মাহমুদ হাসান ফাহিম
আমরা আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসের জন্য কত রকমের উপায় অবলম্বন করি। দুই দিনের দুনিয়ার সামান্য ভোগ-সম্ভোগের জন্য কত চেষ্টা-প্রচেষ্টা আমাদের। অথচ প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন দুজাহানের বাদশাহ। তিনি ছিলেন আল্লাহ তাআলার প্রিয় বন্ধু। ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। চাইলে তিনি আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস আর স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন বেছে নিতে পারতেন। এ জন্য তাঁর অবারিত সুযোগ ছিল। তবে তিনি পরজীবনের সুখ-সমৃদ্ধি ইহজীবনের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
দুনিয়াতে বাদশাহি করেছেন ঠিকই, কিন্তু দুনিয়ার জীবনের জন্য কিছু করেননি। কখনো অনাহারে কখনো অর্ধাহারে থেকেছেন। অনেক সময় খাওয়ার মতো একটি খেজুরও থাকত না। এমন সাদামাটা জীবনের বাদশাহ যিনি, তাঁর আরাম-আয়েশের কথা ভাবা যায়! তাঁর দুনিয়াবিমুখ জীবনের একটি প্রামাণ্য চিত্র হজরত ওমর ফারুক (রা.) বর্ণনা করেছেন।
ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি তখন খেজুরের পাতার চাটাইয়ের ওপর শোয়া ছিলেন। আমি বসে পড়লাম। তাঁর পরনে ছিল একটি লুঙ্গি। এ ছাড়া আর কোনো কাপড় নেই। পাঁজরে চাটাইয়ের দাগ বসে গেছে। ঘরের এক কোণে দেখলাম প্রায় এক সা গম, বাবলাগাছের কিছু পাতা এবং ঝুলন্ত একটি পানির মশক। এ অবস্থা দেখে আমার চোখে অশ্রু প্রবাহিত হলো।
নবী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে খাত্তাবের ছেলে, তুমি কাঁদছ কেন?’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর নবী, আমি কেন কাঁদব না? এই চাটাই আপনার পাঁজরে দাগ কেটে দিয়েছে! আর এই হচ্ছে আপনার ধনভান্ডার! এতে যা আছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। অথচ পারস্য রাজা ও রোম সম্রাট বিরাট বিরাট উদ্যান ও ঝরনাসমৃদ্ধ অট্টালিকায় বিলাস-ব্যসনে জীবনযাপন করছে। আর আপনি হলেন আল্লাহর নবী ও তাঁর মনোনীত প্রিয় বান্দা। অথচ আপনার ধনভান্ডারের অবস্থা এই!’ তিনি বলেন, ‘হে খাত্তাবের ছেলে, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও—আমাদের জন্য রয়েছে পরকালের স্থায়ী সুখ-শান্তি এবং ওদের জন্য রয়েছে ইহকালের ভোগ-বিলাস?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৫৩)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
আমরা আরাম-আয়েশ ও ভোগ-বিলাসের জন্য কত রকমের উপায় অবলম্বন করি। দুই দিনের দুনিয়ার সামান্য ভোগ-সম্ভোগের জন্য কত চেষ্টা-প্রচেষ্টা আমাদের। অথচ প্রিয় নবী (সা.) ছিলেন দুজাহানের বাদশাহ। তিনি ছিলেন আল্লাহ তাআলার প্রিয় বন্ধু। ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ রাসুল। চাইলে তিনি আরাম-আয়েশ, ভোগ-বিলাস আর স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন বেছে নিতে পারতেন। এ জন্য তাঁর অবারিত সুযোগ ছিল। তবে তিনি পরজীবনের সুখ-সমৃদ্ধি ইহজীবনের ওপর প্রাধান্য দিয়েছেন।
দুনিয়াতে বাদশাহি করেছেন ঠিকই, কিন্তু দুনিয়ার জীবনের জন্য কিছু করেননি। কখনো অনাহারে কখনো অর্ধাহারে থেকেছেন। অনেক সময় খাওয়ার মতো একটি খেজুরও থাকত না। এমন সাদামাটা জীবনের বাদশাহ যিনি, তাঁর আরাম-আয়েশের কথা ভাবা যায়! তাঁর দুনিয়াবিমুখ জীবনের একটি প্রামাণ্য চিত্র হজরত ওমর ফারুক (রা.) বর্ণনা করেছেন।
ওমর ফারুক (রা.) বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কাছে গেলাম। তিনি তখন খেজুরের পাতার চাটাইয়ের ওপর শোয়া ছিলেন। আমি বসে পড়লাম। তাঁর পরনে ছিল একটি লুঙ্গি। এ ছাড়া আর কোনো কাপড় নেই। পাঁজরে চাটাইয়ের দাগ বসে গেছে। ঘরের এক কোণে দেখলাম প্রায় এক সা গম, বাবলাগাছের কিছু পাতা এবং ঝুলন্ত একটি পানির মশক। এ অবস্থা দেখে আমার চোখে অশ্রু প্রবাহিত হলো।
নবী (সা.) জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে খাত্তাবের ছেলে, তুমি কাঁদছ কেন?’ আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর নবী, আমি কেন কাঁদব না? এই চাটাই আপনার পাঁজরে দাগ কেটে দিয়েছে! আর এই হচ্ছে আপনার ধনভান্ডার! এতে যা আছে তা তো দেখতেই পাচ্ছি। অথচ পারস্য রাজা ও রোম সম্রাট বিরাট বিরাট উদ্যান ও ঝরনাসমৃদ্ধ অট্টালিকায় বিলাস-ব্যসনে জীবনযাপন করছে। আর আপনি হলেন আল্লাহর নবী ও তাঁর মনোনীত প্রিয় বান্দা। অথচ আপনার ধনভান্ডারের অবস্থা এই!’ তিনি বলেন, ‘হে খাত্তাবের ছেলে, তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও—আমাদের জন্য রয়েছে পরকালের স্থায়ী সুখ-শান্তি এবং ওদের জন্য রয়েছে ইহকালের ভোগ-বিলাস?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ: ৪১৫৩)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণের জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ, যার মধ্যে রয়েছে বান্দার মুক্তি ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি তাঁর রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেনেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১১ ঘণ্টা আগে