ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন, গাজায় ‘সত্যিকারের দুর্ভিক্ষ’ চলছে এবং এর পরপরই তিনি ইসরায়েলকে নির্দেশ দেন, ‘এক বিন্দু খাবারও যেন গাজায় ঢুকতে বাধা না পায়।’ ব্রিটেন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট গতকাল সোমবার এই বক্তব্য দেন।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় ইসরায়েলি অবরোধের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্যের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। সংকট এতটাই তীব্র যে, এরই মধ্যে অঞ্চলটিতে আর কোনো খাবারই পাওয়া যাচ্ছে। ফলে, স্থানীয়রা এক দুর্ভিক্ষময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে অঞ্চলটি না খেতে পেয়ে মারা গেছে আরও অন্তত ১৪ জন। আর
এই তিক্ত পরিসংখ্যানগুলোই দেখায় যে কেন ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সংঘাত এত দীর্ঘ ও জটিল হয়ে উঠেছে। কারণ, ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিরা দুটি বিপরীত জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে বিশ্বাসী। তাদের ইতিহাস ও ধর্মীয় দাবিদাওয়ার ভিত্তি একই ভূমির ওপর, কিন্তু একে অপরের সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। শতবর্ষের সহিংসতা ও উচ্ছেদের পর যদি অনেকে
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা এবং দেশটির ঔপনিবেশিক ও সাম্রাজ্যবাদী ঔদ্ধত্য এমন এক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে, যেখান থেকে আর পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ নেই। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর অন্তহীন যুদ্ধ এখন হামলে পড়েছে দামেস্কে। রক্তক্ষরণ ঘটাচ্ছে সিরিয়ায়। তাঁকে জবাবদিহির আওতায় আনার যেন কেউই নেই।