মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন
প্রশ্ন: একটি সুদি ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে সুদের বিনিময়ে আমি হোম লোন নিই এবং একটি বাড়ি তৈরি করি। আমি সব টাকা পরিশোধ করে দিই। তখন সুদের ব্যাপারে সচেতনতা না থাকলেও এখন আমি সুদ এড়িয়ে চলি। আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামি শরিয়তের আলোকে বাড়িটিতে থাকা আমার জন্য বৈধ হবে? রহমান মুনশি, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: ইসলামি শরিয়তের আলোকে সুদ দেওয়া-নেওয়া উভয়ই কবিরা গুনাহ। কোরআন-হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর সাবধানতা অবলম্বনের কথা এসেছে। একই সঙ্গে সুদের ভয়াবহ শাস্তির কথাও বিবৃত হয়েছে। তাই সুদি কাজে জড়ানোর কারণে আপনার প্রথমেই আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিত। ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে সুদি ঋণ নিয়ে আপনি যে বাড়িটি বানিয়েছেন, তাতে থাকা অবৈধ হবে না। কারণ সুদ দেওয়ার কাজটি অবৈধ হলেও নির্মিত বাড়িতে সুদের টাকা ব্যবহৃত হয়নি। কারণ আপনি সুদ নেননি; দিয়েছেন। তাই তাতে বসবাস করতে কোনো অসুবিধা নেই।
তবে জেনে রাখতে হবে, সুদের লেনদেন ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। তাই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যেসব বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ করো, যদি তোমরা ইমানদার হয়ে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৮)
ইসলাম সুদকে সর্বতোভাবে বর্জন করে। পরের আয়াতেই সুদের লেনদেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শামিল ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর যদি তোমরা (সুদ) বর্জন না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। …’ (সুরা বাকারা: ২৭৯) হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী ও সুদের (চুক্তি বা হিসাব) লেখককে অভিশাপ দিয়েছেন। (তিরমিজি: ১/২২৯, হাদিস: ১২০৬; মুসলিম: ২/৭২, হাদিস: ১৫৯৮)
উত্তর দিয়েছেন
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, গবেষণা বিভাগীয় প্রধান, মা’হাদুল ফিকরিল ইসলামি, বসুমতি, গুলশান, ঢাকা
প্রশ্ন: একটি সুদি ব্যাংক থেকে নির্ধারিত হারে সুদের বিনিময়ে আমি হোম লোন নিই এবং একটি বাড়ি তৈরি করি। আমি সব টাকা পরিশোধ করে দিই। তখন সুদের ব্যাপারে সচেতনতা না থাকলেও এখন আমি সুদ এড়িয়ে চলি। আমার প্রশ্ন হলো, ইসলামি শরিয়তের আলোকে বাড়িটিতে থাকা আমার জন্য বৈধ হবে? রহমান মুনশি, মুন্সিগঞ্জ
উত্তর: ইসলামি শরিয়তের আলোকে সুদ দেওয়া-নেওয়া উভয়ই কবিরা গুনাহ। কোরআন-হাদিসে এ বিষয়ে কঠোর সাবধানতা অবলম্বনের কথা এসেছে। একই সঙ্গে সুদের ভয়াবহ শাস্তির কথাও বিবৃত হয়েছে। তাই সুদি কাজে জড়ানোর কারণে আপনার প্রথমেই আল্লাহর কাছে তওবা করা উচিত। ভবিষ্যতে এমন কাজ না করার দৃঢ় সংকল্প করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। তবে সুদি ঋণ নিয়ে আপনি যে বাড়িটি বানিয়েছেন, তাতে থাকা অবৈধ হবে না। কারণ সুদ দেওয়ার কাজটি অবৈধ হলেও নির্মিত বাড়িতে সুদের টাকা ব্যবহৃত হয়নি। কারণ আপনি সুদ নেননি; দিয়েছেন। তাই তাতে বসবাস করতে কোনো অসুবিধা নেই।
তবে জেনে রাখতে হবে, সুদের লেনদেন ইসলামের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ হারাম। তাই নিজেদের কৃতকর্মের জন্য আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর আল্লাহ ব্যবসা হালাল করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।’ (সুরা বাকারা: ২৭৫) অন্য আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘হে ইমানদারগণ, আল্লাহকে ভয় করো এবং সুদের যেসব বকেয়া আছে, তা পরিত্যাগ করো, যদি তোমরা ইমানদার হয়ে থাকো।’ (সুরা বাকারা: ২৭৮)
ইসলাম সুদকে সর্বতোভাবে বর্জন করে। পরের আয়াতেই সুদের লেনদেন আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার শামিল ঘোষণা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এরপর যদি তোমরা (সুদ) বর্জন না করো, তবে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হয়ে যাও। …’ (সুরা বাকারা: ২৭৯) হাদিসে এসেছে, মহানবী (সা.) সুদগ্রহীতা, সুদদাতা, সুদের সাক্ষী ও সুদের (চুক্তি বা হিসাব) লেখককে অভিশাপ দিয়েছেন। (তিরমিজি: ১/২২৯, হাদিস: ১২০৬; মুসলিম: ২/৭২, হাদিস: ১৫৯৮)
উত্তর দিয়েছেন
লেখক: মুফতি মুহাম্মদ মিনহাজ উদ্দিন, গবেষণা বিভাগীয় প্রধান, মা’হাদুল ফিকরিল ইসলামি, বসুমতি, গুলশান, ঢাকা
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪