নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
গুমের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ লাপাত্তা হয়েছেন। তাঁর সন্ধানে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সেনাসদর জানিয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যতদিন তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কোনো মিশনের দায়িত্ব দেওয়া না হচ্ছে, ততদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই থাকার কথা ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার গুমের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরদিন ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি লাপাত্তা আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনাবাহিনীতে কর্মরত যাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে একজন শুধু মিসিং (লাপাত্তা)। বাকি সবাই যোগদান করেছেন এবং হেফাজতে চলে এসেছেন। এছাড়া এলপিআরে থাকা আরেকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মোট ১৫ জন সেনাকর্মকর্তা হেফাজতে আছেন।
মেজর জেনারেল কবীরের প্রসঙ্গে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল— ইউ হ্যাভ টু স্টে ইন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু উনি ৯ তারিখে শেষ অবধি পর্যন্ত উনি জয়েন করেননি বিধায় ১০ তারিখে আমরা তাঁর সাথে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি, তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি এবং যোগাযোগ স্থাপন করি এবং জানতে পারি যে উনি একচুয়ালি তার আগের দিন মানে ৯ তারিখ সকালে উনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়ার জন্য.. উনি আইনজীবীর সাথে দেখা করতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু অদ্যাবধি উনি বাসায় আর ফেরত আসেননি এবং আর তাঁর সাথে মোবাইলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এটা হচ্ছে, আমি নাম বলে দিচ্ছি, আপনারাও জানেন মেজর জেনারেল কবির (আহম্মদ)। উনার ওয়াইফও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁর সাথে আর কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না।’
এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর করণীয় ও কী কী করা হয়েছে তা তুলে ধরে হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের কিছু নিজস্ব এবং দেশের প্রচলিত আইনের ভেতর থেকেই অনেক কিছু আমরা করি। সেটা হচ্ছে যে যখন এরকম কেউ হঠাৎ করে মিসিং হয়ে যায়, তখন তাকে আমরা একটা ডিক্লারেশন দেই। আমরা বলি এডব্লিউএল মানে এবসেন্ট উইদাউট লিভ অথবা ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট। আর্মির পরিভাষা হচ্ছে— ‘এডব্লিউএল’। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইলিগ্যালি এবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়ে গেছে অফিশিয়ালি এবং এরপরে যে আমাদের কিছু প্রসেস আছে—কোথায় কোথায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হবে.. সেগুলো আমাদের একটা এপেন্ডিক্স আছে, সেই অনুযায়ী সরকারিভাবে আমাদের যে দপ্তর এটার সাথে জড়িত তারাও এটা ইস্যু করেছে।’
সেনাবাহিনীর ‘এপেন্ডিক্স ও’ অনুযায়ী কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাথে সাথে আরেকটা কাজও করেছি আমরা— সেটা হচ্ছে যে ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবি— সকলকে আমরা বলেছি, ল্যান্ডপোর্ট–এয়ারপোর্ট–সিপোর্ট— যে যেখানে আছো, যার যেটা দায়িত্ব আছে, তোমরা একটু চেষ্টা করবা যে যাতে দেশের বাইরে উনি উনি চলে যেতে না পারেন। ইলিগ্যালি দেশের বাইরে যেতে না পারেন। এখন আপনি খেয়াল করে দেখেন, আমরা উনার গ্রামের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছি। উনি গ্রামে গেছেন কিনা তাও তো জানি না। উনার বাড়ি হল নেত্রকোনার দিকে। লোক গেছে, খোঁজ নিচ্ছে। আত্মীয়–স্বজনের বাসায়ও তো যেতে পারে। দেশের বাইরেও চলে যেতে পারে— এটাও আমরা মাথায় নিয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি, কোনো একটা রোড এক্সিডেন্ট... কিছু হইতেও পারে। একটা মানুষ হারিয়ে গেলে তো— নাটক সিনেমা তো দেখছেন— আগে বলে যে থানায় খোঁজ নাও, হসপিটালে খোঁজ নাও। আমরা এগুলো করছি।’
এই সেনা কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এট দ্যা সেম টাইম, দেশের বাইরে যাতে যেতে পারেন, এইজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিজি–এনএসআই, ডিজি–বিজিবি এবং ডিজি–ডিজিডিএফআইকে ফোন করেছি, মোবাইল নাম্বারও দিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে আমি বলতে পারি, যদি মনে করেন যে আপনাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে। এটা কিন্তু উনাকে আমি ধরতে হবে তা নয়, উনার সেফটির একটা ব্যাপার আছে। উনি তো এই দেশের একজন মানুষ, উনি তো একজন হিউম্যান। সো একটা রোড এক্সিডেন্ট হইতে পারে! আপনারা যদি মনে করেন যে না আপনি একটা ইনফরমেশন দিলে আমাদের উপকার হবে, তবে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।’
এক সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা কবীর আহাম্মদ ২০২২ সালের মার্চে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পান। ওই বছর ২০ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে তিনি মেজর জেনারেল হন।
বিএমএর ২৪তম লং কোর্সে কমিশন পাওয়া কবীর আহাম্মদ সিলেট সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (সিটিআইবি) পরিচালক ছিলেন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই মামলার একটিতে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টেরোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ১৭ জনের বিরুদ্ধে; অন্য মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলারই প্রধান আসামি করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।
গুমের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পর ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয়ের সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদ লাপাত্তা হয়েছেন। তাঁর সন্ধানে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে সেনাসদর জানিয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
মেজর জেনারেল কবীর আহাম্মদকে গত ২৩ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিতে সেনাবাহিনী থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যতদিন তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে কোনো মিশনের দায়িত্ব দেওয়া না হচ্ছে, ততদিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েই থাকার কথা ছিল। এর মধ্যে গত বুধবার গুমের মামলা তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। পরদিন ৯ অক্টোবর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে তিনি লাপাত্তা আছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সেনাবাহিনীতে কর্মরত যাদের গ্রেপ্তারে পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাঁদের মধ্যে ১৫ জন সেনাবাহিনীতে কর্মরত। তাঁদের মধ্যে একজন শুধু মিসিং (লাপাত্তা)। বাকি সবাই যোগদান করেছেন এবং হেফাজতে চলে এসেছেন। এছাড়া এলপিআরে থাকা আরেকজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। মোট ১৫ জন সেনাকর্মকর্তা হেফাজতে আছেন।
মেজর জেনারেল কবীরের প্রসঙ্গে এই সেনা কর্মকর্তা বলেন, ‘তাকে মেসেজ দেওয়া হয়েছিল— ইউ হ্যাভ টু স্টে ইন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট। কিন্তু উনি ৯ তারিখে শেষ অবধি পর্যন্ত উনি জয়েন করেননি বিধায় ১০ তারিখে আমরা তাঁর সাথে আবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি, তাঁর পরিবারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করি এবং যোগাযোগ স্থাপন করি এবং জানতে পারি যে উনি একচুয়ালি তার আগের দিন মানে ৯ তারিখ সকালে উনি বাসা থেকে বের হয়েছিলেন আইনজীবীর পরামর্শ নেওয়ার জন্য.. উনি আইনজীবীর সাথে দেখা করতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু অদ্যাবধি উনি বাসায় আর ফেরত আসেননি এবং আর তাঁর সাথে মোবাইলেও যোগাযোগ করতে পারছেন না। এটা হচ্ছে, আমি নাম বলে দিচ্ছি, আপনারাও জানেন মেজর জেনারেল কবির (আহম্মদ)। উনার ওয়াইফও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছেন। এখন পর্যন্ত তাঁর সাথে আর কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না।’
এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীর করণীয় ও কী কী করা হয়েছে তা তুলে ধরে হাকিমুজ্জামান বলেন, ‘ডিপার্টমেন্টের কিছু নিজস্ব এবং দেশের প্রচলিত আইনের ভেতর থেকেই অনেক কিছু আমরা করি। সেটা হচ্ছে যে যখন এরকম কেউ হঠাৎ করে মিসিং হয়ে যায়, তখন তাকে আমরা একটা ডিক্লারেশন দেই। আমরা বলি এডব্লিউএল মানে এবসেন্ট উইদাউট লিভ অথবা ইলিগ্যালি অ্যাবসেন্ট। আর্মির পরিভাষা হচ্ছে— ‘এডব্লিউএল’। নিয়ম অনুযায়ী তাকে ইলিগ্যালি এবসেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়ে গেছে অফিশিয়ালি এবং এরপরে যে আমাদের কিছু প্রসেস আছে—কোথায় কোথায় ওয়ারেন্ট ইস্যু করতে হবে.. সেগুলো আমাদের একটা এপেন্ডিক্স আছে, সেই অনুযায়ী সরকারিভাবে আমাদের যে দপ্তর এটার সাথে জড়িত তারাও এটা ইস্যু করেছে।’
সেনাবাহিনীর ‘এপেন্ডিক্স ও’ অনুযায়ী কাজ চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাথে সাথে আরেকটা কাজও করেছি আমরা— সেটা হচ্ছে যে ডিজিএফআই, এনএসআই ও বিজিবি— সকলকে আমরা বলেছি, ল্যান্ডপোর্ট–এয়ারপোর্ট–সিপোর্ট— যে যেখানে আছো, যার যেটা দায়িত্ব আছে, তোমরা একটু চেষ্টা করবা যে যাতে দেশের বাইরে উনি উনি চলে যেতে না পারেন। ইলিগ্যালি দেশের বাইরে যেতে না পারেন। এখন আপনি খেয়াল করে দেখেন, আমরা উনার গ্রামের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছি। উনি গ্রামে গেছেন কিনা তাও তো জানি না। উনার বাড়ি হল নেত্রকোনার দিকে। লোক গেছে, খোঁজ নিচ্ছে। আত্মীয়–স্বজনের বাসায়ও তো যেতে পারে। দেশের বাইরেও চলে যেতে পারে— এটাও আমরা মাথায় নিয়েছি। খোঁজ নিচ্ছি, কোনো একটা রোড এক্সিডেন্ট... কিছু হইতেও পারে। একটা মানুষ হারিয়ে গেলে তো— নাটক সিনেমা তো দেখছেন— আগে বলে যে থানায় খোঁজ নাও, হসপিটালে খোঁজ নাও। আমরা এগুলো করছি।’
এই সেনা কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এট দ্যা সেম টাইম, দেশের বাইরে যাতে যেতে পারেন, এইজন্য আমি ব্যক্তিগতভাবে ডিজি–এনএসআই, ডিজি–বিজিবি এবং ডিজি–ডিজিডিএফআইকে ফোন করেছি, মোবাইল নাম্বারও দিয়েছি ইত্যাদি ইত্যাদি। এ ব্যাপারে আমি বলতে পারি, যদি মনে করেন যে আপনাদের কাছে কিছু ইনফরমেশন আছে। এটা কিন্তু উনাকে আমি ধরতে হবে তা নয়, উনার সেফটির একটা ব্যাপার আছে। উনি তো এই দেশের একজন মানুষ, উনি তো একজন হিউম্যান। সো একটা রোড এক্সিডেন্ট হইতে পারে! আপনারা যদি মনে করেন যে না আপনি একটা ইনফরমেশন দিলে আমাদের উপকার হবে, তবে ইউ আর মোস্ট ওয়েলকাম।’
এক সময় প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা কবীর আহাম্মদ ২০২২ সালের মার্চে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পান। ওই বছর ২০ জুলাই পদোন্নতি পেয়ে তিনি মেজর জেনারেল হন।
বিএমএর ২৪তম লং কোর্সে কমিশন পাওয়া কবীর আহাম্মদ সিলেট সেনানিবাসে ১১ পদাতিক ব্রিগেডের ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৯ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ইন্টেলিজেন্স ব্যুরোর (সিটিআইবি) পরিচালক ছিলেন তিনি।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে বিরোধী মতের ব্যক্তিদের গুম ও নির্যাতনের ঘটনায় দায়ের হওয়া মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলায় ৩০ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। দুই মামলার একটিতে র্যাবের টাস্কফোর্স ইন্টেরোগেশন (টিএফআই) সেলে আটক রেখে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে ১৭ জনের বিরুদ্ধে; অন্য মামলায় জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে (জেআইসি) নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুই মামলারই প্রধান আসামি করা হয়েছে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আসামির তালিকায় রয়েছেন তার প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকী এবং ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক।
অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র মামলায় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক এনায়েত করিম চৌধুরীর ‘সহযোগী’ সাংবাদিক মো. আজহার আলী সরকারকে (৫৭) চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। আজ শনিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।
৪ ঘণ্টা আগেগবেষণায় বলা হয়, প্রতিবন্ধী নারীদের ৭৫ শতাংশ শিক্ষা পাওয়ার ক্ষেত্রে গুরুতর বাধার সম্মুখীন হয়। প্রায় অর্ধেক (৪৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ) কখনো কোনো আনুষ্ঠানিক শিক্ষা পায়নি। অর্ধেকের বেশি (৫২ দশমিক ৬ শতাংশ) বেকার। মাত্র ৪ দশমিক ৮৩ শতাংশ কোনোভাবে আনুষ্ঠানিক কর্মসংস্থানে যুক্ত। ফলে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের...
৪ ঘণ্টা আগেআজ শনিবার (১১ অক্টোবর) বাসসকে প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা আইসিটির প্রধান প্রসিকিউটরের দপ্তর থেকে জানতে পেরেছি, এই মুহূর্তে সশস্ত্র বাহিনীর আর কোনো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির পরিকল্পনা নেই।’ শতাধিক সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হতে যাচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে...
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম বলেছেন, ৮ অক্টোবর গাজাগামী একটি জাহাজ থেকে আটকের পর ইসরায়েলি বাহিনী তাঁকে মানসিক নির্যাতন করেছে। পাশাপাশি তারা নৌবহরের অনেকের ওপরই শারীরিক নির্যাতন চালিয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে