ঋতুর হিসাবে এটি মূলত শরৎকাল। এ সময়ের বৃষ্টির চরিত্র খানিক তরল। অর্থাৎ হঠাৎ ঝুম বৃষ্টি তো আবার খাঁ খাঁ রোদ। এই যেমন কয়েক দিন ধরে প্রায় সারা দেশে চলছে গুঁড়ি গুঁড়ি কিংবা মুষলধারে বৃষ্টি। খুব সহজে আবহাওয়ার এই খেয়ালি আচরণের ছাপ পড়ে মানুষের শরীরে, বিশেষ করে ত্বক ও চুলে।
ঋতুভেদে ত্বকযত্নের উপকরণ বদলাতে হয়। নইলে সেই প্রবাদের মতো, সময়ের গান অসময়ে হয়ে যায়। তাতে ত্বকের উপকার হয় না। শরৎকালের আবহাওয়া খানিক উদ্ভ্রান্তের মতো আচরণ করে। এই প্রচণ্ড গরম তো এই বৃষ্টি। এদিকে সারাক্ষণ বইছে ঝিরিঝিরি হওয়া। ভ্যাপসা গরমে ঘাম হচ্ছে প্রচুর।
শরতের আবহাওয়ায় ভীষণ শুষ্ক। বাতাসে প্রচুর ধুলাবালু ও কাশফুলের রেণু উড়ে বেড়ায়। এগুলো ত্বকে ময়লার আবরণ সৃষ্টি করে। এ ছাড়া ত্বকে চুলকানিসহ নানান সমস্যার জন্ম দেয়। তার ওপর আছে পিছু না ছাড়া সানট্যান। সাবান, বডিওয়াশ, ফেসওয়াশ দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করাই যথেষ্ট নয়। ত্বক ভেতর থেকে ধুলাবালু মুক্ত রাখতে হবে।
মাসের শেষেই পূজা। কেনাকাটার ধুম এখন থেকে পড়ে গেছে। বাড়তি কাজ আগেভাগে সেরে ফেলতেও প্রায় প্রতিদিন হয়তো রোদে বের হতে হচ্ছে। রোজ স্নানের সময় বাড়িতে ত্বকের যত্ন নেওয়া গেলে পূজার আগেই জেল্লাদার ত্বক পেতে পারেন।