শারমিন কচি
শরৎ থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত ত্বকে মরা কোষ একটু বেশিই জন্মায়। অর্থাৎ ত্বকের জেল্লা অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায় এর নিচে। ডেথ সেল বা মরা কোষ ত্বকের ওপর সাদা স্তর ফেলে। কনুই, হাঁটু ও গোড়ালিতে মরা কোষ বেশি জন্মায়। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে সময়মতো এগুলো না ঝরালে ত্বক মলিন দেখায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব করা জরুরি। রেডি টু ইউজ স্ক্রাব হোক কিংবা রসুইঘরের খাঁটি উপকরণগুলো দিয়ে তৈরি; মরা কোষ না ঝরালে ময়শ্চারাইজার থেকে ত্বকের গভীরে পুষ্টি উপাদান পৌঁছাবে না।
ত্বক থেকে মরা কোষ ঝরাতে গোসলের আগে নারকেল তেল হালকা গরম করে ত্বকে ম্যাসাজ করে রাখা যেতে পারে। ত্বকে তেল বসে গেলে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ত্বক রগড়ে গোসল সেরে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বডিওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বক কোমল থাকবে। এখন বাজারে ত্বকের মরা কোষ ঝরানোর জন্য নানা রকম স্ক্রাবার ও ব্রাশ পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক কিছু উপকরণ ব্যবহার করে ত্বক থেকে এটি ঝরিয়ে ত্বকে পুষ্টির জোগান দেওয়া যায়। এ ছাড়া ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতেও এটি ভালো কাজ করে।
ঠিকঠাক এক্সফোলিয়েশন না করলে মরা কোষের পরত পুরু হয়ে ত্বক ফেটে যেতে পারে। সে কারণে ত্বকে এটি জমতে দেওয়া যাবে না।
যেসব ঘরোয়া উপাদান দিয়ে স্ক্রাবিং করা যায়—
চিনি ও তেলের মিশ্রণ
ঘরোয়া স্ক্রাবার হিসেবে চিনি বেছে নেওয়া যেতে পারে অনায়াসে। প্রয়োজনমতো চিনির সঙ্গে নারকেল, সরিষা অথবা অলিভ অয়েলের মধ্যে যেকোনো একটি তেল মিশিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে চিনি প্রায় মিহি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এই তেল ও চিনির মিশ্রণে চাইলে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিনি ও কফির মিশ্রণ
কফি মরা কোষ ঝরিয়ে ত্বকের রং উন্নত করায় সহায়ক। চিনির সঙ্গে কফি, মধু এবং একটুখানি অলিভ অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁট, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালিতে কালচে ভাব হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব জায়গায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ভেতর থেকে জেল্লা ছড়াবে।
বেসন, দুধ ও কাঁচা হলুদবাটার মিশ্রণ
এক্সফোলিয়েটর হিসেবে বেসন খুব ভালো কাজ করে। ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে তা নরম করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। তবে শুধু বেসন ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সে জন্য গোসলের এক ঘণ্টা আগে ত্বকে যেকোনো তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। গোসলের সময় বেসন, দুধ, হলুদবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে তোয়ালে দিয়ে রগড়ে গোসল সেরে ফেলতে হবে। এতে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও নরম হবে।
কমলার খোসাবাটা এবং টক দইয়ের প্যাক
কমলার খোসা ব্লেন্ড করে সেটিতে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলেও উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে দুই দিন এভাবে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া কমলার খোসাবাটা, বেসন ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। এতে ত্বকের মরা কোষ তো ঝরবেই, পাশাপাশি ময়লা কেটে রংও উন্নত হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
শরৎ থেকে একেবারে বসন্ত পর্যন্ত ত্বকে মরা কোষ একটু বেশিই জন্মায়। অর্থাৎ ত্বকের জেল্লা অনেকটাই ঢাকা পড়ে যায় এর নিচে। ডেথ সেল বা মরা কোষ ত্বকের ওপর সাদা স্তর ফেলে। কনুই, হাঁটু ও গোড়ালিতে মরা কোষ বেশি জন্মায়। শুষ্ক ত্বকের অধিকারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। ফলে সময়মতো এগুলো না ঝরালে ত্বক মলিন দেখায়। তাই সপ্তাহে অন্তত দুই দিন ত্বক ভালোভাবে স্ক্রাব করা জরুরি। রেডি টু ইউজ স্ক্রাব হোক কিংবা রসুইঘরের খাঁটি উপকরণগুলো দিয়ে তৈরি; মরা কোষ না ঝরালে ময়শ্চারাইজার থেকে ত্বকের গভীরে পুষ্টি উপাদান পৌঁছাবে না।
ত্বক থেকে মরা কোষ ঝরাতে গোসলের আগে নারকেল তেল হালকা গরম করে ত্বকে ম্যাসাজ করে রাখা যেতে পারে। ত্বকে তেল বসে গেলে কুসুম গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে ত্বক রগড়ে গোসল সেরে ফেলতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষ বডিওয়াশ ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে ত্বক কোমল থাকবে। এখন বাজারে ত্বকের মরা কোষ ঝরানোর জন্য নানা রকম স্ক্রাবার ও ব্রাশ পাওয়া যায়। তবে ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক কিছু উপকরণ ব্যবহার করে ত্বক থেকে এটি ঝরিয়ে ত্বকে পুষ্টির জোগান দেওয়া যায়। এ ছাড়া ত্বকের ইলাস্টিসিটি ধরে রাখতেও এটি ভালো কাজ করে।
ঠিকঠাক এক্সফোলিয়েশন না করলে মরা কোষের পরত পুরু হয়ে ত্বক ফেটে যেতে পারে। সে কারণে ত্বকে এটি জমতে দেওয়া যাবে না।
যেসব ঘরোয়া উপাদান দিয়ে স্ক্রাবিং করা যায়—
চিনি ও তেলের মিশ্রণ
ঘরোয়া স্ক্রাবার হিসেবে চিনি বেছে নেওয়া যেতে পারে অনায়াসে। প্রয়োজনমতো চিনির সঙ্গে নারকেল, সরিষা অথবা অলিভ অয়েলের মধ্যে যেকোনো একটি তেল মিশিয়ে ত্বকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে চিনি প্রায় মিহি হয়ে যাওয়া পর্যন্ত। এই তেল ও চিনির মিশ্রণে চাইলে মধু এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রসও ব্যবহার করা যেতে পারে।
চিনি ও কফির মিশ্রণ
কফি মরা কোষ ঝরিয়ে ত্বকের রং উন্নত করায় সহায়ক। চিনির সঙ্গে কফি, মধু এবং একটুখানি অলিভ অয়েল মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ঠোঁট, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালিতে কালচে ভাব হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এসব জায়গায় এই মিশ্রণ লাগিয়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করুন। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক ভেতর থেকে জেল্লা ছড়াবে।
বেসন, দুধ ও কাঁচা হলুদবাটার মিশ্রণ
এক্সফোলিয়েটর হিসেবে বেসন খুব ভালো কাজ করে। ত্বকের মরা কোষ ঝরিয়ে তা নরম করতে এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে এর জুড়ি নেই। তবে শুধু বেসন ব্যবহার করলে ত্বকের শুষ্কতা বাড়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সে জন্য গোসলের এক ঘণ্টা আগে ত্বকে যেকোনো তেল ম্যাসাজ করে নিতে হবে। গোসলের সময় বেসন, দুধ, হলুদবাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে তোয়ালে দিয়ে রগড়ে গোসল সেরে ফেলতে হবে। এতে ত্বক ভালোভাবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও নরম হবে।
কমলার খোসাবাটা এবং টক দইয়ের প্যাক
কমলার খোসা ব্লেন্ড করে সেটিতে টক দই মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করলেও উপকার পাওয়া যাবে। সপ্তাহে দুই দিন এভাবে ব্যবহার করা যাবে। এ ছাড়া কমলার খোসাবাটা, বেসন ও কাঁচা দুধ মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করা যেতে পারে। এতে ত্বকের মরা কোষ তো ঝরবেই, পাশাপাশি ময়লা কেটে রংও উন্নত হবে।
পরামর্শ দিয়েছেন: শারমিন কচি, রূপবিশেষজ্ঞ ও বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ কেয়ারের স্বত্বাধিকারী
কোনো কাজ নিখুঁতভাবে করতে, মনোযোগ দিতে এবং সেখান থেকে সেরা ফল অর্জন করার জন্য পারফেকশনিস্টরা প্রায়শই প্রশংসিত হন। কিন্তু একজন পারফেকশনিস্ট কাজে-কর্মে যতটা নিখুঁত, তাঁর মানসিক স্থিতিশীলতা কিন্তু ততটাই কম। কারণ, সেরা ও ত্রুটিহীন কাজ করতে গিয়ে মানসিকভাবে তাঁরা নানান চাপ, উদ্বেগ, এমনকি বিষণ্নতায় ভোগেন।
৯ ঘণ্টা আগেএ বছরের মে মাসে ডিজনি তাদের নতুন থিম পার্ক স্থাপনের ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য প্রদেশ কিংবা জাপানের মনোরম প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে ডিজনি বেছে নেয় আবুধাবিকে। এবার কি অরল্যান্ডোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত হচ্ছে আবুধাবি!
১২ ঘণ্টা আগেছাদকৃষি আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এখন আর শুধু সবজি নয়, ছাদে ফলানো হচ্ছে নানান ধরনের ফল। বাজারে উন্নত জাতের কলম চারা পাওয়া যায়, যেগুলো অল্প সময়ে বড় হয়ে প্রচুর ফল দেয়।
১৭ ঘণ্টা আগেনজরুলসংগীতশিল্পী হিসেবে পরিচিত রত্না দাস। সংগীতে হাতেখড়ি ছোটবেলায়, মায়ের কাছে। পরবর্তীকালে ছায়ানটে ভর্তি হন। উচ্চাঙ্গ ও নজরুলসংগীতের ওপর দীর্ঘদিন তালিম নেন মানস কুমার দাসের কাছে।
১৮ ঘণ্টা আগে