যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
অ্যাপল ফেডারেল আদালতে যুক্তি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিট (ডিওজে) এর অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা প্রাথমিক পর্যায়েই খারিজ করে দেওয়া উচিত। কারণ অ্যাপলের দাবিকৃত একচেটিয়া ক্ষমতা কোনো গ্রাহক বা ডেভেলপারকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলায় অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, কোম্পানিটি তার জনপ্রিয় ডিভাইসগুলোর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ফিচারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আইফোনের অ্যাপ ও ফিচারগুলোর এমন ভাবে সাজিয়েছে গ্রাহকদের কাছে ফোন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন এবং ১৯টি রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলরা অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
শুনানির পর যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক জুলিয়ান এক্সাভিয়ের নিলস বলেছেন, মামলাটি অ্যাপলের আবেদন মেনে খারিজ করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত জানুয়ারির মধ্যেই নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
মামলা খারিজের জন্য যুক্তি দেখান অ্যাপলের আইনজীবীরা। তারা বলেন, যাদের সঙ্গে ব্যবসার করার ইচ্ছা রয়েছে, তাদের বেছে নেওয়ার আইনগত অধিকার রয়েছে অ্যাপলের এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানির কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে গত বুধবার অ্যাপলের আইনজীবী দেবোরা অ্যালন বলেন, ‘সরকারের অভিযোগের মৌলিক সমস্যা হলো—এতে এমন কোনো তথ্য নেই যা কোম্পানির আচরণকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কোনো ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত করে।
ডিওজে এবং একটি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বলেছে, অ্যাপল ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ম্যাসেজিং অ্যাপস সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে। কোম্পানির ডিভাইসগুলোতে তৃতীয়-পক্ষ ডিজিটাল ওয়ালেট এবং অন্য কোম্পানির স্মার্টওয়াচ এবং মোবাইল ক্লাউড স্ট্রিমিং সার্ভিস ব্লক করেছে।
বাইডেন প্রশাসন তার অর্থনৈতিক নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিরুদ্ধে ডিওজের দায়ের করা মামলাগুলো চলমান থাকবে। ট্রাম্প এবং তার দলের সদস্যরা ‘বিগ টেক’ কোম্পানিগুলোকে শত্রু হিসেবে মনে করেন এবং ট্রাম্পের তার প্রথম মেয়াদে অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কয়টি মামলা করেছে ডিওজে। তাই অ্যাপল কোনো ছাড় নাও পেতে পারে।
ইতিমধ্যে কোম্পানির ব্যবসায় নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। সম্প্রতি ক্লাউড-ভিত্তিক গেমিং সার্ভিস এবং আরসিএস ম্যাসেজিং সমর্থন যোগ করেছে কোম্পানিটি। এটি একটি টেক্সট ম্যাসেজিং স্ট্যান্ডার্ড যা অনেক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অ্যাপ এবং যোগাযোগ অ্যাপ দ্বারা ব্যবহার হয়।
অ্যাপের আরেক আইনজীবী ক্রেগ প্রিমিস বলেন, ‘যেসব কোম্পানির সঙ্গে অ্যাপল ব্যবসা করতে চায় তা বেছে নেওয়ার এবং যেসব শর্তে ব্যবসা করবে তা নির্ধারণ করার অধিকার দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা আইন।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নেও (ইইউ) তদন্তের সম্মুখীন হচ্ছে অ্যাপল। ইইউ এর ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের সঙ্গে কোম্পানির নীতি সংগতিপূর্ণ নাকি তা খতিয়ে দেখবে ইউরোপীয় কমিশন। গত সপ্তাহে মেটাকে ৮৪ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ইইউ।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার যেন অ্যাপলের বিরুদ্ধে দায়ের করা অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা মামলা খারিজ করে, এ জন্য ফেডারেল বিচারককে অনুরোধ করেছে কোম্পানিটি। টেক জায়ান্টটি বলছে, তাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি কাল্পনিক এবং অ্যাপল একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে তা প্রমাণ করতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের সরকার।
অ্যাপল ফেডারেল আদালতে যুক্তি দিয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিট (ডিওজে) এর অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা প্রাথমিক পর্যায়েই খারিজ করে দেওয়া উচিত। কারণ অ্যাপলের দাবিকৃত একচেটিয়া ক্ষমতা কোনো গ্রাহক বা ডেভেলপারকে কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে তা মামলায় উল্লেখ করা হয়নি।
অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলায় অ্যান্টিট্রাস্ট আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ আনা হয়। যেখানে দাবি করা হয়েছে যে, কোম্পানিটি তার জনপ্রিয় ডিভাইসগুলোর হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার ফিচারে প্রতিদ্বন্দ্বীদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আইফোনের অ্যাপ ও ফিচারগুলোর এমন ভাবে সাজিয়েছে গ্রাহকদের কাছে ফোন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া কঠিন হয়ে যায়।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন এবং ১৯টি রাজ্য ও ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেলরা অ্যাপলের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন।
শুনানির পর যুক্তরাষ্ট্রের জেলা আদালতের বিচারক জুলিয়ান এক্সাভিয়ের নিলস বলেছেন, মামলাটি অ্যাপলের আবেদন মেনে খারিজ করবেন কিনা সেই সিদ্ধান্ত জানুয়ারির মধ্যেই নিতে পারবেন বলে আশা করছেন তিনি।
মামলা খারিজের জন্য যুক্তি দেখান অ্যাপলের আইনজীবীরা। তারা বলেন, যাদের সঙ্গে ব্যবসার করার ইচ্ছা রয়েছে, তাদের বেছে নেওয়ার আইনগত অধিকার রয়েছে অ্যাপলের এবং প্রতিদ্বন্দ্বীদের সুযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে কোম্পানির কোনো দায়বদ্ধতা নেই।
নিউইয়র্কের ফেডারেল আদালতে গত বুধবার অ্যাপলের আইনজীবী দেবোরা অ্যালন বলেন, ‘সরকারের অভিযোগের মৌলিক সমস্যা হলো—এতে এমন কোনো তথ্য নেই যা কোম্পানির আচরণকে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের কোনো ক্ষতির সঙ্গে যুক্ত করে।
ডিওজে এবং একটি গ্রুপ যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য বলেছে, অ্যাপল ক্রস-প্ল্যাটফর্ম ম্যাসেজিং অ্যাপস সমর্থন করতে অস্বীকার করেছে। কোম্পানির ডিভাইসগুলোতে তৃতীয়-পক্ষ ডিজিটাল ওয়ালেট এবং অন্য কোম্পানির স্মার্টওয়াচ এবং মোবাইল ক্লাউড স্ট্রিমিং সার্ভিস ব্লক করেছে।
বাইডেন প্রশাসন তার অর্থনৈতিক নীতির মূল ভিত্তি হিসেবে প্রতিযোগিতাকে প্রাধান্য দিয়েছে।
অপরদিকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হওয়ার পর এই শুনানি অনুষ্ঠিত হলো। ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো বিরুদ্ধে ডিওজের দায়ের করা মামলাগুলো চলমান থাকবে। ট্রাম্প এবং তার দলের সদস্যরা ‘বিগ টেক’ কোম্পানিগুলোকে শত্রু হিসেবে মনে করেন এবং ট্রাম্পের তার প্রথম মেয়াদে অন্যান্য প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে বেশ কয়টি মামলা করেছে ডিওজে। তাই অ্যাপল কোনো ছাড় নাও পেতে পারে।
ইতিমধ্যে কোম্পানির ব্যবসায় নীতিতে কিছু পরিবর্তন এনেছে অ্যাপল। সম্প্রতি ক্লাউড-ভিত্তিক গেমিং সার্ভিস এবং আরসিএস ম্যাসেজিং সমর্থন যোগ করেছে কোম্পানিটি। এটি একটি টেক্সট ম্যাসেজিং স্ট্যান্ডার্ড যা অনেক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক অ্যাপ এবং যোগাযোগ অ্যাপ দ্বারা ব্যবহার হয়।
অ্যাপের আরেক আইনজীবী ক্রেগ প্রিমিস বলেন, ‘যেসব কোম্পানির সঙ্গে অ্যাপল ব্যবসা করতে চায় তা বেছে নেওয়ার এবং যেসব শর্তে ব্যবসা করবে তা নির্ধারণ করার অধিকার দেয় যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্টিট্রাস্ট বা প্রতিযোগিতা আইন।
এ ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়নেও (ইইউ) তদন্তের সম্মুখীন হচ্ছে অ্যাপল। ইইউ এর ডিজিটাল মার্কেটস অ্যাক্টের সঙ্গে কোম্পানির নীতি সংগতিপূর্ণ নাকি তা খতিয়ে দেখবে ইউরোপীয় কমিশন। গত সপ্তাহে মেটাকে ৮৪ কোটি ডলার জরিমানা করেছে ইইউ।
তথ্যই শক্তি—এই প্রবাদ বর্তমান বিশ্বে ভয়ংকরভাবে সত্য হয়ে হাজির হয়েছে। এখন বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী তথ্যমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে মাত্র কয়েক ব্যক্তির হাতে, যাঁরা বিশ্বের শীর্ষ প্রযুক্তি ধনকুবেরদের তালিকায় রয়েছেন।
১ দিন আগে‘আরাত্তাই’ শব্দটি তামিল ভাষায় ‘আলাপ-আলোচনা’ অর্থে ব্যবহৃত হয়। ২০২১ সালে অ্যাপটি সীমিত পরিসরে চালু করা হলেও তখন খুব একটা সাড়া মেলেনি। কিন্তু সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ বা স্বনির্ভরতা প্রচারণা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য শুল্ক বাড়ার প্রেক্ষাপটে দেশীয় পণ্যের প্রতি জোর...
২ দিন আগেব্রিটিশ পুলিশ জানিয়েছে, তারা এমন এক আন্তর্জাতিক চক্র ভেঙে দিয়েছে, যারা গত এক বছরে যুক্তরাজ্য থেকে ৪০ হাজার চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন চীনে পাচার করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন পুলিশ এটিকে ফোন চুরি রোধে যুক্তরাজ্যের ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে দাবি করেছে। এই অভিযানে ১৮ জন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা
৩ দিন আগেমার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগল বড় আইনি ধাক্কার মুখে পড়েছে। মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট মোবাইল গেম নির্মাতা এপিক গেমসের পক্ষে রায় দিয়েছে, যা গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ স্টোর বা ‘গুগল প্লে’ ব্যবস্থার ওপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
৩ দিন আগে