অনলাইন ডেস্ক
ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে আছে এক দারুণ সিস্টেম। আপনার হাতের স্মার্টফোনটিই ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে বাঁচাতে পারে হাজার হাজার মানুষের জীবন। আপনি কি জানেন এই সিস্টেম সম্পর্কে?
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলোতে একধরনের অ্যাকসিলারেশন সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এটিই ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দেওয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ফোনগুলো ৯৮টি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষকে সফল আগাম সতর্কবার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
কীভাবে কাজ করে এই স্মার্ট সিস্টেম
২০২০ সাল থেকে গুগল তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ‘অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম’ যুক্ত করেছে। এই সিস্টেম ফোনের ভেতরে থাকা ছোট ছোট সেন্সর (যাকে অ্যাকসিলারোমিটার বলা হয়) ব্যবহার করে মাটির কম্পন বুঝতে পারে।
যখন ভূমিকম্প শুরু হয়, তখন দুই ধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়—
১. পি-ওয়েভ (P-wave): এটি দ্রুতগতিতে আসে, কিন্তু সাধারণত তেমন ক্ষতিকর হয় না।
২. এস-ওয়েভ (S-wave): এটি পি-ওয়েভের চেয়ে ধীরগতিতে আসে, কিন্তু এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি।
যখন আপনার ফোন স্থির থাকে, তখন এর অ্যাকসিলারোমিটারগুলো ভূমিকম্পের প্রাথমিক পি-ওয়েভ শনাক্ত করতে পারে। যদি একটি এলাকায় অনেক ফোন একসঙ্গে এই ধরনের কম্পন শনাক্ত করে, তখন সেই তথ্য গুগলের সার্ভারে চলে যায়। গুগল দ্রুত সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা বের করে। এরপর ধ্বংসাত্মক এস-ওয়েভ আসার আগেই এটি আশপাশের এলাকার মানুষকে সতর্ক করে দেয়।
ধরুন, আপনি ঘুমাচ্ছেন বা কাজ করছেন। যদি কোনো ভূমিকম্পের পি-ওয়েভ আপনার কাছাকাছি থাকা কয়েকটি ফোনে ধরা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনে একটি আগাম বার্তা আসবে। এই বার্তা আপনাকে কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত সময় দিতে পারে নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য। হয়তো এই কয়েক সেকেন্ডই আপনাকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বা দ্রুত কোনো নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে সাহায্য করবে।
গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সিস্টেম ৯৮টি দেশে ১১ হাজার ২৩১টি ভূমিকম্পের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প (৭ দশমিক ৮ মাত্রার), ফিলিপাইনের (৬ দশমিক ৭ মাত্রার) ও নেপালের (৫ দশমিক ৭ মাত্রার) ভূমিকম্পও ছিল। এমনকি ২০২৫ সালের এপ্রিলে তুরস্কে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের আগেও এটি কার্যকর সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা ১০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত আগাম সতর্কবার্তা পেয়েছেন, যা জীবন বাঁচানোর জন্য অমূল্য সময়।
এখন পর্যন্ত এই সিস্টেম ১৮ হাজারের বেশি ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে এবং মোট ৭৯ কোটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় দেড় লাখ ব্যবহারকারীর ৭৯ শতাংশ বলেছে, এই সতর্কবার্তাগুলো তাদের জন্য খুবই সহায়ক ছিল।
বাংলাদেশেও চালু আছে এই সুবিধা
বাংলাদেশের মতো ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোতেও অ্যান্ড্রয়েড ভূমিকম্প সতর্কব্যবস্থা চালু রয়েছে। গুগল ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে এই সিস্টেম চালু করেছে। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘Safety & emergency’ বা ‘Location’-এর ভেতরে ‘Location Services’— ‘Earthquake alerts’ অপশনটি চালু রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে পারেন। এটি চালু থাকলে আপনার ফোনেও ভূমিকম্পের আগাম বার্তা চলে আসবে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এই সিস্টেমের কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো রয়েছে। যেমন ভূমিকম্পের মাত্রা সব সময় খুব নিখুঁতভাবে অনুমান করা যায় না বা মাঝে মাঝে কম্পন শুরু হওয়ার পর সতর্কবার্তা পৌঁছায়। তবে গুগল এই ত্রুটিগুলো দূর করতে কাজ করছে। তারা বিশ্বাস করে, স্মার্টফোন ব্যবহার করে এই কম খরচের ব্যবস্থাটি ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ, প্রচলিত ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র বসানোর চেয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী।
ভূমিকম্পের ঝুঁকি কমাতে অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনে আছে এক দারুণ সিস্টেম। আপনার হাতের স্মার্টফোনটিই ভূমিকম্পের আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে বাঁচাতে পারে হাজার হাজার মানুষের জীবন। আপনি কি জানেন এই সিস্টেম সম্পর্কে?
গুগলের অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের স্মার্টফোনগুলোতে একধরনের অ্যাকসিলারেশন সেন্সর ব্যবহার করা হয়। এটিই ভূমিকম্পের সতর্কবার্তা দেওয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই ফোনগুলো ৯৮টি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের কোটি কোটি মানুষকে সফল আগাম সতর্কবার্তা পাঠাতে সক্ষম হয়েছে।
কীভাবে কাজ করে এই স্মার্ট সিস্টেম
২০২০ সাল থেকে গুগল তার অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলোতে ‘অ্যান্ড্রয়েড আর্থকোয়েক অ্যালার্ট সিস্টেম’ যুক্ত করেছে। এই সিস্টেম ফোনের ভেতরে থাকা ছোট ছোট সেন্সর (যাকে অ্যাকসিলারোমিটার বলা হয়) ব্যবহার করে মাটির কম্পন বুঝতে পারে।
যখন ভূমিকম্প শুরু হয়, তখন দুই ধরনের তরঙ্গ সৃষ্টি হয়—
১. পি-ওয়েভ (P-wave): এটি দ্রুতগতিতে আসে, কিন্তু সাধারণত তেমন ক্ষতিকর হয় না।
২. এস-ওয়েভ (S-wave): এটি পি-ওয়েভের চেয়ে ধীরগতিতে আসে, কিন্তু এর ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা অনেক বেশি।
যখন আপনার ফোন স্থির থাকে, তখন এর অ্যাকসিলারোমিটারগুলো ভূমিকম্পের প্রাথমিক পি-ওয়েভ শনাক্ত করতে পারে। যদি একটি এলাকায় অনেক ফোন একসঙ্গে এই ধরনের কম্পন শনাক্ত করে, তখন সেই তথ্য গুগলের সার্ভারে চলে যায়। গুগল দ্রুত সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে ভূমিকম্পের উৎস ও মাত্রা বের করে। এরপর ধ্বংসাত্মক এস-ওয়েভ আসার আগেই এটি আশপাশের এলাকার মানুষকে সতর্ক করে দেয়।
ধরুন, আপনি ঘুমাচ্ছেন বা কাজ করছেন। যদি কোনো ভূমিকম্পের পি-ওয়েভ আপনার কাছাকাছি থাকা কয়েকটি ফোনে ধরা পড়ে, সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনে একটি আগাম বার্তা আসবে। এই বার্তা আপনাকে কয়েক সেকেন্ড থেকে এক মিনিট পর্যন্ত সময় দিতে পারে নিজেকে সুরক্ষিত করার জন্য। হয়তো এই কয়েক সেকেন্ডই আপনাকে টেবিলের নিচে আশ্রয় নিতে বা দ্রুত কোনো নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে সাহায্য করবে।
গুগলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে এই সিস্টেম ৯৮টি দেশে ১১ হাজার ২৩১টি ভূমিকম্পের জন্য সতর্কবার্তা জারি করেছে। এর মধ্যে ২০২৩ সালের তুরস্ক-সিরিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্প (৭ দশমিক ৮ মাত্রার), ফিলিপাইনের (৬ দশমিক ৭ মাত্রার) ও নেপালের (৫ দশমিক ৭ মাত্রার) ভূমিকম্পও ছিল। এমনকি ২০২৫ সালের এপ্রিলে তুরস্কে ৬ দশমিক ২ মাত্রার ভূমিকম্পের আগেও এটি কার্যকর সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এসব ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা ১০ থেকে ৬০ সেকেন্ড পর্যন্ত আগাম সতর্কবার্তা পেয়েছেন, যা জীবন বাঁচানোর জন্য অমূল্য সময়।
এখন পর্যন্ত এই সিস্টেম ১৮ হাজারের বেশি ভূমিকম্প শনাক্ত করেছে এবং মোট ৭৯ কোটি সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিলের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা যায়, প্রায় দেড় লাখ ব্যবহারকারীর ৭৯ শতাংশ বলেছে, এই সতর্কবার্তাগুলো তাদের জন্য খুবই সহায়ক ছিল।
বাংলাদেশেও চালু আছে এই সুবিধা
বাংলাদেশের মতো ভূমিকম্পপ্রবণ দেশগুলোতেও অ্যান্ড্রয়েড ভূমিকম্প সতর্কব্যবস্থা চালু রয়েছে। গুগল ২০২২ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশে এই সিস্টেম চালু করেছে। আপনার অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিংসে গিয়ে ‘Safety & emergency’ বা ‘Location’-এর ভেতরে ‘Location Services’— ‘Earthquake alerts’ অপশনটি চালু রয়েছে কি না, তা দেখে নিতে পারেন। এটি চালু থাকলে আপনার ফোনেও ভূমিকম্পের আগাম বার্তা চলে আসবে।
তবে গবেষকেরা বলছেন, এই সিস্টেমের কিছু সীমাবদ্ধতা এখনো রয়েছে। যেমন ভূমিকম্পের মাত্রা সব সময় খুব নিখুঁতভাবে অনুমান করা যায় না বা মাঝে মাঝে কম্পন শুরু হওয়ার পর সতর্কবার্তা পৌঁছায়। তবে গুগল এই ত্রুটিগুলো দূর করতে কাজ করছে। তারা বিশ্বাস করে, স্মার্টফোন ব্যবহার করে এই কম খরচের ব্যবস্থাটি ভবিষ্যতে ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবে। কারণ, প্রচলিত ভূমিকম্প মাপার যন্ত্র বসানোর চেয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করা অনেক বেশি সহজ ও সাশ্রয়ী।
চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) উন্নয়নে রেকর্ড ১৫৫ বিলিয়ন ডলার বা ১৫ হাজার ৫০০ কোটি ডলার ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো। ২০২৫ সালের যুক্তরাষ্ট্র সরকারের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, কর্মসংস্থান ও সামাজিক সেবা খাতে বরাদ্দকৃত বাজেটের চেয়েও বেশি এই ব্যয়।
৩৮ মিনিট আগেগত এক দশকে ইউটিউব শুধু বিনোদনের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নয়; বরং স্বাধীনভাবে কাজ করার একটি বড় মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয়তা পেয়েছে। অসংখ্য তরুণ-তরুণী ও সৃজনশীল মানুষ এখানে নিজেদের ভাবনা, দক্ষতা ও জ্ঞান ছড়িয়ে দিয়ে আয় করার পথ গড়ে তুলেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেসম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে ভারতের অর্থনীতিকে ‘মৃত’ বলে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই মন্তব্য ঘিরে ভারতীয় রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড় ওঠার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে ভারতীয় অর্থনীতি।
১৭ ঘণ্টা আগেচীনের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো এক হিম্যানয়েড বা মানবাকৃতির রোবট পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হয়েছে। ‘শুয়েবা ০১’ নামের এই রোবট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রীতিমতো সাড়া ফেলেছে।
১৯ ঘণ্টা আগে