অনলাইন ডেস্ক
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সঙ্গে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার কোটি ডলারের বিশাল এক ডেটা সেন্টার চুক্তি করেছে। এ তথ্য গত সোমবার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লিউএসজে) এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এরপর গত মঙ্গলবার এক্সে (সাবেক টুইটার) এবং একটি ব্লগপোস্টে ওপেনএআই প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেন, যদিও তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
চুক্তিটি ঘিরে আলোচনা শুরু হয় গত ৩০ জুন। কারণ ওরাকল একটি এসইসি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) ফাইলিংয়ে জানায়, তারা এমন একটি ক্লাউড চুক্তি করেছে, যা থেকে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আসবে। তবে সে সময় প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের নাম প্রকাশ করেনি।
এদিকে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এই ঘোষণার পর ওরাকলের শেয়ার মূল্য দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ল্যারি এলিসন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন।
চুক্তির গ্রাহক কে হতে পারে তা নিয়ে তখন নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, কারণ ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বার্ষিক ক্লাউড সেবা নেওয়ার মতো সক্ষমতা কেবল হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠানেরই আছে। প্রসঙ্গত, ওরাকল তাদের ২০২৫ অর্থবছরে সব গ্রাহক মিলে মোট ২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্লাউড সেবা বিক্রি করেছে।
এবার ওপেনএআই স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই চুক্তি তাদের ৪ দশমিক ৫ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প ‘স্টারগেট’-এর অংশ। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এ বছর জানুয়ারিতে ওরাকল, ওপেনএআই এবং সফটব্যাংক একত্রে এ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এবারের ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির সঙ্গে সফটব্যাংক জড়িত নয়।
ডব্লিউএসজে জানিয়েছে, ৪ দশমিক ৫ গিগাওয়াট শক্তি মানে প্রায় ৪০ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যথেষ্ট। এই ডেটা সেন্টার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যাবিলিন শহরে, যেটিকে ‘স্টারগেট আই’ নামে ডাকা হচ্ছে।
তবে এই চুক্তিকে শুধু ওরাকলের বিজয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, ওপেনএআই ও ওরাকলকে এখনো এই বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করতে হবে, যা অর্থ ও শক্তি—দুই দিক থেকেই অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
গত জুনে ওরাকলের প্রধান নির্বাহী সাফরা ক্যাটজ জানিয়েছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান বিগত অর্থবছরে মূলধনী ব্যয়ে ২১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এবং নতুন অর্থবছরে আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ, দুই বছরে ওরাকল প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে, যার বেশির ভাগই ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এতে শুধু ওপেনএআই নয়, ওরাকলের অন্যান্য গ্রাহকের চাহিদাও পূরণ করা হবে। এতে জমি কেনার খরচ অন্তর্ভুক্ত নয়।
এদিকে, ওপেনএআইয়ের আর্থিক অবস্থা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন স্যাম অল্টম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ওপেনএআই বর্তমানে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের পুনরাবৃত্ত রাজস্ব অর্জন করছে, যা গত বছর ছিল ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে এই রাজস্বের পরিমাণ তাদের ওরাকলের সঙ্গে চুক্তির এক-তৃতীয়াংশও নয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ব্যয়, বিশেষ করে অন্যান্য ডেটা সেন্টার প্রকল্পের খরচও বহাল রয়েছে।
চ্যাটজিপিটি নির্মাতা ওপেনএআই যুক্তরাষ্ট্রের তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওরাকলের সঙ্গে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার বা ৩ হাজার কোটি ডলারের বিশাল এক ডেটা সেন্টার চুক্তি করেছে। এ তথ্য গত সোমবার দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের (ডব্লিউএসজে) এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়। এরপর গত মঙ্গলবার এক্সে (সাবেক টুইটার) এবং একটি ব্লগপোস্টে ওপেনএআই প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করেন, যদিও তিনি অর্থের পরিমাণ উল্লেখ করেননি।
চুক্তিটি ঘিরে আলোচনা শুরু হয় গত ৩০ জুন। কারণ ওরাকল একটি এসইসি (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন) ফাইলিংয়ে জানায়, তারা এমন একটি ক্লাউড চুক্তি করেছে, যা থেকে বছরে ৩০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব আসবে। তবে সে সময় প্রতিষ্ঠানটি গ্রাহকের নাম প্রকাশ করেনি।
এদিকে ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, এই ঘোষণার পর ওরাকলের শেয়ার মূল্য দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হয় এবং এর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা ল্যারি এলিসন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন।
চুক্তির গ্রাহক কে হতে পারে তা নিয়ে তখন নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়, কারণ ৩০ বিলিয়ন ডলার মূল্যের বার্ষিক ক্লাউড সেবা নেওয়ার মতো সক্ষমতা কেবল হাতে গোনা কিছু প্রতিষ্ঠানেরই আছে। প্রসঙ্গত, ওরাকল তাদের ২০২৫ অর্থবছরে সব গ্রাহক মিলে মোট ২৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের ক্লাউড সেবা বিক্রি করেছে।
এবার ওপেনএআই স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই চুক্তি তাদের ৪ দশমিক ৫ গিগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডেটা সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প ‘স্টারগেট’-এর অংশ। এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫০০ বিলিয়ন ডলার। এ বছর জানুয়ারিতে ওরাকল, ওপেনএআই এবং সফটব্যাংক একত্রে এ প্রকল্পের ঘোষণা দিয়েছিল। তবে এবারের ৩০ বিলিয়ন ডলারের চুক্তির সঙ্গে সফটব্যাংক জড়িত নয়।
ডব্লিউএসজে জানিয়েছে, ৪ দশমিক ৫ গিগাওয়াট শক্তি মানে প্রায় ৪০ লাখ বাড়ির বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য যথেষ্ট। এই ডেটা সেন্টার নির্মাণের স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের অ্যাবিলিন শহরে, যেটিকে ‘স্টারগেট আই’ নামে ডাকা হচ্ছে।
তবে এই চুক্তিকে শুধু ওরাকলের বিজয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। কারণ, ওপেনএআই ও ওরাকলকে এখনো এই বিশাল ডেটা সেন্টার নির্মাণ করতে হবে, যা অর্থ ও শক্তি—দুই দিক থেকেই অত্যন্ত ব্যয়বহুল।
গত জুনে ওরাকলের প্রধান নির্বাহী সাফরা ক্যাটজ জানিয়েছিলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান বিগত অর্থবছরে মূলধনী ব্যয়ে ২১ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছে এবং নতুন অর্থবছরে আরও ২৫ বিলিয়ন ডলার ব্যয়ের পরিকল্পনা রয়েছে। অর্থাৎ, দুই বছরে ওরাকল প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ করছে, যার বেশির ভাগই ডেটা সেন্টার নির্মাণে ব্যয় হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেছেন, এতে শুধু ওপেনএআই নয়, ওরাকলের অন্যান্য গ্রাহকের চাহিদাও পূরণ করা হবে। এতে জমি কেনার খরচ অন্তর্ভুক্ত নয়।
এদিকে, ওপেনএআইয়ের আর্থিক অবস্থা নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন স্যাম অল্টম্যান। তিনি জানিয়েছেন, ওপেনএআই বর্তমানে বছরে ১০ বিলিয়ন ডলারের পুনরাবৃত্ত রাজস্ব অর্জন করছে, যা গত বছর ছিল ৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো। তবে এই রাজস্বের পরিমাণ তাদের ওরাকলের সঙ্গে চুক্তির এক-তৃতীয়াংশও নয়। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য ব্যয়, বিশেষ করে অন্যান্য ডেটা সেন্টার প্রকল্পের খরচও বহাল রয়েছে।
চীনে চিপ বিক্রির মোট রাজস্বের ১৫ শতাংশ মার্কিন সরকারকে দিতে সম্মত হয়েছে বিশ্বের শীর্ষ দুই সেমিকন্ডাক্টর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়া ও এএমডি। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিষ্ঠান দুটি চীনা বাজারে চিপ বিক্রির লাইসেন্স পাবে। এক সূত্রের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
২ ঘণ্টা আগেবর্তমান যুগের বেশির ভাগ ইলেকট্রনিক ডিভাইসেই লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। আইফোনসহ স্মার্টফোন, স্মার্টওয়াচ, ল্যাপটপ—এমনকি বৈদ্যুতিক গাড়িতেও এই ব্যাটারিই ব্যবহার হয়। তবে এই প্রযুক্তি যতটা উন্নত, ততটাই জটিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমে যায়।
৫ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এনভিডিয়ার তৈরি এইচ২০ (H20) চিপের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম-সংশ্লিষ্ট একটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট। রোববার উইচ্যাটে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়, এই চিপগুলোতে ‘ব্যাক ডোর’ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই...
৬ ঘণ্টা আগেবর্তমানে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব। প্রতিদিন কোটি কোটি ব্যবহারকারী বিভিন্ন ধরনের ভিডিও উপভোগ করেন এই প্ল্যাটফর্মে। ভিডিও নির্মাতারা (ইউটিউবাররা) প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার জন্য তাঁদের কনটেন্টের কার্যকারিতা সম্পর্কে সঠিক তথ্য জানা অত্যন্ত জরুরি। এসব তথ্য ইউটিউবের ভিউ বাড়াতে
৭ ঘণ্টা আগে