তাঁর পরিবার এতটাই গরিব ছিল যে, ক্ষুধার জ্বালায় মাটি পর্যন্ত খেয়েছেন! তবু মনের জোর আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসায় ভাটা পড়েনি। সাদিও মানের সংগ্রামী জীবনের গল্প তাই সবার মনে সাহস ও প্রেরণা জোগায়।
সেনেগালের ছোট্ট গ্রাম বানবালির হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানেই যে আজ সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন! লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ডের জীবনটা এখন সাফল্য ভরপুর। আয়ও করেন কাঁড়ি কাঁড়ি। তবু ভাঙা মোবাইল, রংচটা ঘড়িতেই খুশি তিনি।
মানের অতি সাধারণ জীবন যাপন নিয়ে তাঁর কাছে অনেকবারই জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকেরা। সেনেগালের রাস্তা থেকে উঠে এসে ইউরোপে রাজত্ব করা মানেও দিয়েছেন বিনয়ী উত্তর। জানিয়েছেন, ওসবে কৃতিত্ব নেই। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই তাঁর সব সুখ।
প্রথমবার দেশকে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের শিরোপা এনে দিলেও মানে এখনো অন্তর্মুখী। বিলাসিতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।
সম্প্রতি ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লে’কিপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী মানে তাঁর জীবন ও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। খোলামেলা আলোচনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা নেইমার জুনিয়রের মতো জীবন চান কি না। বা বিত্তবানের মতো চলাফেরা করতে আগ্রহী কি না।
প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসেন মানে। বলেন, ‘না! রোনালদো-নেইমার মতো চাকচিক্যময় জীবন আমার দরকার নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অনুসরণ করি, এটাই যথেষ্ট। আমি তাদের বিলাসী জীবন ভালোবাসি। কিন্তু তাদের মতো হতে চাই না। এসব আমার সঙ্গে যায় না।’
২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ৩৪ মিলিয়ন ইউরোতে সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে আসেন মানে। অলরেডদের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫৪ ম্যাচে করেছেন ১১১ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৪৫ টি। দলকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, ইংলিশ লিগ কাপ (কারাবাও কাপ) জেতাতেও রেখেছেন বিশেষ অবদান। তবু অন্য ফুটবলারদের থেকে অনেক ব্যতিক্রম মানে।
বর্তমানে আফ্রিকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করছেন মানে। তাঁর বাবা যে মসজিদের ইমাম ছিলেন, সে মসজিদের সংস্কারের জন্য টাকা দিয়েছেন। নিজ গ্রাম বানবালির দরিদ্র মানুষদেরও পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছেন। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল ও হাসপাতাল। দান করছেন কোটি কোটি টাকা। লে’কিপকে এমন উদারতার কথাও জানিয়েছেন মানে।
এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের ফাইনালে মানের সেনেগালের কাছে হেরে গেছে মোহামেদ সালাহর মিসর। লিভারপুল সতীর্থের সঙ্গে সেদিনের মুহূর্ত নিয়েও কথা বলেছেন মানে, ‘ওর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। খুব কাঁদছিল। ওর কাছে গিয়ে বললাম, মন খারাপ কোরো না। কাউকে না কাউকে হারতেই হতো। আজকের দিনটি তোমার ছিল না। তবু তুমি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’
নিজেকে নিয়ে মানে আরও বলেছেন, ‘সমালোচক হিসেবে চেঁচামেচি করতে ভালো লাগে না। এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পছন্দ করি। মনে হয় এই স্বভাব বদলাবে না। ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে আসা একটি বালকের এসব প্রতিহত করাও এক ধরনের বড় বিজয়।’
এ মৌসুমে একমাত্র দল হিসেবে সব কটি প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে মানের লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির ঘাড়ে এরই মধ্যে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে অলরেডরা। তবে এই মুহূর্তে মানেদের সামনে এফএ কাপের শেষ চারে ওঠার চ্যালেঞ্জ। আজ রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে নটিংহাম ফরেস্টের মুখোমুখি হবে তাঁর দল।
তাঁর পরিবার এতটাই গরিব ছিল যে, ক্ষুধার জ্বালায় মাটি পর্যন্ত খেয়েছেন! তবু মনের জোর আর ফুটবলের প্রতি ভালোবাসায় ভাটা পড়েনি। সাদিও মানের সংগ্রামী জীবনের গল্প তাই সবার মনে সাহস ও প্রেরণা জোগায়।
সেনেগালের ছোট্ট গ্রাম বানবালির হতদরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা মানেই যে আজ সময়ের সেরা ফুটবলারদের একজন! লিভারপুলের তারকা ফরোয়ার্ডের জীবনটা এখন সাফল্য ভরপুর। আয়ও করেন কাঁড়ি কাঁড়ি। তবু ভাঙা মোবাইল, রংচটা ঘড়িতেই খুশি তিনি।
মানের অতি সাধারণ জীবন যাপন নিয়ে তাঁর কাছে অনেকবারই জানতে চেয়েছেন সাংবাদিকেরা। সেনেগালের রাস্তা থেকে উঠে এসে ইউরোপে রাজত্ব করা মানেও দিয়েছেন বিনয়ী উত্তর। জানিয়েছেন, ওসবে কৃতিত্ব নেই। দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানোতেই তাঁর সব সুখ।
প্রথমবার দেশকে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের শিরোপা এনে দিলেও মানে এখনো অন্তর্মুখী। বিলাসিতা থেকে নিজেকে দূরে রাখতেই পছন্দ করেন তিনি।
সম্প্রতি ফরাসি ক্রীড়া দৈনিক লে’কিপকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ২৯ বছর বয়সী মানে তাঁর জীবন ও ফুটবল ক্যারিয়ারের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। খোলামেলা আলোচনায় বিশ্বের অন্যতম সেরা ফরোয়ার্ডের কাছে জানতে চাওয়া হয় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো কিংবা নেইমার জুনিয়রের মতো জীবন চান কি না। বা বিত্তবানের মতো চলাফেরা করতে আগ্রহী কি না।
প্রশ্ন শুনেই মুচকি হাসেন মানে। বলেন, ‘না! রোনালদো-নেইমার মতো চাকচিক্যময় জীবন আমার দরকার নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাদের অনুসরণ করি, এটাই যথেষ্ট। আমি তাদের বিলাসী জীবন ভালোবাসি। কিন্তু তাদের মতো হতে চাই না। এসব আমার সঙ্গে যায় না।’
২০১৬ সালের গ্রীষ্মকালীন দলবদলে ৩৪ মিলিয়ন ইউরোতে সাউদাম্পটন থেকে লিভারপুলে আসেন মানে। অলরেডদের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৫৪ ম্যাচে করেছেন ১১১ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৪৫ টি। দলকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ, উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ, উয়েফা সুপার কাপ, ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ, ইংলিশ লিগ কাপ (কারাবাও কাপ) জেতাতেও রেখেছেন বিশেষ অবদান। তবু অন্য ফুটবলারদের থেকে অনেক ব্যতিক্রম মানে।
বর্তমানে আফ্রিকার আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক সহায়তা করছেন মানে। তাঁর বাবা যে মসজিদের ইমাম ছিলেন, সে মসজিদের সংস্কারের জন্য টাকা দিয়েছেন। নিজ গ্রাম বানবালির দরিদ্র মানুষদেরও পর্যাপ্ত সহযোগিতা করছেন। সেখানে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্কুল ও হাসপাতাল। দান করছেন কোটি কোটি টাকা। লে’কিপকে এমন উদারতার কথাও জানিয়েছেন মানে।
এবারের আফ্রিকান কাপ অব নেশনসের ফাইনালে মানের সেনেগালের কাছে হেরে গেছে মোহামেদ সালাহর মিসর। লিভারপুল সতীর্থের সঙ্গে সেদিনের মুহূর্ত নিয়েও কথা বলেছেন মানে, ‘ওর বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিল। খুব কাঁদছিল। ওর কাছে গিয়ে বললাম, মন খারাপ কোরো না। কাউকে না কাউকে হারতেই হতো। আজকের দিনটি তোমার ছিল না। তবু তুমি সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন।’
নিজেকে নিয়ে মানে আরও বলেছেন, ‘সমালোচক হিসেবে চেঁচামেচি করতে ভালো লাগে না। এসব থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পছন্দ করি। মনে হয় এই স্বভাব বদলাবে না। ছোট্ট গ্রাম থেকে উঠে আসা একটি বালকের এসব প্রতিহত করাও এক ধরনের বড় বিজয়।’
এ মৌসুমে একমাত্র দল হিসেবে সব কটি প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের সম্ভাবনা জিইয়ে রেখেছে মানের লিভারপুল। প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটির ঘাড়ে এরই মধ্যে নিশ্বাস ফেলতে শুরু করেছে অলরেডরা। তবে এই মুহূর্তে মানেদের সামনে এফএ কাপের শেষ চারে ওঠার চ্যালেঞ্জ। আজ রাতে কোয়ার্টার ফাইনালে নটিংহাম ফরেস্টের মুখোমুখি হবে তাঁর দল।
বি.লিগ, বাংলাদেশ লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের পাট চুকিয়ে পেশাদার লিগের নতুন নাম এখন বাংলাদেশ ফুটবল লিগ। প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল আগেই। পরশু লিগ কমিটির এক সভায় চূড়ান্ত করা হয় সেই নাম। নতুন নামের মোড়কে আজ থেকে শুরু হচ্ছে লিগের নতুন মৌসুম।
৮ মিনিট আগেপাকিস্তানের বিপক্ষে অলিখিত সেমিফাইনালটা লিটন দাসকে দেখতে হয়েছে ডাগ আউটে বসে। দুবাইয়ে তাওহীদ হৃদয়, পারভেজ হোসেন ইমন, জাকের আলী অনিকদের একের পর এক আত্মাহুতি দেখে লিটনের মুখটা বেশ ফ্যাকাশে দেখিয়েছে। ওয়াসিম আকরামের মতে লিটন থাকলে ম্যাচের ফল অন্য কিছু হতেও পারত।
৩১ মিনিট আগেজিতলেই ফাইনাল—দুবাইয়ে গত রাতে সুপার ফোরের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচটা ছিল এমনই। অলিখিত সেমিফাইনালে প্রথম ইনিংস শেষে বাংলাদেশের ফাইনাল খেলা মনে হচ্ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। কিন্তু ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান কখন যে পাশার দান উল্টে দেবে, সেটা বোঝা মুশকিল।
১ ঘণ্টা আগেদুবাইয়ে গত রাতে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সুপার ফোরের ম্যাচে ছিল না কোনো জটিল সমীকরণের খেলা। অলিখিত সেমিফাইনালের বাধা যে টপকতে পারবে, সেই দল কাটবে ফাইনালের টিকিট। বাংলাদেশ সেখানে নিজেদের হাতে থাকা ম্যাচ ফস্কেছে বলে মনে করেন ওয়াসিম আকরাম।
২ ঘণ্টা আগে