হাসনাত শোয়েব, ঢাকা
শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র–এমনকি খেলার আকাশেও আকস্মিক একটি নক্ষত্র–প্রজন্মের আগমন ঘটে। যাদের যূথবদ্ধ প্রচেষ্টা সেই ক্ষণটাকে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখে। রুশ সাহিত্যে এমনই একটি প্রজন্ম এসেছিল নিকোলাই গোগোল ও ফিওদর দস্তয়েভস্কির হাত ধরে। সংগীতে কাছাকাছি সময়ে এসেছিলেন দুই মায়েস্ত্রো বিথোফেন ও মোৎজার্ট।
ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা ও রিকি পন্টিংকেও আমরা পেয়েছি একই সময়ে। তেমনই এক স্বর্ণযুগ পার করছে টেনিস। খুব সম্ভবত সেই যুগ এখন শেষের গানও শুনছে। সব ভালো কিছুরই কখনো না কখনো শেষ হতে হয়। তবে টেনিসের সেই তিন মহারথী যা দিয়ে গেছেন, ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। বলছি, সন্দেহাতীতভাবে সর্বকালের সেরা তিন টেনিস তারকা রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের কথা।
দুই দিন আগে জোকোভিচ উইম্বলডন জেতার পর ফেদেরার নিজেও বলেছেন, টেনিসের বিশেষ এই যুগে খেলতে পেরে তিনি গর্বিত। চলতি শতাব্দীতে টেনিসের জগতে এই নামগুলোই জ্বলজ্বল করছে। কোর্টের রোমাঞ্চ হোক কিংবা সাফল্যের পরিসংখ্যান—সব জায়গাতেই দাপট দেখিয়েছেন টেনিসের এই তিন সারথি।
‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত এই ত্রয়ী ২০০৩ উইম্বলডন থেকে ২০২১ সালের উইম্বলডন পর্যন্ত দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েছেন। এর মাঝে ৭২টি গ্র্যান্ড স্লামের ৬০টিই জিতেছেন তাঁরা। শতাংশের হিসাবে যা দাঁড়ায় ৮৩! যেখানে ফেদেরার, নাদাল ও জোকোভিচের প্রত্যেকেই জিতেছেন ২০টি করে গ্র্যান্ড স্লাম, যা এককথায় অবিশ্বাস্য!
এই তিনজন মিলে একত্রে জিতেছেন ১৬টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ১৬টি ফ্রেঞ্চ ওপেন, ১৬টি উইম্বলডন ও ১২টি ইউএস ওপেন। তিনজন মিলে জিতেছেন ৮০টির বেশি এটিপি শিরোপা। এ সময়ে র্যাঙ্কিংয়েও এ ত্রয়ীকে কেউ পেছনে ফেলতে পারেননি। ফেদেরার ও জোকোভিচ র্যাঙ্কিং শীর্ষে ছিলেন ৩০০ সপ্তাহের বেশি সময়। যেখানে নাদাল ছিলেন ২০০–র বেশি সপ্তাহ।
২০০৫ ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে ২০০৯ উইম্বলডন পর্যন্ত টানা ১৮টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন এই তিনজনের কেউ না কেউ! ২০১৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে ২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত টানা ১৪টি গ্র্যান্ড স্লামও তাঁদের কেউ একজন জিতেছেন। শুধু ২০১৬ বাদ দিলে ২০০৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই তিনজনের কেউ একজন শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছেন। ২০১৬ সালে শীর্ষে ছিলেন অ্যান্ডি মারে।
এমন নয় যে এই ত্রয়ীকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করেননি। একটা সময় মারেকে নিয়ে ‘বিগ ফোর’–এর তকমাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মারে বেশি দূর যেতে পারেননি। বারবার চোটে সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়ার খুব বেশি সুযোগও পাননি এই ব্রিটিশ তারকা। হুয়ান মার্টিন দেল পোর্তো, মারিন সিলিস ও স্তানিলাস ভাবরিঙ্কাকেও একসময় হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেসব শুধু সম্ভাবনা হিসেবেই থেকে গেছে।
টেনিসের স্বর্ণযুগের আলোচনাটা এবারই প্রথম নয়। এর আগে আরও দুটি সময়কে টেনিসের স্বর্ণযুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত কোর্টে রাজত্ব করেছিলেন বিয়ন বোর্গ, জিমি কনর্স, জন ম্যাকেনরো। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত আন্দ্রে আগাসি, পিট সাম্প্রাস ও বরিস বেকারদের নিয়েও এমন আলোচনা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সাফল্য ও স্থায়িত্ব বিবেচনায় কোনোটিই বর্তমান যুগের কাছাকাছি ছিল না।
মধ্য ত্রিশে দাঁড়িয়ে নাদাল–জোকোভিচ চালিয়ে যাবেন আরও কয়েক বছর। ফেদেরার শেষের গান গাইছেন বলেই ভেঙে যাওয়ার পথে ত্রয়ীর চক্রটা। আর তাতেই প্রশ্নটা আসছে—টেনিসের স্বর্ণযুগ কি তবে শেষ দিকে?
শিল্প, সাহিত্য, সংগীত, চলচ্চিত্র–এমনকি খেলার আকাশেও আকস্মিক একটি নক্ষত্র–প্রজন্মের আগমন ঘটে। যাদের যূথবদ্ধ প্রচেষ্টা সেই ক্ষণটাকে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখে। রুশ সাহিত্যে এমনই একটি প্রজন্ম এসেছিল নিকোলাই গোগোল ও ফিওদর দস্তয়েভস্কির হাত ধরে। সংগীতে কাছাকাছি সময়ে এসেছিলেন দুই মায়েস্ত্রো বিথোফেন ও মোৎজার্ট।
ক্রিকেটে শচীন টেন্ডুলকার, ব্রায়ান লারা ও রিকি পন্টিংকেও আমরা পেয়েছি একই সময়ে। তেমনই এক স্বর্ণযুগ পার করছে টেনিস। খুব সম্ভবত সেই যুগ এখন শেষের গানও শুনছে। সব ভালো কিছুরই কখনো না কখনো শেষ হতে হয়। তবে টেনিসের সেই তিন মহারথী যা দিয়ে গেছেন, ইতিহাসে অক্ষয় হয়ে থাকবে। বলছি, সন্দেহাতীতভাবে সর্বকালের সেরা তিন টেনিস তারকা রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও নোভাক জোকোভিচের কথা।
দুই দিন আগে জোকোভিচ উইম্বলডন জেতার পর ফেদেরার নিজেও বলেছেন, টেনিসের বিশেষ এই যুগে খেলতে পেরে তিনি গর্বিত। চলতি শতাব্দীতে টেনিসের জগতে এই নামগুলোই জ্বলজ্বল করছে। কোর্টের রোমাঞ্চ হোক কিংবা সাফল্যের পরিসংখ্যান—সব জায়গাতেই দাপট দেখিয়েছেন টেনিসের এই তিন সারথি।
‘বিগ থ্রি’ নামে পরিচিত এই ত্রয়ী ২০০৩ উইম্বলডন থেকে ২০২১ সালের উইম্বলডন পর্যন্ত দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েছেন। এর মাঝে ৭২টি গ্র্যান্ড স্লামের ৬০টিই জিতেছেন তাঁরা। শতাংশের হিসাবে যা দাঁড়ায় ৮৩! যেখানে ফেদেরার, নাদাল ও জোকোভিচের প্রত্যেকেই জিতেছেন ২০টি করে গ্র্যান্ড স্লাম, যা এককথায় অবিশ্বাস্য!
এই তিনজন মিলে একত্রে জিতেছেন ১৬টি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন, ১৬টি ফ্রেঞ্চ ওপেন, ১৬টি উইম্বলডন ও ১২টি ইউএস ওপেন। তিনজন মিলে জিতেছেন ৮০টির বেশি এটিপি শিরোপা। এ সময়ে র্যাঙ্কিংয়েও এ ত্রয়ীকে কেউ পেছনে ফেলতে পারেননি। ফেদেরার ও জোকোভিচ র্যাঙ্কিং শীর্ষে ছিলেন ৩০০ সপ্তাহের বেশি সময়। যেখানে নাদাল ছিলেন ২০০–র বেশি সপ্তাহ।
২০০৫ ফ্রেঞ্চ ওপেন থেকে ২০০৯ উইম্বলডন পর্যন্ত টানা ১৮টি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছেন এই তিনজনের কেউ না কেউ! ২০১৭ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে ২০২০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেন পর্যন্ত টানা ১৪টি গ্র্যান্ড স্লামও তাঁদের কেউ একজন জিতেছেন। শুধু ২০১৬ বাদ দিলে ২০০৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত এই তিনজনের কেউ একজন শীর্ষে থেকে বছর শেষ করেছেন। ২০১৬ সালে শীর্ষে ছিলেন অ্যান্ডি মারে।
এমন নয় যে এই ত্রয়ীকে কেউ চ্যালেঞ্জ জানানোর চেষ্টা করেননি। একটা সময় মারেকে নিয়ে ‘বিগ ফোর’–এর তকমাও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনটি গ্র্যান্ড স্লাম জেতা মারে বেশি দূর যেতে পারেননি। বারবার চোটে সামর্থ্যের প্রমাণ দেওয়ার খুব বেশি সুযোগও পাননি এই ব্রিটিশ তারকা। হুয়ান মার্টিন দেল পোর্তো, মারিন সিলিস ও স্তানিলাস ভাবরিঙ্কাকেও একসময় হুমকি হিসেবে দেখা হয়েছিল। কিন্তু সেসব শুধু সম্ভাবনা হিসেবেই থেকে গেছে।
টেনিসের স্বর্ণযুগের আলোচনাটা এবারই প্রথম নয়। এর আগে আরও দুটি সময়কে টেনিসের স্বর্ণযুগ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। ১৯৭৮ থেকে ১৯৮৪ পর্যন্ত কোর্টে রাজত্ব করেছিলেন বিয়ন বোর্গ, জিমি কনর্স, জন ম্যাকেনরো। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত আন্দ্রে আগাসি, পিট সাম্প্রাস ও বরিস বেকারদের নিয়েও এমন আলোচনা শোনা গিয়েছিল। কিন্তু সাফল্য ও স্থায়িত্ব বিবেচনায় কোনোটিই বর্তমান যুগের কাছাকাছি ছিল না।
মধ্য ত্রিশে দাঁড়িয়ে নাদাল–জোকোভিচ চালিয়ে যাবেন আরও কয়েক বছর। ফেদেরার শেষের গান গাইছেন বলেই ভেঙে যাওয়ার পথে ত্রয়ীর চক্রটা। আর তাতেই প্রশ্নটা আসছে—টেনিসের স্বর্ণযুগ কি তবে শেষ দিকে?
তিন সেঞ্চুরির পরও ভারত হেডিংলি টেস্টের প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৪৭১ রান। জবাবে এক সেঞ্চুরির সুবাদেই ভারতের স্কারের কাছাকাছি রান তুলেছে ইংল্যান্ড। জাসপ্রিত বুমরার ৫ উইকেটের পরও স্বাগতিকেরা প্রথম ইনিংসে করেছে ৪৬৫।
১ ঘণ্টা আগেকৈশোরের একটা আভা এখনও চোখে মুখে লেগে আছে তাঁর। ১৯ বছর বয়সী সেই জোব বেলিংহামকে এ মাসেই যখন সান্ডারল্যান্ড থেকে ৩ কোটি ৩০ লাখ ইউরোয় কিনে নিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড, তখন কিন্তু কেউ প্রশ্ন তোলেনি—এক টিনেজারের পিছনে এত ব্যয়!
২ ঘণ্টা আগেআলজেরিয়ায় পছন্দের ক্লাবের শিরোপা জয় উদ্যাপনে অংশ হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক সমর্থক। এমসি আলজেরের টানা দ্বিতীয় লিগ শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর গ্যালারির ওপরের স্ট্যান্ড ভেঙে পড়ে আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। দেশটির রাজধানীর ‘৫ জুলাই স্টেডিয়ামে’ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে। ইয়োনেস নামের ওই সমর্থকের মৃত্যুতে
৫ ঘণ্টা আগেএকদিনের সফরে রাজশাহী এসেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সকালে আসার পরে একটু বসার ফুসরত পাননি। একবার মাঠে তো একবার ইনডোরে ছোটাছুটি। এর মধ্যেই কিছুক্ষণের জন্য একান্তে বসলেন আজকের পত্রিকার সঙ্গে। বললেন, ‘রাজশাহী এসে তিনি মুগ্ধ। অনেক কিছুই করার আছে এখানে। রাজশাহী ঘিরে জেগেছে নতুন স্বপ্ন।’
৬ ঘণ্টা আগে