নৈতিকতা

একজন মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জান্নাতের বাসিন্দা হওয়া। কেননা জান্নাত অনন্ত সুখ-শান্তি ও অসংখ্য নেয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তায়ালা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘

মাতৃভাষা আল্লাহর বিশেষ দান; অফুরান এক নিয়ামত, যার শুকরিয়া আদায় করে শেষ করা যাবে না। ইসলামে মাতৃভাষার গুরুত্ব অপরিসীম। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে যুগে যুগে নবী-রাসুলগণ বিভিন্ন জাতির কাছে প্রেরিত হয়েছেন।

ইসলামে কথা বলার কিছু আদব রয়েছে। এখানে সাতটি আদবের কথা তুলে ধরা হলো—১. সঠিক কথা বলা: আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সঠিক কথা বলো।’ (সুরা আহযাব: ৭০)

পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসা করা নফল ইবাদতের মধ্যে সর্বোত্তম ইবাদত। কারণ এতে ভালোবাসা, মায়া ও সম্প্রীতির বন্ধন অটুট থাকে। রাসুল (সা.) পারস্পরিক বিরোধ মীমাংসায় উৎসাহিত করেছেন এবং একে সর্বোত্তম নফল ইবাদত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।

প্রেম-ভালোবাসা, মায়া-মমতা, শ্রদ্ধা-ভক্তি ও সমাজবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে থাকা মানুষের স্বভাবজাত বিষয়। এসব আছে বলেই নশ্বর পৃথিবী এখনো ভালোভাবে টিকে আছে। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহর অন্যতম একটি নিদর্শন হলো,

আত্মীয়তার সম্পর্ক মানুষের সামাজিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আত্মীয় ছাড়া বেঁচে থাকা মানুষের জন্য খুবই কষ্টকর। তাই তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আত্মীয়তার বন্ধন রক্ষা করার অর্থ হলো তাদের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা, সামর্থ্য অনুযায়ী আর্থিক

এমন কিছু মৃত্যু রয়েছে, যা খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। যদিও যখন মৃত্যুর সময় আসে, তখন তা কেউ ঠেকাতে পারে না। কেউ সময়ের এক মুহূর্ত আগে যেমন মরতে পারে না, তেমন সময়ের পর কেউ বাঁচতেও পারে না।

মানুষ সামাজিক জীব। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে তারা অসুস্থ হতে পারে। প্রতিবেশী, পরিচিতজন অথবা ভাই হিসেবে তাকে দেখতে যাওয়া অপর ভাইয়ের জন্য আবশ্যক। ইসলাম এ বিষয়ে সবাইকে উৎসাহিত করে। বারা ইবন আজেব (রা.) বলেন, ‘মহানবী (সা.)

ইমামতি অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দায়িত্ব। ইমাম সমাজের সবার সম্মানের পাত্র। প্রত্যেক মুসলমানের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার যাত্রা শুরু হয় মক্তবশিক্ষার মধ্য দিয়ে। আর মক্তবে সাধারণত ইমামরাই শিক্ষক হয়ে থাকেন। প্রায় সময় সমাজে নানারকম বিশৃঙ্খলা বিরাজ করে।

সুরা আসর পবিত্র কোরআনের ১০৩ নম্বর সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩। পরিধি ছোট হলেও অর্থের দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুরা। আসর শব্দের অর্থ সময়, কাল, যুগ, রাতদিনের পরিক্রমা ইত্যাদি।

বিপদগ্রস্ত মানুষের সাহায্যে এগিয়ে আসা অনেক সওয়াবের কাজ। ইসলাম মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে থাকার কথা বলে। কেউ বিপদে পড়লে তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করা ইমানের দাবি।

অনেক কাজ আছে, যা মানুষের দৃষ্টিতে খুবই হালকা। তবে প্রকৃতপক্ষে পরকালে আমলের বাটখারায় সেগুলোও মাপা হবে এবং প্রতিদান দেওয়া হবে। ধরুন, আপনি রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন, পথিমধ্যে একটা ক্ষতিকর বস্তু দেখে তা আপনি সরিয়ে ফেললেন, যাতে কোনো পথচারীর কষ্ট না হয়।

গালি দেওয়া নিকৃষ্ট অভ্যাস। এটি কোনো সভ্য মানুষের কাজ হতে পারে না। যারা কথায় কথায় মানুষকে গালিগালাজ করে, তাদের ব্যাপারে কঠোর হুঁশিয়ারি এসেছে কোরআন-হাদিসে।

কসম বা শপথ করা ইসলামের একটি পবিত্র বিধান। যত্রতত্র এর ব্যবহার এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। বিশেষ করে বেচাকেনার সময় গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে বেশি বেশি কসম করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এটি ইসলামে নিন্দনীয়।

ইসলামে কসম বা শপথ করার নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নামে কসম করা গুনাহের কাজ। কসম শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হলো, ‘আল্লাহ’ নাম নিয়ে বা তাঁর গুণবাচক নাম নিয়ে কসম করা।

ক্ষমা করে দেওয়া পৃথিবীর সবচেয়ে মানবিক গুণগুলোর একটি। মহান আল্লাহ পরম দয়ালু এবং অত্যন্ত ক্ষমাশীল। বান্দার শত গুনাহ-পাপাচার তিনি নিমিষের তওবায় ক্ষমা করে দেন। মহানবী (সা.)ও আমাদের ক্ষমা করার শিক্ষা দিয়েছেন। হাদিসের পাতায় পাতায় তাঁর ক্ষমাশীলতার দৃষ্টান্ত রয়েছে।

ইসলামে এমন কিছু আমল আছে, যা আদায় করতে মানুষ সাধারণত দেরি করে থাকে। অথচ এসবে দেরি করা অনুচিত। হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে পাঁচটি আমল তাড়াতাড়ি করার অসিয়ত করেছেন। যথা—