জীবন অগাধ

উইলিয়াম কেরি ছিলেন ব্রিটিশ খ্রিষ্টান ধর্মপ্রচারক, পণ্ডিত, ভাষাতাত্ত্বিক, অনুবাদক ও সাংস্কৃতিক নৃতত্ত্ববিদ। উইলিয়াম কেরি ১৭৬১ সালের ১৭ আগস্ট ইংল্যান্ডের নর্দাম্পটনশায়ার, পলাইপুরী গ্রামে একটি দরিদ্র তাঁতি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।

মিশুক মুনীর ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সাংবাদিক, চিত্রগ্রাহক ও চলচ্চিত্র ভিডিওগ্রাহক। তাঁর পুরো নাম আশফাক মুনীর চৌধুরী। তাঁকে ‘বাংলাদেশের টেলিভিশন সাংবাদিকতার পথিকৃৎ’ বলা হয়।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম সাহিত্যিক ছিলেন ভি এস নাইপল। তাঁর পুরো নাম বিদ্যাধর সূর্যপ্রসাদ নাইপল। তিনি ১৯৩২ সালের ১৭ আগস্ট ওয়েস্ট ইন্ডিজের ত্রিনিদাদ দ্বীপের চাগুয়ানাস শহরে জন্মগ্রহণ করেন।

মোহাম্মদ রফিক একাধারে ছিলেন একজন কবি, লেখক ও অধ্যাপক। মোহাম্মদ রফিকের জন্ম ১৯৪৩ সালের ২৩ অক্টোবর বাগেরহাটের বেমরতা ইউনিয়নের বর্তমান চিতলী গ্রামে। স্থানীয় বিদ্যালয়ে লেখাপড়া শুরু করেন। এরপর খুলনা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করে ঢাকার নটর ডেম কলেজে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, কিন্তু পরে ঢাকা কলেজে

লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি সবার কাছে ‘শহীদজায়া’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

কাজী মোতাহার হোসেন ছিলেন সমাজভাবুক, জ্ঞানতাপস, পরিসংখ্যানবিদ, দাবাড়ু ও সাহিত্যিক। তাঁর জন্ম ১৮৯৭ সালের ৩০ জুলাই কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লক্ষ্মীপুর গ্রামে। তবে পৈতৃক বাড়ি ছিল ফরিদপুরের পাংশা উপজেলার বাগমারায়।

নজরুলসংগীতের অবিস্মরণীয় শিল্পী ছিলেন ফিরোজা বেগম। তিনি নজরুলসংগীতের আদি, বিশুদ্ধ সুর ধরে গান গাইতেন।নজরুলসংগীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজনসহ বিভিন্ন ধরনের সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন।

সাইমন ড্রিং ছিলেন একজন ব্রিটিশ সাংবাদিক, টেলিভিশন উপস্থাপক ও প্রামাণ্য চিত্রনির্মাতা। তাঁর জন্ম ১৯৪৫ সালের ১১ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের নরফোকে।

বুলবুল আহমেদ, বাংলাদেশি চলচ্চিত্রজগতের এক উজ্জ্বল তারকার নাম। তিনি ছিলেন একাধারে অভিনেতা, প্রযোজক ও পরিচালক। পারিবারিক নাম ছিল তবাররুক আহমেদ। মা-বাবা আদর করে ডাকতেন ‘বুলবুল’।

মাজহারুল ইসলাম ছিলেন বাংলাদেশে আধুনিক স্থাপত্যের জনক ও স্থাপত্যগুরু। তাঁকে বলা হয় বিংশ শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্থপতি। মাজহারুল ইসলামের জন্ম ১৯২৩ সালের ২৫ ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদের কৃষ্ণনগরের সুন্দরপুর গ্রামে, নানাবাড়িতে।

অশোক মিত্র দক্ষ প্রশাসক ছাড়াও খ্যাতি লাভ করেছিলেন বিশিষ্ট শিল্প সমালোচক হিসেবে। তাঁর জন্ম ১৯১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের হুগলির পাণ্ডুয়ার চাকলাই গ্রামে।

বিংশ শতাব্দীর মার্ক্সীয় ধারার অন্যতম কবি ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম কবি, যিনি বাংলা কবিতায় রাজনীতি চিন্তার প্রকাশ ঘটান।

দিলীপ কুমারকে বলা হয় ভারতের চলচ্চিত্র জগতের ধ্রুবতারা। তাঁর আসল নাম মুহাম্মদ ইউসুফ খান, জাতিতে পাঠান। তাঁর জন্ম ১৯২২ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পেশোয়ারে। বাবার সঙ্গে মতদ্বৈধতায় বাড়ি ছাড়েন দিলীপ কুমার। পরিচয় গোপন করে ক্যানটিন কন্ট্রাক্টরের কাজ করেন। পরে আর্মি ক্লাবে স্যান্ডউইচ বিক্রি করেছেন।

মোপাসাঁকে আধুনিক ছোটগল্পের জনক বলা হয়। তাঁর পুরো নাম হেনরি রেইনে আলবার্ট গি দ্য মোপাসাঁ। তাঁর জন্ম ১৮৫০ সালের ৫ আগস্ট ফ্রান্সের নরম্যান্ডি শহরে।

বিশ শতকের মার্কিন সাহিত্যে অন্যতম প্রভাববিস্তারকারী লেখক ছিলেন আর্নেস্ট হেমিংওয়ে। তাঁর জন্ম যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরের ওক পার্কে ১৮৯৯ সালের ২১ জুলাই।

ওস্তাদ রশিদ খান ছিলেন ‘রামপুর-সাসওয়ান’ ঘরানার শিল্পী। তাঁর জন্ম ১৯৬৮ সালের ১ জুলাই ভারতের উত্তর প্রদেশের বদায়ূঁ গ্রামে। ছোটবেলায় গানের চেয়ে ফুটবল ও ক্রিকেটের প্রতি দুর্বার আকর্ষণ ছিল

আহমদ ছফা ছিলেন প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। সুবিধাবাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ এবং আদর্শনিষ্ঠ ও প্রগতিপন্থী একজন লেখক। তাঁর জন্ম ১৯৪৩ সালের ৩০ জুন চট্টগ্রামের চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া গ্রামে।