সম্পাদকীয়
লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি সবার কাছে ‘শহীদজায়া’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে পড়ার সময় ঢাকায় এক উচ্চবিত্ত পরিবারে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির অমানবিক পরিবেশ তাঁর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। স্বাধীনচেতা পান্না কায়সার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হন। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আবার পড়ালেখায় মন দেন তিনি।
এইচএসসি পাস করে কুমিল্লা মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর সঙ্গে তরুণ বুদ্ধিজীবী ও লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল এক দিনে কারফিউর মধ্যে তাঁদের বিয়ে হয়।
পড়াশোনা শেষে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। শুধু সংসারজীবনে আবদ্ধ না থেকে তিনি লেখালেখি ও সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত ছিলেন। দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর একাংশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন পান্না কায়সার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
পান্না কায়সার রচিত গ্রন্থগুলো হলো—মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে, মুক্তি, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, মানুষ, অন্য কোনখানে, তুমি কি কেবলি ছবি, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে, আমি, না পান্না না চুনি, অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ।
২০২৩ সালের ৪ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা পান্না কায়সার।
লেখক, গবেষক, শিশু সংগঠক ও সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন পান্না কায়সার। তাঁর পারিবারিক নাম ছিল সাইফুন্নাহার চৌধুরী। তিনি সবার কাছে ‘শহীদজায়া’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
পান্না কায়সার ১৯৫০ সালের ২৫ মে কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। কলেজে পড়ার সময় ঢাকায় এক উচ্চবিত্ত পরিবারে তাঁকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির অমানবিক পরিবেশ তাঁর জীবনকে দুর্বিষহ করে তোলে। স্বাধীনচেতা পান্না কায়সার স্বামীকে ডিভোর্স দিতে বাধ্য হন। সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসে আবার পড়ালেখায় মন দেন তিনি।
এইচএসসি পাস করে কুমিল্লা মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক পাস করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি লাভ করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তাঁর সঙ্গে তরুণ বুদ্ধিজীবী ও লেখক শহীদুল্লা কায়সারের সম্পর্ক তৈরি হয়। ১৯৬৯ সালের গণ-অভ্যুত্থানের উত্তাল এক দিনে কারফিউর মধ্যে তাঁদের বিয়ে হয়।
পড়াশোনা শেষে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ঢাকার বেগম বদরুন্নেসা কলেজে। শুধু সংসারজীবনে আবদ্ধ না থেকে তিনি লেখালেখি ও সাংগঠনিক কাজেও যুক্ত ছিলেন। দেশের বৃহত্তম শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর’-এর একাংশের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য হন ১৯৭৩ সালে। ১৯৯২ সাল থেকে সংগঠনটির সভাপতিমণ্ডলীর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সভাপতিও ছিলেন তিনি।
১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের এমপি নির্বাচিত হন পান্না কায়সার। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল তাঁর। ২০২১ সালে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন তিনি।
পান্না কায়সার রচিত গ্রন্থগুলো হলো—মুক্তিযুদ্ধ: আগে ও পরে, মুক্তি, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, মানুষ, অন্য কোনখানে, তুমি কি কেবলি ছবি, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, দাঁড়িয়ে আছ গানের ওপারে, আমি, না পান্না না চুনি, অন্য রকম ভালোবাসা ও সুখ।
২০২৩ সালের ৪ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন অভিনেত্রী শমী কায়সারের মা পান্না কায়সার।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
২ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৩ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫