কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর ভর করে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এনভিডিয়া। ফলস্বরূপ ১০০ বিলিয়ন ডলারের মালিকদের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন কোম্পানিটির সিইও জেনসেন হুয়াং। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেস্ক অনুসারে, আজ ৩০ আগস্ট মোট ১০৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ নিয়ে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছেন। তবে এই পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। একসময় তাকে রেস্তোরাঁর ওয়েটার হিসেবে থালাবাসনও মাজতে হয়েছে।
গত জুন মাসে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির তকমা অর্জন করে এনভিডিয়া। ২০১৯ সালের পর কোম্পানির শেয়ারদর ৩ হাজার ৭৭৬ শতাংশ বেড়েছে। কারণ, এর মধ্যে এআই প্রযুক্তির জন্য বিশেষ চিপের চাহিদাও বেড়ে যায়। আর এনভিডিয়া এআই চিপ বিক্রিতে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। এনভিডিয়ার দর বাড়ায় সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে জেনসেনেরও। এক দিনে তার মোট সম্পত্তিতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি যোগ হয়েছিল।
সম্প্রতি জেনসেন হুয়াই লিংকডিন প্রোফাইলে থাকা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা বেশ কিছু নেটিজেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাণ কোম্পানির নেতৃত্বে আসার গল্প বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের তিনি প্রায়ই বলেন।
১৯৬৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাইওয়ানের তাইনানে জেনসেনের জন্ম। জেনসেনের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তাঁর পরিবার থাইল্যান্ডে চলে যায়। ৯ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁকে আমেরিকার ওয়াশিংটনে এক আত্মীয়ের কাছে পাঠানো হয়। কেনটাকির ওনিডায় একটি স্কুলে ভর্তি হন ১০ বছর বয়সে। কয়েক বছরের মধ্যে জেনসেনের বাবা-মা আমেরিকায় চলে যান। ১৬ বছর বয়সে ওরেগনের অ্যালোহা থেকে স্কুল পাশ করার পর একটি রেস্তোরাঁয় বেয়ারার কাজে যোগ দেন জেনসেন।
তার লিংকডিন প্রোফাইল অনুসারে, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ডেনি’স নামের একটি ডিনার-স্টাইল রেস্তোরাঁয় পাঁচ বছর কাজ করেছেন তিনি। একজন ওয়েটার (পরিচারক) ও ওয়েটারের সহকারী এই রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। তিনি সেই রেস্তোরাঁর টেবিল ও টয়লেট পরিষ্কারসহ বাসন মাজার কাজও করতেন। এই রেস্তোরাঁয় একটি বুথে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠার কথা তাঁর মাথায় আসে। হুয়াং বলেছেন, তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে স্বল্প আয় ও অভিজ্ঞতা তাঁর আজকের ব্যবসায়িক নেতৃত্বের ধরন গঠন করেছে। তিনি মনে করেন, কোনো কাজই ছোট নয়।
১৯৮৪ সালে ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন জেনসেন হুয়াং। এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে জেনসেন এলএসআই লজিকের কোরওয়্যারের ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে ক্রিস মালাচোস্কি ও কার্টিস প্রিয়েমের সঙ্গে মিলে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন হুয়াং।
চলতি বছরের শুরুতে স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে একটি সাক্ষাৎকার দেন হুয়াং। সাফল্যের জন্য ডেনিসে তাঁর প্রাথমিক জীবনের পরিশ্রমী কাজকে দায়ী করেন তিনি। হুয়াং গর্বের সঙ্গে বলেন, তিনি রেস্তোরাঁটিতে ‘সেরা ডিশওয়াশারের’ (যিনি থালাবাসন মাজেন) তকমা পেয়েছিলেন। এরপর বাসবয় (ওয়েটারের সহকারী) হিসেবে পদোন্নতি পান এবং এই ভূমিকা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পালন করেন। হুয়াং বলেন, চাকরিগুলো সাধারণ হলেও সেগুলো তাঁকে শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম ও সহনশীলতার অমূল্য পাঠ শিখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমি একজন সিইও হয়ে গেছি। এখনো আমি একজন ভালো সিইও হতে চেষ্টা করছি।’
তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে এসব কাজ করতে হতো এবং এর জন্য প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হতো। এসব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কাজের নৈতিকতা ও তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি গড়ে উঠেছে। তিনি শিখেছেন—সুযোগ যত ছোটই হোক, তার মূল্যায়ন করা উচিত এবং প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তা তিনি অনুধাবন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক কোম্পানি এনভিডিয়া। এটি গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ), অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই), মোবাইল কম্পিউটিং ও সিস্টেম অন চিপ ইউনিট (এসওসি) তৈরি করে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ব্যবসা করে এটি বিশ্বের অন্যতম দামি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি, বিবিসি
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই প্রযুক্তির ওপর ভর করে বিশ্বের শীর্ষ কোম্পানির তালিকায় স্থান করে নিয়েছে এনভিডিয়া। ফলস্বরূপ ১০০ বিলিয়ন ডলারের মালিকদের ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছেন কোম্পানিটির সিইও জেনসেন হুয়াং। ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেস্ক অনুসারে, আজ ৩০ আগস্ট মোট ১০৩ বিলিয়ন ডলার মূল্যের সম্পদ নিয়ে তিনি বিশ্বের শীর্ষ ধনীর তালিকায় ১৪তম স্থানে রয়েছেন। তবে এই পথ মোটেই মসৃণ ছিল না। একসময় তাকে রেস্তোরাঁর ওয়েটার হিসেবে থালাবাসনও মাজতে হয়েছে।
গত জুন মাসে বিশ্বের সবচেয়ে মূল্যবান কোম্পানির তকমা অর্জন করে এনভিডিয়া। ২০১৯ সালের পর কোম্পানির শেয়ারদর ৩ হাজার ৭৭৬ শতাংশ বেড়েছে। কারণ, এর মধ্যে এআই প্রযুক্তির জন্য বিশেষ চিপের চাহিদাও বেড়ে যায়। আর এনভিডিয়া এআই চিপ বিক্রিতে একচেটিয়া ব্যবসা করছে। এনভিডিয়ার দর বাড়ায় সম্পত্তি বৃদ্ধি পেয়েছে জেনসেনেরও। এক দিনে তার মোট সম্পত্তিতে ৪ বিলিয়ন ডলার বা ৪০০ কোটি ডলারেরও বেশি যোগ হয়েছিল।
সম্প্রতি জেনসেন হুয়াই লিংকডিন প্রোফাইলে থাকা কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা বেশ কিছু নেটিজেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। বিশ্বের বৃহত্তম চিপ নির্মাণ কোম্পানির নেতৃত্বে আসার গল্প বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের তিনি প্রায়ই বলেন।
১৯৬৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি তাইওয়ানের তাইনানে জেনসেনের জন্ম। জেনসেনের যখন পাঁচ বছর বয়স, তখন তাঁর পরিবার থাইল্যান্ডে চলে যায়। ৯ বছর বয়সে উচ্চশিক্ষার জন্য তাঁকে আমেরিকার ওয়াশিংটনে এক আত্মীয়ের কাছে পাঠানো হয়। কেনটাকির ওনিডায় একটি স্কুলে ভর্তি হন ১০ বছর বয়সে। কয়েক বছরের মধ্যে জেনসেনের বাবা-মা আমেরিকায় চলে যান। ১৬ বছর বয়সে ওরেগনের অ্যালোহা থেকে স্কুল পাশ করার পর একটি রেস্তোরাঁয় বেয়ারার কাজে যোগ দেন জেনসেন।
তার লিংকডিন প্রোফাইল অনুসারে, ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত ডেনি’স নামের একটি ডিনার-স্টাইল রেস্তোরাঁয় পাঁচ বছর কাজ করেছেন তিনি। একজন ওয়েটার (পরিচারক) ও ওয়েটারের সহকারী এই রেস্তোরাঁয় কাজ করেন। তিনি সেই রেস্তোরাঁর টেবিল ও টয়লেট পরিষ্কারসহ বাসন মাজার কাজও করতেন। এই রেস্তোরাঁয় একটি বুথে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠার কথা তাঁর মাথায় আসে। হুয়াং বলেছেন, তাঁর কর্মজীবনের শুরুতে স্বল্প আয় ও অভিজ্ঞতা তাঁর আজকের ব্যবসায়িক নেতৃত্বের ধরন গঠন করেছে। তিনি মনে করেন, কোনো কাজই ছোট নয়।
১৯৮৪ সালে ওরেগন স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ইলেকট্রিক প্রকৌশলে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন জেনসেন হুয়াং। এরপর স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে জেনসেন এলএসআই লজিকের কোরওয়্যারের ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯৩ সালে ক্রিস মালাচোস্কি ও কার্টিস প্রিয়েমের সঙ্গে মিলে এনভিডিয়া প্রতিষ্ঠা করেন হুয়াং।
চলতি বছরের শুরুতে স্ট্যানফোর্ড গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসে একটি সাক্ষাৎকার দেন হুয়াং। সাফল্যের জন্য ডেনিসে তাঁর প্রাথমিক জীবনের পরিশ্রমী কাজকে দায়ী করেন তিনি। হুয়াং গর্বের সঙ্গে বলেন, তিনি রেস্তোরাঁটিতে ‘সেরা ডিশওয়াশারের’ (যিনি থালাবাসন মাজেন) তকমা পেয়েছিলেন। এরপর বাসবয় (ওয়েটারের সহকারী) হিসেবে পদোন্নতি পান এবং এই ভূমিকা পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে পালন করেন। হুয়াং বলেন, চাকরিগুলো সাধারণ হলেও সেগুলো তাঁকে শৃঙ্খলা, কঠোর পরিশ্রম ও সহনশীলতার অমূল্য পাঠ শিখিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘অবশেষে আমি একজন সিইও হয়ে গেছি। এখনো আমি একজন ভালো সিইও হতে চেষ্টা করছি।’
তাঁকে দীর্ঘ সময় ধরে এসব কাজ করতে হতো এবং এর জন্য প্রচুর শারীরিক পরিশ্রম হতো। এসব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে কাজের নৈতিকতা ও তাঁর মধ্যে নেতৃত্ব দেওয়ার গুণাবলি গড়ে উঠেছে। তিনি শিখেছেন—সুযোগ যত ছোটই হোক, তার মূল্যায়ন করা উচিত এবং প্রতিটি কাজ সম্পন্ন করতে কঠোর পরিশ্রম করতে হয় তা তিনি অনুধাবন করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের একটি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার প্রস্তুতকারক কোম্পানি এনভিডিয়া। এটি গ্রাফিক প্রসেসিং ইউনিট (জিপিইউ), অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস (এপিআই), মোবাইল কম্পিউটিং ও সিস্টেম অন চিপ ইউনিট (এসওসি) তৈরি করে তারা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারের ব্যবসা করে এটি বিশ্বের অন্যতম দামি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, এনডিটিভি, বিবিসি
বর্তমানে যেকোনো প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ক্ষেত্রে আইটি অবকাঠামো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু, আইটি ডিভাইসের যথাযথ যত্ন না নেওয়া গেলে, নির্ধারিত সময়ের আগেই এগুলো কর্মক্ষমতা হারায়; ফলে, ডেটা হারানোর ঝুঁকি বাড়ে এবং ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয়।
১৯ মিনিট আগেবিশ্বখ্যাত প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান মেটা এবার খেলোয়াড় ও স্পোর্টসপ্রেমীদের জন্য বাজারে আনছে নতুন প্রজন্মের পারফরম্যান্স এআই চশমা। জনপ্রিয় চশমার ব্র্যান্ড ওকলের সঙ্গে যৌথভাবে এটি তৈরি করেছে মেটা। খেলার সময় বিভিন্ন মুহূর্ত ধারণ করবে ‘ওকলে মেটা এইচএসটিএন’ নামে এই স্মার্ট গ্লাস।
২ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রামে কারও সঙ্গে চ্যাট করতে গিয়ে কখনো ভুলবশত কারও কাছে ভিন্ন বার্তা চলে যাওয়ার শঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে মেসেজ ডিলিট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করা খুবই স্বাভাবিক। তবে ইনস্টাগ্রামে এমন একটি সুবিধা রয়েছে, যার মাধ্যমে আপনি পাঠানো মেসেজটি ‘আনসেন্ড’ বা মুছে ফেলতে পারেন।
৫ ঘণ্টা আগেকয়েক সপ্তাহ আগে নিজেদের তৈরি ‘ক্লদ ওপাস’ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেলের বিরুদ্ধে ব্ল্যাকমেলের অভিযোগ তুলে আলোচনায় এসেছিল এআই গবেষণাপ্রতিষ্ঠান অ্যানথ্রপিক। এবার আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি বলছে—এই প্রবণতা শুধু ক্লদে নয়, বরং বিশ্বের শীর্ষ এআই মডেলগুলোর মধ্যেই এই ঝুঁকি রয়েছে।
২১ ঘণ্টা আগে