আজকের পত্রিকা ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে জানিয়েছেন, চীনা মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই বিক্রিতে টিকটকের দাম ধরা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম মার্কিন ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির তাঁর পরিকল্পনা ২০২৪ সালের আইনে নির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তার শর্ত পূরণ করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, নতুন মার্কিন কোম্পানিটির মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। জনপ্রিয় এই শর্ট ভিডিও অ্যাপের বাজারমূল্য বিশ্লেষকদের অনুমানের চেয়ে অনেক কম বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, আইন অনুযায়ী টিকটককে নিষিদ্ধ করার সময়সীমা আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমকে মূল প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করা, মার্কিন ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী জোগাড় করা এবং চীনা সরকারের অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
নির্বাহী আদেশ প্রকাশের পর বোঝা যাচ্ছে, টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক বিষয় স্পষ্ট নয়, বিশেষ করে টিকটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ—এর রিকমেন্ডেশন অ্যালগরিদম—কীভাবে ব্যবহৃত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে ভ্যান্স বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে কিছুটা আপত্তি ছিল। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল টিকটক চালু রাখা, আবার একই সঙ্গে মার্কিনিদের ডেটা প্রাইভেসি আইন অনুযায়ী সুরক্ষা দেওয়া।’
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, অ্যালগরিদমকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং মার্কিন কোম্পানির নিরাপত্তা অংশীদারেরা এর ওপর নজরদারি করবে। নতুন যৌথ উদ্যোগের নিয়ন্ত্রণেই অ্যালগরিদম পরিচালিত হবে। ট্রাম্প আরও জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এ পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি যা করছি, তা তাঁকে জানিয়েছি, আর তিনি বলেছেন এগিয়ে যাও।’
চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস ও টিকটক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটক তাঁর পুনর্নির্বাচনে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারী ১৭ কোটি। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত টিকটক অ্যাকাউন্টে অনুসারী আছেন ১ কোটি ৫০ লাখ। গত মাসে হোয়াইট হাউসও একটি আনুষ্ঠানিক টিকটক অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে চলবে।’
তিনি জানান, ডেল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাইকেল ডেল, ফক্স নিউজ ও নিউজ করপের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রুপার্ট মারডক এবং আরও চার থেকে পাঁচজন বিশ্বমানের বিনিয়োগকারী এই চুক্তিতে অংশ নেবেন।
তবে হোয়াইট হাউস ১৪ বিলিয়ন ডলারের এই মূল্যায়ন কীভাবে করা হলো তা ব্যাখ্যা করেনি। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্স নিজেদের সর্বশেষ কর্মী শেয়ার বাইব্যাক পরিকল্পনায় কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে টিকটকের অবদান খুবই কম।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস জানান, ২০২৫ সালের এপ্রিলে টিকটক অ্যালগরিদম ছাড়া ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বলে অনুমান করা হয়েছিল। হোয়াইট হাউস যেটিকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের যৌথ উদ্যোগ বলছে, চীনা গণমাধ্যম বলছে সেটি মূলত মার্কিন ডিজিটাল নিরাপত্তা, কনটেন্ট ও সফটওয়্যার সুরক্ষা এবং স্থানীয় ব্যবসার দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্র জানায়, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমে ওরাকল ও সিলভার লেক প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্মসহ তিন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫০ শতাংশ শেয়ার নেবে। আরেক সূত্র বলছে, বাইটড্যান্সের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখবে। তাদের মধ্যে সাসকুয়াহানা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ, জেনারেল আটলান্টিক ও কেকেআর রয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি হওয়ায় ৫০ শতাংশ শেয়ারের হিসাব পরিবর্তন হতে পারে।
সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, আবুধাবি-ভিত্তিক এমজিএক্স, ওরাকল ও সিলভার লেক টিকটক মার্কিন কার্যক্রমে একসঙ্গে ৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে যাচ্ছে। তবে এমজিএক্স রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আইন অনুযায়ী, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে বাইটড্যান্সের শেয়ার ২০ শতাংশের কম রাখতে হবে। আইনটি বলছে, যদি ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে বাইটড্যান্স টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না করে, তাহলে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাবে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল বৃহস্পতিবার এক নির্বাহী আদেশে জানিয়েছেন, চীনা মালিকানাধীন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটক বিক্রির বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়েছে। এই বিক্রিতে টিকটকের দাম ধরা হয়েছে ১৪ বিলিয়ন ডলার। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম মার্কিন ও আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের কাছে বিক্রির তাঁর পরিকল্পনা ২০২৪ সালের আইনে নির্ধারিত জাতীয় নিরাপত্তার শর্ত পূরণ করবে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, নতুন মার্কিন কোম্পানিটির মূল্য দাঁড়াবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। জনপ্রিয় এই শর্ট ভিডিও অ্যাপের বাজারমূল্য বিশ্লেষকদের অনুমানের চেয়ে অনেক কম বলে জানান তিনি।
ট্রাম্প বৃহস্পতিবার ঘোষণা দেন, আইন অনুযায়ী টিকটককে নিষিদ্ধ করার সময়সীমা আগামী বছরের ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমকে মূল প্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা করা, মার্কিন ও অন্যান্য বিনিয়োগকারী জোগাড় করা এবং চীনা সরকারের অনুমোদন নেওয়ার চেষ্টা চলছে।
নির্বাহী আদেশ প্রকাশের পর বোঝা যাচ্ছে, টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রির প্রক্রিয়ায় অগ্রগতি হয়েছে। তবে এখনো অনেক বিষয় স্পষ্ট নয়, বিশেষ করে টিকটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ—এর রিকমেন্ডেশন অ্যালগরিদম—কীভাবে ব্যবহৃত হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।
হোয়াইট হাউসের ব্রিফিংয়ে ভ্যান্স বলেন, ‘চীনের পক্ষ থেকে কিছুটা আপত্তি ছিল। কিন্তু মূল উদ্দেশ্য ছিল টিকটক চালু রাখা, আবার একই সঙ্গে মার্কিনিদের ডেটা প্রাইভেসি আইন অনুযায়ী সুরক্ষা দেওয়া।’
ট্রাম্পের আদেশে বলা হয়েছে, অ্যালগরিদমকে নতুন করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং মার্কিন কোম্পানির নিরাপত্তা অংশীদারেরা এর ওপর নজরদারি করবে। নতুন যৌথ উদ্যোগের নিয়ন্ত্রণেই অ্যালগরিদম পরিচালিত হবে। ট্রাম্প আরও জানান, চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং এ পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে কথা বলেছি। আমাদের ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি যা করছি, তা তাঁকে জানিয়েছি, আর তিনি বলেছেন এগিয়ে যাও।’
চীনের ওয়াশিংটন দূতাবাস ও টিকটক ট্রাম্পের সিদ্ধান্তে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। ট্রাম্প জানিয়েছেন, টিকটক তাঁর পুনর্নির্বাচনে সহায়তা করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারী ১৭ কোটি। ট্রাম্পের ব্যক্তিগত টিকটক অ্যাকাউন্টে অনুসারী আছেন ১ কোটি ৫০ লাখ। গত মাসে হোয়াইট হাউসও একটি আনুষ্ঠানিক টিকটক অ্যাকাউন্ট চালু করেছে। ট্রাম্প বলেন, ‘এটি পুরোপুরি মার্কিন নিয়ন্ত্রণে চলবে।’
তিনি জানান, ডেল টেকনোলজিসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মাইকেল ডেল, ফক্স নিউজ ও নিউজ করপের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রুপার্ট মারডক এবং আরও চার থেকে পাঁচজন বিশ্বমানের বিনিয়োগকারী এই চুক্তিতে অংশ নেবেন।
তবে হোয়াইট হাউস ১৪ বিলিয়ন ডলারের এই মূল্যায়ন কীভাবে করা হলো তা ব্যাখ্যা করেনি। টিকটকের চীনা মালিক বাইটড্যান্স নিজেদের সর্বশেষ কর্মী শেয়ার বাইব্যাক পরিকল্পনায় কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৩০ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সেখানে টিকটকের অবদান খুবই কম।
ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের বিশ্লেষক ড্যান আইভস জানান, ২০২৫ সালের এপ্রিলে টিকটক অ্যালগরিদম ছাড়া ৩০ থেকে ৪০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বলে অনুমান করা হয়েছিল। হোয়াইট হাউস যেটিকে ১৪ বিলিয়ন ডলারের যৌথ উদ্যোগ বলছে, চীনা গণমাধ্যম বলছে সেটি মূলত মার্কিন ডিজিটাল নিরাপত্তা, কনটেন্ট ও সফটওয়্যার সুরক্ষা এবং স্থানীয় ব্যবসার দায়িত্ব পালন করবে।
সূত্র জানায়, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রমে ওরাকল ও সিলভার লেক প্রাইভেট ইক্যুইটি ফার্মসহ তিন বিনিয়োগকারী মিলে প্রায় ৫০ শতাংশ শেয়ার নেবে। আরেক সূত্র বলছে, বাইটড্যান্সের বিদ্যমান বিনিয়োগকারীরা প্রায় ৩০ শতাংশ শেয়ার রাখবে। তাদের মধ্যে সাসকুয়াহানা ইন্টারন্যাশনাল গ্রুপ, জেনারেল আটলান্টিক ও কেকেআর রয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি হওয়ায় ৫০ শতাংশ শেয়ারের হিসাব পরিবর্তন হতে পারে।
সিএনবিসির খবরে বলা হয়েছে, আবুধাবি-ভিত্তিক এমজিএক্স, ওরাকল ও সিলভার লেক টিকটক মার্কিন কার্যক্রমে একসঙ্গে ৪৫ শতাংশ শেয়ার কিনতে যাচ্ছে। তবে এমজিএক্স রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। আইন অনুযায়ী, টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বন্ধ হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে বাইটড্যান্সের শেয়ার ২০ শতাংশের কম রাখতে হবে। আইনটি বলছে, যদি ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে বাইটড্যান্স টিকটকের মার্কিন সম্পদ বিক্রি না করে, তাহলে অ্যাপটি বন্ধ হয়ে যাবে।
বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রাম পৌঁছে গেল এক নতুন উচ্চতায়। প্ল্যাটফর্মটির মাসিক সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা পেরিয়ে গেছে ৩০০ কোটির গণ্ডি। গতকাল বুধবার মেটা চ্যানেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিইও মার্ক জাকারবার্গ।
১ দিন আগেইন্টারনেটে রীতিমতো ঝড় তুলেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনির নতুন ন্যানো ব্যানানা টুল। প্রচলিত ইমেজ জেনারেটরের চেয়ে ভিন্নভাবে কাজ করে এই এআই। খুব সহজেই সাধারণ ছবি থেকে বাস্তবধর্মী ৩ডি মডেলের ছবি তৈরি করে।
১ দিন আগেভারতের কর্ণাটক হাইকোর্ট ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এর দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছে। এক্সের অভিযোগ ছিল, ভারত সরকারের ‘সহযোগ’ নামের পোর্টাল ব্যবহার করে তাদের প্ল্যাটফর্মে নির্বিচারে কনটেন্ট সেন্সর করা হচ্ছে, যা বাক স্বাধীনতার মূল্যবোধের বিরোধী।
১ দিন আগেআমাদের আধুনিক জীবনের মূল চালিকা শক্তিই যেন এখন ইন্টারনেট ও বিদ্যুৎ। শিক্ষা, অফিস, চিকিৎসা, বিনোদন—সবকিছুই এককভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে এই দুইটির ওপর। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যান্ত্রিক ত্রুটি, সাইবার হামলা কিংবা জাতীয় সংকটের কারণে দীর্ঘমেয়াদি ইন্টারনেট বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট অস্বাভাবিক নয়।
১ দিন আগে