বাজারদর

রমজানে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) বাজার মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক স্থায়ী কমিটিকে আরও বিস্তৃত পরিসরে বাজার তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস 

মুন্সিগঞ্জের বাজারগুলোতে রমজানের শুরুতেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে ৪০ টাকা কেজির কাঁচা মরিচ ১০০ টাকার ওপরে বিক্রি হচ্ছে। চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে অন্যান্য সবজি। শসা, ধনেপাতা, গাজর, পেঁপের দামও চড়া। এসব সবজি কিনতে দিশেহারা ক্রেতা।

চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী বাজারে রোববার সকালে বাজার করতে আসেন ঈদগাহ বরফ কল এলাকার বাসিন্দা সেলিম উল্লাহ। কাঁচাবাজারে ঢুকে বরবটির দাম জিজ্ঞেস করলে বিক্রেতা জানালেন, প্রতি কেজি ৮০ টাকা

চাঁদপুরের মতলব উত্তরে রমজানের শুরুতে হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে লেবুর দাম। পাইকারি মোকামে হালি ৬০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে তা ছুঁয়েছে ১০০ টাকায়। উপজেলার ছেঙ্গারচর, নতুন বাজার, কালিপুর, কালির বাজার, মোহনপুর

বাজার নিয়ন্ত্রণে এফবিসিসিআই ৪৬ সদস্য বিশিষ্ট এক তদারকি কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটিতে আমদানিকারক, পরিবেশক, পাইকারি-খুচরাসহ দেশের ৬৪ জেলার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি ও সদস্যদের...

পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগে বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াটা যেন নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাধারণত রোজা শুরুর আগে আগে বাজার চড়া হয়। এবার অবশ্য রমজানের বেশ আগ থেকেই বাজার অস্থিতিশীল হয়েছিল। সয়াবিন তেল তো দামের দিক থেকে মানুষকে একহাত দেখিয়ে দিয়েছে

রমজান সামনে রেখে চাল, ডাল, তেল, চিনিসহ নিত্যপণ্যের বাজারে দাম কেবল বাড়ছে। নিম্ন আয়ের মানুষ দ্রব্যমূল্যের আগুনে পুড়ছে প্রতিনিয়ত। মধ্যবিত্তরাও দাম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন বাজারে গিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে বাণিজ্যনগরী নারায়ণগঞ্জে নিত্যপণ্যের দাম কমাতে উদ্যোগ নিয়েছে জেলা প্রশাসন।

রবি ঠাকুর লিখেছিলেন, ‘...তুমি সুখ যদি নাহি পাও, যাও সুখের সন্ধানে যাও...’। তবে এ কালে তিনি বাংলাদেশের বাজারে গেলে নিশ্চিতভাবেই ‘সুখ’ শব্দটির সমার্থক অন্য যুগোপযোগী শব্দ ব্যবহার করতেন। কারণ, এ দেশে যে এখন তেলের অপর নামই জীবন! 

দেশে চাল, গম ইত্যাদি খাদ্যের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত মজুত থাকা সত্ত্বেও অভ্যন্তরীণ বাজারে খাদ্যের দাম বাড়ার কারণ প্রতিবছরের সাধারণ ঘটনা হলেও তা খুবই রহস্যজনক। এই রহস্যের ভেতরে দেশের মানুষ অনেকটা বাধ্যগত নাগরিক। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের...

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। এতে নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের নাভিশ্বাস দেখা দিয়েছে। তেল থেকে শুরু করে সবজির দাম নিম্ন আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে অনেককেই অনাহারে বা অর্ধাহারে কাটাতে হতে পারে। 

চার দিন থাকি ছাওয়াগুলা বায়না ধরছে গরুর গোস্ত খাইবে। হাওলাত করি পাঁচশ ট্যাকা ধরি আসচুং। তাক ফির ছয়শ ট্যাকা চাওচে। বিশ দিন আগোতে পাঁচশ ট্যাকাত বেচা দেখছুন গরুর গোস্ত।

বাজারে সরকার-নির্ধারিত দামে কোথাও ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে না। একই সঙ্গে বাজারে সরবরাহও কম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অভিযান চালিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব নয়। আর সরকার বলছে, ব্যবসায়ীদের অনেক ছাড় দেওয়া হয়েছে। এখন আর ছাড় দেওয়া হবে না। ভোক্তাদের জিম্মি করে ব্যবসা করার সুযোগ নেই।

আগামী এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে শুরু হচ্ছে পবিত্র রমজান। ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা সারা দিন রোজা পালন শেষে ইফতারির সঙ্গে নানা ধরনের খাবার খেয়ে থাকেন। দেশের অধিকাংশ মানুষই ইফতারিতে ছোলা-মুড়ি খান।

চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই চড়ে আছে। অনেক মধ্যবিত্তও এখন বাধ্য হচ্ছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়াতে। এর মধ্যেই অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজারও।

যশোরে ভরা মৌসুমেও লাগামহীন শীতকালীন সবজির দাম। দুই-একটি ছাড়া প্রায় সব সবজি বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। মাঝে মাঝে দাম ওঠা-নামা করলেও ঊর্ধ্বগতির কারণে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষকে। একই অবস্থা মাছ ও মাংসের বাজারেও। তার ওপর ভোজ্য তেল ও চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সাধারণের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে খেরো খাতা

একের পর এক করোনার ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষেরা যখন অসহায়ত্বের চরমে পৌঁছেছেন, ঠিক সেই সময়ে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি তাঁদের জন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে হিমশিম খাচ্ছে সরকারও। ফলে প্রতিদিনের ব্যয় নির্বাহ করাই কঠিন হয়ে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদ

খুলনায় বেড়েছে চাল, ডাল, তেল ও আটা-ময়দার দাম। তবে কমেছে ব্রয়লার ও পাকিস্তানি সোনালি মুরগির দাম। গতকাল শনিবার খুলনার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বুধ ও বৃহস্পতিবার যেসব চাল কেজি প্রতি ৫৬ টাকায় বিক্রি হয়েছে গতকাল তা বিক্রি হচ্ছে ৫৮ টাকায়।