প্রযুক্তি ডেস্ক
ফসল উৎপাদনে আগাছা নির্মূল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বজুড়ে কৃষকদের আরও দক্ষ এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে আগাছা নির্মূলে সহায়তায় নিত্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। আগাছানাশক ব্যবহারে পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো এ ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনবে। প্রযুক্তিগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে— লেজার, ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃষি সরঞ্জাম জায়ান্ট ‘জন ডিয়ার’। প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ডেনা কোভার বলেন, ‘আমাদের নতুন ট্রাক্টর-চালিত আগাছা স্প্রেয়ার আগাছানাশকের ব্যবহার দুই তৃতীয়াংশ কমাবে।’
‘সি অ্যান্ড স্প্রে আলটিমেট’ নামে পরিচিত সিস্টেমটি দেখতে একটি সাধারণ ফিল্ড স্প্রেয়ারের মতোই। এ ছাড়া, এই স্প্রেয়ারটিতে যুক্ত রয়েছে ৩৬টি ক্যামেরা। এগুলো ক্রমাগত স্ক্যান করে শনাক্ত করে কোনটি ফসল আর কোনটি আগাছা।
মূলত, স্প্রেয়ারটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে স্প্রেয়ারটি ফসল এবং আগাছা আলাদা করে শনাক্ত করে স্প্রে করতে পারে। ফলে ফসলের ওপর আগাছানাশক পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। জন ডিয়ারের প্রোডাকশন অ্যান্ড প্রিসিশন এগ্রিকালচার প্রোডাকশন সিস্টেমের ভাইস প্রেসিডেন্ট কোভার বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম প্রতি সেকেন্ডে ২০ লাখ পিক্সেলের ছবি তুলছে। তাই এটিকে অনেক কিছু দেখতে হয় এবং প্রক্রিয়া করতে হয়।’
সফটওয়্যারটিকে আগাছা শনাক্তে সাহায্য করতে জন ডিয়ারের ডেটাবেইসে ৩ লাখেরও বেশি ছবি রয়েছে। সিস্টেমটি বর্তমানে তিনটি ফসল নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হলো—ভুট্টা, সয়াবিন এবং তুলা। এ প্রযুক্তি আপাতত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষকদের জন্য অনেক ছোটবড় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান একই ধরনের ‘স্মার্ট’ আগাছা নির্মূল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জার্মান কোম্পানি ‘বশ বিএএসফ স্মার্ট ফার্মিং’। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম ‘স্মার্ট স্প্রেয়িং সলিউশন’।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান গ্রিনআই টেকনোলজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাদাভ বোচার বলেন, ‘আগাছানাশকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে গত কয়েক দশকে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কল্পনা করাও কঠিন। অকারণে এত মাটি দূষণের প্রভাব শেষ পর্যন্ত আমাদের ওপরই পড়ে এবং আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’ তাঁর দাবি, গ্রিনআইয়ের প্রযুক্তি আগাছানাশক ব্যবহারের মাত্রা ৮০ শতাংশ কমাবে।
বোচার যোগ করেন, যদিও উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করা ব্যয়বহুল। তবে আগাছানাশকের খরচ কমে যাওয়া এবং ফসলের উচ্চ ফলনের কারণে দুই মৌসুমেরও কম সময়ে খরচ উঠে যাবে।
২০২১ সালের একটি সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় গমের ওপর আগাছার বার্ষিক আর্থিক প্রভাব আনুমানিক ২২০ কোটি ডলার।
কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রিসিশন এআই’ মূলত ড্রোন সার্ভিস দিয়ে থাকে। ড্রোনগুলো ফসলি জমির ওপর উড়ে আগাছা শনাক্ত করে। প্রিসিশন এআইয়ের প্রধান ড্যানিয়েল ম্যাকক্যান বলেন, ‘চাষের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারের বিবর্তনকে গরুর লাঙল থেকে ট্রাক্টরে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়।’
প্রিসিশন এআইয়ের ডেটাবেইসে রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি ছবি। এ বিষয়ে ম্যাকক্যান বলেন, ‘এই বিশাল ডেটাবেইসের প্রয়োজন আছে কারণ, যে মাটিতে প্রচুর বৃষ্টি এবং রোদ পড়ে তার তুলনায় বালুময় মাটিতে একই ফসল রোপণ করা হলে তা খুব ভিন্ন (আকারে ও রঙে) দেখায়।’
লেজারের মাধ্যমে ফসলের আগাছা নির্মূলের প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কার্বন রোবোটিকস’। প্রযুক্তিটির নাম ‘লেজার উইডার’। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এটি একটি ট্রাক্টর দিয়ে জমিতে টানা হলে প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ পর্যন্ত আগাছা দূর করতে পারবে এই প্রযুক্তি।
কার্বন রোবোটিকসের প্রধান নির্বাহী পল মাইকেসেল বলেন, ‘লেজার তাৎক্ষণিকভাবে আগাছা ধ্বংস করে এবং পোড়া অবশিষ্টাংশগুলো সারে পরিণত হয়ে মাটিতে মিশে যায়।’ এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন এবং আইডাহো অঙ্গরাজ্যে আলু, পেঁয়াজ এবং রসুনের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
ফসল উৎপাদনে আগাছা নির্মূল একটি বড় চ্যালেঞ্জ। বিশ্বজুড়ে কৃষকদের আরও দক্ষ এবং পরিবেশবান্ধব উপায়ে আগাছা নির্মূলে সহায়তায় নিত্য নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হচ্ছে। আগাছানাশক ব্যবহারে পরিবেশের বড় ধরনের ক্ষতির পাশাপাশি ফসলেরও ক্ষতি হয়। সাম্প্রতিক সময়ে উদ্ভাবিত প্রযুক্তিগুলো এ ক্ষতিকর প্রভাব কমিয়ে আনবে। প্রযুক্তিগুলোতে ব্যবহৃত হচ্ছে— লেজার, ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কৃষি সরঞ্জাম জায়ান্ট ‘জন ডিয়ার’। প্রতিষ্ঠানটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করে থাকে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান ডেনা কোভার বলেন, ‘আমাদের নতুন ট্রাক্টর-চালিত আগাছা স্প্রেয়ার আগাছানাশকের ব্যবহার দুই তৃতীয়াংশ কমাবে।’
‘সি অ্যান্ড স্প্রে আলটিমেট’ নামে পরিচিত সিস্টেমটি দেখতে একটি সাধারণ ফিল্ড স্প্রেয়ারের মতোই। এ ছাড়া, এই স্প্রেয়ারটিতে যুক্ত রয়েছে ৩৬টি ক্যামেরা। এগুলো ক্রমাগত স্ক্যান করে শনাক্ত করে কোনটি ফসল আর কোনটি আগাছা।
মূলত, স্প্রেয়ারটি একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। ফলে স্প্রেয়ারটি ফসল এবং আগাছা আলাদা করে শনাক্ত করে স্প্রে করতে পারে। ফলে ফসলের ওপর আগাছানাশক পড়ার সম্ভাবনা থাকে না। জন ডিয়ারের প্রোডাকশন অ্যান্ড প্রিসিশন এগ্রিকালচার প্রোডাকশন সিস্টেমের ভাইস প্রেসিডেন্ট কোভার বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম প্রতি সেকেন্ডে ২০ লাখ পিক্সেলের ছবি তুলছে। তাই এটিকে অনেক কিছু দেখতে হয় এবং প্রক্রিয়া করতে হয়।’
সফটওয়্যারটিকে আগাছা শনাক্তে সাহায্য করতে জন ডিয়ারের ডেটাবেইসে ৩ লাখেরও বেশি ছবি রয়েছে। সিস্টেমটি বর্তমানে তিনটি ফসল নিয়ে কাজ করছে। এগুলো হলো—ভুট্টা, সয়াবিন এবং তুলা। এ প্রযুক্তি আপাতত শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই পাওয়া যাচ্ছে।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের কৃষকদের জন্য অনেক ছোটবড় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান একই ধরনের ‘স্মার্ট’ আগাছা নির্মূল প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, জার্মান কোম্পানি ‘বশ বিএএসফ স্মার্ট ফার্মিং’। তাদের উদ্ভাবিত প্রযুক্তির নাম ‘স্মার্ট স্প্রেয়িং সলিউশন’।
ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান গ্রিনআই টেকনোলজির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী নাদাভ বোচার বলেন, ‘আগাছানাশকের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে গত কয়েক দশকে ফসলের কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কল্পনা করাও কঠিন। অকারণে এত মাটি দূষণের প্রভাব শেষ পর্যন্ত আমাদের ওপরই পড়ে এবং আমাদের বাস্তুতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।’ তাঁর দাবি, গ্রিনআইয়ের প্রযুক্তি আগাছানাশক ব্যবহারের মাত্রা ৮০ শতাংশ কমাবে।
বোচার যোগ করেন, যদিও উচ্চ প্রযুক্তি ব্যবহার করে আগাছা নির্মূল করা ব্যয়বহুল। তবে আগাছানাশকের খরচ কমে যাওয়া এবং ফসলের উচ্চ ফলনের কারণে দুই মৌসুমেরও কম সময়ে খরচ উঠে যাবে।
২০২১ সালের একটি সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় গমের ওপর আগাছার বার্ষিক আর্থিক প্রভাব আনুমানিক ২২০ কোটি ডলার।
কানাডাভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রিসিশন এআই’ মূলত ড্রোন সার্ভিস দিয়ে থাকে। ড্রোনগুলো ফসলি জমির ওপর উড়ে আগাছা শনাক্ত করে। প্রিসিশন এআইয়ের প্রধান ড্যানিয়েল ম্যাকক্যান বলেন, ‘চাষের ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির ব্যবহারের বিবর্তনকে গরুর লাঙল থেকে ট্রাক্টরে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা যায়।’
প্রিসিশন এআইয়ের ডেটাবেইসে রয়েছে ২০০ কোটিরও বেশি ছবি। এ বিষয়ে ম্যাকক্যান বলেন, ‘এই বিশাল ডেটাবেইসের প্রয়োজন আছে কারণ, যে মাটিতে প্রচুর বৃষ্টি এবং রোদ পড়ে তার তুলনায় বালুময় মাটিতে একই ফসল রোপণ করা হলে তা খুব ভিন্ন (আকারে ও রঙে) দেখায়।’
লেজারের মাধ্যমে ফসলের আগাছা নির্মূলের প্রযুক্তি নিয়ে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘কার্বন রোবোটিকস’। প্রযুক্তিটির নাম ‘লেজার উইডার’। প্রতিষ্ঠানটি দাবি করছে, এটি একটি ট্রাক্টর দিয়ে জমিতে টানা হলে প্রতি ঘণ্টায় ১ লাখ পর্যন্ত আগাছা দূর করতে পারবে এই প্রযুক্তি।
কার্বন রোবোটিকসের প্রধান নির্বাহী পল মাইকেসেল বলেন, ‘লেজার তাৎক্ষণিকভাবে আগাছা ধ্বংস করে এবং পোড়া অবশিষ্টাংশগুলো সারে পরিণত হয়ে মাটিতে মিশে যায়।’ এ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া, ওয়াশিংটন এবং আইডাহো অঙ্গরাজ্যে আলু, পেঁয়াজ এবং রসুনের ক্ষেত্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে।
বিশ্বজুড়ে প্রচলিত সার্চ ইঞ্জিনের বিকল্প হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে জেনারেটিভ এআই টুল, যেমন—চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি ও অ্যানথ্রপিকের ক্লদ। গ্রাহকরা এখন তথ্য খোঁজা থেকে শুরু করে কেনাকাটার সিদ্ধান্ত নেওয়া পর্যন্ত এইসব কনভারসেশনাল এআইয়ের ওপরই ভরসা করছেন। তাই চ্যাটবটের সঙ্গে যুক্ত লিংকের মাধ্যমেই ওয়েবসাইট
৫ ঘণ্টা আগেবিশ্বের অন্যতম ধনকুবের জেফ বেজোস ও তাঁর বাগদত্তা লরেন সানচেজ ভেনিসের সান জর্জিও দ্বীপে বিয়ে করতে যাচ্ছেন। বিয়ের নির্দিষ্ট তারিখ গোপন রাখা হলেও তিন দিনের এই বিলাসবহুল অনুষ্ঠান (২৩ থেকে ২৫ জুন) ঘিরে ইতালির এই ঐতিহাসিক শহরে তৈরি হয়েছে চাঞ্চল্য।
৬ ঘণ্টা আগেঅবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের রাস্তায় নামছে ইলন মাস্কের টেসলা কোম্পানির চালকবিহীন, স্বচালিত (সেলফ ড্রাইভিং) গাড়ি ‘রোবোট্যাক্সি’। গতকাল রোববার (২২ জুন) টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অস্টিন শহরে সীমিত পরিসরে শুরু হয়েছে পরীক্ষামূলক এই সেবা।
১০ ঘণ্টা আগেছবি ও ভিডিও পোস্ট করার পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামে মেসেজ আদান-প্রদানের জন্যও বেশ ব্যবহৃত হয়। অনেক সময় দ্রুত চ্যাটিংয়ের সময় টেক্সটে বানান ভুলের মতো অন্য কোনো ভুলও হদে পারে। তবে ইনস্টাগ্রাম এডিট করারও সুযোগ রেখেছে। ফলে কোনো ভুল মেসেজ পাঠানো হলেও তা খুব সহজেই সংশোধন করে নেওয়া যায়।
১১ ঘণ্টা আগে