শারমিন কচি, রূপ বিশেষজ্ঞ
সকালে বাইরে বের হওয়ার সময় মুখের ত্বকে সানস্ক্রিন মাখলেও হয়তো ভুলে যাচ্ছেন হাতের কথা। হয়তো নয়, প্রায় সবাই শীতের আগে হাতের ত্বকের যত্নের কথা ভুলে থাকেন। অথচ সারা দিন হাতের ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মির প্রচণ্ড অত্যাচার চলে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে হাতের ত্বকের রং মুখের ত্বকের তুলনায় গাঢ় হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে যতবার আমরা মুখ ধুই, ঠিক ততবার কি হাত ধোয়া হয়? এ জন্য প্রায় সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। ফলে পুরো দেহের ত্বকের রঙের এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
যা করতে পারেন
কাজ শেষে হাত ধোয়ার পর: কাজ করার পরে হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন ও ক্রিম-বেসড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়শ্চারাইজার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। সকালে হাত-মুখ ধোয়ার পর কমপক্ষে এসপিএফ১৫ সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আগে হাতের ত্বকে আলাদা করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। এতে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক থাকবে সুরক্ষিত।
গোসলের সময় যা করতে পারেন
গোসলের আগে হাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিন। যে তেল আপনার ত্বকে কোনো ধরনের জ্বালাপোড়া তৈরি করবে না কিংবা অন্য কোনো সমস্যা করবে না, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট।
হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদগুঁড়া দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের আগে দুই হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।
মুখের মতো হাতের যত্নেও মাঝে মাঝে প্যাক ব্যবহার করতে হবে। এটি তৈরি করতে, ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। তারপর হাতের ত্বকে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কোমল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে। হাতের ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হাত ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগান। হাতের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য সপ্তাহে একবার অবশ্যই স্ক্রাবিং করবেন।
ঘুমানোর আগে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
রাতের বেলা ঘুমানোর আগে হাতে ত্বকের উপযোগী ভালো মানের ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। এতে সারা রাত আপনার ত্বকের ময়শ্চারাইজেশন বজায় থাকবে। হাত নরম রাখার একমাত্র উপায় হলো ময়শ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই কয়েক ফোঁটা ময়শ্চারাইজার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময় হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। যতটা সম্ভব কম হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া থেকে রেহাই পেতে দুই চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, দুই চামচ পাতিলেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজও করতে পারেন। এতে হাত নরম হবে। হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকে নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়শ্চারাইজার।
জেনে রাখা ভালো
হাতের ত্বকের কোমলতার জন্য সপ্তাহে তিন দিন স্ক্রাব এবং ভালো মানের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ার
সকালে বাইরে বের হওয়ার সময় মুখের ত্বকে সানস্ক্রিন মাখলেও হয়তো ভুলে যাচ্ছেন হাতের কথা। হয়তো নয়, প্রায় সবাই শীতের আগে হাতের ত্বকের যত্নের কথা ভুলে থাকেন। অথচ সারা দিন হাতের ত্বকের ওপর সূর্যরশ্মির প্রচণ্ড অত্যাচার চলে। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবে হাতের ত্বকের রং মুখের ত্বকের তুলনায় গাঢ় হয়ে যায়। এ ছাড়া দিনে যতবার আমরা মুখ ধুই, ঠিক ততবার কি হাত ধোয়া হয়? এ জন্য প্রায় সবার ক্ষেত্রে দেখা যায় মুখের রঙের তুলনায় হাতের রং একটু গাঢ়। ফলে পুরো দেহের ত্বকের রঙের এই ভারসাম্যহীনতা দূর করতে হাতের যত্ন নিতে হবে একটু মনে করেই।
যা করতে পারেন
কাজ শেষে হাত ধোয়ার পর: কাজ করার পরে হাত ধোয়ার জন্য গ্লিসারিন ও ক্রিম-বেসড হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করতে পারেন। এতে রুক্ষতা কমবে। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ময়শ্চারাইজার ছাড়া কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল ভালো করে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। সকালে হাত-মুখ ধোয়ার পর কমপক্ষে এসপিএফ১৫ সমৃদ্ধ ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। বাইরে বের হওয়ার আগে হাতের ত্বকে আলাদা করে সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিতে ভুলবেন না। এতে রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বক থাকবে সুরক্ষিত।
গোসলের সময় যা করতে পারেন
গোসলের আগে হাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে নিন। যে তেল আপনার ত্বকে কোনো ধরনের জ্বালাপোড়া তৈরি করবে না কিংবা অন্য কোনো সমস্যা করবে না, সেটিই ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়া তিলের তেল, আমন্ড অয়েল কিংবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা কয়েক ফোঁটাই যথেষ্ট।
হাত অতিরিক্ত শুকিয়ে গেলে হট অয়েল ম্যাসাজ করতে পারেন। দুই টেবিল চামচ বেসনের মধ্যে সামান্য দুধ অথবা টক দই এবং এক ফোঁটা হলুদগুঁড়া দিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। গোসলের আগে দুই হাতে ভালো করে সেই মিশ্রণ মেখে নিন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানিতে হাত ধুয়ে নিতে পারেন।
মুখের মতো হাতের যত্নেও মাঝে মাঝে প্যাক ব্যবহার করতে হবে। এটি তৈরি করতে, ডিমের কুসুম ফেটিয়ে নিন ভালো করে। তারপর হাতের ত্বকে মেখে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর কোমল সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া ১ টেবিল চামচ চিনির সঙ্গে আধা চা-চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজ করে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন কুসুম গরম পানি দিয়ে।
অ্যালোভেরা জেল ব্লেন্ড করে নিন মিহি করে। হাতের ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। হাত ধুয়ে ময়শ্চারাইজার লাগান। হাতের ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য সপ্তাহে একবার অবশ্যই স্ক্রাবিং করবেন।
ঘুমানোর আগে ভালোভাবে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন
রাতের বেলা ঘুমানোর আগে হাতে ত্বকের উপযোগী ভালো মানের ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। এতে সারা রাত আপনার ত্বকের ময়শ্চারাইজেশন বজায় থাকবে। হাত নরম রাখার একমাত্র উপায় হলো ময়শ্চারাইজ করা। ধোয়া হয়ে গেলেই কয়েক ফোঁটা ময়শ্চারাইজার হাতে লাগিয়ে নিন। রাতে নারিশিং ক্রিম ব্যবহার করার সময় হাতের তালু, তালুর পেছন দিক, আঙুল, কবজি থেকে শুরু করে কনুই পর্যন্ত ভালো করে ম্যাসাজ করতে হবে। যতটা সম্ভব কম হাত ধোয়ার চেষ্টা করুন।
হাতের ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হওয়া থেকে রেহাই পেতে দুই চামচ সানফ্লাওয়ার অয়েল, দুই চামচ পাতিলেবুর রস ও তিন চামচ চিনি মিশিয়ে ম্যাসাজ করুন। অল্প গ্লিসারিনের সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে দুই হাতে ভালো করে ম্যাসাজও করতে পারেন। এতে হাত নরম হবে। হাত নরম ও সতেজ রাখার জন্য অনেকে নানা কিছু ব্যবহার করেন। তবে বেশি জরুরি ময়শ্চারাইজার।
জেনে রাখা ভালো
হাতের ত্বকের কোমলতার জন্য সপ্তাহে তিন দিন স্ক্রাব এবং ভালো মানের ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
লেখক: রূপবিশেষজ্ঞ, স্বত্বাধিকারী, বিন্দিয়া এক্সক্লুসিভ বিউটি কেয়ার
চল্লিশ বছর বয়সের পর চোখের নিচে বলিরেখা দেখা, ত্বকের অনুজ্জ্বল ভাব আরও স্পষ্ট হতে শুরু করে। এ সময় যত ব্যস্তই থাকুন না কেন, দিনের একটু সময় নিজের জন্য বরাদ্দ রাখুন, নিজের যত্ন নিন। খাদ্যতালিকায় শরীর ও ত্বকের উপযোগী খাবারকে প্রাধান্য দিন। তবেই ত্বক হাসবে নতুন করে।
৬ ঘণ্টা আগেনবম থেকে এগারো শতকের জাপানে ছাতা ছিল কেবল ক্ষমতাবানদের ব্যবহার্য জিনিস। তখন শাসক বা ধর্মীয় নেতাদের মাথার ওপর সম্মান ও আধ্যাত্মিক ছায়ার প্রতীক হিসেবে দীর্ঘ হাতলযুক্ত বড় ছাতা ধরা হতো। বারো শতকের পর সাধারণ মানুষও ছাতা ব্যবহার শুরু করে।
১ দিন আগেড. উইনগার্ডের মতে, মশা কাকে বেশি কামড়াবে, তার ৮৫ শতাংশ নির্ভর করে আমাদের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের ওপর। তবে বাকি অংশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি কিছু সাধারণ অভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে। তিনি গ্রীষ্মকালে মশার হাত থেকে বাঁচতে ৫টি বৈজ্ঞানিক উপায় জানিয়েছেন।
১ দিন আগেরান্নায় চিনি ব্যবহারে খাবারের রং ও স্বাদ—দুটোই বাড়ে। বিশ্বাস না হলে গরুর মাংসে চিনি ব্যবহার করেই দেখুন। শুধু চিনি ব্যবহার করলেই হবে না, কীভাবে রান্না করছেন, তার ওপরও নির্ভর করবে স্বাদ কেমন হবে।
২ দিন আগে