নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই চড়ে আছে। অনেক মধ্যবিত্তও এখন বাধ্য হচ্ছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়াতে। এর মধ্যেই অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজারও। শীত মৌসুমের নানা ধরনের সবজির সরবরাহ থাকলেও ৪০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। এদিকে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজির দামে রয়েছে বিরাট ফারাক। সব মিলিয়ে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে মোটেই স্বস্তিতে নেই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তার আয় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ দেখছে না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তাদের আয় বাড়াতে হবে। অথবা তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা কবির হোসেন গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানালেন, এক কেজি ক্ষীরা ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা ও একটি ছোট ফুলকপি ৪০ টাকায় কিনেছেন তিনি। অথচ গত সপ্তাহেও তিনি প্রতি কেজি ক্ষীরা ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৩০ টাকায় কিনেছিলেন। তাঁর হিসাব মতে, এক সপ্তাহে সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ শতাংশ।
হাতিরপুলের বাসিন্দা হয়ে ওই বাজারে না গিয়ে কেন কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছেন—জানতে চাইলে কবির হোসেন বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে চার-পাঁচ ধরনের সবজি কিনলে ২০০-২২০ টাকা সাশ্রয় হয়।
কারওয়ান বাজারের সবজির আড়তদার ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানালেন, এ বছর শীতকালে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। গতকাল তিনি গোল বেগুন প্রতি কেজি ২২-২৩ টাকা এবং আলু ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতি কেজি গোল বেগুন খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়।
রাজধানীর আজিমপুর ছাপরা মসজিদের পাশে অস্থায়ী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। শিম ৬০-৮০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০-১২০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ কারওয়ান বাজারে আকারভেদে প্রতিটি লাউ ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ও করলা ৮০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০ টাকা, শিম মান ও প্রকারভেদে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও গাজর ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এই বাজারে।
কারওয়ান বাজারে খুচরা সবজি বিক্রেতা সোহেল জানান, আট-নয় দিন আগেও তিনি প্রতি কেজি মটরশুঁটি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন সরবরাহ সংকটের কারণে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বৃষ্টিতে শিমের ফুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ বছর দাম চড়া। তবে গাজর, শালগম ও বাঁধাকপির দাম তেমন বাড়েনি।
রাজধানীর বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, খোলা আটা, ময়দা খোলা ও প্যাকেট, খোলা সয়াবিন তেল, ৫ লিটারের বোতল সয়াবিন তেল, পাম ও সুপার পাম তেল, দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ, জিরা, ব্রয়লার মরগি, গরুর মাংস ও ডিমের দাম বেড়েছে। তবে দাম কমার তালিকায় রয়েছে রসুন ও হলুদ।
চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা ও পেঁয়াজের দাম আগে থেকেই চড়ে আছে। অনেক মধ্যবিত্তও এখন বাধ্য হচ্ছেন টিসিবির ট্রাকের পেছনে লাইনে দাঁড়াতে। এর মধ্যেই অস্থির হয়ে উঠেছে সবজির বাজারও। শীত মৌসুমের নানা ধরনের সবজির সরবরাহ থাকলেও ৪০ টাকার কমে মিলছে না কোনো সবজি। এদিকে রাজধানীর পাইকারি ও খুচরা বাজারে প্রতিটি সবজির দামে রয়েছে বিরাট ফারাক। সব মিলিয়ে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ে মোটেই স্বস্তিতে নেই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষ।
এমন পরিস্থিতিতে ভোক্তার আয় বাড়ানো ছাড়া বিকল্প কোনো পথ দেখছে না জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)। সংগঠনটির সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, ভোক্তাদের আয় বাড়াতে হবে। অথবা তাদের না খেয়ে থাকতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
রাজধানীর হাতিরপুলের বাসিন্দা ব্যাংক কর্মকর্তা কবির হোসেন গতকাল শুক্রবার কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছিলেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে জানালেন, এক কেজি ক্ষীরা ৭০ টাকা, করলা ৮০ টাকা ও একটি ছোট ফুলকপি ৪০ টাকায় কিনেছেন তিনি। অথচ গত সপ্তাহেও তিনি প্রতি কেজি ক্ষীরা ৫০ টাকা ও ফুলকপি ৩০ টাকায় কিনেছিলেন। তাঁর হিসাব মতে, এক সপ্তাহে সবজির দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০ শতাংশ।
হাতিরপুলের বাসিন্দা হয়ে ওই বাজারে না গিয়ে কেন কারওয়ান বাজার থেকে সবজি কিনছেন—জানতে চাইলে কবির হোসেন বলেন, কারওয়ান বাজার থেকে চার-পাঁচ ধরনের সবজি কিনলে ২০০-২২০ টাকা সাশ্রয় হয়।
কারওয়ান বাজারের সবজির আড়তদার ওমর ফারুকের সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি জানালেন, এ বছর শীতকালে কয়েক দফা বৃষ্টি হওয়ায় বাজারে সবজির সরবরাহ কম। গতকাল তিনি গোল বেগুন প্রতি কেজি ২২-২৩ টাকা এবং আলু ৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে ১০ টাকায় বিক্রি করেছেন। অথচ খোঁজ নিয়ে জানা গেল, প্রতি কেজি গোল বেগুন খুচরা পর্যায়ে ৫০ টাকার নিচে বিক্রি হচ্ছে না। আর আলু বিক্রি হচ্ছে ১৮-২০ টাকায়।
রাজধানীর আজিমপুর ছাপরা মসজিদের পাশে অস্থায়ী বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আকারভেদে প্রতিটি লাউ বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। শিম ৬০-৮০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, করলা ১২০ টাকা, মটরশুঁটি ১০০-১২০ টাকা, আলু ১৮-২০ টাকা, গাজর ৪০-৪৫ টাকা, টমেটো ৪০-৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ কারওয়ান বাজারে আকারভেদে প্রতিটি লাউ ৫০-৬০ টাকা, উচ্ছে ও করলা ৮০ টাকা, মটরশুঁটি ৭০ টাকা, শিম মান ও প্রকারভেদে ৫০-৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। টমেটো ও গাজর ৩০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে এই বাজারে।
কারওয়ান বাজারে খুচরা সবজি বিক্রেতা সোহেল জানান, আট-নয় দিন আগেও তিনি প্রতি কেজি মটরশুঁটি ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। এখন সরবরাহ সংকটের কারণে ৭৫-৮০ টাকায় বিক্রি করছেন। বৃষ্টিতে শিমের ফুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এ বছর দাম চড়া। তবে গাজর, শালগম ও বাঁধাকপির দাম তেমন বাড়েনি।
রাজধানীর বাজারে গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চাল, খোলা আটা, ময়দা খোলা ও প্যাকেট, খোলা সয়াবিন তেল, ৫ লিটারের বোতল সয়াবিন তেল, পাম ও সুপার পাম তেল, দেশি-বিদেশি পেঁয়াজ, জিরা, ব্রয়লার মরগি, গরুর মাংস ও ডিমের দাম বেড়েছে। তবে দাম কমার তালিকায় রয়েছে রসুন ও হলুদ।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫