প্রযুক্তি ডেস্ক
বর্তমানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ডিভাইস মেরামতের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন ভোক্তারা। এটি যেমন ভোক্তা স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত সেই সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওয়াস্ট বা ই–বর্জ্য কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
তবে পশ্চিমে ‘রাইট টু রিপেয়ার’–এর যে আইন রয়েছে, সেটিতে নির্দিষ্ট কিছু যানবাহন এবং সরঞ্জাম মেরামতের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। আইনের ফাঁকফোকরেই অ্যাপল, আমাজন ও মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলো স্মার্ট ডিভাইস অথবা গেম কনসোল মেরামতের স্বাধীনতা থেকে ভোক্তাদের বঞ্চিত করছে।
এবার এই অধিকারের পক্ষে কথা বললেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক। আমেরিকান এই কম্পিউটার প্রকৌশলী ও প্রোগ্রামার অ্যাপলের ডিভাইস মেরামতের অধিকারের পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্ব জুড়ে অ্যাপলের বাজার বিস্তৃত। বেশ কিছুদিন ধরেই ‘রাইট টু রিপেয়ার মুভমেন্ট’–এর দাবি জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের বেশির ভাগই ‘রাইট টু রিপেয়ার বিল-২০২১ ’–এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করছেন তাঁরা। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ডিভাইস মেরামতের বিষয়টি ক্রেতাদের ওপর ছেড়ে দিলে এটি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।
সব ধরনের ডিভাইস মেরামতের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখ লুইস রোসম্যানকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ ওজনিয়াক (৭০) বলেছেন, ‘ডিভাইস মেরামতের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার এখনই সময়।’
চলতি বছরের শুরুতে সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ‘রাইট টু রিপেয়ার’ আইন পাস করার লক্ষ্যে ৬০ লাখ ডলার সংগ্রহের ঘোষণা দেন রোসম্যান। এখন পর্যন্ত তিনি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী অ্যাপল। তারা শুধু নিজেদের নির্ধারিত টেকনিশিয়ানের মাধ্যমেই ডিভাইস মেরামতকে সমর্থন করে থাকে। এমনকি ডিভাইস মেরামত সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তারা দেয় না।
স্টিভ ওজনিয়াক মনে করেন, কোম্পানিগুলো ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতার বিপক্ষে। কারণ এটি তাদের সবকিছুর ওপর কোম্পানিকে ক্ষমতাবান করতে এবং নিয়ন্ত্রণের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
স্টিভ ওজনিয়াক বলেন, আপনি স্বল্প ব্যয়ে অনেক কিছুই মেরামত করতে পারেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, আপনি নিজে ডিভাইস মেরামতের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারছেন। এটি খুবই মূল্যবান ব্যাপার।
মেরামত করতে পারার সুবিধা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অ্যাপলের শুরুর দিকের কিছু ঘটনা বলেন ওজনিয়াক। তিনি বলেন, অ্যাপল ওয়ান কম্পিউটার তৈরির সময় তাঁর টেলিটাইপ (ইনপুট–আউটপুট ডিভাইস) কেনার সামর্থ্য ছিল না। কারণ এর দাম ছিল দুটি ব্যক্তিগত গাড়ির সমান। তিনি টেলিভিশনের সার্কিট বোর্ড কাস্টমাইজ করে মনিটর বানিয়েছিলেন।
এ ছাড়া অ্যাপল টু কম্পিউটারের সঙ্গে স্কিম্যাটিক এবং নকশা দিয়ে দেওয়া হতো। এই কম্পিউটারের ব্যবসায়িক সফলতার পেছনে এই কৌশলটির বড় অবদান আছে বলে মনে করেন ওজনিয়াক। এভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়াতে অ্যাপল কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? প্রশ্ন রাখেন ওজনিয়াক।
উল্লেখ্য, স্টিভ জবসের সঙ্গে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করলেও আশির দশকেই কোম্পানি ছেড়ে চলে যান ওজনিয়াক। অথচ কোম্পানি তখন সাফল্যের সিঁড়িতে। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে ওজনিয়াক বলেন, কার্যত তিনি এখনো অ্যাপলের কর্মী। ব্যবসায় কোনো ভূমিকা না রাখলেও প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ ডলারের একটি চেক পান।
বর্তমানে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে যে কোনো ডিভাইস মেরামতের অধিকার নিয়ে সোচ্চার হচ্ছেন ভোক্তারা। এটি যেমন ভোক্তা স্বাধীনতার সঙ্গে জড়িত সেই সঙ্গে ইলেকট্রনিক ওয়াস্ট বা ই–বর্জ্য কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।
তবে পশ্চিমে ‘রাইট টু রিপেয়ার’–এর যে আইন রয়েছে, সেটিতে নির্দিষ্ট কিছু যানবাহন এবং সরঞ্জাম মেরামতের স্বাধীনতার কথা বলা আছে। আইনের ফাঁকফোকরেই অ্যাপল, আমাজন ও মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলো স্মার্ট ডিভাইস অথবা গেম কনসোল মেরামতের স্বাধীনতা থেকে ভোক্তাদের বঞ্চিত করছে।
এবার এই অধিকারের পক্ষে কথা বললেন অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ ওজনিয়াক। আমেরিকান এই কম্পিউটার প্রকৌশলী ও প্রোগ্রামার অ্যাপলের ডিভাইস মেরামতের অধিকারের পক্ষে তাঁর দৃঢ় অবস্থান ব্যক্ত করেছেন।
বিশ্ব জুড়ে অ্যাপলের বাজার বিস্তৃত। বেশ কিছুদিন ধরেই ‘রাইট টু রিপেয়ার মুভমেন্ট’–এর দাবি জোরালো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ৫০টি অঙ্গরাজ্যের বেশির ভাগই ‘রাইট টু রিপেয়ার বিল-২০২১ ’–এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে উল্লেখ করছেন তাঁরা। তবে অ্যাপলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ডিভাইস মেরামতের বিষয়টি ক্রেতাদের ওপর ছেড়ে দিলে এটি সুরক্ষা ও নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি করবে।
সব ধরনের ডিভাইস মেরামতের অধিকার আন্দোলনের অন্যতম মুখ লুইস রোসম্যানকে দেওয়া সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে স্টিভ ওজনিয়াক (৭০) বলেছেন, ‘ডিভাইস মেরামতের পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়ার এখনই সময়।’
চলতি বছরের শুরুতে সরাসরি ব্যালটের মাধ্যমে ‘রাইট টু রিপেয়ার’ আইন পাস করার লক্ষ্যে ৬০ লাখ ডলার সংগ্রহের ঘোষণা দেন রোসম্যান। এখন পর্যন্ত তিনি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছেন।
ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী অ্যাপল। তারা শুধু নিজেদের নির্ধারিত টেকনিশিয়ানের মাধ্যমেই ডিভাইস মেরামতকে সমর্থন করে থাকে। এমনকি ডিভাইস মেরামত সংক্রান্ত কোনো তথ্যও তারা দেয় না।
স্টিভ ওজনিয়াক মনে করেন, কোম্পানিগুলো ডিভাইস মেরামতের স্বাধীনতার বিপক্ষে। কারণ এটি তাদের সবকিছুর ওপর কোম্পানিকে ক্ষমতাবান করতে এবং নিয়ন্ত্রণের সুযোগ তৈরি করে দেয়।
স্টিভ ওজনিয়াক বলেন, আপনি স্বল্প ব্যয়ে অনেক কিছুই মেরামত করতে পারেন। সবচেয়ে বড় বিষয়, আপনি নিজে ডিভাইস মেরামতের মাধ্যমে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারছেন। এটি খুবই মূল্যবান ব্যাপার।
মেরামত করতে পারার সুবিধা সম্পর্কে বলতে গিয়ে অ্যাপলের শুরুর দিকের কিছু ঘটনা বলেন ওজনিয়াক। তিনি বলেন, অ্যাপল ওয়ান কম্পিউটার তৈরির সময় তাঁর টেলিটাইপ (ইনপুট–আউটপুট ডিভাইস) কেনার সামর্থ্য ছিল না। কারণ এর দাম ছিল দুটি ব্যক্তিগত গাড়ির সমান। তিনি টেলিভিশনের সার্কিট বোর্ড কাস্টমাইজ করে মনিটর বানিয়েছিলেন।
এ ছাড়া অ্যাপল টু কম্পিউটারের সঙ্গে স্কিম্যাটিক এবং নকশা দিয়ে দেওয়া হতো। এই কম্পিউটারের ব্যবসায়িক সফলতার পেছনে এই কৌশলটির বড় অবদান আছে বলে মনে করেন ওজনিয়াক। এভাবে উন্মুক্ত করে দেওয়াতে অ্যাপল কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল? প্রশ্ন রাখেন ওজনিয়াক।
উল্লেখ্য, স্টিভ জবসের সঙ্গে অ্যাপল প্রতিষ্ঠা করলেও আশির দশকেই কোম্পানি ছেড়ে চলে যান ওজনিয়াক। অথচ কোম্পানি তখন সাফল্যের সিঁড়িতে। গত বছর এক সাক্ষাৎকারে ওজনিয়াক বলেন, কার্যত তিনি এখনো অ্যাপলের কর্মী। ব্যবসায় কোনো ভূমিকা না রাখলেও প্রতি সপ্তাহে প্রায় ৫০ ডলারের একটি চেক পান।
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে