আজকের পত্রিকা ডেস্ক
দীর্ঘ পরীক্ষামূলক ব্যর্থতার পর অবশেষে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখাল ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। সংস্থাটির নির্মিত পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপ মঙ্গলবার মহাকাশে সফলভাবে পরীক্ষামূলক বা ডামি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এবং পৃথিবীতে ফেরার পথে নতুন ধরনের হিট শিল্ড টাইলসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ‘স্টারবেস’ থেকে ৪০৩ ফুট (১২৩ মিটার) দীর্ঘ স্টারশিপ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের তিন মিনিট পর রকেটটির সুপার হেভি বুস্টার অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে স্টারশিপের ওপরের অংশকে মহাকাশে পৌঁছে দেয়।
উৎক্ষেপণের প্রায় ৩০ মিনিট পর মহাকাশে ভেসে থাকা অবস্থায় স্টারশিপের ‘ডিপ্লয়মেন্ট সিস্টেম’ দিয়ে প্রথমবারের মতো আটটি ডামি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ছাড়া হয়। স্পেসএক্সের বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্টারশিপ সফলতার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে নভোচারী পাঠানোর (আর্তেমিস থ্রি মিশন) জন্য স্টারশিপকে বেছে নিয়েছে। অন্যদিকে মাস্ক মনে করেন, স্টারশিপই ভবিষ্যতে মানুষের মঙ্গল গ্রহে যাত্রার মূল বাহন হবে। এই রকেট পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যেই নির্মিত।
মহাকাশ ভ্রমণের প্রায় এক ঘণ্টা পর স্টারশিপ ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তীব্র তাপ ও গতি সহ্য করতে সক্ষম এমন ছয় কোনা হিট শিল্ড টাইলসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
পৃথিবীতে ফেরা মহাকাশযানের জন্য সাধারণত প্রতিবারের মিশনের পর হিট শিল্ডে মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে হয়। নাসার রিটায়ার্ড স্পেস শাটল হিট শিল্ডগুলো বহুবার ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও অনেক সময় টাইলস বদলাতে হতো।
মাস্ক এক লাইভস্ট্রিমে বলেন, ‘রকেট ও বুস্টার—দুটোর জন্যই হাজারো ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা রয়ে গেছে, তবে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পুনর্ব্যবহারযোগ্য অরবিটাল হিট শিল্ড।’
মিশনের শেষ দিকে স্টারশিপ নির্ভুলভাবে ইঞ্জিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে সমুদ্রে নামতে সক্ষম হয়, তবে অবতরণের পর সেটি উল্টে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লাইট টারমিনেশন সিস্টেমই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এটি ছিল স্টারশিপের দশম টেস্ট ফ্লাইট। এর আগে তিনটি ব্যর্থ টেস্ট হয়েছিল, যার একটিও এত দূর অগ্রসর হতে পারেনি।
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পথ সুগম করার এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি। এক্সে তিনি বলেন, ‘ফ্লাইট ১০-এর সাফল্য স্টারশিপ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেমকে এগিয়ে নেবে, যার মাধ্যমে আমেরিকান নভোচারীরা আবার চাঁদে ফিরবেন আর্টেমিস থ্রি মিশনে।’
নাসার আর্টেমিস থ্রি মিশনে ২০২৭ সালে প্রথমবারের মতো স্টারশিপ ব্যবহার করে মানুষকে চাঁদের মাটিতে নামানোর কথা। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সীমা পিছিয়ে যেতে পারে।
মানুষ বহনকারী রকেট হিসেবে স্টারশিপকে তৈরি করতে এখনো অনেক পরীক্ষার বাকি, এর মধ্যে মহাকাশেই জ্বালানি ভরা এবং চাঁদের খাঁজযুক্ত ভূমিতে নিরাপদে নামার সক্ষমতা দেখানো উল্লেখযোগ্য।
এদিকে, স্টারশিপের সাফল্যের সঙ্গে স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবসাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমানে ফ্যালকন ৯ রকেট দিয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানো হলেও ভবিষ্যতে বড় ব্যাচে স্টারলিংক পাঠাতে স্টারশিপ ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।
মঙ্গলবারের ফ্লাইটে স্টারশিপের ২৩২ ফুট উচ্চতার সুপার হেভি বুস্টারটি ল্যান্ডিং আর্ম দিয়ে নামার পরিবর্তে গালফ অব মেক্সিকোতে পানির ওপর অবতরণ করে। এটি ছিল একটি ভিন্নধর্মী অবতরণের পরীক্ষা।
চলতি বছর ইলন মাস্ক আশা করছেন, স্পেসএক্স প্রায় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করবে।
স্পেসএক্স দ্রুতগতিতে টেক্সাসের স্টারবেসে নতুন স্টারশিপ প্রোটোটাইপ তৈরি করছে। এই এলাকা বর্তমানে একটি বিশাল ও দ্রুত বিস্তৃত হওয়া রকেট কারখানা। চলতি বছরের মে মাসে স্থানীয় ভোটারদের (যাদের অনেকেই স্পেসএক্সের কর্মী) ভোটে স্টারবেসকে একটি স্বতন্ত্র পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
দীর্ঘ পরীক্ষামূলক ব্যর্থতার পর অবশেষে বড় ধরনের অগ্রগতি দেখাল ইলন মাস্কের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স। সংস্থাটির নির্মিত পরবর্তী প্রজন্মের রকেট স্টারশিপ মঙ্গলবার মহাকাশে সফলভাবে পরীক্ষামূলক বা ডামি স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এবং পৃথিবীতে ফেরার পথে নতুন ধরনের হিট শিল্ড টাইলসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করেছে।
স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের ‘স্টারবেস’ থেকে ৪০৩ ফুট (১২৩ মিটার) দীর্ঘ স্টারশিপ রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হয়। উৎক্ষেপণের তিন মিনিট পর রকেটটির সুপার হেভি বুস্টার অংশটি বিচ্ছিন্ন হয়ে স্টারশিপের ওপরের অংশকে মহাকাশে পৌঁছে দেয়।
উৎক্ষেপণের প্রায় ৩০ মিনিট পর মহাকাশে ভেসে থাকা অবস্থায় স্টারশিপের ‘ডিপ্লয়মেন্ট সিস্টেম’ দিয়ে প্রথমবারের মতো আটটি ডামি স্টারলিংক স্যাটেলাইট ছাড়া হয়। স্পেসএক্সের বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট ব্যবসার ভবিষ্যতের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
স্টারশিপ সফলতার ওপর অনেক কিছুই নির্ভর করছে। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা চাঁদে নভোচারী পাঠানোর (আর্তেমিস থ্রি মিশন) জন্য স্টারশিপকে বেছে নিয়েছে। অন্যদিকে মাস্ক মনে করেন, স্টারশিপই ভবিষ্যতে মানুষের মঙ্গল গ্রহে যাত্রার মূল বাহন হবে। এই রকেট পুরোপুরি পুনর্ব্যবহারযোগ্য করার লক্ষ্যেই নির্মিত।
মহাকাশ ভ্রমণের প্রায় এক ঘণ্টা পর স্টারশিপ ভারত মহাসাগরের ওপর দিয়ে যখন পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে, তখন তীব্র তাপ ও গতি সহ্য করতে সক্ষম এমন ছয় কোনা হিট শিল্ড টাইলসের কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হয়।
পৃথিবীতে ফেরা মহাকাশযানের জন্য সাধারণত প্রতিবারের মিশনের পর হিট শিল্ডে মেরামত বা প্রতিস্থাপন করতে হয়। নাসার রিটায়ার্ড স্পেস শাটল হিট শিল্ডগুলো বহুবার ব্যবহারের জন্য তৈরি হলেও অনেক সময় টাইলস বদলাতে হতো।
মাস্ক এক লাইভস্ট্রিমে বলেন, ‘রকেট ও বুস্টার—দুটোর জন্যই হাজারো ইঞ্জিনিয়ারিং সমস্যা রয়ে গেছে, তবে সম্ভবত সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ পুনর্ব্যবহারযোগ্য অরবিটাল হিট শিল্ড।’
মিশনের শেষ দিকে স্টারশিপ নির্ভুলভাবে ইঞ্জিন দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করে সমুদ্রে নামতে সক্ষম হয়, তবে অবতরণের পর সেটি উল্টে গিয়ে বিস্ফোরিত হয়। ধারণা করা হচ্ছে, ফ্লাইট টারমিনেশন সিস্টেমই পরিকল্পনা অনুযায়ী বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।
এটি ছিল স্টারশিপের দশম টেস্ট ফ্লাইট। এর আগে তিনটি ব্যর্থ টেস্ট হয়েছিল, যার একটিও এত দূর অগ্রসর হতে পারেনি।
মহাকাশে মানুষ পাঠানোর পথ সুগম করার এই সাফল্যে অভিনন্দন জানিয়েছেন নাসার ভারপ্রাপ্ত প্রশাসক শন ডাফি। এক্সে তিনি বলেন, ‘ফ্লাইট ১০-এর সাফল্য স্টারশিপ হিউম্যান ল্যান্ডিং সিস্টেমকে এগিয়ে নেবে, যার মাধ্যমে আমেরিকান নভোচারীরা আবার চাঁদে ফিরবেন আর্টেমিস থ্রি মিশনে।’
নাসার আর্টেমিস থ্রি মিশনে ২০২৭ সালে প্রথমবারের মতো স্টারশিপ ব্যবহার করে মানুষকে চাঁদের মাটিতে নামানোর কথা। তবে বিশ্লেষকেরা বলছেন, নির্ধারিত সময়সীমা পিছিয়ে যেতে পারে।
মানুষ বহনকারী রকেট হিসেবে স্টারশিপকে তৈরি করতে এখনো অনেক পরীক্ষার বাকি, এর মধ্যে মহাকাশেই জ্বালানি ভরা এবং চাঁদের খাঁজযুক্ত ভূমিতে নিরাপদে নামার সক্ষমতা দেখানো উল্লেখযোগ্য।
এদিকে, স্টারশিপের সাফল্যের সঙ্গে স্পেসএক্সের স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ব্যবসাও ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বর্তমানে ফ্যালকন ৯ রকেট দিয়ে স্টারলিংক স্যাটেলাইট পাঠানো হলেও ভবিষ্যতে বড় ব্যাচে স্টারলিংক পাঠাতে স্টারশিপ ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে।
মঙ্গলবারের ফ্লাইটে স্টারশিপের ২৩২ ফুট উচ্চতার সুপার হেভি বুস্টারটি ল্যান্ডিং আর্ম দিয়ে নামার পরিবর্তে গালফ অব মেক্সিকোতে পানির ওপর অবতরণ করে। এটি ছিল একটি ভিন্নধর্মী অবতরণের পরীক্ষা।
চলতি বছর ইলন মাস্ক আশা করছেন, স্পেসএক্স প্রায় ১৫ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জন করবে।
স্পেসএক্স দ্রুতগতিতে টেক্সাসের স্টারবেসে নতুন স্টারশিপ প্রোটোটাইপ তৈরি করছে। এই এলাকা বর্তমানে একটি বিশাল ও দ্রুত বিস্তৃত হওয়া রকেট কারখানা। চলতি বছরের মে মাসে স্থানীয় ভোটারদের (যাদের অনেকেই স্পেসএক্সের কর্মী) ভোটে স্টারবেসকে একটি স্বতন্ত্র পৌরসভা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স
ডিজিটাল ছবি সম্পাদনার জগতে অ্যাডোবির একচেটিয়া আধিপত্য এখন বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে। কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক (এআই) ইমেজ এডিটিং মডেল চালু করেছে গুগল।
৮ ঘণ্টা আগেস্কুলের শ্রেণিকক্ষে মোবাইল ফোন ও স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে একটি বিল পাস করেছে দক্ষিণ কোরিয়া। এ আইন কার্যকর হবে ২০২৬ সালের মার্চ থেকে। স্মার্টফোন আসক্তি কমাতে এবং শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শিক্ষাগত উন্নয়ন নিশ্চিত করতেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেশীর্ষস্থানীয় অডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম স্পটিফাই তাদের অ্যাপে নতুন একটি সরাসরি বার্তা পাঠানোর (Direct Messaging) ফিচার চালু করেছে। এই ফিচারটির মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা গান, পডকাস্ট ও অডিওবুক নিজেদের বন্ধুদের সঙ্গে অ্যাপ ছাড়াই শেয়ার করতে পারবেন।
১১ ঘণ্টা আগেজাপান প্রথমবারের মতো দেশীয় প্রযুক্তিতে নির্মিত কোয়ান্টাম কম্পিউটার চালু করেছে। এটি এখন ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ান্টাম ইনফরমেশন ও কোয়ান্টাম বায়োলজি সেন্টার (QIQB) থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করার জন্য প্রস্তুত।
১২ ঘণ্টা আগে