মুফতি আবু দারদা
কসম বা শপথ করা ইসলামের একটি পবিত্র বিধান। যত্রতত্র এর ব্যবহার এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। বিশেষ করে বেচাকেনার সময় গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে বেশি বেশি কসম করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এটি ইসলামে নিন্দনীয়।
শপথ যদি মিথ্যা হয়, তবে তা বড় গুনাহের কাজ। উদাহরণ হিসেবে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আসরের পর এক ব্যক্তি তার পণ্য সম্পর্কে শপথ করে বলল, তাকে পণ্যটি এত মূল্যে দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা তার কথা বিশ্বাস করল। অথচ সে ছিল মিথ্যাবাদী।’ (আবু দাউদ)
মিথ্যা শপথ করার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি এবং তাদের শপথকে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে, আখিরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। আর তাদের সঙ্গে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দেবেন না। তাদের পরিশুদ্ধ করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৭)
আর শপথ সত্য হলেও বেচাকেনায় বেশি বেশি শপথ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন মহানবী (সা.)। হাদিসে এসেছে, আবু কাতাদা আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা বেচাকেনায় বেশি বেশি কসম খাওয়া থেকে বিরত থাকো। কেননা সেটা পণ্য বিক্রয়ে সহায়তা করলেও ব্যবসার বরকত নষ্ট করে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কসমে পণ্য-দ্রব্যের কাটতি হয়, তবে তা লাভ ধ্বংসকারী।’ (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
কসম বা শপথ করা ইসলামের একটি পবিত্র বিধান। যত্রতত্র এর ব্যবহার এর মর্যাদা ক্ষুণ্ন করে। বিশেষ করে বেচাকেনার সময় গ্রাহককে সন্তুষ্ট করতে বেশি বেশি কসম করতে দেখা যায় ব্যবসায়ীদের। এটি ইসলামে নিন্দনীয়।
শপথ যদি মিথ্যা হয়, তবে তা বড় গুনাহের কাজ। উদাহরণ হিসেবে মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আসরের পর এক ব্যক্তি তার পণ্য সম্পর্কে শপথ করে বলল, তাকে পণ্যটি এত মূল্যে দেওয়া হয়েছে। ক্রেতা তার কথা বিশ্বাস করল। অথচ সে ছিল মিথ্যাবাদী।’ (আবু দাউদ)
মিথ্যা শপথ করার পরিণতি সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যারা আল্লাহর প্রতিশ্রুতি এবং তাদের শপথকে স্বল্পমূল্যে বিক্রি করে, আখিরাতে তাদের কোনো অংশ নেই। আর তাদের সঙ্গে আল্লাহ কিয়ামতের দিন কথা বলবেন না। তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দেবেন না। তাদের পরিশুদ্ধ করবেন না। তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।’ (সুরা আলে ইমরান: ৭৭)
আর শপথ সত্য হলেও বেচাকেনায় বেশি বেশি শপথ করতে নিরুৎসাহিত করেছেন মহানবী (সা.)। হাদিসে এসেছে, আবু কাতাদা আনসারি (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছেন, ‘তোমরা বেচাকেনায় বেশি বেশি কসম খাওয়া থেকে বিরত থাকো। কেননা সেটা পণ্য বিক্রয়ে সহায়তা করলেও ব্যবসার বরকত নষ্ট করে দেয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
অন্য হাদিসে এসেছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, কসমে পণ্য-দ্রব্যের কাটতি হয়, তবে তা লাভ ধ্বংসকারী।’ (মুসলিম)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
পবিত্র কোরআনের ৬২ তম সুরা, সুরা জুমুআ। এটি মাদানি সুরা, যা জুমার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে কেন্দ্র করে নাজিল হয়েছে। এই সুরার মূল বার্তা হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে ইমানদারদের পরিশুদ্ধ জীবন লাভ এবং ইহুদিদের ভুল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।
৫ ঘণ্টা আগেজনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
৮ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
৮ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
৮ ঘণ্টা আগে