অনলাইন ডেস্ক
সিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ‘গুগল পে’। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ‘গুগল ওয়ালেট’ নামে পরিচিত। দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি ব্যাংকের গুগল পে পরিষেবা ব্যবহার করবেন যেভাবে:
প্রাথমিক পর্যায়ে, এই পরিষেবা বর্তমানে শুধু সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড এবং ভিসা কার্ডধারীদের জন্য প্রযোজ্য। এটি ব্যবহারের ধাপে ধাপে নির্দেশিকা নিচে দেওয়া হলো:
১. যা লাগবে
* অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা উচ্চতর সংস্করণের একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন।
* ডিভাইসে ইন-স্টোর কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্টের জন্য এনএফসি (NFC-Near Field Communication) সমর্থন থাকতে হবে।
* একটি বৈধ গুগল অ্যাকাউন্ট।
* গুগল প্লে সার্ভিসেস (Google Play Services) এবং গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) অ্যাপ সম্পূর্ণ আপডেট করা থাকতে হবে।
* সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড অথবা ভিসা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড।
২. অ্যাপ ডাউনলোড এবং সেটআপ
* গুগল প্লে স্টোর থেকে গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
* অ্যাপটি খুলে প্রাথমিক সেটআপের জন্য স্ক্রিনে দেওয়া নির্দেশাবলি অনুসরণ করুন।
* ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যোগ করতে বলা হবে।
৩. সিটি ব্যাংক কার্ড যোগ করুন:
* গুগল ওয়ালেট অ্যাপের মধ্যে অ্যাড টু ওয়ালেট (Add to Wallet) বা অ্যাড আ কার্ড (Add a Card) অপশনে ট্যাপ করুন।
* ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড স্ক্যান করতে পারেন অথবা ম্যানুয়ালি কার্ডের বিবরণ লিখতে পারেন।
* যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন, যার জন্য আপনার নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) আসতে পারে।
* একবার যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সিটি ব্যাংক কার্ড গুগল পে-এর সঙ্গে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
৪. পেমেন্ট করবেন যেভাবে:
ইন-স্টোর কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট:
* আপনার ফোনের NFC চালু আছে কিনা এবং গুগল পে ডিফল্ট পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে সেট করা আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
* শুধু আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি আনলক করুন। অ্যাপ খোলারও প্রয়োজন নেই।
* মাস্টারকার্ড বা ভিসা কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট সমর্থন করে এমন একটি কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট টার্মিনাল (POS মেশিন)-এর কাছে আপনার ফোনের পেছনের অংশটি ধরুন।
* আপনার স্ক্রিনে একটি নীল টিক চিহ্ন অথবা একটি মৃদু শব্দ/কম্পন পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার ইঙ্গিত দেবে।
* যদি আপনার একাধিক কার্ড সেভ করা থাকে, তাহলে ট্যাপ করার আগে অ্যাপের মধ্যে আপনার পছন্দের পেমেন্ট পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন এবং ইন-অ্যাপ পেমেন্ট:
* অনেক অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে চেক আউটের সময় বাই উইথ গুগল পে (Buy with Google Pay) অপশন থাকে। অপশনটি নির্বাচন করুন।
* আপনার সিটি ব্যাংক কার্ডকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে বেছে নিন (অথবা এটিকে ডিফল্ট হিসেবে সেট করুন), এবং আপনার অর্ডার নিশ্চিত করুন।
আপনার পেমেন্টের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে।
এই সেবার সুবিধা:
ফিজিক্যাল কার্ড বহন করার প্রয়োজন নেই। আপনার স্মার্টফোনই আপনার ডিজিটাল ওয়ালেট হয়ে উঠবে।
POS টার্মিনালে দ্রুত এবং নির্বিঘ্ন কন্ট্যাক্টলেস লেনদেন।
গুগল পে উন্নত এনক্রিপশন এবং টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আপনার আসল কার্ড নম্বর মার্চেন্টদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না; পরিবর্তে, প্রতিটি লেনদেনের জন্য একটি অনন্য ভার্চুয়াল কার্ড নম্বর (টোকেন) ব্যবহার করা হয়, যা প্রতারণার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
আপনি আপনার লিংক করা সিটি ব্যাংক কার্ড গুগল পে-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে গুগল পে গৃহীত হয়, সেখানে ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল ওয়ালেট অ্যাপ আপনাকে একাধিক কার্ড এবং ডিজিটাল পাস (যেমন লয়্যালটি কার্ড, বোর্ডিং পাস, ইভেন্ট টিকিট) এক জায়গায় সংরক্ষণ ও পরিচালনা করতে দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
গুগল এই লেনদেনগুলোর জন্য কোনো চার্জ নেয় না, তবে আপনার ব্যাংক (সিটি ব্যাংক) তাদের নীতি, কার্ডের ধরন, বা লেনদেনের প্রকৃতির (যেমন আন্তর্জাতিক পেমেন্টের জন্য বৈদেশিক লেনদেন ফি) ওপর ভিত্তি করে ফি প্রয়োগ করতে পারে।
বর্তমানে, শুধু সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ডধারী গ্রাহকেরা এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকের কার্ডের জন্য সহায়তা ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিষেবা শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন।
সিটি ব্যাংক, গুগল, মাস্টারকার্ড এবং ভিসার যৌথ উদ্যোগে বাংলাদেশে চালু হয়েছে ‘গুগল পে’। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ‘গুগল ওয়ালেট’ নামে পরিচিত। দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট ব্যবস্থায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিটি ব্যাংকের গুগল পে পরিষেবা ব্যবহার করবেন যেভাবে:
প্রাথমিক পর্যায়ে, এই পরিষেবা বর্তমানে শুধু সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড এবং ভিসা কার্ডধারীদের জন্য প্রযোজ্য। এটি ব্যবহারের ধাপে ধাপে নির্দেশিকা নিচে দেওয়া হলো:
১. যা লাগবে
* অ্যান্ড্রয়েড ৯ বা উচ্চতর সংস্করণের একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন।
* ডিভাইসে ইন-স্টোর কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্টের জন্য এনএফসি (NFC-Near Field Communication) সমর্থন থাকতে হবে।
* একটি বৈধ গুগল অ্যাকাউন্ট।
* গুগল প্লে সার্ভিসেস (Google Play Services) এবং গুগল ওয়ালেট (Google Wallet) অ্যাপ সম্পূর্ণ আপডেট করা থাকতে হবে।
* সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড অথবা ভিসা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড।
২. অ্যাপ ডাউনলোড এবং সেটআপ
* গুগল প্লে স্টোর থেকে গুগল ওয়ালেট অ্যাপটি ডাউনলোড করুন।
* অ্যাপটি খুলে প্রাথমিক সেটআপের জন্য স্ক্রিনে দেওয়া নির্দেশাবলি অনুসরণ করুন।
* ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড যোগ করতে বলা হবে।
৩. সিটি ব্যাংক কার্ড যোগ করুন:
* গুগল ওয়ালেট অ্যাপের মধ্যে অ্যাড টু ওয়ালেট (Add to Wallet) বা অ্যাড আ কার্ড (Add a Card) অপশনে ট্যাপ করুন।
* ফোনের ক্যামেরা ব্যবহার করে সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ড স্ক্যান করতে পারেন অথবা ম্যানুয়ালি কার্ডের বিবরণ লিখতে পারেন।
* যাচাইকরণ প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন, যার জন্য আপনার নিবন্ধিত ফোন নম্বরে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) আসতে পারে।
* একবার যাচাই হয়ে গেলে, আপনার সিটি ব্যাংক কার্ড গুগল পে-এর সঙ্গে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হয়ে যাবে।
৪. পেমেন্ট করবেন যেভাবে:
ইন-স্টোর কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট:
* আপনার ফোনের NFC চালু আছে কিনা এবং গুগল পে ডিফল্ট পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে সেট করা আছে কি না, তা নিশ্চিত করুন।
* শুধু আপনার অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসটি আনলক করুন। অ্যাপ খোলারও প্রয়োজন নেই।
* মাস্টারকার্ড বা ভিসা কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট সমর্থন করে এমন একটি কন্ট্যাক্টলেস পেমেন্ট টার্মিনাল (POS মেশিন)-এর কাছে আপনার ফোনের পেছনের অংশটি ধরুন।
* আপনার স্ক্রিনে একটি নীল টিক চিহ্ন অথবা একটি মৃদু শব্দ/কম্পন পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার ইঙ্গিত দেবে।
* যদি আপনার একাধিক কার্ড সেভ করা থাকে, তাহলে ট্যাপ করার আগে অ্যাপের মধ্যে আপনার পছন্দের পেমেন্ট পদ্ধতি বেছে নিতে পারেন।
অনলাইন এবং ইন-অ্যাপ পেমেন্ট:
* অনেক অ্যাপ এবং ওয়েবসাইটে চেক আউটের সময় বাই উইথ গুগল পে (Buy with Google Pay) অপশন থাকে। অপশনটি নির্বাচন করুন।
* আপনার সিটি ব্যাংক কার্ডকে পেমেন্ট পদ্ধতি হিসেবে বেছে নিন (অথবা এটিকে ডিফল্ট হিসেবে সেট করুন), এবং আপনার অর্ডার নিশ্চিত করুন।
আপনার পেমেন্টের তথ্য স্বয়ংক্রিয়ভাবে পূরণ হয়ে যাবে।
এই সেবার সুবিধা:
ফিজিক্যাল কার্ড বহন করার প্রয়োজন নেই। আপনার স্মার্টফোনই আপনার ডিজিটাল ওয়ালেট হয়ে উঠবে।
POS টার্মিনালে দ্রুত এবং নির্বিঘ্ন কন্ট্যাক্টলেস লেনদেন।
গুগল পে উন্নত এনক্রিপশন এবং টোকেনাইজেশন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। আপনার আসল কার্ড নম্বর মার্চেন্টদের সঙ্গে শেয়ার করা হয় না; পরিবর্তে, প্রতিটি লেনদেনের জন্য একটি অনন্য ভার্চুয়াল কার্ড নম্বর (টোকেন) ব্যবহার করা হয়, যা প্রতারণার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে কমায়।
আপনি আপনার লিংক করা সিটি ব্যাংক কার্ড গুগল পে-এর মাধ্যমে বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিকভাবে যেখানে গুগল পে গৃহীত হয়, সেখানে ব্যবহার করতে পারবেন।
গুগল ওয়ালেট অ্যাপ আপনাকে একাধিক কার্ড এবং ডিজিটাল পাস (যেমন লয়্যালটি কার্ড, বোর্ডিং পাস, ইভেন্ট টিকিট) এক জায়গায় সংরক্ষণ ও পরিচালনা করতে দেয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয়:
গুগল এই লেনদেনগুলোর জন্য কোনো চার্জ নেয় না, তবে আপনার ব্যাংক (সিটি ব্যাংক) তাদের নীতি, কার্ডের ধরন, বা লেনদেনের প্রকৃতির (যেমন আন্তর্জাতিক পেমেন্টের জন্য বৈদেশিক লেনদেন ফি) ওপর ভিত্তি করে ফি প্রয়োগ করতে পারে।
বর্তমানে, শুধু সিটি ব্যাংকের মাস্টারকার্ড বা ভিসা কার্ডধারী গ্রাহকেরা এই পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন। অন্যান্য ব্যাংকের কার্ডের জন্য সহায়তা ভবিষ্যতে পর্যায়ক্রমে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই পরিষেবা শুধু অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা পাবেন।
গত ১৫ এপ্রিল অনলাইন সার্চ বাজারে নিজেদের আধিপত্যের অপব্যবহার করে বিজ্ঞাপনদাতাদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগে গুগলের বিরুদ্ধে ৫ বিলিয়ন পাউন্ড বা ৬৬০ কোটি ডলারের মামলা করে যুক্তরাজ্য। অভিযোগে বলা হয়, প্রতিযোগিতাহীন পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে গুগল তাদের বিজ্ঞাপনমূল্য ইচ্ছেমতো নির্ধারণ করছে।
২ ঘণ্টা আগেসিনেমা বানানো মানে বিশাল সেট, অনেক কলাকুশলী আর কোটি টাকার বাজেট। সেই দৃশ্য এখনো আছে। কিন্তু এর সঙ্গে বিকল্প এক পথ তৈরি হচ্ছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বদৌলতে। কম্পিউটার, ইন্টারনেট সংযোগ আর একটি এআই টুল দিয়ে বানানো যাচ্ছে শর্ট ফিল্ম, বিজ্ঞাপন, এমনকি ফিচার ফিল্মও।
১০ ঘণ্টা আগেআমাদের প্রতিদিনের অনেক কাজ এখন সহজ করে দিচ্ছে চ্যাটজিপিটি। কিছু একটা বুঝতে পারছেন না, চ্যাটজিপিটিকে জানালেই সে সেটির ব্যাখ্যাসহ আপনার সামনে উপস্থাপন করবে। শিক্ষার্থীদের প্রেজেন্টেশন পরিকল্পনা হোক অথবা অফিসের কোনো কাজ—সব জায়গায় রয়েছে চ্যাটজিপিটির প্রভাব।
১০ ঘণ্টা আগেইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে যোগাযোগপ্রক্রিয়া সহজ করার জন্য প্ল্যাটফর্মটিতে বেশ কিছু ফিচার রেখেছে মেটা। এর মধ্যে একটি হলো, শিডিউল মেসেজ ফিচার। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাঁদের বার্তা আগেই টাইপ করে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে পাঠাতে পারবেন। যাঁরা প্রায়ই বিশেষ দিনে কাউকে শুভেচ্ছা জানাতে ভুলে যান, তাঁদের জন্য এটি..
১০ ঘণ্টা আগে