ইবাদত

সালাত আদায়ের জন্য অজু ফরজ। অজু বিশুদ্ধ না হলে সালাত আদায় হয় না। অজুর ফরজ চারটি। তা হলো, পুরো মুখ ধোয়া, দুই হাত কনুই পর্যন্ত ধোয়া, মাথা মাসেহ করা এবং উভয় পা টাখনু পর্যন্ত ধোয়া। অজুর জন্য পানি আবশ্যক। তবে কেউ যদি এমন অবস্থায় থাকেন, যেখানে পানি পাওয়া কষ্টসাধ্য অথবা পানি ব্যবহার করলে রোগবৃদ্ধির আশঙ্কা আ

১ হিজরির (৮ রবিউল আউয়াল) এই দিনে মহানবী (সা.) মক্কা থেকে হিজরত করে মদিনার উপকণ্ঠ কুবায় পৌঁছান এবং ইসলামের প্রথম মসজিদ মসজিদে কুবার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।

একটি সুদি ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে সুদের বিনিময়ে আমি হোম লোন নিই এবং একটি বাড়ি তৈরি করি। আমি সব টাকা পরিশোধ করে দিই। তখন সুদের ব্যাপারে সচেতনতা না থাকলেও এখন আমি সুদ এড়িয়ে চলি। আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামি শরিয়তের আলোকে বাড়িটিতে থাকা আমার জন্য বৈধ হবে?

ইসলাম সম্প্রীতি ও মানবতার ধর্ম। শান্তি-সৌহার্দ্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় ইসলামের রয়েছে শাশ্বত আদর্শ ও সুমহান ঐতিহ্য। ইসলাম সব মানুষের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বিশ্বাসী। সর্বকালের শ্রেষ্ঠ মানব মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও পরকালে মুক্তির জন্য জীবনভর সংগ্রাম করে গে

বিশ্বের অর্থনৈতিক অবস্থা স্বাভাবিক রাখার জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্পদশালীদের বিনিয়োগ অতিপ্রয়োজন। এ জন্য ইসলাম ব্যবসা-বাণিজ্যে উৎসাহিত করে। পাশাপাশি উৎপাদনশীল কোনো খাতে বিনিয়োগ না করে সম্পদ জমিয়ে রাখতে নিরুৎসাহিত করে ইসলাম।

মানুষের সামগ্রিক কল্যাণে মহান আল্লাহ তাআলা বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন। তিনি পরিবার, সমাজ ও দেশের সর্বস্তরে শান্তি, কল্যাণ ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। পুরুষের অধিকারের পাশাপাশি নারীর অধিকারের বিষয়টিও সুস্পষ্ট করেছেন। ইসলাম নারীর মানবিক মর্যাদার স্বীকৃতি দিয়েছে।

মহানবী (সা.) ছিলেন মানবিক শিষ্টাচারের আধার। নম্রতা তাঁর চরিত্রের উৎকৃষ্ট দিক। আল্লাহর সামনে তিনি ছিলেন পৃথিবীর সবচেয়ে নম্র ব্যক্তি। অত্যন্ত বিনয়-নম্রতা ও খুশু-খুজু নিয়ে ইবাদতে মগ্ন থাকতেন। মানুষের সঙ্গেও তিনি অত্যন্ত কোমল-নম্র আচরণ করতেন।

ওয়াজিব শব্দের অর্থ আবশ্যক। নামাজের যেসব বিধান পালন করা আবশ্যক, তবে ফরজের নিচের স্তরে, সেগুলোকে ইসলামের পরিভাষায় ওয়াজিব বলা হয়। নামাজের ওয়াজিব ১৪টি।

মহানবী (সা.) সামাজিক ক্ষেত্রে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধন করেন। মানবতার ভিত্তিতে তিনি সমাজ গঠন করেন। ছোট-বড়, ধনী-গরিব, রাজা-প্রজা, আমির-ফকির সবাইকে এক কাতারে শামিল করেন।

কথাটি সঠিক নয়। কারণ হাদিস ইসলামি শরিয়তের দ্বিতীয় উৎস ও দলিল। মুসলিম উম্মাহর হাজার বছরের ঐকমত্যে হাদিসের সত্যতা প্রমাণিত। বর্ণনা সূত্রের বলিষ্ঠতা-দুর্বলতার কারণে এর প্রামাণিকতার স্তর ভিন্ন হয়।

মহানবী (সা.)-এর আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত এবং এরপরও বেশ কয়েক বছর আরবে কোনো সুসংহত রাষ্ট্রব্যবস্থা ছিল না। বিচার-আচার ও সামাজিক কার্যক্রম পরিচালিত হতো গোত্রীয় কিছু রীতিনীতির মাধ্যমে।

ঢাকার ইতিহাসের সঙ্গেই মিশে আছে ঐতিহাসিক চকবাজার শাহি মসজিদ। ১৬৭৬ সালে মসজিদটি নির্মাণ করেন মোগল সুবেদার নওয়াব শায়েস্তা খাঁ। ৩৪৬ বছরের ব্যবধানে মসজিদটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা পৃথিবীবাসীর কাছে হেদায়াতের বার্তা পৌঁছে দিতে যুগে যুগে নবী-রাসুল পাঠিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে, ‘আর স্মরণ করো, যখন তোমার রব আদম সন্তানদের পিঠ থেকে তাদের বংশধরদের বের করলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজেদের জন্য সাক্ষী বানালেন এই মর্মে যে—আমি কি তোমাদের রব নই? তারা বলল, নিশ্চয়ই! আমরা সাক্

নামাজের ভেতর যেসব কাজ করা আবশ্যক, সেগুলোকে নামাজের রুকন বলা হয়। এগুলোর একটিও ছুটে গেলে নামাজ বাতিল গণ্য হবে। নামাজের রুকন ৬টি। যথা—১. তাকবিরে তাহরিমা বলা। আল্লাহর মহিমাবাচক কোনো শব্দ দিয়ে নামাজ শুরু করা...

যেসব গরিব লোক বাড়ি বাড়ি ঘুরে ভিক্ষা করে, সামান্য অর্থ-কড়ি পেলেই খুশি হয় এবং সমাজের লোকজন তাদের দান-সদকা করে থাকে, ইসলামে তাদের ফকির বলা হয়। কিন্তু সমাজে আরেক শ্রেণির গরিব লোক আছে

শরীর পবিত্র হওয়া। অজুর দরকার হলে অজু এবং গোসলের দরকার হলে গোসল করতে হবে। অপারগ হলে তায়াম্মুম করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা সালাতে দাঁড়াতে চাও, তখন তোমাদের মুখ ও কনুই পর্যন্ত হাত ধুয়ে নাও, মাথা মাসেহ করো এবং টাখনু পর্যন্ত পা ধুয়ে নাও।’

মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) প্রত্যেক মুসলিমের জন্য উত্তম আদর্শ। আকিদা, ইবাদত, লেনদেন, শিষ্টাচার, সমাজ, রাষ্ট্রসহ জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে রয়েছে নবীজি (সা.)-এর অনুসরণযোগ্য কর্মপন্থা। তাঁর অনুসরণই সুন্নাহর অনুসরণ।