ইসলাম ডেস্ক
সুরা আসর পবিত্র কোরআনের ১০৩ নম্বর সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩। পরিধি ছোট হলেও অর্থের দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুরা। আসর শব্দের অর্থ সময়, কাল, যুগ, রাতদিনের পরিক্রমা ইত্যাদি। অনেকের মতে, আসরের নামাজের সময় তথা পড়ন্ত বিকেল। জাহিলি যুগের কয়েকজন কাফির মহানবী (সা.)-কে ক্ষতিগ্রস্ত আখ্যা দিলে তাদের জবাবে আল্লাহ তাআলা এ সুরা নাজিল করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিপতিত, তবে তারা নয়, যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে হকের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা আসর: ১-৩) এই সুরায় সময়ের শপথ করে আল্লাহ তাআলা চারটি গুণ না থাকলে পৃথিবীর সব মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই চারটি গুণ হলো ইমান, সৎকাজ, ন্যায় ও ধৈর্য। এখানে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
এক. ইমান: ইসলামের পরিভাষায় ইমান হলো অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কাজ-কর্মে তা বাস্তবায়ন থাকা। এই সুরায় ইমান আনার অর্থ হলো মহান আল্লাহ, সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.), আগের অন্য সব নবী-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকালসহ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করা।
দুই. সৎকাজ: পৃথিবীর সব ধরনের ভালো কাজ এতে অন্তর্ভুক্ত। ইমানের বিষয়টি ঠিক রেখে যত কল্যাণকর কাজ রয়েছে, সবই বড় সওয়াবের কাজ ও সাফল্যের চাবিকাঠি।
তিন. পরস্পরে হকের উপদেশ: হক শব্দের অর্থ ইমান, একত্ববাদ, আল্লাহ, শরিয়তের বিধিনিষেধ ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন আলেমেরা। মোটকথা, সঠিক, সত্য ও ইনসাফের পথে একে অন্যকে উপদেশ দিতে হবে।
চার. পরস্পরে ধৈর্যের উপদেশ: ইসলামের বিধিবিধান পালন, সুষ্ঠু-সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ধৈর্যের গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়, তাই মুমিন পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
সুরা আসর পবিত্র কোরআনের ১০৩ নম্বর সুরা। মক্কায় অবতীর্ণ এ সুরার আয়াত সংখ্যা ৩। পরিধি ছোট হলেও অর্থের দিক থেকে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ সুরা। আসর শব্দের অর্থ সময়, কাল, যুগ, রাতদিনের পরিক্রমা ইত্যাদি। অনেকের মতে, আসরের নামাজের সময় তথা পড়ন্ত বিকেল। জাহিলি যুগের কয়েকজন কাফির মহানবী (সা.)-কে ক্ষতিগ্রস্ত আখ্যা দিলে তাদের জবাবে আল্লাহ তাআলা এ সুরা নাজিল করেন।
আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘সময়ের শপথ! নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে নিপতিত, তবে তারা নয়, যারা ইমান এনেছে, সৎকাজ করেছে, পরস্পরকে হকের উপদেশ দিয়েছে এবং ধৈর্যের উপদেশ দিয়েছে।’ (সুরা আসর: ১-৩) এই সুরায় সময়ের শপথ করে আল্লাহ তাআলা চারটি গুণ না থাকলে পৃথিবীর সব মানুষকেই ক্ষতিগ্রস্ত বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই চারটি গুণ হলো ইমান, সৎকাজ, ন্যায় ও ধৈর্য। এখানে তা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো।
এক. ইমান: ইসলামের পরিভাষায় ইমান হলো অন্তরে বিশ্বাস, মুখে স্বীকার ও কাজ-কর্মে তা বাস্তবায়ন থাকা। এই সুরায় ইমান আনার অর্থ হলো মহান আল্লাহ, সর্বশেষ নবী মুহাম্মদ (সা.), আগের অন্য সব নবী-রাসুল, ফেরেশতা, আসমানি কিতাব, পরকালসহ ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলোতে বিশ্বাস স্থাপন করা।
দুই. সৎকাজ: পৃথিবীর সব ধরনের ভালো কাজ এতে অন্তর্ভুক্ত। ইমানের বিষয়টি ঠিক রেখে যত কল্যাণকর কাজ রয়েছে, সবই বড় সওয়াবের কাজ ও সাফল্যের চাবিকাঠি।
তিন. পরস্পরে হকের উপদেশ: হক শব্দের অর্থ ইমান, একত্ববাদ, আল্লাহ, শরিয়তের বিধিনিষেধ ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন আলেমেরা। মোটকথা, সঠিক, সত্য ও ইনসাফের পথে একে অন্যকে উপদেশ দিতে হবে।
চার. পরস্পরে ধৈর্যের উপদেশ: ইসলামের বিধিবিধান পালন, সুষ্ঠু-সুন্দর ও স্বাভাবিক জীবনযাপনের ক্ষেত্রে ধৈর্যের গুরুত্ব কোনো অংশেই কম নয়, তাই মুমিন পরস্পরকে ধৈর্যের উপদেশ দেবে।
ঘুম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। শরীরের ক্লান্তি আর অবসাদ দূর হয় ঘুমে। ঘুমোলেই ভেসে ওঠে নানা স্বপ্ন। কখনো ভয়ের, কখনো আসার কখনোবা আনন্দের। কোন স্বপ্ন দেখলে করণীয় কী—সে বিষয়ে রয়েছে ইসলামের নির্দেশনা।
৫ ঘণ্টা আগেজান্নাত লাভের বহু পথ-পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে বর্ণিত আছে। এমন চারটি আমল রয়েছে; যা করলে নির্বিঘ্নে জান্নাত যাওয়া যাবে। হজরত আবু ইউসুফ আবদুল্লাহ ইবনে সালাম (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, হে লোক সকল—
৬ ঘণ্টা আগেসন্তানকে ইবাদতে উৎসাহ দেওয়া মা-বাবার মহান দায়িত্ব। ছোটবেলা থেকেই নামাজ, পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত ও দোয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে তারা পরবর্তী জীবনে নীতিমান ও ধার্মিক হয়ে বেড়ে ওঠে। খেলার ছলে নামাজের ভঙ্গি শেখানো, দোয়া মুখস্থ করানো, পরিবারের সঙ্গে ইবাদতে অংশ নিতে বলা—এগুলো তাদের মনে ধর্মীয় চেতনা গড়ে তোলে।
১১ ঘণ্টা আগেকোরআন তিলাওয়াত মোমিনের হৃদয়ের প্রশান্তি ও আত্মার খোরাক। এর প্রতিটি আয়াতে রয়েছে অসীম জ্ঞান, দিকনির্দেশনা ও রহমতের বাণী। কোরআন তিলাওয়াতের মুগ্ধতা অন্তর বিগলিত করে, মনে প্রশান্তি আনে, আত্মা আলোকিত করে। নিয়মিত কোরআন তিলাওয়াত মোমিন জীবনে সার্থকতা এনে দিতে পারে।
১ দিন আগে