ইসলাম ডেস্ক
জীবন কখনোই এক রেখায় চলে না। মানুষ তার পথচলায় ভুল করে, পাপ করে, হারিয়ে ফেলে নিজেকে। কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই—এটা মানুষকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। একবার নয়, বারবার।
তাওবা, বা ক্ষমা প্রার্থনা, ইসলামে এমন এক আশ্রয়—যা কখনো বন্ধ হয় না। মানুষ যত বড় পাপই করুক না কেন, আল্লাহর দরজা তার জন্য খোলা থাকে, যতক্ষণ না মৃত্যুর সময় এসে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তবে যারা তওবা করে, নিজেদের সংশোধন করে এবং যা গোপন করেছিল তা প্রকাশ করে, তাদের তওবা আমি কবুল করি। আমি তো তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা: ১৬০)
এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। আমরা হয়তো অনেকবার পাপ করেছি, কিন্তু আল্লাহর দয়া সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, তাওবার শর্তগুলো কী। তাওবার মূলত তিনটি শর্ত রয়েছে—
আর যদি সেই পাপের সঙ্গে মানুষের হক (অধিকার) জড়িত থাকে, তবে তার কাছেও ক্ষমা চাওয়া জরুরি।
তাওবা মানে নিজের পাপের বোঝা স্বীকার করে তা নামিয়ে ফেলা। এক ধরনের আত্মশুদ্ধি, আত্মোপলব্ধি। এটা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং একজন মুসলিমের ইমানের পরিচয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন আদম সন্তান পাপ করে, আর সবচেয়ে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে পাপ করার পর তাওবা করে।’ (জামে তিরমিজি)
তাওবা মানুষকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে আসে। পাপ তাকে যেখানেই নামিয়ে দিক না কেন, তাওবা তাকে আবার ওপরে ওঠার সাহস দেয়। অনেক সময় দেখা যায়—তাওবার পর মানুষ আরও সচেতন হয়, আরও পরিশুদ্ধ হয়।
বর্তমান সমাজে, যেখানে গুনাহ খুব সহজলভ্য, সেখানেই তাওবা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। মোবাইল স্ক্রিনের এক চাহনিতেও হয়তো হারাম আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লুকিয়ে আছে গিবত, পরনিন্দা, অহংকার। এমন বাস্তবতায় একজন মুসলিমের জন্য প্রতিদিন তাওবা করা প্রয়োজন।
সুতরাং, তাওবা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন একটি উপহার, যা কখনো দেরি হয় না, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে ফিরে যেতে চাই।
পাপের অন্ধকার যত গভীরই হোক, আল্লাহর রহমতের আলো তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। ফিরে আসুন। এই ফিরে আসাই—একটি নতুন জীবনের শুরু।
লেখক: আনাস বিন রায়হান
জীবন কখনোই এক রেখায় চলে না। মানুষ তার পথচলায় ভুল করে, পাপ করে, হারিয়ে ফেলে নিজেকে। কিন্তু ইসলামের সৌন্দর্য এখানেই—এটা মানুষকে শুধরে নেওয়ার সুযোগ দেয়। একবার নয়, বারবার।
তাওবা, বা ক্ষমা প্রার্থনা, ইসলামে এমন এক আশ্রয়—যা কখনো বন্ধ হয় না। মানুষ যত বড় পাপই করুক না কেন, আল্লাহর দরজা তার জন্য খোলা থাকে, যতক্ষণ না মৃত্যুর সময় এসে যায়।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তবে যারা তওবা করে, নিজেদের সংশোধন করে এবং যা গোপন করেছিল তা প্রকাশ করে, তাদের তওবা আমি কবুল করি। আমি তো তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু।’ (সুরা বাকারা: ১৬০)
এই আয়াত আমাদের শিক্ষা দেয়, আল্লাহ ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। আমরা হয়তো অনেকবার পাপ করেছি, কিন্তু আল্লাহর দয়া সবকিছুর ঊর্ধ্বে। আসুন, জেনে নেওয়া যাক, তাওবার শর্তগুলো কী। তাওবার মূলত তিনটি শর্ত রয়েছে—
আর যদি সেই পাপের সঙ্গে মানুষের হক (অধিকার) জড়িত থাকে, তবে তার কাছেও ক্ষমা চাওয়া জরুরি।
তাওবা মানে নিজের পাপের বোঝা স্বীকার করে তা নামিয়ে ফেলা। এক ধরনের আত্মশুদ্ধি, আত্মোপলব্ধি। এটা কোনো দুর্বলতা নয়, বরং একজন মুসলিমের ইমানের পরিচয়।
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘প্রতিদিন আদম সন্তান পাপ করে, আর সবচেয়ে উত্তম সেই ব্যক্তি, যে পাপ করার পর তাওবা করে।’ (জামে তিরমিজি)
তাওবা মানুষকে পরিবর্তনের পথে নিয়ে আসে। পাপ তাকে যেখানেই নামিয়ে দিক না কেন, তাওবা তাকে আবার ওপরে ওঠার সাহস দেয়। অনেক সময় দেখা যায়—তাওবার পর মানুষ আরও সচেতন হয়, আরও পরিশুদ্ধ হয়।
বর্তমান সমাজে, যেখানে গুনাহ খুব সহজলভ্য, সেখানেই তাওবা হলো সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আমল। মোবাইল স্ক্রিনের এক চাহনিতেও হয়তো হারাম আছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও লুকিয়ে আছে গিবত, পরনিন্দা, অহংকার। এমন বাস্তবতায় একজন মুসলিমের জন্য প্রতিদিন তাওবা করা প্রয়োজন।
সুতরাং, তাওবা হলো আল্লাহর পক্ষ থেকে এমন একটি উপহার, যা কখনো দেরি হয় না, যদি আমরা সত্যিকার অর্থে ফিরে যেতে চাই।
পাপের অন্ধকার যত গভীরই হোক, আল্লাহর রহমতের আলো তার চেয়ে বহুগুণ বেশি। ফিরে আসুন। এই ফিরে আসাই—একটি নতুন জীবনের শুরু।
লেখক: আনাস বিন রায়হান
সাহাবায়ে কেরাম ছিলেন উম্মতের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ও উত্তম মানুষ। নবীজি (সা.)-এর প্রতি তাদের গভীর ভালোবাসা ছিল, যার কারণে তাঁরা তাঁর প্রতিটি কথা ও কাজ অত্যন্ত যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করেছেন। এমনকি তিনি কোন কাজ কোন হাতে এবং কোন দিক থেকে শুরু করতেন, তাও তাঁরা বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেছেন।
১ ঘণ্টা আগেআল্লাহ তাআলা তাঁর বান্দার কল্যাণের জন্য অসংখ্য নেয়ামত দান করেছেন। এর মধ্যে অন্যতম প্রধান ও গুরুত্বপূর্ণ হলো নামাজ, যার মধ্যে রয়েছে বান্দার মুক্তি ও কল্যাণ। আল্লাহ তাআলা মুমিনদের জন্য প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন, যার মাধ্যমে মুমিন ব্যক্তি তাঁর রবের নৈকট্য অর্জন করতে পারে।
৩ ঘণ্টা আগেনেক কাজের দ্বারা পাপরাশি তখনই মাফ হবে, যখন তা সগিরা গুনাহ হবে। যদি কবিরা গুনাহ হয়, তাহলে অবশ্যই এর জন্য তওবা করতে হবে। আর অপরাধটা যদি কোনো মানুষের অধিকার সম্পর্কিত হয়, তাহলে প্রথমে ওই ব্যক্তি থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। তারপর আল্লাহ তাআলার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেইসলামের অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ ইবাদত হলো রোজা। আল্লাহ তাআলা বান্দাকে নিজ হাতে রোজার প্রতিদান দেবেন। এ ছাড়া জান্নাতে রোজাদারদের জন্য থাকবে বিশেষ প্রবেশপথ, যা দিয়ে একমাত্র তারাই প্রবেশ করবে।
১১ ঘণ্টা আগে