সম্পাদকীয়
বিংশ শতাব্দীর মার্ক্সীয় ধারার অন্যতম কবি ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম কবি, যিনি বাংলা কবিতায় রাজনীতি চিন্তার প্রকাশ ঘটান।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কৃষ্ণনগরে মামাবাড়িতে। তবে তাঁদের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার লোকনাথপুরে। তাঁর বয়স যখন তিন-চার বছর, তখন তাঁদের পরিবার কলকাতায় চলে যায়। বাবার চাকরির কারণে কবির কৈশোর বাংলাদেশের নওগাঁয় কাটে। এখানেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। আবার কলকাতায় গিয়ে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। এখান থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ পাস করার পর স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স পাস করেন।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করার পর বন্ধু কবি সমর সেনের কাছে মার্ক্সবাদে দীক্ষিত হয়ে লেবার পার্টিতে যোগ দেন। এরপর পার্টি ত্যাগ করে ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। পরে সদ্যগঠিত ফ্যাসিবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের যুগ্মভাবে সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পার্টির মুখপত্র ‘জনযুদ্ধ’ পত্রিকায় সামান্য ভাতায় সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে যুক্ত হন। এরপর তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে কবিকে দুইবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫০ সালে জেল থেকে মুক্তির পর অর্থকষ্টে পড়ে বাধ্য হয়ে একটা প্রকাশনা সংস্থায় যোগ দেন। জীবনে একবারই চাকরি করেছেন।
তারপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এই স্বনামধন্য কবি। এই পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি তিনি ‘সপ্তাহ’, ‘লোটাস’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। এরপর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ‘সন্দেশ’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি। সত্তরের দশক থেকে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারায় পরিবর্তন শুরু হয়। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ ত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে আসেন।
বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই কবি ২০০৩ সালের ৮ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
বিংশ শতাব্দীর মার্ক্সীয় ধারার অন্যতম কবি ছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। তিনিই প্রথম কবি, যিনি বাংলা কবিতায় রাজনীতি চিন্তার প্রকাশ ঘটান।
সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম ১৯১৯ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিমবঙ্গের নদীয়ার কৃষ্ণনগরে মামাবাড়িতে। তবে তাঁদের আদি নিবাস ছিল বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার লোকনাথপুরে। তাঁর বয়স যখন তিন-চার বছর, তখন তাঁদের পরিবার কলকাতায় চলে যায়। বাবার চাকরির কারণে কবির কৈশোর বাংলাদেশের নওগাঁয় কাটে। এখানেই তাঁর প্রাথমিক শিক্ষা শুরু হয়। আবার কলকাতায় গিয়ে মিত্র ইনস্টিটিউশনে ভর্তি হন। এখান থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। আশুতোষ কলেজ থেকে আইএ পাস করার পর স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স পাস করেন।
সুভাষ মুখোপাধ্যায় ম্যাট্রিক পাস করার পর বন্ধু কবি সমর সেনের কাছে মার্ক্সবাদে দীক্ষিত হয়ে লেবার পার্টিতে যোগ দেন। এরপর পার্টি ত্যাগ করে ১৯৪২ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন। পরে সদ্যগঠিত ফ্যাসিবিরোধী লেখক ও শিল্পী সংঘের যুগ্মভাবে সম্পাদক নির্বাচিত হন। তিনি পার্টির মুখপত্র ‘জনযুদ্ধ’ পত্রিকায় সামান্য ভাতায় সার্বক্ষণিক কর্মী হিসেবে যুক্ত হন। এরপর তিনি ‘দৈনিক স্বাধীনতা’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। ১৯৪৮ সালে কমিউনিস্ট পার্টি নিষিদ্ধ হলে কবিকে দুইবার কারাবরণ করতে হয়। ১৯৫০ সালে জেল থেকে মুক্তির পর অর্থকষ্টে পড়ে বাধ্য হয়ে একটা প্রকাশনা সংস্থায় যোগ দেন। জীবনে একবারই চাকরি করেছেন।
তারপর চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘পরিচয়’ পত্রিকার সম্পাদনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন এই স্বনামধন্য কবি। এই পত্রিকা সম্পাদনার পাশাপাশি তিনি ‘সপ্তাহ’, ‘লোটাস’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেন। এরপর সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ‘সন্দেশ’ পত্রিকাও সম্পাদনা করেছেন তিনি। সত্তরের দশক থেকে তাঁর রাজনৈতিক চিন্তাধারায় পরিবর্তন শুরু হয়। অবশেষে তিনি ১৯৮১ সালে কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ ত্যাগ করে রাজনীতি থেকে সরে আসেন।
বাংলা সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ এই কবি ২০০৩ সালের ৮ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৩ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫