মুফতি আবু আবদুল্লাহ আহমদ
ব্যবসায় উৎসাহিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে (ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা জীবিকা উপার্জনের অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে), আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকামও হও।’ (সুরা জুমুআ: ১০)
পবিত্র কোরআনের আরও কয়েকটি আয়াতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনোপকরণ উপার্জনের চেষ্টাকে আল্লাহর অনুগ্রহের অনুসন্ধান বলা হয়েছে। যেমন এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা (হজের সময়ে ব্যবসা করে বা শ্রম দিয়ে) আপন প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করলে তাতে কোনো গুনাহ নেই।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮) অন্য আয়াতে বলেন, ‘আর কিছু লোক এমন থাকবে, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানের জন্য পৃথিবীকে ভ্রমণ করবে (অর্থাৎ, ব্যবসার জন্য দেশ-বিদেশ সফর করবে)।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
রাসুলও (সা.) অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে লোকজনকে ব্যবসার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। যেমন এক হাদিসে তিনি এরশাদ করেন, ‘সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন সত্যবাদী ও শহীদগণের সঙ্গে উত্থিত হবেন।’ (তিরমিজি, হাকিম) অন্য হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ব্যবসা করো, কেননা রিজিকের ১০ ভাগের ৯ ভাগ ব্যবসার মধ্যে রয়েছে।’ (মুসনাদে সাইদ ইবনে মানসুর) ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘আমি চাই, জিহাদের ময়দানে জিহাদরত অবস্থায় কিংবা বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করা অবস্থায় আমার মৃত্যু হোক।’ (কানজুল উম্মাল)যারা সম্পদ জমিয়ে রাখে এবং তা থেকে জাকাতও দেয় না, পবিত্র কোরআনে তাদের কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা সোনা ও রুপা জমিয়ে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা তওবা: ৩৪) আয়াতের ব্যাখ্যায় মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ যাকে সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু সেই সম্পদের জাকাত দেয় না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদ তার জন্য চোখের পাশে দুটি কালো দাগবিশিষ্ট বিষধর সাপে পরিণত হবে।
তারপর সেটি তার চোয়ালের দুই পাশে দংশন করবে এবং বলতে থাকবে, আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার গচ্ছিত ধন।’ (বুখারি: ১৪০৩)
ব্যবসা করার মতো যথেষ্ট পুঁজি থাকা সত্ত্বেও যারা ব্যবসা না করে সম্পদ জমিয়ে রাখে, তাদের কর্মপন্থা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী। কারণ এর ফলে একদিকে বৈশ্বিক সম্পদের একাংশ উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে, অন্য দিকে ওই সম্পদ প্রয়োজনীয় খরচ, জাকাত ইত্যাদির ফলে ক্রমেই কমতে থাকে। এ জন্যই রাসুল (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যে পারদর্শী নয় এমন লোকজনের সম্পদকেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমের দায়িত্ব পাবে, সে এতিমের সম্পদকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে, যাতে জাকাত দিতে দিতে তা নিঃশেষ হয়ে না যায়।’ (তিরমিজি)
হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘এতিমের সম্পদ ব্যবসায় খাটাও, যেন জাকাত তা খেয়ে না ফেলে।’ (তাবরানি)
আমাদের সমাজে নারীদের বিয়ের সময় মোহরানা বাবদ যে স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা উৎপাদনশীল কোনো খাতে ব্যবহৃত না হয়ে এমনিতেই পড়ে থাকে।
এটা ইসলামি অর্থনীতির ধারণার বিপরীত। এর ফলে দেখা যায়, অনেক পরিবারে এক-দুই ভরি স্বর্ণ থাকা সত্ত্বেও তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। এ সম্পদ যদি সুষ্ঠু উপায়ে ব্যবসার আওতায় আনা যায়, তাহলে একদিকে অনেক পরিবারে যেমন সচ্ছলতা আসবে, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
ব্যবসায় উৎসাহিত করে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘নামাজ শেষ হলে তোমরা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়বে (ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা জীবিকা উপার্জনের অন্যান্য উপায়ের মাধ্যমে), আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান করবে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করবে, যাতে তোমরা সফলকামও হও।’ (সুরা জুমুআ: ১০)
পবিত্র কোরআনের আরও কয়েকটি আয়াতে ব্যবসা-বাণিজ্য ও জীবনোপকরণ উপার্জনের চেষ্টাকে আল্লাহর অনুগ্রহের অনুসন্ধান বলা হয়েছে। যেমন এক আয়াতে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা (হজের সময়ে ব্যবসা করে বা শ্রম দিয়ে) আপন প্রতিপালকের অনুগ্রহ সন্ধান করলে তাতে কোনো গুনাহ নেই।’ (সুরা বাকারা: ১৯৮) অন্য আয়াতে বলেন, ‘আর কিছু লোক এমন থাকবে, যারা আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধানের জন্য পৃথিবীকে ভ্রমণ করবে (অর্থাৎ, ব্যবসার জন্য দেশ-বিদেশ সফর করবে)।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল: ২০)
রাসুলও (সা.) অসংখ্য হাদিসের মাধ্যমে লোকজনকে ব্যবসার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছেন। যেমন এক হাদিসে তিনি এরশাদ করেন, ‘সৎ ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন সত্যবাদী ও শহীদগণের সঙ্গে উত্থিত হবেন।’ (তিরমিজি, হাকিম) অন্য হাদিসে বলেন, ‘তোমরা ব্যবসা করো, কেননা রিজিকের ১০ ভাগের ৯ ভাগ ব্যবসার মধ্যে রয়েছে।’ (মুসনাদে সাইদ ইবনে মানসুর) ওমর ইবনে খাত্তাব (রা.) বলেন, ‘আমি চাই, জিহাদের ময়দানে জিহাদরত অবস্থায় কিংবা বাজারে ব্যবসা-বাণিজ্য করা অবস্থায় আমার মৃত্যু হোক।’ (কানজুল উম্মাল)যারা সম্পদ জমিয়ে রাখে এবং তা থেকে জাকাতও দেয় না, পবিত্র কোরআনে তাদের কঠিন হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং যারা সোনা ও রুপা জমিয়ে রাখে এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে না, তাদের বেদনাদায়ক আজাবের সুসংবাদ দাও।’ (সুরা তওবা: ৩৪) আয়াতের ব্যাখ্যায় মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ যাকে সম্পদ দিয়েছেন, কিন্তু সেই সম্পদের জাকাত দেয় না, কিয়ামতের দিন তার সম্পদ তার জন্য চোখের পাশে দুটি কালো দাগবিশিষ্ট বিষধর সাপে পরিণত হবে।
তারপর সেটি তার চোয়ালের দুই পাশে দংশন করবে এবং বলতে থাকবে, আমি তোমার সম্পদ, আমি তোমার গচ্ছিত ধন।’ (বুখারি: ১৪০৩)
ব্যবসা করার মতো যথেষ্ট পুঁজি থাকা সত্ত্বেও যারা ব্যবসা না করে সম্পদ জমিয়ে রাখে, তাদের কর্মপন্থা ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গির পরিপন্থী। কারণ এর ফলে একদিকে বৈশ্বিক সম্পদের একাংশ উৎপাদনশীল খাতে ব্যবহার না হওয়ায় বিশ্ব অর্থনীতির ওপর খারাপ প্রভাব পড়ে, অন্য দিকে ওই সম্পদ প্রয়োজনীয় খরচ, জাকাত ইত্যাদির ফলে ক্রমেই কমতে থাকে। এ জন্যই রাসুল (সা.) ব্যবসা-বাণিজ্যে পারদর্শী নয় এমন লোকজনের সম্পদকেও যথাযথ কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে ব্যবসায় বিনিয়োগ করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘যে ব্যক্তি কোনো এতিমের দায়িত্ব পাবে, সে এতিমের সম্পদকে ব্যবসায় বিনিয়োগ করবে, যাতে জাকাত দিতে দিতে তা নিঃশেষ হয়ে না যায়।’ (তিরমিজি)
হজরত ওমর (রা.) বলেন, ‘এতিমের সম্পদ ব্যবসায় খাটাও, যেন জাকাত তা খেয়ে না ফেলে।’ (তাবরানি)
আমাদের সমাজে নারীদের বিয়ের সময় মোহরানা বাবদ যে স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়, অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা উৎপাদনশীল কোনো খাতে ব্যবহৃত না হয়ে এমনিতেই পড়ে থাকে।
এটা ইসলামি অর্থনীতির ধারণার বিপরীত। এর ফলে দেখা যায়, অনেক পরিবারে এক-দুই ভরি স্বর্ণ থাকা সত্ত্বেও তাদের নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। এ সম্পদ যদি সুষ্ঠু উপায়ে ব্যবসার আওতায় আনা যায়, তাহলে একদিকে অনেক পরিবারে যেমন সচ্ছলতা আসবে, অন্য দিকে দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক অগ্রগতি সাধিত হবে।
লেখক: ইসলামবিষয়ক গবেষক
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৭ মিনিট আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
১ ঘণ্টা আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৪ ঘণ্টা আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫