হুসাইন আহমদ, শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জান্নাতের বাসিন্দা হওয়া। কেননা, জান্নাত অনন্ত সুখ-শান্তি ও অসংখ্য নেয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তায়ালা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)। তবে জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহর হুকুম ও তাঁর রাসুলের আদর্শের অনুসরণ করতে হবে। হাদিসে কিছু ছোট ছোট আমলের কথা বলা হয়েছে, যা জান্নাতের পথ সুগম করে। যথা:
এক. অজু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা। কারণ তা পাঠ করলে জান্নাতের আটটি দরজার যে কোনোটি দিয়ে তাকে প্রবেশ করতে বলা হবে। (নাসায়ি)
দুই. প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করা। কেউ এটি সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারি)
তিন. তাকবিরে তাহরিমার সঙ্গে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করা। কারণ এতে তার নাম মুনাফিকের খাতা থেকে কাটা যাবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (তিরমিজি)
চার. আজানের সময় খুব মনোযোগী হয়ে আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে আজানের উত্তর দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে আজানের উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
পাঁচ. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। রাসুল (সা.) ফরজ নামাজের পর এটি পাঠ করতেন। আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোনো বাধা নেই।’ (নাসায়ি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
একজন মুসলমানের জীবনের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো জান্নাতের বাসিন্দা হওয়া। কেননা, জান্নাত অনন্ত সুখ-শান্তি ও অসংখ্য নেয়ামতের জায়গা। আল্লাহ তায়ালা নিজেই জান্নাতের দিকে বান্দাদের ডেকেছেন। কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আল্লাহ শান্তির ঘরের দিকে ডাকছেন।’ (সুরা ইউনুস: ২৫)। তবে জান্নাতের বাসিন্দা হওয়ার জন্য অবশ্যই আল্লাহর হুকুম ও তাঁর রাসুলের আদর্শের অনুসরণ করতে হবে। হাদিসে কিছু ছোট ছোট আমলের কথা বলা হয়েছে, যা জান্নাতের পথ সুগম করে। যথা:
এক. অজু করার পর কালিমায়ে শাহাদাত পাঠ করা। কারণ তা পাঠ করলে জান্নাতের আটটি দরজার যে কোনোটি দিয়ে তাকে প্রবেশ করতে বলা হবে। (নাসায়ি)
দুই. প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় একবার করে সাইয়্যিদুল ইস্তিগফার পাঠ করা। কেউ এটি সকালে পড়ে সন্ধ্যার আগে মারা গেলে অথবা সন্ধ্যায় পড়ে রাতের মধ্যে মারা গেলে সে জান্নাতি হিসেবে গণ্য হবে। (বুখারি)
তিন. তাকবিরে তাহরিমার সঙ্গে টানা ৪০ দিন জামাতে নামাজ আদায় করা। কারণ এতে তার নাম মুনাফিকের খাতা থেকে কাটা যাবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেওয়া হবে। (তিরমিজি)
চার. আজানের সময় খুব মনোযোগী হয়ে আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে আজানের উত্তর দেওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আন্তরিক বিশ্বাসের সঙ্গে আজানের উত্তর দেয়, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।’ (মুসলিম)
পাঁচ. ফরজ নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পাঠ করা। রাসুল (সা.) ফরজ নামাজের পর এটি পাঠ করতেন। আবু উমামা বাহিলি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতি নামাজের পর আয়াতুল কুরসি পড়ে, জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে মৃত্যু ছাড়া তার আর কোনো বাধা নেই।’ (নাসায়ি)
লেখক: শিক্ষক ও ইসলামবিষয়ক গবেষক
জনসম্পদকে আমানত হিসেবে দেখা, এর প্রতি যত্নশীল হওয়া এবং এর অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা ইমানের অপরিহার্য অংশ। এটি একজন মুমিনের সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্যের পরিচায়ক। এই সম্পদের যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণ নৈতিক ও ইমানি কর্তব্য।
১ ঘণ্টা আগেআমি প্রবাসে আছি সাত বছর হলো। এখনো বিয়ে করিনি। বিয়ের পর আর প্রবাসে আসার ইচ্ছে নেই। তাই মা-বাবাকে বলেছি, পাত্রী দেখার জন্য। যদি সবকিছু ঠিক থাকে মোবাইলের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করে দেশে চলে আসব। প্রবাসে বসে মোবাইলে বিয়ে করা কি আমার জন্য জায়েজ হবে? এ বিষয়ে ইসলামের নির্দেশনা জানতে চাই।
১ ঘণ্টা আগেজীবিকা অর্জনের অন্যতম মাধ্যম ব্যবসা-বাণিজ্য। ইসলামে ব্যবসা এক মর্যাদাপূর্ণ পেশা। তবে এই পেশার মর্যাদা নির্ভর করে সততা ও নিষ্ঠার ওপর। আজকের দুনিয়ায় যখন লাভ ও প্রতিযোগিতার মোহে সততাকে বিসর্জন দেওয়া হচ্ছে, তখন ইসলামে একজন সৎ ব্যবসায়ীর জন্য রয়েছে এক অনন্য সুসংবাদ। কিয়ামতের সেই ভয়াবহ দিনে, যখন সূর্যের
২ ঘণ্টা আগেমানবজীবনে সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না এক চিরন্তন সত্য। পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জীবনও এর ব্যতিক্রম ছিল না। তাঁর পবিত্র ঠোঁটে যেমন ফুটেছিল হাসি, তেমনই তাঁর চোখ থেকে ঝরেছে অশ্রু। হিজরতের দশম বছর, মহানবী (সা.)-এর জীবনে এমন এক কঠিন
২ ঘণ্টা আগে