Ajker Patrika

পাঁচ কাজে দেরি করা অনুচিত

মুফতি আইয়ুব নাদীম
পাঁচ কাজে দেরি করা অনুচিত

ইসলামে এমন কিছু আমল আছে, যা আদায় করতে মানুষ সাধারণত দেরি করে থাকে। অথচ এসবে দেরি করা অনুচিত। হজরত আলী (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) আমাকে পাঁচটি আমল তাড়াতাড়ি করার অসিয়ত করেছেন। যথা—

এক. নামাজ: পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ে বিলম্ব না করে দ্রুত আদায় করে নেওয়া উচিত। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই নামাজ মুসলিমদের এক অবশ্য পালনীয় কাজ, নির্ধারিত সময়ে।’ (সুরা নিসা: ১০৩)

দুই. তওবা: নফসের প্ররোচনা ও পরিবেশের তাড়না মানুষকে বিভিন্ন গুনাহের কাজে জড়িয়ে ফেলে। তাই গুনাহ হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে তওবা করা উচিত। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং তিনিই নিজ বান্দাদের তওবা কবুল করেন ও গুনাহসমূহ ক্ষমা করে দেন।’ (সুরা শুরা: ২৫)

তিন. বিয়ে: সন্তানের জন্য বাবা-মায়ের ওপর যত দায়িত্ব রয়েছে, তার মধ্যে ছেলেমেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক হলে দ্বীনদার পাত্র/পাত্রী দেখে বিয়ে দেওয়া। হাদিসে এসেছে, ‘সন্তান জন্মগ্রহণের পর বাবা-মায়ের দায়িত্ব হলো, তার সুন্দর নাম রাখা এবং তাকে দ্বীন শিক্ষা দেওয়া, আর সাবালক হয়ে গেলে বিয়ে করিয়ে দেওয়া। যদি সাবালক হওয়ার পরও বিয়ে না করিয়ে দেয়, আর সন্তান কোনো গুনাহে লিপ্ত হয়, তাহলে এই গুনাহের দায়ভার বাবার ওপর বর্তাবে।’ (বায়হাকি: ৮২৯৯)

চার. কাফন-দাফন: কাফন-দাফনের কাজ দ্রুত করে ফেলা উত্তম। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জানাজা নিয়ে দ্রুত চলা উত্তম কাজ। লোকটা যদি নেককার হয়, তা হলে তো কল্যাণের দিকেই তাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর যদি এর বিপরীত হয়, তা হলে দ্রুতই নিজেদের দায়িত্ব থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’ (বুখারি: ১৩১৫)

পাঁচ. ঋণ পরিশোধ: আবু হুরায়রা (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘ধনী ব্যক্তির ঋণ পরিশোধে গড়িমসি করা জুলুম।’ (বুখারি: ২২৮০)

লেখক: শিক্ষক ও মুহাদ্দিস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত