Ajker Patrika

‘একটাই প্রার্থনা, বোমা যেন মাথার ওপর না পড়ে’

আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১৫: ২১
‘একটাই প্রার্থনা, বোমা যেন মাথার ওপর না পড়ে’

রাশিয়ার হামলার মুহূর্ত থেকে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে ইউক্রেনে। দেশটিতে এখন বিমান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ। স্থানীয়রা শহর ছেড়ে পালাচ্ছে গ্রামের দিকে। অনেকেই শরণার্থী হয়ে আশ্রয় নিচ্ছে প্রতিবেশী দেশগুলোতে।

বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বড় বিপদে পড়েছেন ইউক্রেনে অবস্থানকারী বিদেশিরা। এই বিদেশিরা না পারছেন গ্রামের দিকে যেতে, না পারছেন অন্য দেশে আশ্রয় নিতে। ইউক্রেনের বিভিন্ন ক্লাবে খেলা ব্রাজিলিয়ানরা মরিয়া হয়ে অনুনয় জানাচ্ছেন তাঁদের সেই দেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য। 

শাখতার দোনেৎস্ক ও ডায়নামো কিয়েভের ১৩ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার তাদের পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাজধানী কিয়েভের একটি হোটেলে। সব মিলিয়ে ইউক্রেনে খেলছেন ৩৫ ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার। কোথায় যাবেন, কীভাবে দেশে ফিরবেন, সেই দুশ্চিন্তা ঢুকে বসে আছে মনে। ক্ষণে ক্ষণে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলার আতঙ্ক নিয়ে চেয়েছেন সাহায্য। 

শাখতার ডিফেন্ডার মারলন সান্তোস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক ভিডিও পোস্ট করেছেন। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ফুটবলাররা তাদের পরিবারসহ একত্র হয়েছেন মুখে আতঙ্ক জমিয়ে। ব্রাজিল সরকার থেকে কোনো সাহায্য পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মারলন। বলেছেন, ‘সীমান্ত বন্ধ হয়ে গেছে। বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। আমরা বের হওয়ার কোনো রাস্তা পাচ্ছি না। আমরা ব্রাজিল সরকারের সাহায্য চেয়েছি, এখন এটাই আমাদের বাঁচাতে পারে।’ 

একজন ফুটবলারের স্ত্রীকে বলতে দেখা গেছে, ‘নারী-শিশু সবাই নিজেকে বন্ধী ভাবা শুরু করেছে। কী হচ্ছে কিছুই জানি না, কোনো তথ্য আমরা জানি না। আমাদের সন্তানদের দিকে চেয়ে হলেও দয়া করে আমাদের হোটেল থেকে বের করে নিয়ে যান।’

ব্রাজিলিয়ানদের কোনো গতি না হওয়া পর্যন্ত ইউক্রেন ছাড়বেন না বলে সোজা জানিয়েছেন শাখতারের ইতালিয়ান কোচ রবের্তো ডে জারভি, ‘আমি কোথাও যাচ্ছি না। সমর্থকদের আমি হতাশ করতে চাই না। লিগ স্থগিত না হওয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসতে চাই না। হোটেলে আমার ১৩ ফুটবলার, কর্মীরা আছে। হয়তো আমরা দেশে ফিরে যেতে চাই, কিন্তু কী হবে শেষ পর্যন্ত সেটাও দেখতে চাই।’

শাখতারের সাবেক কোচ পাওলো ফনসেকাও কিয়েভে আটকা পড়েছেন স্ত্রী-সন্তানসহ। আতঙ্ক নিয়ে বললেন, ‘আমাদের দেশে ফেরার কথা ছিল, কিন্তু এখন এই দেশ ছাড়া এক কথায় অসম্ভব। বিমানবন্দর সব নষ্ট হয়ে গেছে। আমার জীবনে সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। একটাই প্রার্থনা, বোম যেন আমাদের মাথার ওপর না পড়ে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত