আড্ডা

নিজের নির্বুদ্ধিতার গল্প করে আনন্দ পান আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। জামালপুরে একদিনের একটি ঘটনা। তাঁর বয়স তখন আট। ব্রহ্মপুত্র নদের পাশের রাস্তা দিয়ে হাঁটছেন তিনি। সঙ্গে ছিল বাড়িতে কাজে সাহায্য করত যে...

বনফুলের ‘হাটে বাজারে’ নিয়ে সিনেমা করতে চাইলেন তপন সিংহ। যদিও সেটা ডায়েরির ফর্মে লেখা, তবু তার চরিত্রগুলো জীবন্ত বলে ছবি করলে উতরে যাবে। কারা অভিনয় করবেন? তপন সিংহ ঠিক করলেন বোম্বের ব্যস্ত শিল্পী বৈজয়ন্তী মালা আর অশোক কুমারকে নেবেন প্রধান চরিত্রে। বোম্বে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলায় দুজনই ছবিটি করতে উৎ

বয়স তখন পনেরো। মৃণাল সেন থাকেন ফরিদপুরে। দেশভাগের আগের কথা। সে সময় ফরিদপুর শহরে লাল-বাল-পালের প্রভাব। লালা লাজপত রায়, বাল গঙ্গাধর তিলক আর বিপিনচন্দ্র পাল। মৃণাল সেনের বাবা দীনেশচন্দ্র সেন পেশায় ছিলেন আইনজীবী। জেলা কোর্টের বার কাউন্সিলের নেতা ছিলেন। সে সময় যেসব বিপ্লবীর ফাঁসি হয়েছে, তাঁদের অনেকেরই বন

অনেকেই মনে করে থাকেন, ছবি বানিয়ে সত্যজিৎ রায় অগাধ টাকাপয়সার মালিক হয়েছেন। আসলে বছরে একটি বা দুটি ছবি করতেন তিনি। তাতে সংসার চলত না।

বিসিকের পরিকল্পনা পরিচালক মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন ১৯৭৩ সালে জানলেন, প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ে উপসচিব পদে তাঁকে বদলি করা হচ্ছে। নির্ধারিত দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে সাক্ষাৎকার দিতে গেলেন তিনি।

২৫ মার্চের অপারেশন সার্চলাইটের পর তাজউদ্দীন আহমদ আর ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম কী করে ঢাকা থেকে বের হলেন, পৌঁছালেন কলকাতায়, তার বর্ণনা পাওয়া যাবে আমীর-উল ইসলামের বয়ানে। সীমান্তে ভারতীয় এক অফিসার এসে বলেন, তাঁদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়েই ছাউনিতে তাঁরা নিতে এসেছেন। জানালেন, তাজউদ্দীন আহমদ আর আমীর-উল ইসলা

রোমাঁ রোলাঁ যে বাড়িতে থাকেন, তার একদিকে হ্রদ, অন্যদিকে পর্বত। লেজার পর্বতমালার নিচে জেনেভা হ্রদ, সেখানে গ্রামের পর গ্রাম। তারই এক গ্রামে তখন থাকতেন রোমাঁ রোলাঁ।

ডান্ডি শহরে ডেভিড লিন্ডসে তাঁর ফ্ল্যাক্স মিল ‘ভারডান্ট ওয়ার্কস’এর কিছু বিবর্তন করে ১৮৩৫ সালে প্রতিষ্ঠা করলেন বিশ্বের প্রথম জুট মিল বা পাটকল। 

নূরলদীনের কোনো হদিস কেউ করেনি কখনো। হদিস করার মতো তথ্য-উপাত্তও ছিল না। কিন্তু পড়াশোনার খাতিরেই লন্ডনের বিবিসি লাইব্রেরিতে গিয়ে একদিন সৈয়দ শামসুল হক আবিষ্কার করলেন নূরলদীনকে।

রাত তখন ১১টা। অন্যান্য দিনের মতো সেদিনও আব্বুর ঘরে গেলাম ওষুধগুলো দিতে। জানুয়ারির শীতের রাত। অর্ধেকটা লেপ গায়ে তুলে আব্বু খাটের ওপর বসে আছেন। এক হাতে ওষুধ, অন্য হাতে পানির বোতল এগিয়ে দিলাম, ‘আব্বু খাও’। ‘হুম’ বলে এক হাতে...

মার্ক টোয়েনের মতো আমুদে লেখক ইতিহাসে বিরল। জীবনটাকে তিনি আনন্দময় করে রেখেছিলেন। রাস্তা দিয়ে যখন চলতেন, তখন সঙ্গীর সঙ্গে রসিকতা করতেন। হাসির গল্প বলতেন। মার্ক টোয়েনের গল্প শুনে না হেসে কেউ মুখ বন্ধ রাখবে—এ রকম ঘটনা কখনো ঘটেনি। তবে ঘটল একবার।

একেবারে ছেলেবেলায় মকসুদ-উস-সালেহীন, বজলুল করিমদের ড্রামা সার্কেলের নাটকের মহড়া দেখতেন নাসির উদ্দীন ইউসুফ। পল্টনে নাসির উদ্দীনদের বাড়ির দুটো বাড়ি পরেই ছিল ড্রামা সার্কেলের বজলুল করিমের বাড়ি।

ব্রিটিশ আমলে রবীন্দ্রনাথের কোনো বই বাজেয়াপ্ত হয়নি। তাঁর আগে-পিছে অনেক লেখকের বইই বাজেয়াপ্ত করেছে ব্রিটিশ সরকার। তাহলে কি রবীন্দ্রনাথকে বিপজ্জনক বলে মনে করত না তারা? ইতিহাস জানাচ্ছে, রবীন্দ্রনাথের জনপ্রিয়তা ও সর্বমহলে জনপ্রিয়তার কারণে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে ভয় পেয়েছে ব্রিটিশরা।

সালাহউদ্দীন আহমদ তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতেন। তাঁর স্ত্রী হামিদা খানম ইডেন গার্লস কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল। কোনো নতুন শিক্ষক তাঁর সুবিধামতো থাকার জায়গা না পেলে সালাহউদ্দীন আহমদের বাড়িতে এসে থাকতেন।

উথালপাতাল বৃষ্টি দেখে আপনার মনে হতেই পারে, এই বিশাল পৃথিবীতে চার দেয়ালের কোনো অর্থ নেই...

১৯৯৫ সালের মার্চের শেষে স্ত্রী সুরাইয়া তুতুলের চিকিৎসার জন্য আখতারুজ্জামান ইলিয়াস গিয়েছিলেন কলকাতায়। চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পর জানা গেল, রোগীর অবস্থা ভালো নয়। তাই ভেলোরে যাওয়া স্থির হয়েছে। দিনটি ছিল শুক্রবার। রোববারে ফেয়ারলিতে টিকিট করতে যাবেন। তার আগে শনিবার এখানকার চিকিৎসকের নির্দেশে সুরাইয়া তুতুলে

সাহিত্যিক নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘সৈনিক’-এর কাহিনি খুব ভালো লাগল তরুণ চলচ্চিত্র পরিচালক তপন সিনহার। তিনি চাইলেন এ গল্পটি থেকে সিনেমা তৈরি করতে। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় তখন থাকেন হ্যারিসন রোডের কাছাকাছি পটোলডাঙায়। নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়াতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে পড়াতে তাঁর বেশ