আজকের পত্রিকা ডেস্ক
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরেছে অঞ্চলটিতে। তারা বিভিন্ন এলাকায় চেকপয়েন্ট বসিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়েছে এবং ইসরায়েলের সহযোগী চিহ্নিতদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের নেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজার বাসিন্দারা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ছবি এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কঠোর হামলার পরও হামাস দ্রুতগতিতে উপত্যকাজুড়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে এবং প্রতিশোধ নিচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র অভিযানের পরও হামাসের এই দ্রুত পুনরুত্থান গাজাবাসীদের বিস্মিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর আলোচনায় এই শক্ত অবস্থান বড় প্রভাব ফেলবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মহলের অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান হামাসের যুদ্ধের সক্ষমতা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে, বিশেষ করে তাদের বিপুলসংখ্যক রকেট তৈরি করার সামর্থ্য। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই হামাস যেভাবে গাজার সর্বত্র নিজেদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছে, তা দেখিয়ে দিয়েছে যে গাজার ভেতরে ক্ষমতা ধরে রাখার সক্ষমতা তারা এখনো হারায়নি।
গত শুক্রবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী, সোমবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। ওই সময় গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীর। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের দীর্ঘদিনের কঠোর শাসনব্যবস্থার মতো প্রকাশ্যে শক্তি প্রদর্শন শুরু করে।
উত্তর গাজায় তারা দুটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়েছিল। এক পশ্চিমা কূটনীতিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এসব গোত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা ও অস্ত্র পেয়েছিল।
গাজা সিটিতে মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্র তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। হামাসের পুরোনো ঘাঁটি খান ইউনিসে স্থানীয় এক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে রক্তপাত ঠেকাতে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র হামাসের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। হামাস-ঘনিষ্ঠ এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। উপত্যকার অন্য এলাকাগুলোতেও যুদ্ধের বিশৃঙ্খলার সময় গড়ে ওঠা ছোট ছোট মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু গোষ্ঠী ইসরায়েলের কাছ থেকেও অস্ত্র পেয়েছিল।
হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী সব গোষ্ঠীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ ও তাদের নেতাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। রাফাহ অঞ্চলের বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ইয়াসির আবু শাবাবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা পপুলার ফোর্সেস এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল তাদের অস্ত্র, সাঁজোয়া যান ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আবু শাবাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘আমরা রাফাহ অঞ্চলে আমাদের অবস্থান ধরে রাখব এবং নিজেদের ভূমি রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাব। গাজা উপত্যকা ছাড়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।’
ইসরায়েলের হামলায় শুধু হামাসের যোদ্ধারাই নয়, গাজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ফিলিস্তিনি পুলিশ সদস্যরাও লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। হামাস জানিয়েছে, তারা এখন ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার’ দায়িত্ব নেবে।
গাজা উপত্যকায় দীর্ঘ দুই বছরের সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরেছে অঞ্চলটিতে। তারা বিভিন্ন এলাকায় চেকপয়েন্ট বসিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়েছে এবং ইসরায়েলের সহযোগী চিহ্নিতদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের নেওয়া সাক্ষাৎকারে গাজার বাসিন্দারা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার হওয়া ছবি এবং জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থার নিরাপত্তা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কঠোর হামলার পরও হামাস দ্রুতগতিতে উপত্যকাজুড়ে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ পুনঃপ্রতিষ্ঠা করছে এবং প্রতিশোধ নিচ্ছে।
ইসরায়েলি বাহিনীর তীব্র অভিযানের পরও হামাসের এই দ্রুত পুনরুত্থান গাজাবাসীদের বিস্মিত করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর আলোচনায় এই শক্ত অবস্থান বড় প্রভাব ফেলবে।
ইসরায়েলের নিরাপত্তা মহলের অনেকেই মনে করছেন, ইসরায়েলের সামরিক অভিযান হামাসের যুদ্ধের সক্ষমতা প্রায় ধ্বংস করে দিয়েছে, বিশেষ করে তাদের বিপুলসংখ্যক রকেট তৈরি করার সামর্থ্য। কিন্তু যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই হামাস যেভাবে গাজার সর্বত্র নিজেদের যোদ্ধাদের মোতায়েন করেছে, তা দেখিয়ে দিয়েছে যে গাজার ভেতরে ক্ষমতা ধরে রাখার সক্ষমতা তারা এখনো হারায়নি।
গত শুক্রবার ঘোষিত যুদ্ধবিরতি অনুযায়ী, সোমবারের মধ্যে ইসরায়েলি জিম্মিদের বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার কথা। তবে পরিকল্পনার দ্বিতীয় ধাপে হামাসকে নিরস্ত্র হতে হবে। ওই সময় গাজায় নিরাপত্তার দায়িত্ব নেওয়ার কথা একটি আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষা বাহিনীর। কিন্তু যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই হামাস গাজা উপত্যকায় তাদের দীর্ঘদিনের কঠোর শাসনব্যবস্থার মতো প্রকাশ্যে শক্তি প্রদর্শন শুরু করে।
উত্তর গাজায় তারা দুটি ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে জড়িয়েছিল। এক পশ্চিমা কূটনীতিক ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে জানিয়েছেন, এসব গোত্র ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর কাছ থেকে সহায়তা ও অস্ত্র পেয়েছিল।
গাজা সিটিতে মুখোশধারী সশস্ত্র ব্যক্তিরা গাড়ি থামিয়ে অস্ত্র তল্লাশি চালানো শুরু করেছে। হামাসের পুরোনো ঘাঁটি খান ইউনিসে স্থানীয় এক মিলিশিয়া গোষ্ঠীর সঙ্গে বৈঠক হয়। সেখানে রক্তপাত ঠেকাতে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র হামাসের হাতে তুলে দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। হামাস-ঘনিষ্ঠ এক টেলিগ্রাম চ্যানেলে এমন তথ্য শেয়ার করা হয়েছে। উপত্যকার অন্য এলাকাগুলোতেও যুদ্ধের বিশৃঙ্খলার সময় গড়ে ওঠা ছোট ছোট মিলিশিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে বিচ্ছিন্নভাবে গোলাগুলি শুরু হয়েছিল। এর মধ্যে কিছু গোষ্ঠী ইসরায়েলের কাছ থেকেও অস্ত্র পেয়েছিল।
হামাস প্রতিদ্বন্দ্বী সব গোষ্ঠীকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্র সমর্পণ ও তাদের নেতাদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছে। রাফাহ অঞ্চলের বৃহত্তম প্রতিদ্বন্দ্বী গোষ্ঠী ইয়াসির আবু শাবাবের নেতৃত্বে গড়ে ওঠা পপুলার ফোর্সেস এই নির্দেশ মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। ইসরায়েল তাদের অস্ত্র, সাঁজোয়া যান ও প্রশিক্ষণ দিয়েছিল। আবু শাবাব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জানিয়েছে, ‘আমরা রাফাহ অঞ্চলে আমাদের অবস্থান ধরে রাখব এবং নিজেদের ভূমি রক্ষায় লড়াই চালিয়ে যাব। গাজা উপত্যকা ছাড়ার কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই।’
ইসরায়েলের হামলায় শুধু হামাসের যোদ্ধারাই নয়, গাজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ফিলিস্তিনি পুলিশ সদস্যরাও লক্ষ্যবস্তু হয়েছিল। হামাস জানিয়েছে, তারা এখন ‘নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করা এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষার’ দায়িত্ব নেবে।
গাজা সংকট নিয়ে মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম এল-শেইখে আগামীকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে ‘শান্তি শীর্ষ সম্মেলন’। এতে সভাপতিত্ব করবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। সেই সম্মেলনে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
১৮ মিনিট আগেযুদ্ধবিরতি চুক্তির পর গতকাল শনিবার রাতে তেল আবিবে জিম্মি মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক বিশাল সমাবেশে বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফ। রাষ্ট্রদূত তাঁর বক্তব্যে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নাম উল্লেখ করতেই জনতা সমস্বরে দুয়োধ্বনি দিতে শুরু করে।
৩৯ মিনিট আগেকাতারের শীর্ষ সরকারি সংস্থা আমিরি দিওয়ানের তিনজন কর্মী মিসরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। লোহিত সাগর উপকূলীয় অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম এল-শেইখের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এতে আরও দুজন আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) প্রধান গতকাল শনিবার জানিয়েছেন, তিনি গাজায় গিয়ে যুদ্ধ-পরবর্তী স্থিতিশীলতা নিয়ে আলোচনা করেছেন। তবে তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মোতায়েন হবে না। তুরস্কের সংবাদমাধ্যম ডেইলি সাবাহ এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে