আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারত সফররত তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর এবার বিপরীত ঘটনা ঘটল। রোববার (১২ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লিতে আরও একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মুত্তাকি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিকেরাও। শুধু তা-ই নয়, নারী নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে মুত্তাকিকে আফগান মেয়েদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মুত্তাকি জানান, নারীদের শিক্ষা ইসলামি শরিয়তে ‘হারাম’ নয়, তবে দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার ‘পরবর্তী নির্দেশ’ না আসা পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে মোট এক কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে ২৮ লাখই নারী ও কন্যা শিক্ষার্থী। তবে ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতেই মেয়েরা স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। মুত্তাকি বলেন, ‘কিছু এলাকায় সীমাবদ্ধতা আছে। তবে এর মানে এই নয় যে আমরা শিক্ষার বিরোধী।’
তবে এই বক্তব্যে সাংবাদিকদের কোনো পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আফগানিস্তানে ২০২১ সালে দুই দশক পর তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনজীবনে অংশগ্রহণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মেয়েদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া, এমনকি পার্ক, জিমনেসিয়াম, বাজার, মসজিদ ও বিউটি সেলুনে যাওয়াও পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে আফগানিস্তানই এখন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীদের মৌলিক অধিকার স্থগিত।
সংবাদ সম্মেলনে মুত্তাকি দাবি করেন, আফগানিস্তানে বর্তমানে শান্তি বিরাজ করছে এবং সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তালেবান শাসন নারীদের জীবনকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ পরিস্থিতিতে ফেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রতিবাদরত ছাত্রীদের ওপর তালেবান কর্মকর্তারা হামলা চালিয়েছে এবং বেত্রাঘাত করেছে।
এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবারের বিতর্কের ধারাবাহিকতায়। সেদিন দিল্লিতেই আয়োজিত তালেবান প্রেস ব্রিফিং থেকে নারী সাংবাদিকদের উপস্থিতি বাদ দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা সেদিন নারী সাংবাদিকদের আফগান দূতাবাসে প্রবেশে বাধা দেয়।
রোববারের সম্মেলনে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মুত্তাকিকে। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দাবি করেন, নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া ছিল প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কারণ, সাংবাদিকদের তালিকা অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পথে তালেবানের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের শরিয়া আইনভিত্তিক কঠোর নীতি। ক্ষমতায় আসার পর তারা ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পথও বন্ধ করে দেয়।
ভারত সফররত তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর এবার বিপরীত ঘটনা ঘটল। রোববার (১২ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লিতে আরও একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মুত্তাকি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিকেরাও। শুধু তা-ই নয়, নারী নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্নেরও মুখোমুখি হয়েছেন তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, সংবাদ সম্মেলনে মুত্তাকিকে আফগান মেয়েদের শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। জবাবে মুত্তাকি জানান, নারীদের শিক্ষা ইসলামি শরিয়তে ‘হারাম’ নয়, তবে দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার ‘পরবর্তী নির্দেশ’ না আসা পর্যন্ত তা স্থগিত রাখা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, বর্তমানে আফগানিস্তানে মোট এক কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। এর মধ্যে ২৮ লাখই নারী ও কন্যা শিক্ষার্থী। তবে ধর্মীয় শিক্ষাকেন্দ্রগুলোতেই মেয়েরা স্নাতক পর্যন্ত পড়াশোনার সুযোগ পাচ্ছে বলেও জানান তিনি। মুত্তাকি বলেন, ‘কিছু এলাকায় সীমাবদ্ধতা আছে। তবে এর মানে এই নয় যে আমরা শিক্ষার বিরোধী।’
তবে এই বক্তব্যে সাংবাদিকদের কোনো পাল্টা প্রশ্ন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। আফগানিস্তানে ২০২১ সালে দুই দশক পর তালেবান দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে নারীদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও জনজীবনে অংশগ্রহণের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। মেয়েদের স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া, এমনকি পার্ক, জিমনেসিয়াম, বাজার, মসজিদ ও বিউটি সেলুনে যাওয়াও পর্যন্ত নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ফলে আফগানিস্তানই এখন বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেখানে রাষ্ট্রীয়ভাবে নারীদের মৌলিক অধিকার স্থগিত।
সংবাদ সম্মেলনে মুত্তাকি দাবি করেন, আফগানিস্তানে বর্তমানে শান্তি বিরাজ করছে এবং সময়ের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আসবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো এই দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তালেবান শাসন নারীদের জীবনকে ‘শ্বাসরুদ্ধকর’ পরিস্থিতিতে ফেলেছে। সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরে প্রতিবাদরত ছাত্রীদের ওপর তালেবান কর্মকর্তারা হামলা চালিয়েছে এবং বেত্রাঘাত করেছে।
এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় শুক্রবারের বিতর্কের ধারাবাহিকতায়। সেদিন দিল্লিতেই আয়োজিত তালেবান প্রেস ব্রিফিং থেকে নারী সাংবাদিকদের উপস্থিতি বাদ দেওয়া হয়। দিল্লি পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীরা সেদিন নারী সাংবাদিকদের আফগান দূতাবাসে প্রবেশে বাধা দেয়।
রোববারের সম্মেলনে বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন করা হয় মুত্তাকিকে। তিনি এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে দাবি করেন, নারী সাংবাদিকদের বাদ দেওয়া ছিল প্রযুক্তিগত ত্রুটি। কারণ, সাংবাদিকদের তালিকা অল্প সময়ের মধ্যে তৈরি করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনের পথে তালেবানের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদের শরিয়া আইনভিত্তিক কঠোর নীতি। ক্ষমতায় আসার পর তারা ষষ্ঠ শ্রেণির পর থেকে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া নিষিদ্ধ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশের পথও বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় সূত্রগুলোর বরাতে রোববার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, হামাস ও প্রতিদ্বন্দ্বী গোত্রগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করেছে। এতে কয়েকজন নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই এই অভ্যন্তরীণ সংঘাতের আশঙ্কা গভীর হচ্ছে।
৪১ মিনিট আগেনতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত। আফগান সরকারের দাবি, গতকাল শনিবার রাতে তাঁদের প্রতিশোধমূলক হামলায় পাকিস্তানের ৫৮ সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহতের কথা স্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি বলছে, তাদের পাল্টা অভিযানে ‘দুই শতাধিক...
২ ঘণ্টা আগেছত্তিশগড়ের খৈরাগড় জেলার সারাগোন্ডি গ্রামের বৃদ্ধা দেবলা বাই। নিঃসন্তান এই নারী দুই দশক আগে নিজের উঠানে একটি ছোট অশ্বত্থগাছ লাগিয়েছিলেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, তিনি গাছটিকে নিজের সন্তানের মতো যত্ন করতেন। নিয়মিত পানি দিতেন, পরিচর্যা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে...
৪ ঘণ্টা আগেবর নেই, কনেও নেই, কন্যাদান বা সাতপাকের অনুষ্ঠানেরও কোনো নজির নেই—তবু হচ্ছে বিয়ের উৎসব। আলোকসজ্জা, গান, গাঁদা ফুলের মালা, ঝলমলে পোশাক আর অন্তহীন নাচ-গানই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। দিল্লির বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ক্লাব—সর্বত্র এ ধরনের ভুয়া বিয়ের উৎসবে মেতেছে ভারতের তরুণ প্রজন্ম।
৫ ঘণ্টা আগে