আজকের পত্রিকা ডেস্ক
স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিল পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ আইন কার্যকর হবে ২০২৬ সালের মার্চ থেকে। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শিক্ষাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় পরিষদে ১৬৩ জন সদস্যের মধ্যে ১১৫ জন বিলটির পক্ষে ভোট দেন।
আইনটি দুই দলের ঐকমত্যে পাস হয়েছে। আইনপ্রণেতা, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা বলছেন, স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিচ্ছে এবং শিক্ষাজনিত কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
বিলটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল পিপল পাওয়ার পার্টির এমপি চো জুং-হুন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও মানসিক উন্নয়নে স্মার্টফোন আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাবের যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ রয়েছে।’
২০২৪ সালের এক সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ স্মার্টফোনে অতিরিক্ত নির্ভরশীল। তবে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৪৩ শতাংশ এবং সংখ্যাটি দিনে দিনে বাড়ছে।
১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী জানান, সে ফোনে আসক্ত নয়, বরং প্রাইভেট টিউশন ও হোমওয়ার্কের কারণে প্রতিদিনই মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয়।
১৪ বছর বয়সী ছেলের মা চোই ইউন-ইয়ং বলেন, ‘ছাত্ররা এখন স্কুলে শুধু পড়ালেখা করতে যায় না, বন্ধুত্ব গড়তেও যায়। তবে ফোনের কারণে তারা কোনো কিছুর প্রতিই মনোযোগ দিতে পারে না।’
প্রাইমারি স্কুলপড়ুয়া দুই কন্যাসন্তানের মা কিম সান বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে চলা বুলিং এবং অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার নিয়েও তিনি চিন্তিত।
এই আইন শুধু শ্রেণিকক্ষের সময়েই ফোন নিষিদ্ধ করেছে, তবে শিক্ষকদের পুরো স্কুল প্রাঙ্গণে ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক ডিভাইস ব্যবহারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম বা জরুরি অবস্থায়ও ফোন ব্যবহার করা যাবে।
আইনে বলা হয়েছে, স্কুলগুলোকে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইসের সঠিক ব্যবহার শেখাতে হবে।
দেশটির দুটি বড় শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে কেবল কনজারভেটিভ কোরিয়ান ফেডারেশন অব টিচারস অ্যাসোসিয়েশন বিলটির পক্ষে মত দিয়েছে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানান, শিক্ষক সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ বলেছেন, স্মার্টফোনের কারণে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ফোন বাজেয়াপ্ত করায় শিক্ষককে গালাগালি, এমনকি আক্রমণ করে বসে।’
অন্যদিকে, কোরিয়ান টিচারস অ্যান্ড এডুকেশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবস্থান নেয়নি। তবে সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, এটি শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহারের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।
শিক্ষক চো ইয়ং-সান বলেন, ‘ছাত্রদের মূল সমস্যা ফোন নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অতিরিক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ, বিশেষ করে সুনুং (কলেজ অ্যাডমিশন পরীক্ষা)।’
সুনুং নামের এই পরীক্ষা দক্ষিণ কোরিয়ায় ভবিষ্যতের চাকরি ও জীবনমান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। এ জন্য ছাত্ররা প্রাথমিক থেকেই কঠোর প্রস্তুতির মধ্যে থাকে।
১৮ বছর বয়সী সিও মিন-জুন বলেন, ‘শুধু শ্রেণিকক্ষে ফোন নিষিদ্ধ করলেই হবে না, আমাদের শেখাতে হবে ফোন ছাড়া কীভাবে সময় কাটানো যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু ফোন কাড়াই হয়েছে, তবে কখনোই সঠিক ব্যবহারের শিক্ষা দেওয়া হয়নি।’
ফিনল্যান্ড ও ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ তুলনামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ফোন নিষিদ্ধ করেছে, যা কেবল ছোটদের স্কুলে প্রয়োগ হয়। অন্যদিকে ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও চীনের মতো দেশগুলো সব ধরনের স্কুলেই ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ দিয়েছে।
চো জুং-হুন বলেন, তিনি পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হয়েছেন, কারণ অন্যান্য দেশও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসক্তি শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও মানসিক বৃদ্ধির ওপর চরম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে—এমন উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
স্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিল পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ আইন কার্যকর হবে ২০২৬ সালের মার্চ থেকে। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শিক্ষাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
বুধবার জাতীয় পরিষদে ১৬৩ জন সদস্যের মধ্যে ১১৫ জন বিলটির পক্ষে ভোট দেন।
আইনটি দুই দলের ঐকমত্যে পাস হয়েছে। আইনপ্রণেতা, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা বলছেন, স্মার্টফোন শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা থেকে মনোযোগ সরিয়ে নিচ্ছে এবং শিক্ষাজনিত কর্মকাণ্ডে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।
বিলটি উত্থাপন করেন বিরোধী দল পিপল পাওয়ার পার্টির এমপি চো জুং-হুন। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও মানসিক উন্নয়নে স্মার্টফোন আসক্তির ক্ষতিকর প্রভাবের যথেষ্ট বৈজ্ঞানিক ও চিকিৎসাবিজ্ঞানভিত্তিক প্রমাণ রয়েছে।’
২০২৪ সালের এক সরকারি জরিপ অনুযায়ী, দক্ষিণ কোরিয়ার ৫ কোটি ১০ লাখ জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ স্মার্টফোনে অতিরিক্ত নির্ভরশীল। তবে ১০ থেকে ১৯ বছর বয়সীদের মধ্যে এই হার ৪৩ শতাংশ এবং সংখ্যাটি দিনে দিনে বাড়ছে।
১৩ বছর বয়সী এক শিক্ষার্থী জানান, সে ফোনে আসক্ত নয়, বরং প্রাইভেট টিউশন ও হোমওয়ার্কের কারণে প্রতিদিনই মধ্যরাত পর্যন্ত ব্যস্ত থাকতে হয়।
১৪ বছর বয়সী ছেলের মা চোই ইউন-ইয়ং বলেন, ‘ছাত্ররা এখন স্কুলে শুধু পড়ালেখা করতে যায় না, বন্ধুত্ব গড়তেও যায়। তবে ফোনের কারণে তারা কোনো কিছুর প্রতিই মনোযোগ দিতে পারে না।’
প্রাইমারি স্কুলপড়ুয়া দুই কন্যাসন্তানের মা কিম সান বলছেন, সামাজিক মাধ্যমে শিশুদের মধ্যে চলা বুলিং এবং অশ্রাব্য ভাষার ব্যবহার নিয়েও তিনি চিন্তিত।
এই আইন শুধু শ্রেণিকক্ষের সময়েই ফোন নিষিদ্ধ করেছে, তবে শিক্ষকদের পুরো স্কুল প্রাঙ্গণে ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারির ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষার কথা বিবেচনায় রেখে প্রতিবন্ধী বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য সহায়ক ডিভাইস ব্যবহারে ছাড় দেওয়া হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম বা জরুরি অবস্থায়ও ফোন ব্যবহার করা যাবে।
আইনে বলা হয়েছে, স্কুলগুলোকে শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ডিভাইসের সঠিক ব্যবহার শেখাতে হবে।
দেশটির দুটি বড় শিক্ষক সংগঠনের মধ্যে কেবল কনজারভেটিভ কোরিয়ান ফেডারেশন অব টিচারস অ্যাসোসিয়েশন বিলটির পক্ষে মত দিয়েছে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র জানান, শিক্ষক সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ বলেছেন, স্মার্টফোনের কারণে শ্রেণিকক্ষে মনোযোগে ব্যাঘাত ঘটে।
তিনি বলেন, ‘অনেক সময় শিক্ষার্থীরা ফোন বাজেয়াপ্ত করায় শিক্ষককে গালাগালি, এমনকি আক্রমণ করে বসে।’
অন্যদিকে, কোরিয়ান টিচারস অ্যান্ড এডুকেশনাল ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো অবস্থান নেয়নি। তবে সদস্যদের মধ্যে কেউ কেউ মনে করেন, এটি শিক্ষার্থীদের ফোন ব্যবহারের অধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।
শিক্ষক চো ইয়ং-সান বলেন, ‘ছাত্রদের মূল সমস্যা ফোন নয়, বরং আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার অতিরিক্ত প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ, বিশেষ করে সুনুং (কলেজ অ্যাডমিশন পরীক্ষা)।’
সুনুং নামের এই পরীক্ষা দক্ষিণ কোরিয়ায় ভবিষ্যতের চাকরি ও জীবনমান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে। এ জন্য ছাত্ররা প্রাথমিক থেকেই কঠোর প্রস্তুতির মধ্যে থাকে।
১৮ বছর বয়সী সিও মিন-জুন বলেন, ‘শুধু শ্রেণিকক্ষে ফোন নিষিদ্ধ করলেই হবে না, আমাদের শেখাতে হবে ফোন ছাড়া কীভাবে সময় কাটানো যায়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখন পর্যন্ত শুধু ফোন কাড়াই হয়েছে, তবে কখনোই সঠিক ব্যবহারের শিক্ষা দেওয়া হয়নি।’
ফিনল্যান্ড ও ফ্রান্সের মতো কিছু দেশ তুলনামূলকভাবে সীমিত পরিসরে ফোন নিষিদ্ধ করেছে, যা কেবল ছোটদের স্কুলে প্রয়োগ হয়। অন্যদিকে ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও চীনের মতো দেশগুলো সব ধরনের স্কুলেই ফোন ব্যবহারে বিধিনিষেধ দিয়েছে।
চো জুং-হুন বলেন, তিনি পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত হয়েছেন, কারণ অন্যান্য দেশও এ ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, স্মার্টফোন আসক্তি শিক্ষার্থীদের মস্তিষ্কের বিকাশ ও মানসিক বৃদ্ধির ওপর চরম ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে—এমন উল্লেখযোগ্য বৈজ্ঞানিক প্রমাণ রয়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি
ডিজিটাল ছবি সম্পাদনার জগতে অ্যাডোবির একচেটিয়া আধিপত্য এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ইমেজ এডিটিং মডেল চালু করেছে গুগল।
১১ ঘণ্টা আগেশীর্ষস্থানীয় অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই তাদের অ্যাপে নতুন একটি সরাসরি বার্তা পাঠানোর (Direct Messaging) ফিচার চালু করেছে। এই ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গান, পডকাস্ট ও অডিওবুক নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে অ্যাপ ছাড়াই শেয়ার করতে পারবেন।
১৪ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ পরীক্ষামূলক ব্যর্থতার পর অবশেষে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখাল ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। সংস্থাটির নির্মিত পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপ মঙ্গলবার মহাকাশে সফলভাবে পরীক্ষামূলক বা ডামি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এবং পৃথিবীতে ফেরার পথে নতুন ধরনের হিট শিল্ড টাইলসের কার্যকারিতা...
১৫ ঘণ্টা আগেজাপান প্রথমবারের মতো দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালু করেছে। এটি এখন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ান্টাম ইনফরমেশন ও কোয়ান্টাম বায়োলজি সেন্টার (QIQB) থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
১৫ ঘণ্টা আগে