢেকে যায় বরফে, সেখানে তখন স্কিইং করতে আসা মানুষের রাজত্ব। শীতের ঝড় শুরুর আগে এই গরুগুলো কীভাবে নেমে আসে?
এই গরুগুলো আল্পসের ঢাল ধরে নেমে আসে প্যারেড বা মহড়া দিয়ে। গলার ঘণ্টার টুংটাং শব্দ তুলে যখন নেমে আসে তখন তাদের মাথায় থাকে ফুলের মুকুট। সুইজারল্যান্ডের প্রতি বসন্তে ছোট-বড় অন্তত ৭ হাজার জায়গায় আড়াই লাখ গরু আজব এই প্যারেডে অংশ নেয়।
শুধু গরু নয়, ছাগলকেও ফুলের মুকুটে সজ্জিত হয়ে অংশ নিতে দেখা যায় মহড়ায়, সঙ্গে থাকে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরিহিত কৃষক আর রাখালেরা।
বহু বছর ধরেই সুইস ও তাঁদের প্রতিবেশী অস্ট্রিয়ানরা আল্পসের এই পাহাড়ি ভূমির সুবিধা কাজে লাগিয়ে আসছেন। কীভাবে? গ্রীষ্মে পর্বতের ওপরে গবাদিপশুকে তাঁরা চড়াতে নিয়ে যান সবুজ ঘাস ও নানা উদ্ভিদ খাওয়ানোর জন্য। তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও এসব জায়গায় উষ্ণ সময়টা এখানে খুবই স্বল্পস্থায়ী। কাজেই মে-জুনের দিকে কৃষক ও রাখালেরা যখন তাঁদের পশুগুলোকে পর্বতে পাঠান, তখন পরের কয়েক মাসের জন্য নিজেরাও এদের সঙ্গে যোগ দেন।
কখন গবাদিপশুসহ রাখাল–কৃষকেরা ফিরবেন তা নির্ভর করে আবহাওয়ার ওপর। যদি গ্রীষ্মে বৃষ্টি ভালো হয় ও পর্বতের ঘাস শুকাতে শুরু করে তাঁরা আগস্টের শেষ দিকে নামতে শুরু করেন। আর মৌসুমটি যদি শুষ্ক হয় তবে তাঁরা একটু দেরি করে মধ্য অক্টোবরের দিকে নামতে শুরু করেন। আর এই সময়ই এটি আকর্ষণীয় একটি বিষয়ে পরিণত হয়।
গরুসমেত সাধারণভাবে নেমে না এসে একটা প্যারেড বা মহড়ার মতো করে পশুগুলোকে নামান তাঁরা। অনেক সময়ই পশুগুলোর মাথায়, গলায় শোভা পায় ফুলের মুকুট, মালা। কখনো কখনো দেখা যায় প্যারেডের সামনে থাকছে ছাগল ও ছাগলের রাখাল। তার পেছনে থাকে খামারের গরুগুলো। এদের মূল্য যে সুইসদের কাছে অনেক বেশি, এটা বোঝানোর জন্য এদের পরানো হয় ফুলের বিশেষ ধরনের মুকুট। অনেক সময়ই প্যারেডে অংশ নেওয়া পশুগুলোর মধ্যে কিং ও কুইন অর্থাৎ রাজা–রানি থাকে। বিশেষ মুকুটের পাশাপাশি এদের গায়ে থাকে লাল ফিতা, কলারে বিশাল ঘণ্টা। প্যারেডে অংশ নেওয়া কৃষক ও রাখালদের পরনে থাকে ঐতিহ্যবাহী সুইস পোশাক।
এখন ভাবতে পারেন খামারের গরুগুলো এত গুরুত্বপূর্ণ কেন? কারণ শত শত বছর ধরে চলে আসা সুইস জীবনধারায় তারা আছে মোটামুটি কেন্দ্রবিন্দুতে। এটা ভুললে চলবে না, সেরা জাতের দুধ দেয় তারা, যা ব্যবহার করা হয় বিখ্যাত সুইস চকলেট ও পনির তৈরিতে। বলতে পারেন, কাউ প্যারেড হলো প্রাণীটির প্রতি কৃতজ্ঞতা ও সম্মান জানানোর একটি উপায় সুইসদের।
সুইজারল্যান্ডে গরুদের এই প্যারেড বলুন কি শোভাযাত্রা কিংবা মহড়া, জায়গা ভেদে এর চরিত্র ও উদ্যাপনে পার্থক্য চোখে পড়ে। উদাহরণ হিসেবে সেন্ট গ্যালেন নামের জায়গাটিতে উৎসবের মূল আকর্ষণ রাখালদের পোশাকে। ফুলের কাজ করা পোশাক ও টুপি পরেন তাঁরা। এদিকে গরুগুলো স্বাভাবিকভাবেই ফুলে সজ্জিত থাকে। কখনো শোভাযাত্রায় থাকে কাঠের প্ল্যাকার্ড, যেখানে লেখা থাকে সেন্ট গ্যালেন সুইজারল্যান্ডের অন্য এলাকাগুলো থেকে আলাদা। প্যারেডের পর খোলা বাজারে ইচ্ছেমতো খাদ্য আর পানীয়র আয়োজন থাকে সেন্ট গ্যালেনবাসীর জন্য।
একইভাবে গ্রউবান্দেনে রাখালেরা নিজেদের পোশাকের ব্যাপারে খুব সচেতন থাকেন। তাঁদের পরনে থাকে নীল শার্ট, হলুদ চামড়ার প্যান্ট, মাথায় ফুল সজ্জিত কালো ফেল্ট টুপি। গরুদের মাথার মুকুট বা ড্রেসের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। যা তৈরিতে ব্যবহার করা হয় পাইনের ডাল, ফল, সূর্যমুখী ফুল ও আল্পসের বুনো ফুল। এ ছাড়া এখানেও খোলা মার্কেটে খাওয়া-দাওয়া করেন সবাই মিলে। পরিবারের সবাই খোলা জায়গায় জোরে গান গান ও গবাদিপশুর লোম ছাঁটেন।
এই প্যারেডগুলোর সঙ্গে আবার পার্থক্য আছে সুইজারল্যান্ডের রাজধানী বার্নের প্যারেডের। সেখানে বসন্তে পশু নেমে আসার সময়ের বদলে গ্রীষ্মে গবাদিপশু পর্বতের দিকে নিয়ে যাওয়াটা উদ্যাপন করা হয়। জুনের নির্দিষ্ট ছুটির দিনে এক সারিতে অন্তত ৫০০ গরু নিয়ে যাওয়া হয় কাছের পর্বতের দিকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা পর্যটকেরা কেব্ল কারে চেপে দেখতে পারেন এই দৃশ্য।
সূত্র: মেটাডর নেটওয়ার্ক ডট কম, হিন্দুস্তান টাইমস
চুরি গেছে গাড়ি। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করলেন যুক্তরাজ্যের এক দম্পতি। তথ্যপ্রযুক্তির বদৌলতে গাড়ি কোথায় আছে সে তথ্য বের করে ফেলেছিলেন তাঁরা। কিন্তু পুলিশ এতটাই ‘ব্যস্ত’ যে, কোথায় আছে গাড়িটি সে তথ্য থাকার পর এ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া সময় বা সুযোগ তাদের নেই। এ অবস্থা দেখে গাড়ি উদ্ধারে নিজেরাই
১২ দিন আগেসাইপ্রাসের লিমাসলের বাসিন্দা লিউবভ সিরিকের (২০) একটি অদ্ভুত খাদ্যাভ্যাস সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে। বেশির ভাগ মানুষ চা পান করতে ভালোবাসেন, কিন্তু মার্কেটিং ব্র্যান্ড ম্যানেজার হিসেবে কাজ করা লিউবভ পছন্দ করেন চা-পাতা ও টি-ব্যাগ। তাঁর মতে, এটি ‘সুস্বাদু’ এবং তিনি দিনে দুবার...
১৬ মে ২০২৫সময়টা ১৮৫৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বরের সকাল। এক সুসজ্জিত ব্যক্তি সান ফ্রান্সিসকোর ‘দ্য সান ফ্রান্সিসকো ইভনিং বুলেটিনের’ কার্যালয়ে প্রবেশ করে একটি ঘোষণাপত্র জমা দেন, যেখানে নিজেকে ‘যুক্তরাষ্ট্রের সম্রাট’ বলে ঘোষণা করেন। ওই ব্যক্তি ছিলেন জোশুয়া নর্টন।
২২ এপ্রিল ২০২৫আজ ফোর টুয়েন্টি (৪২০) দিবস। সংখ্যাটা পড়েই ভাবছেন প্রতারকদের দিবস আজ? না না। এই ফোর টুয়েন্টি সেই ফোর টুয়েন্টি নয়। পশ্চিমা বিশ্বে এই সংখ্যা গাঁজা সংস্কৃতির কোড ভাষা।
২০ এপ্রিল ২০২৫