অনলাইন ডেস্ক
গত ১৫ বছরে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একমাত্র স্থিতিশীলতার প্রতীক ল্যারি—ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত বিড়াল। এই ট্যাবি বিড়াল এরই মধ্যে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর ‘অধীনে’ ডাউনিং স্ট্রিটের ‘চিফ মাউজার’ বা প্রধান ইঁদুর শিকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে। বর্তমানে সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দায়িত্ব পালন করছে।
ল্যারি টানা পাঁচজন কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছে। তার জীবদ্দশায় সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে। তিনি গত বছর বিবিসিকে বলেছিলেন, তাঁদের পরিবারেও একটি বিড়াল রয়েছে—নাম ‘জোজো।’ তাঁর সন্তানেরা জোজোকে যতটা আদর করে, তাঁকে তারচেয়ে কম করে।
মেট্রো পত্রিকাকে স্টারমার আরও জানান, তাঁদের একটি পোষা হ্যামস্টারও রয়েছে—নাম ‘বিয়ার’। তবে তিনি জেতার পর তাদের কেউ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে স্টারমারের পোষা আরও একটি বিড়াল ‘প্রিন্স’ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হয়েছে।
ল্যারি নিজের এলাকা নিয়ে সব সময়ই কড়াকড়ি করেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বিড়াল ‘পামারস্টনের’ সঙ্গে শীর্ষ বিড়াল হওয়ার প্রতিযোগিতায় একাধিকবার লড়েছে ল্যারি। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে অবসর নিয়ে গ্রামে চলে যায় পামারস্টন। এমনকি লন্ডন নগরীর শিয়াল আর অসতর্ক কবুতরদেরও নিজ এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ল্যারি। তবে একবার এক কবুতর অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ল্যারির আক্রমণের শিকার হয়। অল্পের জন্য তার থাবা থেকে বেঁচে যায় সেই কবুতর।
ল্যারি প্রথমবার ডাউনিং স্ট্রিটে হাজির হয় ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ লন্ডনের ব্যাটারসি শেল্টার থেকে তাকে দত্তক নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় তাকে ইঁদুর ধরার জন্য আনা হয়। তখনই তার সরকারি পদবি হয়, ‘চিফ মাউজার।’
তবে এই দপ্তরে তার কাজ খুব একটা প্রশংসা কুড়ায়নি, যদিও শুরুর দিকে কিছু সাফল্য ছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কাভার করা সাংবাদিকদের অনেকেই বলেছেন, ল্যারি সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ বন্ধুসুলভ। বিবিসির রাজনৈতিক সংবাদদাতা হেলেন ক্যাট বলেন, ‘সে বেশ কৌতূহলী। আপনি যখন ক্যামেরা ক্রু নিয়ে যান, তখন সে এসে দেখে আপনি কী করছেন, সংবাদমাধ্যম কী করছে—এগুলো দেখতে পছন্দ করে।’
তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যোগ করেন হেলেন ক্যাট। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন ডাউনিং স্ট্রিটে লাইভ করছেন, তখন সব সময় মনে রাখতে হয়, যদি সে আপনার পেছনে এসে হাজির হয়, অনেকেই আর আপনার কথা শুনবে না—সব মনোযোগ চলে যাবে তার দিকে।’
এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটে ল্যারির ক্ষমতার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জানিয়েছিল তার দীর্ঘস্থায়িত্বের রহস্য। অবশ্যই এই সাক্ষাৎকার ল্যারিকে পরিচালনাকারী বিভাগের লোকজন দিয়েছিলেন। তাঁরা ল্যারির জাবানে বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি এখানে স্থায়ীভাবে থাকি। রাজনীতিবিদেরা এখানে কিছুদিনের জন্য ভাড়া থাকেন, তারপর বরখাস্ত হন। একসময় তাঁরা সবাই বুঝে যান, আসল বস আমি।’
গত ১৫ বছরে ব্রিটেনে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে একমাত্র স্থিতিশীলতার প্রতীক ল্যারি—ডাউনিং স্ট্রিটের বিখ্যাত বিড়াল। এই ট্যাবি বিড়াল এরই মধ্যে পাঁচ প্রধানমন্ত্রীর ‘অধীনে’ ডাউনিং স্ট্রিটের ‘চিফ মাউজার’ বা প্রধান ইঁদুর শিকারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে ফেলেছে। বর্তমানে সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে দায়িত্ব পালন করছে।
ল্যারি টানা পাঁচজন কনজারভেটিভ প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছে। তার জীবদ্দশায় সে ষষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেয়েছে লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে। তিনি গত বছর বিবিসিকে বলেছিলেন, তাঁদের পরিবারেও একটি বিড়াল রয়েছে—নাম ‘জোজো।’ তাঁর সন্তানেরা জোজোকে যতটা আদর করে, তাঁকে তারচেয়ে কম করে।
মেট্রো পত্রিকাকে স্টারমার আরও জানান, তাঁদের একটি পোষা হ্যামস্টারও রয়েছে—নাম ‘বিয়ার’। তবে তিনি জেতার পর তাদের কেউ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে এসেছে কি না, তা জানা যায়নি। তবে স্টারমারের পোষা আরও একটি বিড়াল ‘প্রিন্স’ ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসিন্দা হয়েছে।
ল্যারি নিজের এলাকা নিয়ে সব সময়ই কড়াকড়ি করেছে। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের বিড়াল ‘পামারস্টনের’ সঙ্গে শীর্ষ বিড়াল হওয়ার প্রতিযোগিতায় একাধিকবার লড়েছে ল্যারি। শেষ পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় হেরে অবসর নিয়ে গ্রামে চলে যায় পামারস্টন। এমনকি লন্ডন নগরীর শিয়াল আর অসতর্ক কবুতরদেরও নিজ এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে ল্যারি। তবে একবার এক কবুতর অনধিকার প্রবেশের অভিযোগে ল্যারির আক্রমণের শিকার হয়। অল্পের জন্য তার থাবা থেকে বেঁচে যায় সেই কবুতর।
ল্যারি প্রথমবার ডাউনিং স্ট্রিটে হাজির হয় ২০১১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি। দক্ষিণ লন্ডনের ব্যাটারসি শেল্টার থেকে তাকে দত্তক নেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের সময় তাকে ইঁদুর ধরার জন্য আনা হয়। তখনই তার সরকারি পদবি হয়, ‘চিফ মাউজার।’
তবে এই দপ্তরে তার কাজ খুব একটা প্রশংসা কুড়ায়নি, যদিও শুরুর দিকে কিছু সাফল্য ছিল। ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কাভার করা সাংবাদিকদের অনেকেই বলেছেন, ল্যারি সাংবাদিকদের সঙ্গে বেশ বন্ধুসুলভ। বিবিসির রাজনৈতিক সংবাদদাতা হেলেন ক্যাট বলেন, ‘সে বেশ কৌতূহলী। আপনি যখন ক্যামেরা ক্রু নিয়ে যান, তখন সে এসে দেখে আপনি কী করছেন, সংবাদমাধ্যম কী করছে—এগুলো দেখতে পছন্দ করে।’
তবে এর কিছু অসুবিধাও রয়েছে, যোগ করেন হেলেন ক্যাট। তিনি বলেন, ‘আপনি যখন ডাউনিং স্ট্রিটে লাইভ করছেন, তখন সব সময় মনে রাখতে হয়, যদি সে আপনার পেছনে এসে হাজির হয়, অনেকেই আর আপনার কথা শুনবে না—সব মনোযোগ চলে যাবে তার দিকে।’
এদিকে ডাউনিং স্ট্রিটে ল্যারির ক্ষমতার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষে এএফপিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সে জানিয়েছিল তার দীর্ঘস্থায়িত্বের রহস্য। অবশ্যই এই সাক্ষাৎকার ল্যারিকে পরিচালনাকারী বিভাগের লোকজন দিয়েছিলেন। তাঁরা ল্যারির জাবানে বলেছেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, আমি এখানে স্থায়ীভাবে থাকি। রাজনীতিবিদেরা এখানে কিছুদিনের জন্য ভাড়া থাকেন, তারপর বরখাস্ত হন। একসময় তাঁরা সবাই বুঝে যান, আসল বস আমি।’
তবে এটি মোটেও শখ করে বাজানো হয় না। বরং, নতুন এই ফ্যাশন গরুকে আরামদায়ক রাখার চেষ্টার পাশাপাশি দুধের মান এবং উৎপাদন বাড়ানোর নতুন উপায় হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই প্রবণতা টিকটকসহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এবং কোটি কোটি দর্শক এর ভিডিও দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগেডেনমার্কের একটি চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ সেখানকার মাংসাশী প্রাণীদের খাদ্য হিসেবে ছোট পোষা প্রাণী দান করার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
২ দিন আগেচীনের ঐতিহ্যবাহী শাওলিন মঠে নতুন বিধিনিষেধ চালু হওয়ার পর ৩০ জনেরও বেশি সন্ন্যাসী ও কর্মচারী মঠ ছেড়ে চলে গেছেন। নতুন নিযুক্ত মঠাধ্যক্ষ শি ইয়েইনলে কঠোর নিয়ম চালু করায় এই পদত্যাগের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। নতুন নিয়মে মোবাইল ব্যবহারের সময় কমানো, কঠোর খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টা বাধ্যতামূলক করা...
২ দিন আগেবিশ্বের সবচেয়ে বড় হাঁ বা ‘সবচেয়ে বড় মুখ খোলার’ রেকর্ড নিজের দখলে নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটার তরুণ আইজ্যাক জনসন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মুখ খোলা অবস্থায় তাঁর ওপরের দাঁত থেকে নিচের দাঁত পর্যন্ত দূরত্ব ১০ দশমিক ১৯৬ সেন্টিমিটার বা ৪ দশমিক ০১৪ ইঞ্চি, যা একটি বেসবলের...
৪ দিন আগে